সাবেক আ.লীগ নেতার ওপর দুর্বৃত্তের হামলা

নাটোর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস ও সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজানের কঠোর সমালোচনা করে ফেসবুকে ভিডিও প্রকাশের এক দিন পর নলডাঙ্গা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান লিটনের ওপর হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। লাঠিসোঁটা ও ইটের আঘাতে পায়ে জখম ও রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় শহরের হাফরাস্তা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তৌহিদুর রহমান লিটন গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নলডাঙ্গা উপজেলার বিপ্রবেলঘড়িয়া ইউনিয়ন থেকে অংশ নিয়ে পরাজিত হন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, লিটন হাফরাস্তা বেনু বেকারির পেছনে একটি বাড়িতে ভাড়াটে হিসেবে বসবাস করছেন। রাত ৯টার পর বাসার অদূরে একটি চা দোকানের বসেছিলেন লিটন। কিছুক্ষণ পর একদল যুবক ওই দোকানে উপস্থিত হয়ে লিটনকে ঘিরে ধরেন। সেখান থেকে লিটন পালানোর চেষ্টা করলে সঙ্গে থাকা লাঠি ও ইটের টুকরো দিয়ে লিটনের পায়ে উপর্যুপরি আঘাত করতে থাকেন। এ সময় লিটন দৌড়ে পার্শ্ববর্তী একটি রেস্তোরাঁয় আশ্রয় নেন। সেখানে খেতে আসা পুলিশের এক সদস্য বাইরে এসে হামলাকারীদের ধাওয়া দিলে তাঁরা সটকে পড়েন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় লিটনকে উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টায় তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নাটোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসিম আহমেদ বলেন, কারা এ হামলার সঙ্গে জড়িত তা বের করার চেষ্টা করছে পুলিশ। আহত লিটনের ওপর হামলাকারীদের শনাক্ত করা যায়নি। এ ঘটনায় লিটনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ করা হয়নি।

জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক আকরামুল ইসলাম বলেন, লিটন আওয়ামী লীগের একজন নিবেদিত কর্মী। তবে গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। গত ২০ ফেব্রুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের পর থেকে দলের কিছু নেতা লিটনকে নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিলেন।

এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান বলেন, ‘লিটন একজন চিহ্নিত মাদক কারবারি ও মাদকসেবী। তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় তাঁর ইউনিয়নে নৌকা পরাজিত হয় ও বিএনপি প্রার্থী জয়লাভ করেন। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে তিনি পদ হারান। তাঁর ওপর কী কারণে হামলা চালানো হয়েছে তা বোধগম্য নয়।’