Ajker Patrika

বশীর আল্‌হেলাল

সম্পাদকীয়
আপডেট : ০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০৭: ৪০
Thumbnail image

বশীর আল্‌হেলাল একাধারে কথাসাহিত্যিক, শিশুসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক-গবেষক ও অনুবাদক। তবে তিনি সব সময় নিজেকে আড়ালে রাখতে পছন্দ করতেন।

অবিভক্ত ভারতের বিভিন্ন শহরে তাঁর লেখাপড়া করার সুযোগ হয়েছিল। সর্বশেষ তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। এমএ পাস করার পর তিনি কলকাতায় হজ কমিটিতে চাকরি নেন। পেশাজীবনে কলকাতায় তিনি কিছুকাল সাংবাদিকতা পেশায়ও যুক্ত ছিলেন। দেশভাগের পর ভারত থেকে পূর্ব বাংলায় চলে আসেন। এরপর ১৯৬৭ সালে বাংলা একাডেমির অনুবাদ বিভাগে যোগ দেন। একাডেমির বিভিন্ন বিভাগে দায়িত্ব পালন শেষে ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও পত্রিকা বিভাগ থেকে ১৯৯৪ সালে পরিচালক হিসেবে অবসর নেন।

বশীর আল্‌হেলাল বাংলা সাহিত্যের একজন উচ্চমানের কথাসাহিত্যিক হলেও, তিনি সেভাবে আলোচিত হননি। জীবদ্দশায় নিভৃতে থাকতে থাকতে তিনি নিজেকে এতটাই দূরে সরিয়ে রেখেছিলেন যে আজ তিনি বিস্মৃতপ্রায়। তবে বোদ্ধা পাঠকমাত্রই জানেন যে তিনি কত বড় একজন কথাশিল্পী ছিলেন।

তাঁর গল্পগ্রন্থে বাংলাদেশ এবং এ দেশের মানুষের সমাজ ও লোকজীবনের নানাবিধ চিত্র ফুটে উঠেছে। তাঁর গল্পের চরিত্রগুলো সমাজের নানা পেশা ও শ্রেণির ভেতর থেকে এসেছে। তিনি গল্পের পরিধিকে নানান স্তরে উপনীত করেছেন, নগর, গ্রাম বা মফস্বল—সর্বত্র ছুঁয়ে গেছে তাঁর গল্পের ভূমিভাগ।

উপন্যাস ও গল্পগ্রন্থের পাশাপাশি তিনি প্রবন্ধ ও গবেষণা গ্রন্থও লিখেছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হলো—কিশোর বাংলা উচ্চারণ মঞ্জরি, বাংলা ভাষার নানান বিবেচনা, বাংলা গদ্য, আমাদের কবিতা, ভাষা আন্দোলনের সেই মোহনায়, প্রিন্সিপাল ইব্রাহীম খাঁ, আমাদের বিদ্বৎসমাজ। এ ছাড়া তিনি ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস এবং বাংলা একাডেমির ইতিহাস গ্রন্থের লেখক। মূল উর্দু থেকে অনুবাদ করেছেন ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যা সম্পর্কে হামিদুর রহমান কমিশনের রিপোর্ট।

নিভৃতচারী এই কথাসাহিত্যিক ১৯৩৬ সালের ৬ জানুয়ারি ভারতের মুর্শিদাবাদের তালিবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত