চারঘাট প্রতিনিধি
বোরো ধানের জাত ‘ফাতেমা ধানে’র চাষ শুরু হয়েছে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায়। উপজেলার থানাপাড়া গ্রামের কৃষক মঞ্জুরুল কাদির তাঁর তিন বিঘা জমিতে ব্যতিক্রমী এই ধান চাষ করেছেন। পত্রিকায় ফাতেমা ধানের খবর দেখে এটি চাষ করেন তিনি।
সরেজমিন উপজেলার কালাবিপাড়া বিলে গিয়ে দেখা যায়, মুঞ্জরুলের চাষ করা ‘ফাতেমা ধান’ দুই মাস বয়সেই প্রায় পাঁচ ফুট লম্বা হয়ে গেছে। এরপর আসবে শিষ, পরিপক্ব হওয়ার পর আগামী এক মাসেই ঘরে উঠবে ধান।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার বেতাগা ইউনিয়নের চাকুলিয়া গ্রামের সেকেন্দার আলীর স্ত্রী ফাতেমা বেগমের কথামতো ছেলে লেবুয়াত শেখ নিজেদের জমিতে ধান চাষ করে তিনটি ব্যতিক্রমী শিষ খুঁজে পান। পরে সেই শিষের ধান বুনে পান দুই কেজি বীজ। সেই বীজ এক বিঘা জমিতে চাষাবাদ করে লেবুয়াত ৩৫ মণ ধান ঘরে তোলেন। যেখানে অন্যান্য ধানের ফলন বিঘাপ্রতি ১৮ মণের বেশি পাওয়া সম্ভব ছিল না। কৃষক লেবুয়াতের মা এই ধানের উদ্ভাবক। তাই তাঁর নামানুসারে এই ধান ‘ফাতেমা ধান’ হিসেবে দেশের বিভিন্ন স্থানে পরিচিতি পায়।
ফাতেমা ধানের গাছ, ফলন, পাতা, শিষ—সবকিছু অন্য যেকোনো জাতের ধান থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। প্রতি গোছে একটি চারা রোপণ করা হয়, যা বেড়ে ৮-১০ টিতে রূপান্তর হয়। প্রতিটি ধানগাছ ১১৫ থেকে ১৩০ সেন্টিমিটার লম্বা। একেকটি ছড়ার দৈর্ঘ্য ৩৬-৪০ সেন্টিমিটার। প্রতি ছড়ায় দানার সংখ্যা ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০টি। এই জাতের গাছের কাণ্ড ও পাতা দেখতে অনেকটা আখগাছের মতো এবং অনেক বেশি শক্ত। তাই এই ধান ঝড়-বৃষ্টিতে হেলে পড়ার কোনো আশঙ্কা নেই বললেই চলে। ফাতেমা ধান একরপ্রতি ফলন প্রায় ১৩০ মণ। তাই অন্য যেকোনো জাতের তুলনায় এই জাতের ধান অনেক ব্যতিক্রম।
কৃষক মুঞ্জরুল কাদির বলেন, ‘পত্রিকায় খবর পড়ে ফাতেমা ধান চাষের বিষয়ে উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রায় ছয় মাস অপেক্ষা করার পর বাগেরহাট থেকে বীজ সংগ্রহ করি। এরপর প্রাথমিকভাবে আমার তিন বিঘা জমিতে এ ধানের চাষ করি। এতে সবকিছু মিলে মাত্র ১৬ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আমি আশাবাদী, এ জমিতে প্রায় ১৫০ থেকে ১৭০ মণ ধান হবে।’
উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বজলুর রহমান বলেন, ‘বাগেরহাটের কৃষকের উদ্ভাবিত ফাতেমা ধানের রয়েছে নানা বৈশিষ্ট্য। কৃষি বিভাগ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে এটা এক প্রকার হাইব্রিড জাতের ধান। ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এটা নিয়ে নানা রকম গবেষণা করছে। সেখান থেকে এই জাতের অনুমোদন না হলে, আমরা আপাতত প্রচার চালাতে পারব না।’
বোরো ধানের জাত ‘ফাতেমা ধানে’র চাষ শুরু হয়েছে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায়। উপজেলার থানাপাড়া গ্রামের কৃষক মঞ্জুরুল কাদির তাঁর তিন বিঘা জমিতে ব্যতিক্রমী এই ধান চাষ করেছেন। পত্রিকায় ফাতেমা ধানের খবর দেখে এটি চাষ করেন তিনি।
সরেজমিন উপজেলার কালাবিপাড়া বিলে গিয়ে দেখা যায়, মুঞ্জরুলের চাষ করা ‘ফাতেমা ধান’ দুই মাস বয়সেই প্রায় পাঁচ ফুট লম্বা হয়ে গেছে। এরপর আসবে শিষ, পরিপক্ব হওয়ার পর আগামী এক মাসেই ঘরে উঠবে ধান।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার বেতাগা ইউনিয়নের চাকুলিয়া গ্রামের সেকেন্দার আলীর স্ত্রী ফাতেমা বেগমের কথামতো ছেলে লেবুয়াত শেখ নিজেদের জমিতে ধান চাষ করে তিনটি ব্যতিক্রমী শিষ খুঁজে পান। পরে সেই শিষের ধান বুনে পান দুই কেজি বীজ। সেই বীজ এক বিঘা জমিতে চাষাবাদ করে লেবুয়াত ৩৫ মণ ধান ঘরে তোলেন। যেখানে অন্যান্য ধানের ফলন বিঘাপ্রতি ১৮ মণের বেশি পাওয়া সম্ভব ছিল না। কৃষক লেবুয়াতের মা এই ধানের উদ্ভাবক। তাই তাঁর নামানুসারে এই ধান ‘ফাতেমা ধান’ হিসেবে দেশের বিভিন্ন স্থানে পরিচিতি পায়।
ফাতেমা ধানের গাছ, ফলন, পাতা, শিষ—সবকিছু অন্য যেকোনো জাতের ধান থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। প্রতি গোছে একটি চারা রোপণ করা হয়, যা বেড়ে ৮-১০ টিতে রূপান্তর হয়। প্রতিটি ধানগাছ ১১৫ থেকে ১৩০ সেন্টিমিটার লম্বা। একেকটি ছড়ার দৈর্ঘ্য ৩৬-৪০ সেন্টিমিটার। প্রতি ছড়ায় দানার সংখ্যা ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০টি। এই জাতের গাছের কাণ্ড ও পাতা দেখতে অনেকটা আখগাছের মতো এবং অনেক বেশি শক্ত। তাই এই ধান ঝড়-বৃষ্টিতে হেলে পড়ার কোনো আশঙ্কা নেই বললেই চলে। ফাতেমা ধান একরপ্রতি ফলন প্রায় ১৩০ মণ। তাই অন্য যেকোনো জাতের তুলনায় এই জাতের ধান অনেক ব্যতিক্রম।
কৃষক মুঞ্জরুল কাদির বলেন, ‘পত্রিকায় খবর পড়ে ফাতেমা ধান চাষের বিষয়ে উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রায় ছয় মাস অপেক্ষা করার পর বাগেরহাট থেকে বীজ সংগ্রহ করি। এরপর প্রাথমিকভাবে আমার তিন বিঘা জমিতে এ ধানের চাষ করি। এতে সবকিছু মিলে মাত্র ১৬ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আমি আশাবাদী, এ জমিতে প্রায় ১৫০ থেকে ১৭০ মণ ধান হবে।’
উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বজলুর রহমান বলেন, ‘বাগেরহাটের কৃষকের উদ্ভাবিত ফাতেমা ধানের রয়েছে নানা বৈশিষ্ট্য। কৃষি বিভাগ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে এটা এক প্রকার হাইব্রিড জাতের ধান। ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এটা নিয়ে নানা রকম গবেষণা করছে। সেখান থেকে এই জাতের অনুমোদন না হলে, আমরা আপাতত প্রচার চালাতে পারব না।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
২০ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪