আরিফুজ্জামান তুহিন, ঢাকা
২০১৬ সালে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় হাওরের নিচু জলাভূমি ভরাট করে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের লাইসেন্স পান সেখানকার তৎকালীন সংসদ সদস্য (এমপি) মোয়াজ্জেম হোসেন রতন। চুক্তি অনুযায়ী ‘হাওর বাংলা’ নামের এই সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের জন্য ১৭ সেন্ট দাম দেবে সরকার। ৩২ মেগাওয়াটের ওই বিদ্যুৎকেন্দ্র ২০১৭ সালের আগস্টে উৎপাদনে আসার কথা ছিল। কিন্তু তিনবার মেয়াদ বাড়িয়েও এখন পর্যন্ত উৎপাদনে আসেনি সেটি। এরই মধ্যে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের বেশির ভাগ শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন সাবেক এমপি রতন।
শুধু হাওর বাংলা নয়, বেশি দামে বিদ্যুৎ বিক্রির চুক্তি করা আরও কয়েকটি সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রও একই পথ অনুসরণ করছে। প্রথমে প্রভাব খাটিয়ে সরকারের কাছ থেকে লাইসেন্স নিচ্ছে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। পরে তারা বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য দফায় দফায় সময় বাড়িয়ে নিচ্ছে। এরপর কোনো এক সময় সুযোগ বুঝে চড়া দামে বিক্রি করে দিচ্ছে বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকানা।
বিদ্যুৎ খাতের বিনিয়োগকারী ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেশি দামে বিদ্যুৎ বিক্রির চুক্তি করেও যেসব সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র সময়মতো উৎপাদনে আসতে পারেনি, তার সবই বাতিল করা উচিত। এটা না হলে সৌরবিদ্যুতে যারা নতুন করে বিনিয়োগ করতে চায়, তাদের ওপর ন্যায়বিচার করা হবে না। কারণ বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি যেসব প্রতিষ্ঠান সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি করছে, তাদের প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম দেওয়া হচ্ছে ১০ সেন্টের নিচে। অথচ সাত-আট বছর আগে লাইসেন্স নেওয়া কেন্দ্রগুলো দাম পাচ্ছে ১৭ সেন্ট পর্যন্ত।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, চুক্তির পর দুই বছরের মধ্যে কোনো বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে না এলে তা বাতিল করা উচিত। যদি এর পরও তারা কেন্দ্র নির্মাণ করতে চায়, তাহলে নতুন করে বিদ্যুতের দাম ঠিক করতে হবে, তা না হলে এই খাতে স্বচ্ছতা কোনোভাবেই প্রতিষ্ঠা পাবে না।
এম শামসুল আলম আরও বলেন, সৌরবিদ্যুতের চুক্তি যখন করা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে তখনকার সোলার প্যানেলের দাম, দেশে ডলারের দাম সব মিলিয়ে করা হয়। ১০ বছর পরে এসে যদি ওই একই সোলার প্যানেল কিনতে যাওয়া হয়, তাহলে তার দাম যেমন কমে যাবে, তেমনি ডলারের দামও বেড়ে যাবে। ফলে সব লাভ যাবে বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকদের পকেটে।
রাজনৈতিক বিবেচনায় বিদ্যুৎকেন্দ্র
হাওর বাংলা নামে লাইসেন্স নেওয়া সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির মালিক সুনামগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন। ২০০৮ থেকে টানা ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনবারের এমপি ছিলেন তিনি। গত নির্বাচনে রতনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। এমপি থাকাকালে ২০১৬ সালে এডিসন পাওয়ার পয়েন্ট ও কোরিয়া গ্রিন কোম্পানি লিমিটেড নামে দুটি কোম্পানির সঙ্গে যৌথ অংশীদারত্বে বিনা দরপত্রে ৩২ মেগাওয়াটের সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির লাইসেন্স পান রতন।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, হাওরের মাটি ভরাট করে ৩২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণের জন্য অনুমতি দিয়েছে খোদ বিদ্যুৎ বিভাগ। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঞ্চালন লাইনও বেশি। সাধারণত ৫০ মেগাওয়াটের একটি কেন্দ্রের সঞ্চালন লাইন সর্বোচ্চ ২৫ কিলোমিটার হলে সেটার অনুমোদন দেয় পিডিবি, কিন্তু এমপি রতনের কেন্দ্রটির জন্য ৪০ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। এতে কেন্দ্রের ব্যয় বেড়েছে। সেই ব্যয় বিদ্যুতের দাম থেকেই পরিশোধ করা হবে।
রতনের মতো প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বেশি দামে বিদ্যুৎ বিক্রির চুক্তিতে কেন্দ্র নির্মাণের অনুমতি নিয়ে বছরের পর বছর ফেলে রাখছেন। সময়মতো বিদ্যুৎ উৎপাদনে আসতে না পারলেও তাদের বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তি বাতিল করছে না সরকার।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমান সম্প্রতি রাজধানীর একটি অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, আগে যেহেতু চুক্তি হয়েছে, সে কারণে দাম বেশি দিতে হয়েছে। এখন বেশি দামে দেওয়া (লাইসেন্স) হচ্ছে না। কোম্পানি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, সে কারণে এসব চুক্তি বাতিল করা যাবে না।
ভারতীয়রাও লাইসেন্স বিক্রি করেছে
ভারতের শাপুর্জি পালুঞ্জি পাবনা সদরে ১০০ মেগাওয়াটের সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রের অনুমতি পায় ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর। কেন্দ্রটি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরুর কথা ছিল ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে। এরপর দফায় দফায় সময় নিয়েও কেন্দ্রটি এখনো চালু করা যায়নি। এর মধ্যে ভারতের শাপুর্জি পালুঞ্জি গ্রুপ কেন্দ্রটির লাইসেন্স বা অনুমতি বিক্রি করে দিয়েছে দেশীয় প্রতিষ্ঠান প্যারামাউন্ট গ্রুপের কাছে। এই কেন্দ্রের প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ১৫ সেন্টস। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রও বিনা দরপত্রে দেওয়া হয়েছে বিশেষ আইনে।
২০১৭ সালের আগস্টে বিনা দরপত্রে পঞ্চগড়ে ৫০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রের অনুমতি পায় সিঙ্গাপুরের প্রতিষ্ঠান এইট মিনিট এনার্জি লিমিটেড। কেন্দ্রটি ১৩ দশমিক ৩ সেন্টসে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম পায়। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে কেন্দ্রটি উৎপাদনে আসার কথা থাকলেও সময়মতো তারা আসতে পারেনি। এরপর ফের তাদের তারিখ নবায়ন করে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে করা হয়।
সরকারি প্রতিষ্ঠান রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (আরপিসিএল) জামালপুরের মাদারগঞ্জে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র অনুমতি পায় ২০১৯ সালে। কেন্দ্রটির জন্য সরকার ৩২৫ একর জমি অধিগ্রহণ করে। কেন্দ্রটি উৎপাদনে যাওয়ার কথা ছিল ২০২১ সালের ডিসেম্বরে। কিন্তু এখনো উৎপাদনে আসতে পারেনি কেন্দ্রটি। সম্প্রতি কেন্দ্রটির সঙ্গে চীনা কোম্পানি সিআরইসি ইন্টারন্যাশনাল রিনিউবেল এনার্জির যৌথ চুক্তি হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, মাদারগঞ্জ ১০০ মেগাওয়াট কেন্দ্রের মালিক চীনা কোম্পানির হাতে থাকবে ৭০ শতাংশ, বাকি ৩০ শতাংশ থাকবে আরপিসিএলের প্রতিষ্ঠান বিআর পাওয়ার জেনের কাছে।
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সুশাসন প্রতিষ্ঠার ওপরও জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। রাজনৈতিক বিবেচনায় সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের অনুমতি দেওয়া উচিত নয় বলেও জানান তাঁরা।
২০১৬ সালে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় হাওরের নিচু জলাভূমি ভরাট করে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের লাইসেন্স পান সেখানকার তৎকালীন সংসদ সদস্য (এমপি) মোয়াজ্জেম হোসেন রতন। চুক্তি অনুযায়ী ‘হাওর বাংলা’ নামের এই সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের জন্য ১৭ সেন্ট দাম দেবে সরকার। ৩২ মেগাওয়াটের ওই বিদ্যুৎকেন্দ্র ২০১৭ সালের আগস্টে উৎপাদনে আসার কথা ছিল। কিন্তু তিনবার মেয়াদ বাড়িয়েও এখন পর্যন্ত উৎপাদনে আসেনি সেটি। এরই মধ্যে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের বেশির ভাগ শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন সাবেক এমপি রতন।
শুধু হাওর বাংলা নয়, বেশি দামে বিদ্যুৎ বিক্রির চুক্তি করা আরও কয়েকটি সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রও একই পথ অনুসরণ করছে। প্রথমে প্রভাব খাটিয়ে সরকারের কাছ থেকে লাইসেন্স নিচ্ছে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। পরে তারা বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য দফায় দফায় সময় বাড়িয়ে নিচ্ছে। এরপর কোনো এক সময় সুযোগ বুঝে চড়া দামে বিক্রি করে দিচ্ছে বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকানা।
বিদ্যুৎ খাতের বিনিয়োগকারী ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেশি দামে বিদ্যুৎ বিক্রির চুক্তি করেও যেসব সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র সময়মতো উৎপাদনে আসতে পারেনি, তার সবই বাতিল করা উচিত। এটা না হলে সৌরবিদ্যুতে যারা নতুন করে বিনিয়োগ করতে চায়, তাদের ওপর ন্যায়বিচার করা হবে না। কারণ বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি যেসব প্রতিষ্ঠান সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি করছে, তাদের প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম দেওয়া হচ্ছে ১০ সেন্টের নিচে। অথচ সাত-আট বছর আগে লাইসেন্স নেওয়া কেন্দ্রগুলো দাম পাচ্ছে ১৭ সেন্ট পর্যন্ত।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, চুক্তির পর দুই বছরের মধ্যে কোনো বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে না এলে তা বাতিল করা উচিত। যদি এর পরও তারা কেন্দ্র নির্মাণ করতে চায়, তাহলে নতুন করে বিদ্যুতের দাম ঠিক করতে হবে, তা না হলে এই খাতে স্বচ্ছতা কোনোভাবেই প্রতিষ্ঠা পাবে না।
এম শামসুল আলম আরও বলেন, সৌরবিদ্যুতের চুক্তি যখন করা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে তখনকার সোলার প্যানেলের দাম, দেশে ডলারের দাম সব মিলিয়ে করা হয়। ১০ বছর পরে এসে যদি ওই একই সোলার প্যানেল কিনতে যাওয়া হয়, তাহলে তার দাম যেমন কমে যাবে, তেমনি ডলারের দামও বেড়ে যাবে। ফলে সব লাভ যাবে বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকদের পকেটে।
রাজনৈতিক বিবেচনায় বিদ্যুৎকেন্দ্র
হাওর বাংলা নামে লাইসেন্স নেওয়া সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির মালিক সুনামগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন। ২০০৮ থেকে টানা ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনবারের এমপি ছিলেন তিনি। গত নির্বাচনে রতনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। এমপি থাকাকালে ২০১৬ সালে এডিসন পাওয়ার পয়েন্ট ও কোরিয়া গ্রিন কোম্পানি লিমিটেড নামে দুটি কোম্পানির সঙ্গে যৌথ অংশীদারত্বে বিনা দরপত্রে ৩২ মেগাওয়াটের সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির লাইসেন্স পান রতন।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, হাওরের মাটি ভরাট করে ৩২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণের জন্য অনুমতি দিয়েছে খোদ বিদ্যুৎ বিভাগ। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঞ্চালন লাইনও বেশি। সাধারণত ৫০ মেগাওয়াটের একটি কেন্দ্রের সঞ্চালন লাইন সর্বোচ্চ ২৫ কিলোমিটার হলে সেটার অনুমোদন দেয় পিডিবি, কিন্তু এমপি রতনের কেন্দ্রটির জন্য ৪০ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। এতে কেন্দ্রের ব্যয় বেড়েছে। সেই ব্যয় বিদ্যুতের দাম থেকেই পরিশোধ করা হবে।
রতনের মতো প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বেশি দামে বিদ্যুৎ বিক্রির চুক্তিতে কেন্দ্র নির্মাণের অনুমতি নিয়ে বছরের পর বছর ফেলে রাখছেন। সময়মতো বিদ্যুৎ উৎপাদনে আসতে না পারলেও তাদের বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তি বাতিল করছে না সরকার।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমান সম্প্রতি রাজধানীর একটি অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, আগে যেহেতু চুক্তি হয়েছে, সে কারণে দাম বেশি দিতে হয়েছে। এখন বেশি দামে দেওয়া (লাইসেন্স) হচ্ছে না। কোম্পানি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, সে কারণে এসব চুক্তি বাতিল করা যাবে না।
ভারতীয়রাও লাইসেন্স বিক্রি করেছে
ভারতের শাপুর্জি পালুঞ্জি পাবনা সদরে ১০০ মেগাওয়াটের সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রের অনুমতি পায় ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর। কেন্দ্রটি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরুর কথা ছিল ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে। এরপর দফায় দফায় সময় নিয়েও কেন্দ্রটি এখনো চালু করা যায়নি। এর মধ্যে ভারতের শাপুর্জি পালুঞ্জি গ্রুপ কেন্দ্রটির লাইসেন্স বা অনুমতি বিক্রি করে দিয়েছে দেশীয় প্রতিষ্ঠান প্যারামাউন্ট গ্রুপের কাছে। এই কেন্দ্রের প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ১৫ সেন্টস। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রও বিনা দরপত্রে দেওয়া হয়েছে বিশেষ আইনে।
২০১৭ সালের আগস্টে বিনা দরপত্রে পঞ্চগড়ে ৫০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রের অনুমতি পায় সিঙ্গাপুরের প্রতিষ্ঠান এইট মিনিট এনার্জি লিমিটেড। কেন্দ্রটি ১৩ দশমিক ৩ সেন্টসে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম পায়। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে কেন্দ্রটি উৎপাদনে আসার কথা থাকলেও সময়মতো তারা আসতে পারেনি। এরপর ফের তাদের তারিখ নবায়ন করে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে করা হয়।
সরকারি প্রতিষ্ঠান রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (আরপিসিএল) জামালপুরের মাদারগঞ্জে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র অনুমতি পায় ২০১৯ সালে। কেন্দ্রটির জন্য সরকার ৩২৫ একর জমি অধিগ্রহণ করে। কেন্দ্রটি উৎপাদনে যাওয়ার কথা ছিল ২০২১ সালের ডিসেম্বরে। কিন্তু এখনো উৎপাদনে আসতে পারেনি কেন্দ্রটি। সম্প্রতি কেন্দ্রটির সঙ্গে চীনা কোম্পানি সিআরইসি ইন্টারন্যাশনাল রিনিউবেল এনার্জির যৌথ চুক্তি হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, মাদারগঞ্জ ১০০ মেগাওয়াট কেন্দ্রের মালিক চীনা কোম্পানির হাতে থাকবে ৭০ শতাংশ, বাকি ৩০ শতাংশ থাকবে আরপিসিএলের প্রতিষ্ঠান বিআর পাওয়ার জেনের কাছে।
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সুশাসন প্রতিষ্ঠার ওপরও জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। রাজনৈতিক বিবেচনায় সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের অনুমতি দেওয়া উচিত নয় বলেও জানান তাঁরা।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪