খান রফিক, বরিশাল
ভাটা এলেই বরিশাল নৌবন্দরের উত্তরের শেষ পন্টুনসংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীর পানি তলানিতে পৌঁছে যায়। ভোরে অনেকাংশে যেন দৌড়ানো যায় বন্দরঘেঁষা নদীর প্রায় ৪০০ ফুট জায়গায়। নাব্যতা-সংকটের কারণে এক মাস ধরে বন্দরে নৌযান ভিড়তে চরম বিপত্তি দেখা দিয়েছে, বিশেষ করে ঢাকা-বরিশাল নৌপথের বড় লঞ্চ ঘোরানো সবচেয়ে দুরূহ।
নৌযানমাস্টার ও মালিকেরা বলছেন, দ্রুত বন্দরসংলগ্ন ওই এলাকা খনন না করা হলে অদূরের রসুলপুরের মতো বরিশাল নৌবন্দর ঘিরেই আর একটি চর জাগবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শুষ্ক মৌসুমের আগেই ঢাকা-বরিশাল নৌপথের অন্তত চারটি স্পটে নাব্যতা-সংকট দেখা দিয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন নদীর চ্যানেল খননের লক্ষ্যে আজ রোববার নৌবন্দরে সভা ডেকেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
বরিশাল নৌবন্দরের পন্টুনে দাঁড়িয়ে উত্তরের রসুলপুরে তাকালেই দেখা যায়, চরের বাসিন্দারা হেঁটে নদীর মাঝে চলে আসছেন। ওই অংশের কোনো কোনো স্থানে বাঁধও দেওয়া হয়েছে।
এমভি সুন্দরবন-১০ লঞ্চের মাস্টার মো. মজিবর রহমান বলেন, খনন করতে হলে সবার আগে দরকার বরিশাল নৌবন্দরসংলগ্ন কীর্তনখোলা এলাকায় ড্রেজিং। সেখানকার ৩ নম্বর পন্টুনঘেঁষা নদীতে পানি নেই। রসুলপুর চরসংলগ্ন ঘাটে আসতে কীর্তনখোলা ধীরে ধীরে চরে পরিণত হচ্ছে। শেষ ভাটায় লঞ্চ ভেড়ানো যায় না। তিনি বলেন, আগে ভাটায় ৩ মিটারের ওপরে পানি ছিল নৌবন্দরে। এখন দেড় মিটারের বেশি পাওয়া দুষ্কর।
মজিবর জানান, ঢাকা-বরিশাল নৌপথের আরও তিনটি স্পটে নাব্যতা-সংকট দেখা দিয়েছে। এগুলো হচ্ছে নলবুনিয়া থেকে বামনীর চর পর্যন্ত দুই কিলোমিটার, হিজলা থেকে বাবুগঞ্জ পর্যন্ত তিন কিলোমিটার এবং উলানীয়া থেকে শেওড়া পর্যন্ত ২ কিলোমিটার এলাকা। ওই সব এলাকায় পানি টেনে লঞ্চ চালানো কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘বন্দরের ৩ নম্বর পন্টুনসংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীতে পানি কমে আসছে। ওই জায়গাটা আগেভাগে ড্রেজিং না করলে অদূরের রসুলপুরের মতো আরও একটা চর জেগে উঠবে। বন্দরের প্রায় ৪০০ ফুট নদীর মধ্যে সকালে শেষ ভাটায় পানি টেনে গেলে দৌড়ানো যায়। যে কারণে ঢাকা-বরিশাল নৌপথের বড় লঞ্চগুলো ভেড়ানো কিংবা ঘাট ত্যাগের সময় নাব্যতা-সংকটে পড়ে। এমনকি সেখান থেকে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে যেতেও ছোট ছোট নৌযান আটকে যাচ্ছে।’ তাঁর মতে, খনন না করলে শুকনো মৌসুমে অবস্থা ভয়াবহ হতে পারে।
বিআইডব্লিউটিএ বরিশাল নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপপরিচালক আ. রাজ্জাক বলেন, ‘বন্দরসংলগ্ন রসুলপুরের ওই স্থানে খননের জন্য এরই মধ্যে ড্রেজিং বিভাগকে বলা হয়েছে। আমাদের এগুলো দরকার। লঞ্চের মাস্টারদের যেখানে খনন দরকার, তা বলতে হবে। এই অঞ্চলের নদীগুলোর নাব্য ফিরিয়ে আনতে খনন কার্যক্রম শুরু করার আগে রোববার সকালে ড্রেজিং বিভাগের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা মতবিনিময় করবেন।’
ভাটা এলেই বরিশাল নৌবন্দরের উত্তরের শেষ পন্টুনসংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীর পানি তলানিতে পৌঁছে যায়। ভোরে অনেকাংশে যেন দৌড়ানো যায় বন্দরঘেঁষা নদীর প্রায় ৪০০ ফুট জায়গায়। নাব্যতা-সংকটের কারণে এক মাস ধরে বন্দরে নৌযান ভিড়তে চরম বিপত্তি দেখা দিয়েছে, বিশেষ করে ঢাকা-বরিশাল নৌপথের বড় লঞ্চ ঘোরানো সবচেয়ে দুরূহ।
নৌযানমাস্টার ও মালিকেরা বলছেন, দ্রুত বন্দরসংলগ্ন ওই এলাকা খনন না করা হলে অদূরের রসুলপুরের মতো বরিশাল নৌবন্দর ঘিরেই আর একটি চর জাগবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শুষ্ক মৌসুমের আগেই ঢাকা-বরিশাল নৌপথের অন্তত চারটি স্পটে নাব্যতা-সংকট দেখা দিয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন নদীর চ্যানেল খননের লক্ষ্যে আজ রোববার নৌবন্দরে সভা ডেকেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
বরিশাল নৌবন্দরের পন্টুনে দাঁড়িয়ে উত্তরের রসুলপুরে তাকালেই দেখা যায়, চরের বাসিন্দারা হেঁটে নদীর মাঝে চলে আসছেন। ওই অংশের কোনো কোনো স্থানে বাঁধও দেওয়া হয়েছে।
এমভি সুন্দরবন-১০ লঞ্চের মাস্টার মো. মজিবর রহমান বলেন, খনন করতে হলে সবার আগে দরকার বরিশাল নৌবন্দরসংলগ্ন কীর্তনখোলা এলাকায় ড্রেজিং। সেখানকার ৩ নম্বর পন্টুনঘেঁষা নদীতে পানি নেই। রসুলপুর চরসংলগ্ন ঘাটে আসতে কীর্তনখোলা ধীরে ধীরে চরে পরিণত হচ্ছে। শেষ ভাটায় লঞ্চ ভেড়ানো যায় না। তিনি বলেন, আগে ভাটায় ৩ মিটারের ওপরে পানি ছিল নৌবন্দরে। এখন দেড় মিটারের বেশি পাওয়া দুষ্কর।
মজিবর জানান, ঢাকা-বরিশাল নৌপথের আরও তিনটি স্পটে নাব্যতা-সংকট দেখা দিয়েছে। এগুলো হচ্ছে নলবুনিয়া থেকে বামনীর চর পর্যন্ত দুই কিলোমিটার, হিজলা থেকে বাবুগঞ্জ পর্যন্ত তিন কিলোমিটার এবং উলানীয়া থেকে শেওড়া পর্যন্ত ২ কিলোমিটার এলাকা। ওই সব এলাকায় পানি টেনে লঞ্চ চালানো কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘বন্দরের ৩ নম্বর পন্টুনসংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীতে পানি কমে আসছে। ওই জায়গাটা আগেভাগে ড্রেজিং না করলে অদূরের রসুলপুরের মতো আরও একটা চর জেগে উঠবে। বন্দরের প্রায় ৪০০ ফুট নদীর মধ্যে সকালে শেষ ভাটায় পানি টেনে গেলে দৌড়ানো যায়। যে কারণে ঢাকা-বরিশাল নৌপথের বড় লঞ্চগুলো ভেড়ানো কিংবা ঘাট ত্যাগের সময় নাব্যতা-সংকটে পড়ে। এমনকি সেখান থেকে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে যেতেও ছোট ছোট নৌযান আটকে যাচ্ছে।’ তাঁর মতে, খনন না করলে শুকনো মৌসুমে অবস্থা ভয়াবহ হতে পারে।
বিআইডব্লিউটিএ বরিশাল নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপপরিচালক আ. রাজ্জাক বলেন, ‘বন্দরসংলগ্ন রসুলপুরের ওই স্থানে খননের জন্য এরই মধ্যে ড্রেজিং বিভাগকে বলা হয়েছে। আমাদের এগুলো দরকার। লঞ্চের মাস্টারদের যেখানে খনন দরকার, তা বলতে হবে। এই অঞ্চলের নদীগুলোর নাব্য ফিরিয়ে আনতে খনন কার্যক্রম শুরু করার আগে রোববার সকালে ড্রেজিং বিভাগের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা মতবিনিময় করবেন।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
২ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪