ফারুক হোসেন, রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর)
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ-হাজীগঞ্জ বীরেন্দ্র খাল সংস্কারের দাবিতে কয়েক বছর ধরে আন্দোলন করে আসছেন স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরাসহ পৌর শহরের বাসিন্দারা। বিভিন্ন সময় খালটি সংস্কারে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলেও কথা রাখেনি কর্তৃপক্ষ। খালের মালিকানা নিয়ে জেলা পরিষদ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিরোধে এই অবস্থা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ দিকে দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় সোনাপুর বাজারের ব্যবসায়ীরা বীরেন্দ্র খালটি ময়লা-আবর্জনা ফেলার ভাগাড়ে পরিণত করেছেন। এতে এক সময়ের স্রোতস্বিনী খালটি এখন শীর্ণ নালায় পরিণত হয়েছে। পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টিতে এলাকায় দীর্ঘমেয়াদি জলাবদ্ধতাসহ বন্যার আশঙ্কা আছে।
বীরেন্দ্র খালটির রামগঞ্জ-সোনাপুর থেকে শুরু করে হাজীগঞ্জ ও রামগঞ্জ বালুয়া চৌমুহনী বাজার হয়ে সোনাইমুড়ি পর্যন্ত ভরাট হয়ে গেছে। এ ছাড়া অধিকাংশ এলাকায় খালের ওপর অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। এবারের বর্ষা মৌসুমে পানি জমে বন্যা দীর্ঘমেয়াদি হওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। রামগঞ্জ পৌরবাসী বলছেন, খালে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ এতটাই পুরু হয়ে গেছে যে, হেঁটেও চলাচল করাও অসম্ভব।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রামগঞ্জ পৌর শহরের মাঝখান দিয়ে বয়ে চলা রামগঞ্জ-হাজীগঞ্জ বীরেন্দ্র খালটিতে (প্রধান খাল) ২০ বছর আগেও স্রোতস্বিনী ছিল। তখন ঢাকা থেকে চাঁদপুরের মেঘনা নদী দিয়ে ছোট-বড় ট্রলারে নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামাল আনা-নেওয়া করতেন ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া রামগঞ্জ, কলাবাগান, মৌলভীবাজার ও সোনাপুর উত্তর বাজার এলাকায় সরকারিভাবে নির্মিত ঘাটলায় চাঁদপুর থেকে আসা মালামাল ওঠা-নামা করা হতো।
স্থানীয় ব্যবসায়ী সিরাজুল হক ও বাহার মিয়াসহ কয়েকজন জানান, লক্ষ্মীপুর, রায়পুর, চাটখিল ও বেগমগঞ্জ (চৌমুহনী) থেকে রামগঞ্জ উপজেলার সোনাপুর বাজারে মালামাল নিতে আসতেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে পেঁয়াজ, রসুন ও হলুদ-মরিচের জন্য সোনাপুর বাজারের খ্যাতি ছিল। এখনো জেলা ও জেলার বাইরের মানুষের কাছে সোনাপুর বাজার একটি প্রতিষ্ঠিত ব্যবসাকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।
সোনাপুর বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর লিয়াকত হোসেন জানান, ‘খালের অধিকাংশ অংশে বেহালজাল, ঘের তৈরি করে মাছ চাষ ও খালের মূল অংশে স্থাপনা নির্মাণ করায় পানি নিষ্কাশন বন্ধ হওয়ার উপক্রম। পুরো খালজুড়ে নোংরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ।
সোনাপুর বাজারের বি সাহা সুইটসের মালিক অপূর্ব কুমার সাহা জানান, ‘খালটির কয়েক কিলোমিটার অংশ শহরের মাঝখান দিয়ে নোয়াখালী পর্যন্ত বয়ে গেছে। সোনাপুর, রামগঞ্জসহ খালের পাশের ব্যবসায়ীরা দৈনন্দিন কাজের ময়লা-আবর্জনা খালে ফেলে আসছেন। রামগঞ্জ পৌর শহরে কোনো ডাস্টবিন না থাকায় খালে ব্যবসায়ীদের ফেলা ময়লায় অনেক স্থান ভরাট হয়ে গেছে।’
রামগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী মারুফ হোসেন বলেন, ‘বীরেন্দ্র খালটির ময়লা-আবর্জনা অপসারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় খালের পানি দূষিত হয়ে গেছে। ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত রোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারিভাবে পুরো খালটি পরিষ্কার করা জরুরি।’ দ্রুত খাল পরিষ্কার না করলে টানা বৃষ্টিতে পানি আটকে গিয়ে বন্যা হওয়ার আশঙ্কাও প্রকাশ করেন তিনি।
রামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আবুল খায়ের পাটওয়ারী বলেন, ‘খালটির ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারে কয়েকবার উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা আর হয়ে ওঠেনি।’ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে খালটি পরিষ্কারে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে হাবীবা মীরা বলেন, ‘খালটির ব্যাপারে জানতে আমি উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ারকে পাঠাব। খালটির মালিকানা নিয়ে জেলা পরিষদ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিরোধ রয়েছে শুনেছি।’ তিনি খালটি উদ্ধারে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন।
লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহাজাহান বলেন, ‘ইতিমধ্যে খালটি উদ্ধার ও সংস্কারের জন্য জেলা পরিষদ থেকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা খালটি থেকে অবৈধ স্থাপনা উদ্ধারসহ ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারে অভিযান শুরু করব।’
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ-হাজীগঞ্জ বীরেন্দ্র খাল সংস্কারের দাবিতে কয়েক বছর ধরে আন্দোলন করে আসছেন স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরাসহ পৌর শহরের বাসিন্দারা। বিভিন্ন সময় খালটি সংস্কারে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলেও কথা রাখেনি কর্তৃপক্ষ। খালের মালিকানা নিয়ে জেলা পরিষদ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিরোধে এই অবস্থা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ দিকে দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় সোনাপুর বাজারের ব্যবসায়ীরা বীরেন্দ্র খালটি ময়লা-আবর্জনা ফেলার ভাগাড়ে পরিণত করেছেন। এতে এক সময়ের স্রোতস্বিনী খালটি এখন শীর্ণ নালায় পরিণত হয়েছে। পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টিতে এলাকায় দীর্ঘমেয়াদি জলাবদ্ধতাসহ বন্যার আশঙ্কা আছে।
বীরেন্দ্র খালটির রামগঞ্জ-সোনাপুর থেকে শুরু করে হাজীগঞ্জ ও রামগঞ্জ বালুয়া চৌমুহনী বাজার হয়ে সোনাইমুড়ি পর্যন্ত ভরাট হয়ে গেছে। এ ছাড়া অধিকাংশ এলাকায় খালের ওপর অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। এবারের বর্ষা মৌসুমে পানি জমে বন্যা দীর্ঘমেয়াদি হওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। রামগঞ্জ পৌরবাসী বলছেন, খালে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ এতটাই পুরু হয়ে গেছে যে, হেঁটেও চলাচল করাও অসম্ভব।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রামগঞ্জ পৌর শহরের মাঝখান দিয়ে বয়ে চলা রামগঞ্জ-হাজীগঞ্জ বীরেন্দ্র খালটিতে (প্রধান খাল) ২০ বছর আগেও স্রোতস্বিনী ছিল। তখন ঢাকা থেকে চাঁদপুরের মেঘনা নদী দিয়ে ছোট-বড় ট্রলারে নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামাল আনা-নেওয়া করতেন ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া রামগঞ্জ, কলাবাগান, মৌলভীবাজার ও সোনাপুর উত্তর বাজার এলাকায় সরকারিভাবে নির্মিত ঘাটলায় চাঁদপুর থেকে আসা মালামাল ওঠা-নামা করা হতো।
স্থানীয় ব্যবসায়ী সিরাজুল হক ও বাহার মিয়াসহ কয়েকজন জানান, লক্ষ্মীপুর, রায়পুর, চাটখিল ও বেগমগঞ্জ (চৌমুহনী) থেকে রামগঞ্জ উপজেলার সোনাপুর বাজারে মালামাল নিতে আসতেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে পেঁয়াজ, রসুন ও হলুদ-মরিচের জন্য সোনাপুর বাজারের খ্যাতি ছিল। এখনো জেলা ও জেলার বাইরের মানুষের কাছে সোনাপুর বাজার একটি প্রতিষ্ঠিত ব্যবসাকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।
সোনাপুর বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর লিয়াকত হোসেন জানান, ‘খালের অধিকাংশ অংশে বেহালজাল, ঘের তৈরি করে মাছ চাষ ও খালের মূল অংশে স্থাপনা নির্মাণ করায় পানি নিষ্কাশন বন্ধ হওয়ার উপক্রম। পুরো খালজুড়ে নোংরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ।
সোনাপুর বাজারের বি সাহা সুইটসের মালিক অপূর্ব কুমার সাহা জানান, ‘খালটির কয়েক কিলোমিটার অংশ শহরের মাঝখান দিয়ে নোয়াখালী পর্যন্ত বয়ে গেছে। সোনাপুর, রামগঞ্জসহ খালের পাশের ব্যবসায়ীরা দৈনন্দিন কাজের ময়লা-আবর্জনা খালে ফেলে আসছেন। রামগঞ্জ পৌর শহরে কোনো ডাস্টবিন না থাকায় খালে ব্যবসায়ীদের ফেলা ময়লায় অনেক স্থান ভরাট হয়ে গেছে।’
রামগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী মারুফ হোসেন বলেন, ‘বীরেন্দ্র খালটির ময়লা-আবর্জনা অপসারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় খালের পানি দূষিত হয়ে গেছে। ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত রোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারিভাবে পুরো খালটি পরিষ্কার করা জরুরি।’ দ্রুত খাল পরিষ্কার না করলে টানা বৃষ্টিতে পানি আটকে গিয়ে বন্যা হওয়ার আশঙ্কাও প্রকাশ করেন তিনি।
রামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আবুল খায়ের পাটওয়ারী বলেন, ‘খালটির ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারে কয়েকবার উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা আর হয়ে ওঠেনি।’ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে খালটি পরিষ্কারে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে হাবীবা মীরা বলেন, ‘খালটির ব্যাপারে জানতে আমি উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ারকে পাঠাব। খালটির মালিকানা নিয়ে জেলা পরিষদ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিরোধ রয়েছে শুনেছি।’ তিনি খালটি উদ্ধারে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন।
লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহাজাহান বলেন, ‘ইতিমধ্যে খালটি উদ্ধার ও সংস্কারের জন্য জেলা পরিষদ থেকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা খালটি থেকে অবৈধ স্থাপনা উদ্ধারসহ ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারে অভিযান শুরু করব।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪