কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌরশহরের আন্ধারমানিক নদের তীরে নৌযান থেকে পণ্য কিংবা মালামাল ওঠানামা করালেই দিতে হচ্ছে নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা। আর এ টাকা আদায় করা হচ্ছে ব্যবসায়ী ও গ্রামগঞ্জ থেকে শহরে হাটবাজার করতে আসা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে। এমনকি পৌরসভার বোট ল্যান্ডিং স্টেশন ব্যবহার না করে নদের পাড়ে ব্যবসায়ীদের তৈরি নিজস্ব জেটি দিয়ে পণ্য ওঠানামা করালেও মেয়র অনুসারী ইজারাদার টোলের নামে টাকা আদায় করে নিচ্ছেন।
এতে বিক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা হয় বিষয়টি সমাধান নতুবা তাঁদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান তালা মেরে বন্ধ করে দিতে অনুরোধ জানিয়েছেন পৌর কর্তৃপক্ষকে। তবে বোট ল্যান্ডিং স্টেশন ব্যবহার না করলে টোল আদায় করা হচ্ছে না, এমন দাবি পৌরসভা কর্তৃপক্ষের।
জানা গেছে, শহরের আন্ধারমানিক নদের তীরে লঞ্চ টার্মিনাল ঘাট, খেয়াঘাট, ফেরিঘাট ব্যবহার করে নৌযানে মানুষ কিংবা পণ্য ওঠানামা করালে সংশ্লিষ্ট ঘাট ইজারাদারকে সহনীয় টোল দিয়ে অভ্যস্ত ছিল সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা। এ বছর পৌরসভা থেকে বোট ল্যান্ডিং স্টেশন নামে ইজারা নেন মেয়র অনুসারী পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি শুভ ও তাঁর সহযোগীরা। আর এ ইজারা নেওয়া হয় মেয়র অনুসারী যুবলীগ নেতা গাজী মশিউর রহমান মামুনের নামে। চলতি মাসের ১৩ তারিখ পৌর মেয়র ও নির্বাহী প্রকৌশলী বোট ল্যান্ডিং স্টেশনের ইজারার টোলের মূল্য/হারে স্বাক্ষর করেন। এরপর বেপরোয়া হয়ে ওঠে ইজারাদার। পৌরসভার বোট ল্যান্ডিং স্টেশন ব্যবহার না করলেও পৌরশহরের সীমানার মধ্যে নদের তীর ব্যবহার করে পণ্য ওঠানামা করালে টোল আদায় শুরু করেন তাঁরা। এমনকি ব্যবসায়ীদের কাছে পণ্যের ওজন ও বস্তাপ্রতি টোল দাবি করেন তাঁরা। তাঁদের এ ইজারা আদায়ের সীমানা নির্ধারিত না থাকায় ব্যবসায়ীদের কাছে তাঁদের টোল দাবির বিষয়টি অযৌক্তিক বলে বিবেচ্য হওয়ায় সংক্ষুব্ধ হয়ে পৌর কর্তৃপক্ষকে অবগত করেন তাঁরা।
একাধিক ব্যবসায়ীর অভিযোগ, মেয়র অনুসারী কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী বোট ল্যান্ডিং স্টেশনের ইজারা নিয়ে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের ওপর আর্থিক নির্যাতন শুরু করেছে। এ বিষয়টি ব্যবসায়ী সমিতির নেতারাসহ স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে বোট ল্যান্ডিং স্টেশনের ইজারাদার গাজী মশিউর রহমান মামুন বলেন, ‘আমার নামে সাড়ে তিন লাখ টাকায় বোট ল্যান্ডিং স্টেশনের এক বছরের ইজারা নেয় পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি শুভ। যা ভ্যাট, ট্যাক্স নিয়ে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা ইজারা মূল্য পড়েছে। বোট ল্যান্ডিং স্টেশন ছাড়া অন্য কোথাও থেকে ইজারা আদায় করা হচ্ছে না।’
পৌরসভার সচিব মো. হুমায়ুন কবির বলেন, তিনি বোট ল্যান্ডিং স্টেশন ইজারা-সংক্রান্ত কোনো বিষয় অবগত নন, তবে নির্বাহী প্রকৌশলী সব জানেন বলে জানান।
পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী ধ্রুব লাল দত্ত জানান, এ বছর পৌরসভা থেকে বোট ল্যান্ডিং স্টেশনের ইজারা দেওয়া হয়েছে। ইজারা মূল্য অনুযায়ী বোট ল্যান্ডিং স্টেশন ব্যবহারকারী নৌযানগুলো থেকে টোল আদায় করা হচ্ছে।
কলাপাড়া বন্দর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি দিদার উদ্দীন আহমেদ ও সম্পাদক ফিরোজ সিকদার বলেন, একাধিক ব্যবসায়ী তাঁদের কাছে এসংক্রান্ত অভিযোগ দিয়েছেন। ঈদের পর পৌর প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের মধ্যস্থতায় ব্যবসায়ী সমিতি এর সমাধান চায়। নতুবা তাঁদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে যেতে হবে।
পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌরশহরের আন্ধারমানিক নদের তীরে নৌযান থেকে পণ্য কিংবা মালামাল ওঠানামা করালেই দিতে হচ্ছে নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা। আর এ টাকা আদায় করা হচ্ছে ব্যবসায়ী ও গ্রামগঞ্জ থেকে শহরে হাটবাজার করতে আসা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে। এমনকি পৌরসভার বোট ল্যান্ডিং স্টেশন ব্যবহার না করে নদের পাড়ে ব্যবসায়ীদের তৈরি নিজস্ব জেটি দিয়ে পণ্য ওঠানামা করালেও মেয়র অনুসারী ইজারাদার টোলের নামে টাকা আদায় করে নিচ্ছেন।
এতে বিক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা হয় বিষয়টি সমাধান নতুবা তাঁদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান তালা মেরে বন্ধ করে দিতে অনুরোধ জানিয়েছেন পৌর কর্তৃপক্ষকে। তবে বোট ল্যান্ডিং স্টেশন ব্যবহার না করলে টোল আদায় করা হচ্ছে না, এমন দাবি পৌরসভা কর্তৃপক্ষের।
জানা গেছে, শহরের আন্ধারমানিক নদের তীরে লঞ্চ টার্মিনাল ঘাট, খেয়াঘাট, ফেরিঘাট ব্যবহার করে নৌযানে মানুষ কিংবা পণ্য ওঠানামা করালে সংশ্লিষ্ট ঘাট ইজারাদারকে সহনীয় টোল দিয়ে অভ্যস্ত ছিল সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা। এ বছর পৌরসভা থেকে বোট ল্যান্ডিং স্টেশন নামে ইজারা নেন মেয়র অনুসারী পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি শুভ ও তাঁর সহযোগীরা। আর এ ইজারা নেওয়া হয় মেয়র অনুসারী যুবলীগ নেতা গাজী মশিউর রহমান মামুনের নামে। চলতি মাসের ১৩ তারিখ পৌর মেয়র ও নির্বাহী প্রকৌশলী বোট ল্যান্ডিং স্টেশনের ইজারার টোলের মূল্য/হারে স্বাক্ষর করেন। এরপর বেপরোয়া হয়ে ওঠে ইজারাদার। পৌরসভার বোট ল্যান্ডিং স্টেশন ব্যবহার না করলেও পৌরশহরের সীমানার মধ্যে নদের তীর ব্যবহার করে পণ্য ওঠানামা করালে টোল আদায় শুরু করেন তাঁরা। এমনকি ব্যবসায়ীদের কাছে পণ্যের ওজন ও বস্তাপ্রতি টোল দাবি করেন তাঁরা। তাঁদের এ ইজারা আদায়ের সীমানা নির্ধারিত না থাকায় ব্যবসায়ীদের কাছে তাঁদের টোল দাবির বিষয়টি অযৌক্তিক বলে বিবেচ্য হওয়ায় সংক্ষুব্ধ হয়ে পৌর কর্তৃপক্ষকে অবগত করেন তাঁরা।
একাধিক ব্যবসায়ীর অভিযোগ, মেয়র অনুসারী কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী বোট ল্যান্ডিং স্টেশনের ইজারা নিয়ে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের ওপর আর্থিক নির্যাতন শুরু করেছে। এ বিষয়টি ব্যবসায়ী সমিতির নেতারাসহ স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে বোট ল্যান্ডিং স্টেশনের ইজারাদার গাজী মশিউর রহমান মামুন বলেন, ‘আমার নামে সাড়ে তিন লাখ টাকায় বোট ল্যান্ডিং স্টেশনের এক বছরের ইজারা নেয় পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি শুভ। যা ভ্যাট, ট্যাক্স নিয়ে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা ইজারা মূল্য পড়েছে। বোট ল্যান্ডিং স্টেশন ছাড়া অন্য কোথাও থেকে ইজারা আদায় করা হচ্ছে না।’
পৌরসভার সচিব মো. হুমায়ুন কবির বলেন, তিনি বোট ল্যান্ডিং স্টেশন ইজারা-সংক্রান্ত কোনো বিষয় অবগত নন, তবে নির্বাহী প্রকৌশলী সব জানেন বলে জানান।
পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী ধ্রুব লাল দত্ত জানান, এ বছর পৌরসভা থেকে বোট ল্যান্ডিং স্টেশনের ইজারা দেওয়া হয়েছে। ইজারা মূল্য অনুযায়ী বোট ল্যান্ডিং স্টেশন ব্যবহারকারী নৌযানগুলো থেকে টোল আদায় করা হচ্ছে।
কলাপাড়া বন্দর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি দিদার উদ্দীন আহমেদ ও সম্পাদক ফিরোজ সিকদার বলেন, একাধিক ব্যবসায়ী তাঁদের কাছে এসংক্রান্ত অভিযোগ দিয়েছেন। ঈদের পর পৌর প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের মধ্যস্থতায় ব্যবসায়ী সমিতি এর সমাধান চায়। নতুবা তাঁদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে যেতে হবে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪