Ajker Patrika

অবৈধ স্থাপনায় আটকে আছে ২৫০ কোটির খনন প্রকল্প

সেলিম সুলতান সাগর, চিতলমারী (বাগেরহাট)
আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৩: ২৩
অবৈধ স্থাপনায় আটকে আছে ২৫০ কোটির খনন প্রকল্প

বাগেরহাটের চিতলমারীতে ২৫৬ কোটি টাকার নদী ও খাল খনন প্রকল্পের কাজ থেমে আছে। নদী ও খালের পাড়ের অবৈধ স্থাপনাগুলো এখন পর্যন্ত উচ্ছেদ না করায় এ প্রকল্প থেমে আছে বলে জানা গেছে।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, অবৈধ স্থাপনার মালিকেরা স্থানীয়ভাবে বেশ প্রভাবশালী। তাঁরা বেশ কয়েকবার উচ্ছেদকাজে বাঁধা দিয়েছে।

বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, পানির প্রবাহ ও গতি ফিরিয়ে আনতে সরকার চিতলমারীর পুরোনো মধুমতি, হক ক্যানেল ও মরা চিত্রাসহ ৩টি নদী ও ৫৫টি খাল পুনঃখননের উদ্যোগ নেয়। গত ২০১৯ সালের ২৩ ডিসেম্বর চিতলমারী বাজারে মরা চিত্রা নদীর পাড়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের মধ্যে দিয়ে খাল ও নদী খনন শুরু হয়। ইতিমধ্যে বেশ কিছু খাল খনন হয়েছে। কিন্তু উপজেলা সদর ও চিতলমারী বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া হক ক্যানেল ও মরা চিত্রা নদী খননে জটিলতা দেখা দেয়।

আরও জানা গেছে, অবৈধ স্থাপনাগুলোর মালিক স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। পাউবো ও ভূমি অফিসের লোকজন অবৈধ স্থাপনাগুলোর তালিকা করে বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হলেও প্রায় দুই বছরেও স্থাপনাগুলো উচ্ছেদের নির্দেশনা আসেনি।

এ বিষয়ে স্থানীয় স্কুলশিক্ষক মো. সাফায়েত হোসন বলেন, ‘উচ্ছেদের জন্য মরা চিত্রা নদী ও হক ক্যানেলের পাড়ের অবৈধ স্থাপনাগুলো ‘লাল রং’ দিয়ে চিহ্নিত করেছিল পাউবো। কিন্তু অবৈধ দখলদারদের নানা কৌশলের কারণে চিহ্নিত স্থাপনাগুলো আজও উচ্ছেদ হয়নি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কার্যাদেশ পাওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মো. শামিম আহসানকে মুঠোফোনে বারবার কল দিলেও তিনি কল ধরেননি।

বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী (এসও) আবু হানিফ বলেন, ‘হক ক্যানেলের পাড়ের ৯৮টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য যৌথ তালিকা বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ে দুই বছর আগে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আজও সেই স্থাপনা উচ্ছেদ না হওয়ায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি খননকাজ করতে পারছে না। ওই সব অবৈধ স্থাপনার কারণে খনন কাজের স্ক্যাভেটর হক ক্যানেলের পাড়ে যেতে পারছে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত