নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
করোনা পরিস্থিতি তুলনামূলক স্বাভাবিক হওয়ার পরেই ব্যাংকের আমানতে টান পড়তে দেখা গেছে। আমানত কমার পেছনে অন্যতম কারণ হলো অনেক গ্রাহক ব্যাংকে টাকা রাখতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। গ্রাহকের আগ্রহে ভাটার জন্য মূলত দায়ী আমানতের ওপর সরকারের সর্বোচ্চ সুদের হার ৬ শতাংশ বেঁধে দেওয়া। ব্যাংকের বাইরে টাকা আমানত রাখলে এবং ব্যক্তিপর্যায়ে ঋণ দিলে ব্যাংকের তুলনায় তাঁরা বেশি হারে সুদ পাচ্ছেন। এমনকি অ-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে আমানত রাখলেও ব্যাংকের চেয়ে বেশি সুদ পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে দেখা গেছে, বিদায়ী বছরের ডিসেম্বরে দেশের ব্যাংকগুলোর কাছে আমানতের পরিমাণ ছিল ১৪ লাখ ৯ হাজার ৩৪২ কোটি টাকা। এর এক মাস পরে জানুয়ারিতে এসে তা হয়েছে ১৪ লাখ ১ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা। এক মাসের ব্যবধানে আমানত কমেছে সাত হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা।
পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, করোনার তীব্র প্রকোপ ছিল ২০২০ সালের পুরো বছরেই। আর ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের ব্যাংক খাতে আমানত বেড়েছিল ৯২ হাজার ৮০৮ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের একই সময়ে আমানত বেড়েছে ৫১ হাজার ৩২০ কোটি টাকা। অর্থাৎ চলতি অর্থবছরের (২০২১-২২) গত সাত মাসে ব্যাংক খাতে আমানত আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় কম এসেছে ৪১ হাজার ৪৮৭ কোটি টাকা। সেই হিসাবে আমানতে ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চলতি অর্থবছরে আমানতে ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি চলমান রয়েছে। এর পেছনে বড় কারণ মানুষের মধ্যে এখন হাতে নগদ অর্থ রাখার প্রবণতা বেশি দেখা যাচ্ছে। আর বিভিন্ন প্রয়োজনেই অনেকে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিচ্ছেন। কেউ কেউ অ-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানে টাকা রাখতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। আবার অনেকে ব্যক্তিপর্যায়ে বেশি হারে ঋণ দিচ্ছেন।’
জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক প্রথমবারের মতো ২০২০ সালের ১ এপ্রিল থেকে দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর জন্য আমানতে সুদের হার ৬ শতাংশ এবং ঋণে সুদের হার ৯ শতাংশ নির্ধারণ করে দিয়েছিল। এর আগে ব্যাংকগুলো ইচ্ছেমতো বর্তমান হারের তুলনায় বেশি হারে আমানত সংগ্রহ করতে পারত ও ঋণ দিত।
একটি বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মূল্যস্ফীতি সামাল দিতে হয় আমানতকারীদের। তাই উচ্চ সুদ পেতে তাঁরা অনানুষ্ঠানিক খাতে অর্থ জমা রাখছেন। এতে ব্যাংক খাতে আমানতে টান পড়েছে।
এদিকে সরকার চলতি অর্থবছরের বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৩ শতাংশ নির্ধারণ করেছিল। কিন্তু গত ফেব্রুয়ারিতে তা দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ১ শতাংশে। চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে সাধারণ মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৬ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা গত জুলাই মাসে ছিল ৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ এবং ২০২১ সালের ডিসেম্বরে যা ছিল ৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে মূল্যস্ফীতি ১২ শতাংশের ওপরে বলে জানিয়েছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সানেম।
ব্যাংকের আমানতে টান পড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আরফান আলী বলেন, করোনায় ২০২০ সালে বিনিয়োগ অনিশ্চয়তার কারণে দেশের করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর আমানত ব্যাংকে জমা ছিল। কিন্তু ২০২১ সালে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় এসব প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ ও ব্যবসায় মনোযোগী হয়েছে। আবার মহামারিতে সৃষ্ট স্থবিরতার কারণে করোনায় সাধারণ মানুষের পারিবারিক ব্যয় কমে গিয়েছিল, পরিস্থিতির উন্নতি ঘটায় ব্যয় বেড়ে যায় এবং সঞ্চয় কমে আসে।
করোনা পরিস্থিতি তুলনামূলক স্বাভাবিক হওয়ার পরেই ব্যাংকের আমানতে টান পড়তে দেখা গেছে। আমানত কমার পেছনে অন্যতম কারণ হলো অনেক গ্রাহক ব্যাংকে টাকা রাখতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। গ্রাহকের আগ্রহে ভাটার জন্য মূলত দায়ী আমানতের ওপর সরকারের সর্বোচ্চ সুদের হার ৬ শতাংশ বেঁধে দেওয়া। ব্যাংকের বাইরে টাকা আমানত রাখলে এবং ব্যক্তিপর্যায়ে ঋণ দিলে ব্যাংকের তুলনায় তাঁরা বেশি হারে সুদ পাচ্ছেন। এমনকি অ-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে আমানত রাখলেও ব্যাংকের চেয়ে বেশি সুদ পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে দেখা গেছে, বিদায়ী বছরের ডিসেম্বরে দেশের ব্যাংকগুলোর কাছে আমানতের পরিমাণ ছিল ১৪ লাখ ৯ হাজার ৩৪২ কোটি টাকা। এর এক মাস পরে জানুয়ারিতে এসে তা হয়েছে ১৪ লাখ ১ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা। এক মাসের ব্যবধানে আমানত কমেছে সাত হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা।
পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, করোনার তীব্র প্রকোপ ছিল ২০২০ সালের পুরো বছরেই। আর ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের ব্যাংক খাতে আমানত বেড়েছিল ৯২ হাজার ৮০৮ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের একই সময়ে আমানত বেড়েছে ৫১ হাজার ৩২০ কোটি টাকা। অর্থাৎ চলতি অর্থবছরের (২০২১-২২) গত সাত মাসে ব্যাংক খাতে আমানত আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় কম এসেছে ৪১ হাজার ৪৮৭ কোটি টাকা। সেই হিসাবে আমানতে ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চলতি অর্থবছরে আমানতে ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি চলমান রয়েছে। এর পেছনে বড় কারণ মানুষের মধ্যে এখন হাতে নগদ অর্থ রাখার প্রবণতা বেশি দেখা যাচ্ছে। আর বিভিন্ন প্রয়োজনেই অনেকে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিচ্ছেন। কেউ কেউ অ-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানে টাকা রাখতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। আবার অনেকে ব্যক্তিপর্যায়ে বেশি হারে ঋণ দিচ্ছেন।’
জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক প্রথমবারের মতো ২০২০ সালের ১ এপ্রিল থেকে দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর জন্য আমানতে সুদের হার ৬ শতাংশ এবং ঋণে সুদের হার ৯ শতাংশ নির্ধারণ করে দিয়েছিল। এর আগে ব্যাংকগুলো ইচ্ছেমতো বর্তমান হারের তুলনায় বেশি হারে আমানত সংগ্রহ করতে পারত ও ঋণ দিত।
একটি বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মূল্যস্ফীতি সামাল দিতে হয় আমানতকারীদের। তাই উচ্চ সুদ পেতে তাঁরা অনানুষ্ঠানিক খাতে অর্থ জমা রাখছেন। এতে ব্যাংক খাতে আমানতে টান পড়েছে।
এদিকে সরকার চলতি অর্থবছরের বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৩ শতাংশ নির্ধারণ করেছিল। কিন্তু গত ফেব্রুয়ারিতে তা দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ১ শতাংশে। চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে সাধারণ মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৬ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা গত জুলাই মাসে ছিল ৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ এবং ২০২১ সালের ডিসেম্বরে যা ছিল ৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে মূল্যস্ফীতি ১২ শতাংশের ওপরে বলে জানিয়েছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সানেম।
ব্যাংকের আমানতে টান পড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আরফান আলী বলেন, করোনায় ২০২০ সালে বিনিয়োগ অনিশ্চয়তার কারণে দেশের করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর আমানত ব্যাংকে জমা ছিল। কিন্তু ২০২১ সালে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় এসব প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ ও ব্যবসায় মনোযোগী হয়েছে। আবার মহামারিতে সৃষ্ট স্থবিরতার কারণে করোনায় সাধারণ মানুষের পারিবারিক ব্যয় কমে গিয়েছিল, পরিস্থিতির উন্নতি ঘটায় ব্যয় বেড়ে যায় এবং সঞ্চয় কমে আসে।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫