সম্পাদকীয়
বশীর আল্হেলাল একাধারে কথাসাহিত্যিক, শিশুসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক-গবেষক ও অনুবাদক। তবে তিনি সব সময় নিজেকে আড়ালে রাখতে পছন্দ করতেন।
অবিভক্ত ভারতের বিভিন্ন শহরে তাঁর লেখাপড়া করার সুযোগ হয়েছিল। সর্বশেষ তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। এমএ পাস করার পর তিনি কলকাতায় হজ কমিটিতে চাকরি নেন। পেশাজীবনে কলকাতায় তিনি কিছুকাল সাংবাদিকতা পেশায়ও যুক্ত ছিলেন। দেশভাগের পর ভারত থেকে পূর্ব বাংলায় চলে আসেন। এরপর ১৯৬৭ সালে বাংলা একাডেমির অনুবাদ বিভাগে যোগ দেন। একাডেমির বিভিন্ন বিভাগে দায়িত্ব পালন শেষে ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও পত্রিকা বিভাগ থেকে ১৯৯৪ সালে পরিচালক হিসেবে অবসর নেন।
বশীর আল্হেলাল বাংলা সাহিত্যের একজন উচ্চমানের কথাসাহিত্যিক হলেও, তিনি সেভাবে আলোচিত হননি। জীবদ্দশায় নিভৃতে থাকতে থাকতে তিনি নিজেকে এতটাই দূরে সরিয়ে রেখেছিলেন যে আজ তিনি বিস্মৃতপ্রায়। তবে বোদ্ধা পাঠকমাত্রই জানেন যে তিনি কত বড় একজন কথাশিল্পী ছিলেন।
তাঁর গল্পগ্রন্থে বাংলাদেশ এবং এ দেশের মানুষের সমাজ ও লোকজীবনের নানাবিধ চিত্র ফুটে উঠেছে। তাঁর গল্পের চরিত্রগুলো সমাজের নানা পেশা ও শ্রেণির ভেতর থেকে এসেছে। তিনি গল্পের পরিধিকে নানান স্তরে উপনীত করেছেন, নগর, গ্রাম বা মফস্বল—সর্বত্র ছুঁয়ে গেছে তাঁর গল্পের ভূমিভাগ।
উপন্যাস ও গল্পগ্রন্থের পাশাপাশি তিনি প্রবন্ধ ও গবেষণা গ্রন্থও লিখেছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হলো—কিশোর বাংলা উচ্চারণ মঞ্জরি, বাংলা ভাষার নানান বিবেচনা, বাংলা গদ্য, আমাদের কবিতা, ভাষা আন্দোলনের সেই মোহনায়, প্রিন্সিপাল ইব্রাহীম খাঁ, আমাদের বিদ্বৎসমাজ। এ ছাড়া তিনি ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস এবং বাংলা একাডেমির ইতিহাস গ্রন্থের লেখক। মূল উর্দু থেকে অনুবাদ করেছেন ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যা সম্পর্কে হামিদুর রহমান কমিশনের রিপোর্ট।
নিভৃতচারী এই কথাসাহিত্যিক ১৯৩৬ সালের ৬ জানুয়ারি ভারতের মুর্শিদাবাদের তালিবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
বশীর আল্হেলাল একাধারে কথাসাহিত্যিক, শিশুসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক-গবেষক ও অনুবাদক। তবে তিনি সব সময় নিজেকে আড়ালে রাখতে পছন্দ করতেন।
অবিভক্ত ভারতের বিভিন্ন শহরে তাঁর লেখাপড়া করার সুযোগ হয়েছিল। সর্বশেষ তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। এমএ পাস করার পর তিনি কলকাতায় হজ কমিটিতে চাকরি নেন। পেশাজীবনে কলকাতায় তিনি কিছুকাল সাংবাদিকতা পেশায়ও যুক্ত ছিলেন। দেশভাগের পর ভারত থেকে পূর্ব বাংলায় চলে আসেন। এরপর ১৯৬৭ সালে বাংলা একাডেমির অনুবাদ বিভাগে যোগ দেন। একাডেমির বিভিন্ন বিভাগে দায়িত্ব পালন শেষে ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও পত্রিকা বিভাগ থেকে ১৯৯৪ সালে পরিচালক হিসেবে অবসর নেন।
বশীর আল্হেলাল বাংলা সাহিত্যের একজন উচ্চমানের কথাসাহিত্যিক হলেও, তিনি সেভাবে আলোচিত হননি। জীবদ্দশায় নিভৃতে থাকতে থাকতে তিনি নিজেকে এতটাই দূরে সরিয়ে রেখেছিলেন যে আজ তিনি বিস্মৃতপ্রায়। তবে বোদ্ধা পাঠকমাত্রই জানেন যে তিনি কত বড় একজন কথাশিল্পী ছিলেন।
তাঁর গল্পগ্রন্থে বাংলাদেশ এবং এ দেশের মানুষের সমাজ ও লোকজীবনের নানাবিধ চিত্র ফুটে উঠেছে। তাঁর গল্পের চরিত্রগুলো সমাজের নানা পেশা ও শ্রেণির ভেতর থেকে এসেছে। তিনি গল্পের পরিধিকে নানান স্তরে উপনীত করেছেন, নগর, গ্রাম বা মফস্বল—সর্বত্র ছুঁয়ে গেছে তাঁর গল্পের ভূমিভাগ।
উপন্যাস ও গল্পগ্রন্থের পাশাপাশি তিনি প্রবন্ধ ও গবেষণা গ্রন্থও লিখেছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হলো—কিশোর বাংলা উচ্চারণ মঞ্জরি, বাংলা ভাষার নানান বিবেচনা, বাংলা গদ্য, আমাদের কবিতা, ভাষা আন্দোলনের সেই মোহনায়, প্রিন্সিপাল ইব্রাহীম খাঁ, আমাদের বিদ্বৎসমাজ। এ ছাড়া তিনি ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস এবং বাংলা একাডেমির ইতিহাস গ্রন্থের লেখক। মূল উর্দু থেকে অনুবাদ করেছেন ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যা সম্পর্কে হামিদুর রহমান কমিশনের রিপোর্ট।
নিভৃতচারী এই কথাসাহিত্যিক ১৯৩৬ সালের ৬ জানুয়ারি ভারতের মুর্শিদাবাদের তালিবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪