খান রফিক, নিজস্ব প্রতিবেদক
বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) বর্তমান পরিষদের শেষ বছরে নগরবাসীকে চমক দেখাতে বিশাল অঙ্কের বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বরিশাল ক্লাবে সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ এই বাজেট ঘোষণা করেন। এ সময় ভার্চুয়ালি নগরের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ যুক্ত হন। প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৪১৮ কোটি ৯০ লাখ ৮৫ হাজার ৩৭২ টাকা। তবে এর অধিকাংশই সরকারি অনুদান এবং বিদেশি সাহায্যনির্ভর।
উল্লেখ্য, বিগত তিনটি বাজেট বড় আকারের ঘোষণা হলেও বরাদ্দ না থাকায় অর্থবছর শেষে ছোট আকারের সংশোধিত বাজেট দাঁড়ায়। এমন প্রলোভনের বাজেটে বারবার স্বপ্নভঙ্গ হওয়ায় নগরবাসী মধ্যে দেখা দিয়েছে উন্নয়ন-বঞ্চনার ক্ষোভ।
বিসিসির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট দেওয়া হয়েছিল ২০১৯-২০ অর্থবছরে, ৫৪৮ কোটি ১০ লাখ ৬৭ হাজার ৪৩৭ টাকার। বাজেটে ছিল নগর উন্নয়নে বড় বড় মেগা প্রকল্প; কিন্তু অর্থবছর শেষে বড় অঙ্কের বাজেট নিয়ে স্বপ্নভঙ্গ হয় নগরবাসীর। ৫৪৮ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট পরের বছর সংশোধিত আকারে হয় মাত্র ৯৪ কোটি ৭২ লাখ ৫৯ হাজার টাকার। সরকারি কিংবা বিদেশি অর্থ বরাদ্দ না থাকায় বাস্তবায়ন হয়নি নগরের উন্নয়ন প্রকল্পই। গত তিনটি অর্থবছরের বাজেটের চিত্র প্রায় একইরকম ছিল।
আগামী নির্বাচনের শেষ বছরে গতকাল মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ তাঁর কাউন্সিলরদের নিয়ে চতুর্থ বাজেট ঘোষণা করেছেন। ২০২২-২৩ অর্থবছরের ৪১৮ কোটি ৯০ লাখ ৮৫ হাজার ৩৭২ টাকার প্রস্তাবিত এই বাজেট মেয়র সাদিকের পক্ষে ঘোষণা করেন প্যানেল মেয়র গাজী নাইমুল ইসলাম লিটু।
প্রস্তাবিত এই বাজেটে উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩৩৮ কোটি ৮ লাখ ১৬ হাজার ৯৭৯ টাকা, যার মধ্যে নিজস্ব উৎস থেকে ব্যয় দেখানো হয়েছে ৬৩ কোটি ২ লাখ টাকা। অন্যদিকে ২৩৮ কোটি ৮৭ লাখ টাকা বিদেশি সাহায্যপুষ্ট এবং ৩৬ কোটি ১৯ লাখ টাকা সরকারি বরাদ্দনির্ভর। সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, গত অর্থবছরগুলোর মতো বরাদ্দ না মিললে উন্নয়ন প্রকল্পগুলো অলংকার হিসেবেই থাকবে। প্রস্তাবিত বাজেটে মেগা প্রকল্প হিসেবে বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহানা আর বেগম পার্ক নির্মাণে ৬ কোটি ১৫ লাখ, সদর রোডে সাততলা সুপার মার্কেট নির্মাণে ১০ কোটি, নগরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণে ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
বিগত বাজেটগুলোতে বাস্তবায়ন না হওয়া এমন মেগা প্রকল্পের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে নতুন নগরভবন নির্মাণ, ফুটওভার ব্রিজ, ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ, শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ ইত্যাদি।
নগরের নবগ্রাম সড়কের বাসিন্দা ইয়াছিল হাওলাদার বলেন, বিগত ৪ বছরে এমন কী উন্নয়ন হলো যে সিটি করপোরেশনের বর্তমান পরিষদকে সফল বলা যায়। এক টাকাও বরাদ্দ না পেয়ে নগরবাসীর পকেট কেটেছে বিসিসি। উন্নয়নের নামে নগরের ভাঙাচোরা রাস্তায় হাঁটা দায়।
জাতীয় পার্টির মেয়রপ্রার্থী বরিশাল নগর সদস্যসচিব ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসেন তাপস বলেন, জনগণ এমন প্রলোভনের বাজেট নিয়ে আর ভাবে না। এটি কেবলই আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।
বিএনপি নেতা ও সাবেক মেয়র মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, বিশাল বাজেট ঘোষণা হলেও নগরে উন্নয়ন কোথায়। দেশে ক্রাইসিস মুহূর্ত চলছে। জাতীয় বাজেটই তো ঋণখেলাপি হয়ে পড়ছে। সিটি করপোরেশন ঘোষিত বাজেটের মাধ্যমে এ মুহূর্তে সরকারের কাছ থেকে অর্থ পাবে বলে তিনি মনে করেন না।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) বর্তমান পরিষদের শেষ বছরে নগরবাসীকে চমক দেখাতে বিশাল অঙ্কের বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বরিশাল ক্লাবে সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ এই বাজেট ঘোষণা করেন। এ সময় ভার্চুয়ালি নগরের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ যুক্ত হন। প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৪১৮ কোটি ৯০ লাখ ৮৫ হাজার ৩৭২ টাকা। তবে এর অধিকাংশই সরকারি অনুদান এবং বিদেশি সাহায্যনির্ভর।
উল্লেখ্য, বিগত তিনটি বাজেট বড় আকারের ঘোষণা হলেও বরাদ্দ না থাকায় অর্থবছর শেষে ছোট আকারের সংশোধিত বাজেট দাঁড়ায়। এমন প্রলোভনের বাজেটে বারবার স্বপ্নভঙ্গ হওয়ায় নগরবাসী মধ্যে দেখা দিয়েছে উন্নয়ন-বঞ্চনার ক্ষোভ।
বিসিসির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট দেওয়া হয়েছিল ২০১৯-২০ অর্থবছরে, ৫৪৮ কোটি ১০ লাখ ৬৭ হাজার ৪৩৭ টাকার। বাজেটে ছিল নগর উন্নয়নে বড় বড় মেগা প্রকল্প; কিন্তু অর্থবছর শেষে বড় অঙ্কের বাজেট নিয়ে স্বপ্নভঙ্গ হয় নগরবাসীর। ৫৪৮ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট পরের বছর সংশোধিত আকারে হয় মাত্র ৯৪ কোটি ৭২ লাখ ৫৯ হাজার টাকার। সরকারি কিংবা বিদেশি অর্থ বরাদ্দ না থাকায় বাস্তবায়ন হয়নি নগরের উন্নয়ন প্রকল্পই। গত তিনটি অর্থবছরের বাজেটের চিত্র প্রায় একইরকম ছিল।
আগামী নির্বাচনের শেষ বছরে গতকাল মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ তাঁর কাউন্সিলরদের নিয়ে চতুর্থ বাজেট ঘোষণা করেছেন। ২০২২-২৩ অর্থবছরের ৪১৮ কোটি ৯০ লাখ ৮৫ হাজার ৩৭২ টাকার প্রস্তাবিত এই বাজেট মেয়র সাদিকের পক্ষে ঘোষণা করেন প্যানেল মেয়র গাজী নাইমুল ইসলাম লিটু।
প্রস্তাবিত এই বাজেটে উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩৩৮ কোটি ৮ লাখ ১৬ হাজার ৯৭৯ টাকা, যার মধ্যে নিজস্ব উৎস থেকে ব্যয় দেখানো হয়েছে ৬৩ কোটি ২ লাখ টাকা। অন্যদিকে ২৩৮ কোটি ৮৭ লাখ টাকা বিদেশি সাহায্যপুষ্ট এবং ৩৬ কোটি ১৯ লাখ টাকা সরকারি বরাদ্দনির্ভর। সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, গত অর্থবছরগুলোর মতো বরাদ্দ না মিললে উন্নয়ন প্রকল্পগুলো অলংকার হিসেবেই থাকবে। প্রস্তাবিত বাজেটে মেগা প্রকল্প হিসেবে বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহানা আর বেগম পার্ক নির্মাণে ৬ কোটি ১৫ লাখ, সদর রোডে সাততলা সুপার মার্কেট নির্মাণে ১০ কোটি, নগরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণে ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
বিগত বাজেটগুলোতে বাস্তবায়ন না হওয়া এমন মেগা প্রকল্পের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে নতুন নগরভবন নির্মাণ, ফুটওভার ব্রিজ, ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ, শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ ইত্যাদি।
নগরের নবগ্রাম সড়কের বাসিন্দা ইয়াছিল হাওলাদার বলেন, বিগত ৪ বছরে এমন কী উন্নয়ন হলো যে সিটি করপোরেশনের বর্তমান পরিষদকে সফল বলা যায়। এক টাকাও বরাদ্দ না পেয়ে নগরবাসীর পকেট কেটেছে বিসিসি। উন্নয়নের নামে নগরের ভাঙাচোরা রাস্তায় হাঁটা দায়।
জাতীয় পার্টির মেয়রপ্রার্থী বরিশাল নগর সদস্যসচিব ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসেন তাপস বলেন, জনগণ এমন প্রলোভনের বাজেট নিয়ে আর ভাবে না। এটি কেবলই আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।
বিএনপি নেতা ও সাবেক মেয়র মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, বিশাল বাজেট ঘোষণা হলেও নগরে উন্নয়ন কোথায়। দেশে ক্রাইসিস মুহূর্ত চলছে। জাতীয় বাজেটই তো ঋণখেলাপি হয়ে পড়ছে। সিটি করপোরেশন ঘোষিত বাজেটের মাধ্যমে এ মুহূর্তে সরকারের কাছ থেকে অর্থ পাবে বলে তিনি মনে করেন না।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪