বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
সাম্প্রতিক সময়ে কনসার্টে দর্শকের বিশৃঙ্খলা ভাবিয়ে তুলছে শিল্পী-আয়োজকদের। নিরাপত্তাবেষ্টনী ভেঙে কনসার্টের ভেন্যুতে আমজনতার প্রবেশ; আয়োজক, স্বেচ্ছাসেবকসহ নিরাপত্তায় নিয়োজিত কর্মীদের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা শঙ্কিত করে তুলছে শিল্পী, ব্যান্ড ও কনসার্টের আয়োজকদের। অনেকেই মনে করছেন, একটি সংঘবদ্ধ চক্র পরিকল্পনা করে এমনটা করছে। এমনটা চলতে থাকলে হুমকির মুখে পড়বে কনসার্ট আয়োজন। তাই তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা উচিত বলে মনে করেন তাঁরা।
১১ অক্টোবর বন্যার্তদের পুনর্বাসনে অর্থ সংগ্রহের লক্ষ্যে হাতিরঝিল অ্যাম্ফিথিয়েটারে আয়োজিত সেভ বাংলাদেশ কনসার্টে গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে যায় অনেকে। এই সময় আহত হন বেশ কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক। একই চিত্র দেখা গেছে গত মাসে পাকিস্তানের জাল ব্যান্ডের কনসার্টেও। টিকিট ছাড়া আগত দর্শকেরা বেষ্টনী ভেঙে ভেন্যুতে প্রবেশের চেষ্টা করলে তুমুল বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায় কনসার্ট। পরে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় শেষ হয় কনসার্ট। এর আগে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) এক্সপো জোনে আয়োজিত কনসার্টেও এমন ঘটনা ঘটেছে। বিশৃঙ্খলার জন্য অনেকে দর্শকদের যেমন দোষারোপ করছেন, তেমনি আবার আয়োজকদের অব্যবস্থাপনাকেও দুষছেন। প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।
কনসার্টের বিশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে শিরোনামহীন ব্যান্ডের দলনেতা জিয়াউর রহমান বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে যে ঘটনাগুলো ঘটে গেছে, এর জন্য আয়োজকদের ঢালাওভাবে দোষারোপ করতে চাই না। আমার অভিজ্ঞতা বলে, আয়োজকেরা চেষ্টা করেছে। পুলিশের অনুমতি নেওয়া হচ্ছে, বাউন্সার নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে নির্দিষ্ট গ্রুপ। গেট ভেঙে ঢুকে পড়াটা তারা গর্বের মনে করছে। এটা খুব অ্যালার্মিং বিষয়। এমনটা চলতে থাকলে সামনে কনসার্ট আয়োজন করা যেমন কঠিন হবে, তেমনি শিল্পী ও ব্যান্ডগুলোর পক্ষেও কনসার্টে অংশ নেওয়া দুরূহ হয়ে পড়বে।’
জিয়া আরও বলেন, ‘একটা গ্রুপ তো এরই মধ্যে বলতে শুরু করেছে, কনসার্টে বিশৃঙ্খলা হচ্ছে, তাই কনসার্ট বন্ধ করে দিতে হবে। রাস্তায় বের হলে দুর্ঘটনা হতে পারে, তাই বলে বাসা থেকে বের হওয়া বন্ধ করে দেওয়াটা তো সমাধান নয়। অন্যান্য দেশে কি কনসার্ট হচ্ছে না? একটা বিষয় লক্ষণীয়, যেকোনো বিষয়ে কোনো জায়গায় উল্লেখযোগ্য মানুষ জমায়েত হলে প্রশাসন নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে।’
গেট ভেঙে ঢুকে পড়াটা তারা গর্বের মনে করছে। এটা খুব অ্যালার্মিং বিষয়। এমনটা চলতে থাকলে সামনে কনসার্ট আয়োজন করা যেমন কঠিন হবে, তেমনি শিল্পী ও ব্যান্ডগুলোর পক্ষেও কনসার্টে অংশ নেওয়া দুরূহ হয়ে পড়বে।
—জিয়া, শিরোনামহীন
সমস্যা সমাধানে করণীয় বিষয়ে জিয়া বলেন, ‘সবার সচেতন হতে হবে। সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। অনেক ক্ষেত্রেই নিরাপত্তা দেওয়ার কথা বলে পুলিশ যাচ্ছে, কিন্তু নিরাপত্তা দিতে পারছে না। এ বিষয়ে তাদের আরও কঠোর হতে হবে। আয়োজকদের আরও গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি ভাবতে হবে।’
এক ভিডিও বার্তায় নেমেসিস ব্যান্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘এটা অপ্রত্যাশিত ঘটনা। টিকিটিং কনসার্টে ফ্রিতে মানুষ প্রবেশ করতে চাইছে। এই মানসিকতাটা বুঝতে পারছি না। এটা খুব বাজে প্র্যাকটিস। যারা টিকিট কেটে কনসার্টে আসছে, তাদের প্রতি আনফেয়ার হচ্ছে। এখন কোনো কিছুই ফ্রি পাওয়া যায় না। বাজারে গিয়ে কি কেউ ফ্রি কিছু পাচ্ছে? বিনোদনকে সবাই হালকাভাবে দেখে। কিন্তু বিনোদন মানুষের জীবনে বড় ভূমিকা পালন করে। এটার তো ভ্যালু আছে। এই বিষয়টি সবাইকে বুঝতে হবে। আপনি টিকিট কিনলেই প্রবেশ করতে পারবেন। টিকিট না কিনলে আসার প্রয়োজন নেই। ফ্রি শোতে গেলেই হয়। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের দেশের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি ও শিল্পীদের ভবিষ্যৎ শেষ হয়ে যাবে। কেউ যদি নিজের দেশের শিল্পীদের মূল্যায়ন না করে, তাহলে কিছু বলার নেই।
আমি বিশ্বাস করি, আমাদের অনেক সংগীতপ্রেমী আছেন, যারা এই ব্যাপারটি বোঝেন। তারা দেশের শিল্পীদের সাপোর্ট করে যাবেন।’
কনসার্টের এই বিশৃঙ্খলা নিয়ে ব্যান্ড ইন্দালো ফেসবুকে লিখেছে, ‘কনসার্টে ভাঙচুর, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি এবং অস্থিতিশীলতার জন্য একটি সক্রিয় গ্রুপ কাজ করছে। আমরা সন্দেহ করছি, বিভিন্ন অ্যাজেন্ডা নিয়ে একাধিক গোষ্ঠী এর সঙ্গে জড়িত। অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্য সব ফ্রি কনসার্ট বন্ধ করার আহ্বান জানাই। এটা একটি গুরুতর অপরাধ, দুর্বৃত্তদের শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করুন। শাস্তির আওতায় আনুন। তাদের ছেড়ে দেওয়া যাবে না। তবেই কনসার্টগুলো নিরাপদ এবং সুরক্ষিত হতে পারে। বাংলাদেশে ব্যান্ডের সূচনাকাল থেকে অনেক দল ও ব্যক্তি সক্রিয়ভাবে এর বিরোধিতা করেছে। কিন্তু সব প্রতিকূলতা পার করে ব্যান্ডসংগীত এগিয়ে গেছে, ভবিষ্যতেও এগিয়ে যাবে।’
যখন কোনো টিকিট শো হয়, সেখানে গেট ভেঙে ঢুকে পড়া ক্রাইম। তাই প্রশাসনের সহায়তা লাগবে, ইতিমধ্যে তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। এবার যদি কেউ এমনটা করে, তাহলে তাদের খুঁজে বের করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
—তানজিম রাব্বী, কনসার্ট আয়োজক
সেভ বাংলাদেশ কনসার্টের আয়োজক তান-রাত ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক তানজিম রাব্বী বলেন, ‘আমরা কয়েকটি আয়োজক সংস্থা বসেছিলাম। সিসিটিভি ফুটেজে দেখলাম, কিছু কমন ফেস দেখা যায়, যারা এই বিশৃঙ্খলার সঙ্গে যুক্ত। আমরা বিষয়টা নিয়ে শঙ্কিত। এই সমস্যা সমাধানে শিল্পীরাও বড় ভূমিকা পালন করতে পারেন। তাঁদের ভক্তরাই কনসার্টে আসে। তাঁরা যদি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে দর্শককে সচেতন করেন, তাহলে সমাধান হতে পারে। প্রশাসনকেও এগিয়ে আসতে হবে। পুলিশের অনুমতি ছাড়া কনসার্ট আয়োজন করা যায় না। কিন্তু পুলিশ আমাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। তারা সক্রিয় হলে এ ধরনের বিশৃঙ্খলা হতে পারে না।’
আগামীকাল হাতিরঝিল অ্যাম্ফিথিয়েটারে অনুষ্ঠিত হবে কনসার্ট ‘গণজোয়ার’। কনসার্টটি নির্বিঘ্ন করতে চেষ্টার কোনো ত্রুটি রাখছে না আয়োজক ম্যাভিক্স গ্লোবাল। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও ফারহান ফুয়াদ উৎস বলেন, ‘গেট ভেঙে কনসার্টে প্রবেশ করার যে প্রবণতা সৃষ্টি হয়েছে, তা আয়োজকদের ভাবিয়ে তুলেছে। আমরা নিরাপত্তা নিয়ে অনেক পরিকল্পনা করছি। আগে আমরা নিরাপত্তার জন্য যত স্বেচ্ছাসেবক বা কর্মী রাখতাম, এবার তা দ্বিগুণ করছি। যখন কোনো টিকিট শো হয়, সেখানে গেট ভেঙে ঢুকে পড়া ক্রাইম।
তাই প্রশাসনের সহায়তা লাগবে, ইতিমধ্যে প্রশাসনের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। এবার যদি কেউ এমন কাজ করে, তাহলে তাদের খুঁজে বের করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নতুন যে বাংলাদেশের কথা বলা হচ্ছে, তার সঙ্গে জড়িত সবাইকে উৎসর্গ করেই আমাদের এই কনসার্ট। যদি নতুন বাংলাদেশের রূপরেখা গড়তে চাই, তাহলে সবার আগে আমাদের সভ্য হতে হবে। শিল্পীদের দিয়েও দর্শকের উদ্দেশে সচেতনতামূলক বার্তা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের ফেসবুক পেজে সেই বার্তাগুলো পোস্ট করা হচ্ছে।’
সাম্প্রতিক সময়ে কনসার্টে দর্শকের বিশৃঙ্খলা ভাবিয়ে তুলছে শিল্পী-আয়োজকদের। নিরাপত্তাবেষ্টনী ভেঙে কনসার্টের ভেন্যুতে আমজনতার প্রবেশ; আয়োজক, স্বেচ্ছাসেবকসহ নিরাপত্তায় নিয়োজিত কর্মীদের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা শঙ্কিত করে তুলছে শিল্পী, ব্যান্ড ও কনসার্টের আয়োজকদের। অনেকেই মনে করছেন, একটি সংঘবদ্ধ চক্র পরিকল্পনা করে এমনটা করছে। এমনটা চলতে থাকলে হুমকির মুখে পড়বে কনসার্ট আয়োজন। তাই তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা উচিত বলে মনে করেন তাঁরা।
১১ অক্টোবর বন্যার্তদের পুনর্বাসনে অর্থ সংগ্রহের লক্ষ্যে হাতিরঝিল অ্যাম্ফিথিয়েটারে আয়োজিত সেভ বাংলাদেশ কনসার্টে গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে যায় অনেকে। এই সময় আহত হন বেশ কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক। একই চিত্র দেখা গেছে গত মাসে পাকিস্তানের জাল ব্যান্ডের কনসার্টেও। টিকিট ছাড়া আগত দর্শকেরা বেষ্টনী ভেঙে ভেন্যুতে প্রবেশের চেষ্টা করলে তুমুল বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায় কনসার্ট। পরে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় শেষ হয় কনসার্ট। এর আগে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) এক্সপো জোনে আয়োজিত কনসার্টেও এমন ঘটনা ঘটেছে। বিশৃঙ্খলার জন্য অনেকে দর্শকদের যেমন দোষারোপ করছেন, তেমনি আবার আয়োজকদের অব্যবস্থাপনাকেও দুষছেন। প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।
কনসার্টের বিশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে শিরোনামহীন ব্যান্ডের দলনেতা জিয়াউর রহমান বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে যে ঘটনাগুলো ঘটে গেছে, এর জন্য আয়োজকদের ঢালাওভাবে দোষারোপ করতে চাই না। আমার অভিজ্ঞতা বলে, আয়োজকেরা চেষ্টা করেছে। পুলিশের অনুমতি নেওয়া হচ্ছে, বাউন্সার নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে নির্দিষ্ট গ্রুপ। গেট ভেঙে ঢুকে পড়াটা তারা গর্বের মনে করছে। এটা খুব অ্যালার্মিং বিষয়। এমনটা চলতে থাকলে সামনে কনসার্ট আয়োজন করা যেমন কঠিন হবে, তেমনি শিল্পী ও ব্যান্ডগুলোর পক্ষেও কনসার্টে অংশ নেওয়া দুরূহ হয়ে পড়বে।’
জিয়া আরও বলেন, ‘একটা গ্রুপ তো এরই মধ্যে বলতে শুরু করেছে, কনসার্টে বিশৃঙ্খলা হচ্ছে, তাই কনসার্ট বন্ধ করে দিতে হবে। রাস্তায় বের হলে দুর্ঘটনা হতে পারে, তাই বলে বাসা থেকে বের হওয়া বন্ধ করে দেওয়াটা তো সমাধান নয়। অন্যান্য দেশে কি কনসার্ট হচ্ছে না? একটা বিষয় লক্ষণীয়, যেকোনো বিষয়ে কোনো জায়গায় উল্লেখযোগ্য মানুষ জমায়েত হলে প্রশাসন নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে।’
গেট ভেঙে ঢুকে পড়াটা তারা গর্বের মনে করছে। এটা খুব অ্যালার্মিং বিষয়। এমনটা চলতে থাকলে সামনে কনসার্ট আয়োজন করা যেমন কঠিন হবে, তেমনি শিল্পী ও ব্যান্ডগুলোর পক্ষেও কনসার্টে অংশ নেওয়া দুরূহ হয়ে পড়বে।
—জিয়া, শিরোনামহীন
সমস্যা সমাধানে করণীয় বিষয়ে জিয়া বলেন, ‘সবার সচেতন হতে হবে। সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। অনেক ক্ষেত্রেই নিরাপত্তা দেওয়ার কথা বলে পুলিশ যাচ্ছে, কিন্তু নিরাপত্তা দিতে পারছে না। এ বিষয়ে তাদের আরও কঠোর হতে হবে। আয়োজকদের আরও গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি ভাবতে হবে।’
এক ভিডিও বার্তায় নেমেসিস ব্যান্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘এটা অপ্রত্যাশিত ঘটনা। টিকিটিং কনসার্টে ফ্রিতে মানুষ প্রবেশ করতে চাইছে। এই মানসিকতাটা বুঝতে পারছি না। এটা খুব বাজে প্র্যাকটিস। যারা টিকিট কেটে কনসার্টে আসছে, তাদের প্রতি আনফেয়ার হচ্ছে। এখন কোনো কিছুই ফ্রি পাওয়া যায় না। বাজারে গিয়ে কি কেউ ফ্রি কিছু পাচ্ছে? বিনোদনকে সবাই হালকাভাবে দেখে। কিন্তু বিনোদন মানুষের জীবনে বড় ভূমিকা পালন করে। এটার তো ভ্যালু আছে। এই বিষয়টি সবাইকে বুঝতে হবে। আপনি টিকিট কিনলেই প্রবেশ করতে পারবেন। টিকিট না কিনলে আসার প্রয়োজন নেই। ফ্রি শোতে গেলেই হয়। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের দেশের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি ও শিল্পীদের ভবিষ্যৎ শেষ হয়ে যাবে। কেউ যদি নিজের দেশের শিল্পীদের মূল্যায়ন না করে, তাহলে কিছু বলার নেই।
আমি বিশ্বাস করি, আমাদের অনেক সংগীতপ্রেমী আছেন, যারা এই ব্যাপারটি বোঝেন। তারা দেশের শিল্পীদের সাপোর্ট করে যাবেন।’
কনসার্টের এই বিশৃঙ্খলা নিয়ে ব্যান্ড ইন্দালো ফেসবুকে লিখেছে, ‘কনসার্টে ভাঙচুর, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি এবং অস্থিতিশীলতার জন্য একটি সক্রিয় গ্রুপ কাজ করছে। আমরা সন্দেহ করছি, বিভিন্ন অ্যাজেন্ডা নিয়ে একাধিক গোষ্ঠী এর সঙ্গে জড়িত। অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্য সব ফ্রি কনসার্ট বন্ধ করার আহ্বান জানাই। এটা একটি গুরুতর অপরাধ, দুর্বৃত্তদের শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করুন। শাস্তির আওতায় আনুন। তাদের ছেড়ে দেওয়া যাবে না। তবেই কনসার্টগুলো নিরাপদ এবং সুরক্ষিত হতে পারে। বাংলাদেশে ব্যান্ডের সূচনাকাল থেকে অনেক দল ও ব্যক্তি সক্রিয়ভাবে এর বিরোধিতা করেছে। কিন্তু সব প্রতিকূলতা পার করে ব্যান্ডসংগীত এগিয়ে গেছে, ভবিষ্যতেও এগিয়ে যাবে।’
যখন কোনো টিকিট শো হয়, সেখানে গেট ভেঙে ঢুকে পড়া ক্রাইম। তাই প্রশাসনের সহায়তা লাগবে, ইতিমধ্যে তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। এবার যদি কেউ এমনটা করে, তাহলে তাদের খুঁজে বের করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
—তানজিম রাব্বী, কনসার্ট আয়োজক
সেভ বাংলাদেশ কনসার্টের আয়োজক তান-রাত ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক তানজিম রাব্বী বলেন, ‘আমরা কয়েকটি আয়োজক সংস্থা বসেছিলাম। সিসিটিভি ফুটেজে দেখলাম, কিছু কমন ফেস দেখা যায়, যারা এই বিশৃঙ্খলার সঙ্গে যুক্ত। আমরা বিষয়টা নিয়ে শঙ্কিত। এই সমস্যা সমাধানে শিল্পীরাও বড় ভূমিকা পালন করতে পারেন। তাঁদের ভক্তরাই কনসার্টে আসে। তাঁরা যদি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে দর্শককে সচেতন করেন, তাহলে সমাধান হতে পারে। প্রশাসনকেও এগিয়ে আসতে হবে। পুলিশের অনুমতি ছাড়া কনসার্ট আয়োজন করা যায় না। কিন্তু পুলিশ আমাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। তারা সক্রিয় হলে এ ধরনের বিশৃঙ্খলা হতে পারে না।’
আগামীকাল হাতিরঝিল অ্যাম্ফিথিয়েটারে অনুষ্ঠিত হবে কনসার্ট ‘গণজোয়ার’। কনসার্টটি নির্বিঘ্ন করতে চেষ্টার কোনো ত্রুটি রাখছে না আয়োজক ম্যাভিক্স গ্লোবাল। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও ফারহান ফুয়াদ উৎস বলেন, ‘গেট ভেঙে কনসার্টে প্রবেশ করার যে প্রবণতা সৃষ্টি হয়েছে, তা আয়োজকদের ভাবিয়ে তুলেছে। আমরা নিরাপত্তা নিয়ে অনেক পরিকল্পনা করছি। আগে আমরা নিরাপত্তার জন্য যত স্বেচ্ছাসেবক বা কর্মী রাখতাম, এবার তা দ্বিগুণ করছি। যখন কোনো টিকিট শো হয়, সেখানে গেট ভেঙে ঢুকে পড়া ক্রাইম।
তাই প্রশাসনের সহায়তা লাগবে, ইতিমধ্যে প্রশাসনের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। এবার যদি কেউ এমন কাজ করে, তাহলে তাদের খুঁজে বের করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নতুন যে বাংলাদেশের কথা বলা হচ্ছে, তার সঙ্গে জড়িত সবাইকে উৎসর্গ করেই আমাদের এই কনসার্ট। যদি নতুন বাংলাদেশের রূপরেখা গড়তে চাই, তাহলে সবার আগে আমাদের সভ্য হতে হবে। শিল্পীদের দিয়েও দর্শকের উদ্দেশে সচেতনতামূলক বার্তা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের ফেসবুক পেজে সেই বার্তাগুলো পোস্ট করা হচ্ছে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪