Ajker Patrika

পথ হারাতে চান না দুই তরুণ ফুটবলার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২১ আগস্ট ২০২৩, ১১: ২৬
পথ হারাতে চান না দুই তরুণ ফুটবলার

বসুন্ধরা কিংসের দলে জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড়ে ছড়াছড়ি। কিংসের খেলোয়াড়েরা না থাকায় গতকাল থেকে শুরু হওয়া জাতীয় দলের ক্যাম্প খানিকটা বিবর্ণ। ক্যাম্পে আবাহনীর ফুটবলাররাও নেই। আর্জেন্টিনা থেকে অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া কবে আসবেন, তারও ঠিক নেই।

৩২ জনের মধ্যে ১২ ফুটবলার নিয়ে আজ থেকে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় শুরু হবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুই প্রীতি ম্যাচের অনুশীলন। কিংস ও আবাহনীর ফুটবলাররা এএফসি কাপের ব্যস্ততা শেষে ক্যাম্পে ফিরবেন ধাপে ধাপে। ক্যাম্পে কোনো বড় কেউ না থাকলেও নতুন দুই মুখ সারোয়ার জামান নিপু ও দীপক রায় বিশেষ নজর কাড়লেন। প্রথমবারের মতো জাতীয় দলের ক্যাম্পে আসার আগপর্যন্ত দুজনের গল্পটা ছিল দুই রকম।

২০১৫ সালে সিলেটে অনূর্ধ্ব-১৬ সাফজয়ী দলটার আলো হয়ে ছিলেন ফরোয়ার্ড নিপু। ছিলেন টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ও। তাঁর খেলায় এতটাই মুগ্ধ হয়েছিলেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন যে নিজেই ডেকে পাঠিয়েছিলেন জাতীয় দলের কোনো এক ক্যাম্পে। সেই নিপু গত ৮ বছরে আড়ালেই চলে গিয়েছিলেন। চোট আর বড় ক্লাবে খেলে তারকা হওয়ার ঘোর কাটিয়ে ধীরে ধীরে ফিরেছেন বাস্তবে।

অনূর্ধ্ব-১৬ সেই দলটার রহমত-সাদরা আজ দেশের প্রতিষ্ঠিত ফুটবলার। নিপু আক্ষেপ নিয়ে বললেন, ‘অনেক লম্বা সময় চলে গেছে। নিজেও অনেকটা পেছনে পড়ে গিয়েছিলাম চোটের কারণে। নিজের অনেক ভুল সিদ্ধান্তের কারণেও পেছনে পড়ে গেছি, বড় দলে গিয়েছি। খেলার সুযোগ পাইনি।’

২০১৬ সালে টম সেইন্টফিটের ক্যাম্পে একবার অবশ্য ডাক পেয়েছিলেন নিপু। তবে চোট সেবার খেলতে দেয়নি জাতীয় দলে। এবার জাতীয় দল আর এশিয়াডের দলে তাঁর নাম আছে। সুযোগ এবার আর ফসকাতে চান না আজমপুর এফসির হয়ে নজরকাড়া নিপু, ‘স্বপ্নপূরণের এক ধাপ এগিয়ে এসেছি। অনেক দিন পর একটা সুযোগ পেয়েছি, চেষ্টা করব সুযোগ কাজে লাগাতে।’

সিলেটে অনূর্ধ্ব-১৬ সাফের সেই দলে ছিলেন দীপক রায়ও। শুরুতে পাননি বড় ক্লাবও। দারিদ্র্যের মধ্যে বড় হওয়ায় বুট কেনার সামর্থ্যও ছিল না। দিনমজুরি করে বুটের টাকা জুগিয়েছেন দীপক। জাতীয় দলের বয়সভিত্তিক ফুটবলে খেলেছেন। একটু একটু করে বড় ক্লাবের নজরে এসেছেন। সবশেষ লিগে শেখ রাসেলের হয়ে ৬ গোল করে এসেছেন জাতীয় দলে। নিপুর মতো এই সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না মিডফিল্ডার দীপক, ‘আমার জীবনে অনেক বড় প্রাপ্তি এটা। চেষ্টা করব নিজেকে মেলে ধরার। আমি আশায় ছিলাম জাতীয় দলে ডাক পাব।’

দীপকের বাবা মন্টু রায় আগে রিকশা চালাতেন, এখন অটোরিকশা চালান। এই মৌসুমেও শেখ রাসেলে চুক্তি করা তরুণ এই মিডফিল্ডার আর চান না বাবা অটো চালান, ‘যখন ফুটবল শুরু করি, তখন অভাবের মধ্য দিয়ে গিয়েছি। পরিবারের কেউ সমর্থন করত না শুধু মা ছাড়া। বাবা আমাকে খেলতে দিতেন না। সেই বাবা জাতীয় দলে ডাক পাওয়ায় ভীষণ খুশি। তাঁকে আর অটো চালাতে দিতে চাই না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আমিনুল ইসলাম নন, শিক্ষা উপদেষ্টা হচ্ছেন অধ্যাপক আবরার

গণপিটুনিতে নিহত জামায়াত কর্মী নেজাম ও তাঁর বাহিনী গুলি ছোড়ে, মিলেছে বিদেশি পিস্তল: পুলিশ

বসুন্ধরায় ছিনতাইকারী সন্দেহে ২ বিদেশি নাগরিককে মারধর

বিএনপির দুই পেশাজীবী সংগঠনের কমিটি বিলুপ্ত

ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ: ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা, নিষিদ্ধের দাবি শিক্ষার্থীদের

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত