Ajker Patrika

সার্ভার ডাউন, কাউন্টারই ভরসা টিকিটপ্রত্যাশীদের

রাজশাহী প্রতিনিধি
আপডেট : ০৬ মে ২০২২, ১১: ১১
সার্ভার ডাউন, কাউন্টারই ভরসা টিকিটপ্রত্যাশীদের

ট্রেনের টিকিটের জন্য জাহিদুল ইসলাম দাঁড়িয়ে আছেন। দীর্ঘ সারি পেরিয়ে তিনি যখন কাউন্টারের সামনে পৌঁছাবেন, তখন টিকিট থাকবে কি না, তা নিয়েই অনিশ্চয়তা রয়েছে। জাহিদুল ঝুঁকি নিতে চান না। তাই লাইনে দাঁড়িয়েই মোবাইলের মাধ্যমে অনলাইনে কেটে নিতে চাচ্ছেন কাঙ্ক্ষিত টিকিট। তবে জাহিদুল ব্যর্থ হলেন।

রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে দাঁড়িয়ে গত বুধবার সকাল ৮টা থেকে ৮টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত জাহিদুল ইসলাম রেলওয়ের ওয়েবসাইটে ঢোকার চেষ্টা করেন। অনলাইনে বড়জোর গন্তব্য এবং আসনের শ্রেণি নির্বাচন করতে পেরেছেন। কিন্তু পরের ধাপে গিয়ে ফাঁকা আসনসংখ্যা দেখা কিংবা টিকিট কাটার কাজটি করতে পারেননি তিনি।

জাহিদুল বলেন, সকাল ৮টায় কাউন্টার এবং অনলাইনে টিকিট ছাড়া হয়েছে। ৮টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত সার্ভার ডাউন ছিল। অনলাইন থেকে টিকিট কাটা সম্ভব হয়নি। ৮টা ৩৫ মিনিটের পর সার্ভার ঠিক হলে ওয়েবসাইটে দেখা যায় রাজশাহী-ঢাকা রুটের আর কোনো টিকিট নেই। বাংলাদেশ ব্যাংকে ঢাকায় কর্মরত জাহিদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, রেলের সার্ভার ডাউন করে টিকিট সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালেও রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে লাইনে দাঁড়ানো টিকিটপ্রত্যাশীদের বেশির ভাগকেই মোবাইল ঘাঁটাঘাঁটি করতে দেখা গেছে। কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁরা অনলাইনে টিকিট কাটার চেষ্টা করছেন। কিন্তু পারছেন না। শেষ পর্যন্ত কাউন্টারই তাঁদের ভরসা। দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে অনেকে কাউন্টার থেকে টিকিট পেয়েছেন। তবে অনেকেই কাউন্টার থেকেও রাজশাহী-ঢাকা রুটের ঈদ-পরবর্তী ফিরতি ট্রেনের টিকিট পাননি।

তসিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি বলেন, বুধবার বেলা ১১টার দিকে স্টেশনে এসে তিনি লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। রাত কাটিয়েছেন স্টেশনেই। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় ৯ মের টিকিট বিক্রি শুরু হয়। তিনি মোবাইলে অনলাইনে টিকিট কাটার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। আর দীর্ঘ লাইন পেরিয়ে কাউন্টারের কাছে যাওয়ার আগেই টিকিট শেষ হয়ে গেছে। তিনি টিকিট পাননি।

ঈদের পরদিন বুধবার ৭ ও ৮ মের রাজশাহী-ঢাকা রুটের টিকিট ছাড়া হয়। এ ছাড়া এদিন ৬ মের বিরতিহীন বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হয়। এই টিকিট পেতে অনেকে চাঁদরাত থেকেই স্টেশনে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। কয়েকজন মিলে লাইনে দাঁড়িয়ে পালা করে তাঁরা সিরিয়াল ধরে রেখেছিলেন। দীর্ঘ সময় স্টেশনে লাইনে থাকা এসব মানুষকে বুধবার সকালে খেজুর ও শরবত খেতে দেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) অসীম কুমার তালুকদার। সুশৃঙ্খলভাবে টিকিট বিক্রি করতে তিনি নিজেই কাউন্টারের সামনে সব সময় থাকছেন। টিকিটপ্রত্যাশীরা যেসব প্রশ্ন করছেন, সেগুলোর উত্তর দিচ্ছেন। শুধু অনলাইনের সার্ভার ডাউন থাকার বিষয়েই সদুত্তর দিতে পারছেন না তিনি।

জিএম বলছেন, অনলাইন নিয়ন্ত্রণ করছে সহজ লিমিটেড। এ বিষয়ে সহজই বলতে পারবে।

অসীম কুমার তালুকদার জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে রাজশাহী থেকে ট্রেনে ঢাকা ফিরতে শুরু করেছেন মানুষ। তবে আসল চাপ হবে শুক্র (আজ) ও শনিবার (কাল)। আগামী রবি ও সোমবার কিছুটা চাপ থাকবে। রাজশাহী থেকে ঢাকা রুটে প্রতিদিন চারটি করে ট্রেন চলছে। প্রতিটি ট্রেনে সব মিলিয়ে ৯৮৭টি করে আসন আছে। আসনের বাইরে অতিরিক্ত কোনো টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে না। তাই সবাই টিকিট পাচ্ছেন না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইউটিউবে ১০০০ ভিউতে আয় কত

বাকৃবির ৫৭ শিক্ষকসহ ১৫৪ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা

বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে পারে সরকার, ভয়ে কলকাতায় দিলীপ কুমারের আত্মহত্যা

স্ত্রী রাজি নন, সাবেক সেনাপ্রধান হারুনের মরদেহের ময়নাতদন্ত হবে না: পুলিশ

সাবেক সেনাপ্রধান হারুন ছিলেন চট্টগ্রাম ক্লাবের গেস্ট হাউসে, দরজা ভেঙে বিছানায় মিলল তাঁর লাশ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত