Ajker Patrika

বেড়েছে ড্রাগন ফলের চাষ আগ্রহী হচ্ছেন অনেকে

মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ জুন ২০২২, ১৩: ১৮
Thumbnail image

খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ড্রাগন ফলের চাষ। উপজেলায় এ বছর ৭ হেক্টর জমিতে এর চাষ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭০ টন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় জানায়, গত মৌসুমে মানিকছড়িতে ড্রাগন ফলের চাষ হয়েছিল ৫ হেক্টর জমিতে। এ বছর আরও ২ হেক্টর বেশি জমিতে এর চাষ হয়েছে। এ বছর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭০ টন। প্রতি কেজি ড্রাগন গড়ে ৩০০ টাকায় বিক্রি হয়।

তিনি আরও জানান, অঙ্গজ উপায়ে বংশবিস্তার করে ড্রাগনগাছ। চারা রোপণের এক বছরের মধ্যে ফল আসা শুরু হয়। ভালো পরিচর্যা পেলে প্রতিটি গাছ ৩০ থেকে ৩৫ বছর টানা ফল পাওয়া যেতে পারে। বছরে ৫-৬ বাল ফল সংগ্রহ করা যায়। ৩-৫ বছর বয়সী প্রতিটি গাছে বছরে ৯ থেকে ১৫টি ফল ধরে। ফলের ওজন ৩২০ গ্রাম পর্যন্ত হয়। এভাবে বছরে একটি বাগানে হেক্টরপ্রতি ১২ থেকে ২০ টন পর্যন্ত ফল পাওয়ায় সম্ভব।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার নাথ জানান, উপজেলা ড্রাগন ফল চাষাবাদ ও বাজারজাতে দিন দিন জনপ্রিয়তা বাড়ছে। বর্তমানে উপজেলার বড়বিল, চেঙ্গুছড়া, কর্নেল বাগান, কুমারী, পূর্ব তিনটহরী, বরইতলী, গাড়ীটানা এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে ৬ হেক্টর এবং বাসাবাড়ির ছাদ ও আঙিনায় আরও ১ হেক্টর জমিতে ড্রাগন ফলের চাষ হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ক্যাকটাস জাতীয় ড্রাগন ফলের গাছ উচ্চফলনশীল। এই ফলের ৮১ শতাংশ খাওয়ার উপযোগী। সুস্বাদু এই ফল মূলত ‘বেটা ক্যারোটিন ও ভিটামিন সি’ সমৃদ্ধ। এতে বেটা ক্যারোটিন ১২ দশমিক শূন্য ৬ মিলিমাইক্রোগ্রাম ও ভিটামিন সি ৪১ দশমিক ২৭ মিলিগ্রাম থাকে।

ড্রাগন ফল চাষের উদ্যোক্তা সৈয়দ মুহাম্মদ মাসুদ বলেন, ‘চট্টগ্রামের হালদা ভ্যালির নাদের খানের বাগান দেখে আমি ও এক বন্ধু এই ফল চাষে উদ্বুদ্ধ হই। কলেজে শিক্ষকতার পাশাপাশি শুরুতে ৩ একর পাহাড়ি জমিতে জৈব সারনির্ভর ড্রাগন ফলের চাষ করে সাফল্য পাই। বর্তমানে ৪ একর টিলায় প্রায় ৫ হাজার খুঁটিতে থাকা গাছে ফল এসেছে। বর্তমানে প্রতি কেজি ড্রাগন ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হয়।’

কর্নেল বাগানের ম্যানেজার বাদল কান্তি সেন বলেন, ‘এক একর টিলায় ৩ বছর আগে ড্রাগন লাগিয়ে বেশ ভালো ফলন পাচ্ছি। সমতলে প্রচুর চাহিদা থাকায় ফল বাজারজাত করে লাভবান হওয়ার সুযোগ বেড়েছে।’

শিক্ষক মো. বশির আহম্মদ বলেন, ‘ড্রাগন ফলের প্রচার-প্রসারে আমিও প্রায় এক একর টিলায় লাগিয়েছি। এ বছর গাছে ফুল ও ফল দেখে মনে আনন্দ লাগছে।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসিনুর রহমান বলেন, ‘বেটা ক্যারোটিন ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ড্রাগন ফল সুস্বাদু ও উচ্চফলনশীল। রোগবালাই কম হয়; পাশাপাশি কম পুঁজিতে অধিক লাভের আশায় পাহাড়ে ড্রাগন চাষ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। আমরা তৃণমূলে পুষ্টিসমৃদ্ধ ও লাভজনক ড্রাগন ফল চাষে নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে কাজ করছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত