Ajker Patrika

থাইল্যান্ডে গণতন্ত্রের সংকটপূর্ণ মুহূর্ত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক
থাইল্যান্ডে গণতন্ত্রের সংকটপূর্ণ মুহূর্ত

থাইল্যান্ডের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বী পিটা লিমজারোয়েনরাত সরকার গঠনের জন্য পার্লামেন্টের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সমর্থন জোগাড়ে ব্যর্থ হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে মাত্র ৫১ ভোট কম পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রাথমিক দৌড়ে হেরে যান তিনি। এতে প্রায় এক দশক ধরে সেনাসমর্থিত সরকারের অধীনে চলা দেশটির গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে চলা বাধাগ্রস্ত হলো। খবর সিএনএনের।

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে আগামী সপ্তাহে আবার ভোটাভুটি হওয়ার কথা রয়েছে। মনোনয়ন পেলে আবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন পিটা। তিনি জানিয়েছেন, পরবর্তী ভোটাভুটিতে প্রয়োজনীয় সমর্থন আদায়ে তাঁর দল মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি নতুন কৌশল গ্রহণ করবে।

থাইল্যান্ডে ১৪ মে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিস্ময়কর সাফল্য পায় পিটার দল মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি (এমএফপি)। পিটার নেতৃত্বাধীন আটটি দলের জোটের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের ৩১২টি আসন। কিন্তু সরকার গঠনের জন্য তাঁর প্রয়োজন ছিল ৩৭৫টি ভোট। গত বৃহস্পতিবারের ভোটাভুটিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বী পিটার সরকার গঠনের জন্য ৭৪৯ আসনবিশিষ্ট দেশটির দুই কক্ষের পার্লামেন্টের অর্ধেকের বেশি সমর্থন প্রয়োজন ছিল। ভোটাভুটিতে সমর্থন জোগাড়ে ব্যর্থ হয়ে পিটা বলেন, ‘ফলাফল আমি মেনে নিচ্ছি। কিন্তু আমি হাল ছাড়ছি না।’

রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, ভোটাভুটি শেষে দেখা যায়, পিটা ৩২৪টি ভোট পেয়েছেন। সেদিন ১৯৯ জন ভোটদানে বিরত ছিলেন। ১৮২ জন তাঁর বিরুদ্ধে ভোট দেন এবং ৪৪ জন নিরপেক্ষ ছিলেন। আর ২০১৪ সালের সেনা অভ্যুত্থানের পর নিয়োগ দেওয়া রক্ষণশীল উচ্চকক্ষের ২৪৯ সদস্যের কাছ থেকে পিটা পেয়েছেন মাত্র ১৩টি ভোট।

এই ভোটের আগ দিয়ে বুধবার পিটা লিমজারোয়েনরাতকে সংসদ সদস্য হিসেবে অযোগ্য ঘোষণা করার সুপারিশ করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। গতকাল বুধবার সাংবিধানিক আদালতের কাছে এ সুপারিশ করে কমিশন। প্রধানমন্ত্রী পদে ভোট হওয়ার এক দিন আগে এ ঘোষণা পিটার জন্য একটি বড় ধাক্কা ছিল।

কমিশন এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা পিটার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পেয়েছে।

মুভ ফরোয়ার্ড পার্টির নেতা পিটা একটি মিডিয়া কোম্পানির মালিকানায় রয়েছেন, যা নির্বাচনী নিয়মের লঙ্ঘন। ফলে ১৪ মে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদে অংশ নিতে তিনি অযোগ্য ছিলেন বলে উল্লেখ করা হয়।

এদিকে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে অধিকাংশ সংসদ সদস্য ও সিনেটরের পিটার বিরুদ্ধে ভোটদান বা ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকাকে জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধাচরণ বলে বিবৃতি দিয়েছে দেশটির থাম্মাসাত ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট কাউন্সিল। ব্যাংকক পোস্ট এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। গত বৃহস্পতিবারের ভোটের নিন্দা জানিয়ে একটি বিবৃতি দিয়ে তারা বলেছে, সংসদ সদস্য ও সিনেটর যাঁরা জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন বা ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিলেন, তাঁরা নিন্দার পাত্র।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত