Ajker Patrika

শেষ মুহূর্তের রুটিন ও পরীক্ষার হলে করণীয়

রহিমা ঐশী
শেষ মুহূর্তের রুটিন ও পরীক্ষার হলে করণীয়

মেডিকেল কলেজের পেশাগত (প্রফেশনাল/প্রফ) পরীক্ষা হলো ডাক্তার হওয়ার মূল পরীক্ষা। পুরো পাঁচ বছরের মেডিকেল কলেজ শিক্ষাজীবনে মোট ৩টি পেশাগত পরীক্ষা হয়ে থাকে। ২২ নভেম্বর শুরু হতে যাচ্ছে প্রথম প্রফ। প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য পথম প্রফ পরীক্ষার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু পরামর্শ তুলে ধরা হলো–

শেষ মুহূর্তের রুটিন
যেহেতু সময় একেবারেই নেই, তাই এখন শুধু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলো পড়ে ফেলতে হবে। পাঁচ বছরের বোর্ডের প্রশ্ন সলভ করলে মোটামুটি ৯০-৯৫ শতাংশ প্রশ্ন কমন পড়ার সম্ভাবনা আছে। আপাতত শুধু লিখিত অংশের প্রস্তুতি নেওয়াই শ্রেয়। ভাইভা প্রস্তুতির জন্য পরে সময় পাওয়া যাবে। তুমি যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরীক্ষা দিচ্ছ, শুধু সেগুলোর বিগত বছরের প্রশ্নের সমাধান করলেই হবে। যেমন কোন প্রশ্নগুলো বেশি আসছে, কোন বিষয় থেকে সম্প্রতি প্রশ্ন এসেছে ইত্যাদি। 

যেভাবে পড়তে হবে
প্রফের ৩ অংশ: রিটেন, ভাইভা ও প্র্যাকটিক্যাল। রিটেনের প্রস্তুতির জন্য সহায়ক বই ও পাঠ্যবই পড়তে হবে কিন্তু ভাইভার জন্য অবশ্যই পাঠ্যবই পড়তে হবে। মূল বইয়ের নোট, চার্ট ও কনসেপ্ট অংশে ভালো দখল থাকতে হবে। অ্যানাটমিতে আবার দুইটা অংশ: হার্ড ও সফট পার্ট। হার্ড পার্টে রয়েছে অস্থি, সফট অংশের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন নার্ভ, ভিসেরা ইত্যাদি। এগুলো প্রতিটির গঠন, অবস্থান, সম্পর্ক ও কাজ নিয়ে জানতে হবে। সবকিছু আগে যে বই থেকে পড়েছ, ওটাই এখন পড়বে। কিন্তু যে বিষয়টা আগে কখনো পড়োনি, পরীক্ষার কিছুদিন আগে এখন নতুন করে মূল বই পড়তে গেলে উপকারের চেয়ে বরং ক্ষতিই বেশি হবে। ক্লাস লেকচার থাকলে সেটা পড়তে পারো। এখন শুধু নিজের পড়াটা আরেকবার ঝালাই করে নিতে হবে। অ্যানাটমি অংশে লেখার পাশাপাশি ফিগার আঁকলে নম্বর বেশি। সময় থাকলে রং করা যাবে। ফিজিওলজি ও বায়োকেমিস্ট্রির জন্যও গত সালের প্রশ্নের সমাধান করলেই হবে। 

পরীক্ষার হলে করণীয়
পরীক্ষার আগেই তোমার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, কলম, অ্যাডমিট কার্ড, পেনসিল, স্কেল সবকিছু রেডি করে রেখো। ভাইভায় মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে। কারণ সাধারণ প্রশ্ন করা হয়। কোনো প্রশ্ন না পারলে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। প্রশ্নকর্তাকে দুঃখিত বললেই হবে। এ ছাড়া অ্যাপ্রোন ও আইডি কার্ড নিয়ে ফরমালভাবে যেতে হবে। প্রশ্ন পেয়ে এমনভাবে সময় ভাগ করো নেবে, যাতে ৫-১০ মিনিট বাড়তি পাওয়া যায়। প্রতিটি প্রশ্নের সঙ্গে ছবিগুলো শিখে নিতে হবে। অ্যানাটমির হার্ড পার্টের জন্য অস্থিমজ্জা, রেডিওলজি, ইত্যাদি পড়া উচিত। সর্বোপরি মাথা ঠান্ডা রেখে সব কাজ করতে হবে।

রহিমা ঐশী, শিক্ষার্থী, চতুর্থ বর্ষ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ, ঢাকা

অনুলিখন: মুসাররাত আবির 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত