Ajker Patrika

মনোনয়ন না পাওয়া দুই আ.লীগ নেতাই প্রিসাইডিং কর্মকর্তা

ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ নভেম্বর ২০২১, ১০: ১২
মনোনয়ন না পাওয়া দুই আ.লীগ নেতাই প্রিসাইডিং কর্মকর্তা

জামালপুরের ইসলামপুরে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত দুই নেতা। এতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে আজ ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

দলীয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গোয়ালেরচর ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন দলের সহযোগী সংগঠন তাঁতী লীগের উপজেলা শাখার সহসভাপতি এম এ রুহুল আমীন ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহনেওয়াজ সাজু। রুহুল আমীন জেলা তাঁতী লীগের সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক পদেও আছেন। এ ছাড়া তিনি স্থানীয় সভারচর কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। আর শাহনেওয়াজ সাজু স্থানীয় আহম্মেদপুর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

দুজনই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার লক্ষ্যে জেলা এবং রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় থেকে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন এবং তা পূরণ করে জমা দিয়েছিলেন। নির্বাচন সামনে রেখে দলীয় মনোনয়ন পেতে তাঁরা ব্যানার-ফেস্টুনে প্রচার-প্রচারণাও চালান। গণসংযোগ করেন এলাকায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এখানে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান সেখ মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, শাহনেওয়াজ সাজু প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন গাইবান্ধা ইউপি নির্বাচনে গাইবান্ধা সুরুজ্জাহান উচ্চবিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে। আর রুহুল আমীন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন চরগোয়ালিনী ইউপি নির্বাচনে ডিগ্রিচর উচ্চবিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে।

গাইবান্ধা ইউপির ঘোড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক সরদার বলেন, ‘যিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন, দলীয় পদে আছেন; কিন্তু তিনি কীভাবে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন? নির্বাচন তাহলে নিরপেক্ষ হবে কীভাবে?’

আর চরগোয়ালিনী ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলীনুর ইসলাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত ব্যক্তিকে দিয়ে সুষ্ঠু ভোটগ্রহণ আশা করা যায় না।’

জানতে চাইলে শাহনেওয়াজ সাজু বলেন, ‘আমি নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করতে চাইনি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ আমাকে প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছে।’ আর রুহুল আমীন বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলাম। কিন্তু দল আমাকে মনোনয়ন দেয়নি। প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এটা আমার কোনো কিছু না।’

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোছা. হোসনে আরা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন কী না, সেটা আমাদের জানা নেই। আমরা তাঁদের দায়িত্ব দিয়েছি শিক্ষক হিসেবে। বিষয়টি আগে জানালে ভালো হতো। এখন তো সময় কম। এরপরও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত