আব্দুর রহিম পায়েল, গঙ্গাচড়া
গঙ্গাচড়ায় সরকারি খাদ্যগুদামে এবার ১ হাজার ৪০৪ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও গতকাল রোববার পর্যন্ত এক কেজি ধানও কেনা সম্ভব হয়নি। বর্তমান বাজার দরের চেয়ে সরকারি দাম প্রতি কেজিতে তিন থেকে চার টাকা বেশি পাওয়া গেলেও কৃষকেরা গুদামে ধান দিচ্ছেন না। তাঁরা মানের বিষয়ে কড়াকড়ি ও টাকা পাওয়া নিয়ে ঘোরাঘুরিসহ বিভিন্ন ঝামেলার কারণে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।
উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর আমন মৌসুমে ৪৫৭ মেট্রিক টন চাল এবং ১ হাজার ৪০৪ মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে চাল সংগ্রহ শেষ হলেও কোনো ধান কিনতে পারেনি খাদ্যগুদাম।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, ১৫ নভেম্বর ধান ও চাল সংগ্রহ শুরুর আগে প্রতিটি ইউনিয়নে মাইকিং করা হয়। ধান সংগ্রাহ ৩০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। সরকারিভাবে প্রতি কেজি ধানের মূল্য ২৭ এবং চাল ৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খাদ্যগুদামে দেওয়া ধান একটু কম শুকানো হলে নিতে চায় না। তখন ধান নিয়ে আবার ফেরত আসতে হয়। আবার পরিবহন খরচ, গুদামের শ্রমিকদের চাঁদা, এসব বাড়তি খরচ তো আছেই। আর বাজারের পাইকারদের কাছে ধান বিক্রিতে কোনো ঝামেলা নেই। কিছু কিছু পাইকার ধান মাড়াইয়ের পর বাড়ি থেকে কিনে নিয়ে যান। সার্বিকভাবে বর্তমানে সরকারি মূল্যের চেয়ে বাজারে বিক্রি করলে ভালো দাম মিলছে। গুদামে ধান দিলেও টাকা তুলতে সময় লাগে। এ জন্য সংসারের কাজ ছেড়ে অফিসে ঘোরার সময় নেই তাঁদের।
বড়বিল ইউনিয়নের মালিপের বাজার এলাকার কৃষক রুবেল বলেন, ‘ধান মাড়াইয়ের পর বাড়িত থাকি বিক্রি করি ৯২০ টাকা মণ (৪০ কেজি) দরে। পাইকার আসি নিয়া যায়। আর ওই এক মণ ধান খাদ্যগুদামের জন্যে শুকি, ফ্যান করি দিবার গেইলে দুই-তিন কেজি কম হয়। ২৭ টাকা কেজি দরে ৩৭ কেজি ধানের দাম হয় ৯৯৯ টাকা। কিন্তু গুদামে ধান নিজে ভাড়া দিয়া নিয়া যাওয়া লাগে। হিসাব করলে, গুদামে ধান দিবার গেইলে ঝামেলা বেশি, সময় লাগে বেশি। এ জন্যে গুদামে ধান না দিয়া বাড়িত পাইকার ডাকে বিক্রি করি দিচুং।’
একই ঝামেলার কথা জানিয়ে কোলকোন্দ ইউনিয়নের মন্টু মিয়া বলেন, ‘খাদ্যগুদামোত ধান দিবার গেইলে এক টন ধান গাড়ি থাকি নামার জন্যে খাদ্যগুদামের লেবাররাই ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা নেয়। ফির গাড়ি ভাড়া যায় ৪০০ টাকা। তার ওপর আরও ঝামেলা অনেক। যদি কোনো দিন ধান ৫০০ টাকা মণ উঠে তখন ভাবি দেখিম, খাদ্যগুদামোত ধান দেওয়া যায় কি না।’
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা উপ-খাদ্য পরিদর্শক কাওছার জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা তো খাদ্যগুদামে ধান দিতে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে কৃষকদের মাইকিংয়ের মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছি। এখনো সময় আছে, দেবে হয়তো।’
গঙ্গাচড়ায় সরকারি খাদ্যগুদামে এবার ১ হাজার ৪০৪ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও গতকাল রোববার পর্যন্ত এক কেজি ধানও কেনা সম্ভব হয়নি। বর্তমান বাজার দরের চেয়ে সরকারি দাম প্রতি কেজিতে তিন থেকে চার টাকা বেশি পাওয়া গেলেও কৃষকেরা গুদামে ধান দিচ্ছেন না। তাঁরা মানের বিষয়ে কড়াকড়ি ও টাকা পাওয়া নিয়ে ঘোরাঘুরিসহ বিভিন্ন ঝামেলার কারণে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।
উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর আমন মৌসুমে ৪৫৭ মেট্রিক টন চাল এবং ১ হাজার ৪০৪ মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে চাল সংগ্রহ শেষ হলেও কোনো ধান কিনতে পারেনি খাদ্যগুদাম।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, ১৫ নভেম্বর ধান ও চাল সংগ্রহ শুরুর আগে প্রতিটি ইউনিয়নে মাইকিং করা হয়। ধান সংগ্রাহ ৩০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। সরকারিভাবে প্রতি কেজি ধানের মূল্য ২৭ এবং চাল ৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খাদ্যগুদামে দেওয়া ধান একটু কম শুকানো হলে নিতে চায় না। তখন ধান নিয়ে আবার ফেরত আসতে হয়। আবার পরিবহন খরচ, গুদামের শ্রমিকদের চাঁদা, এসব বাড়তি খরচ তো আছেই। আর বাজারের পাইকারদের কাছে ধান বিক্রিতে কোনো ঝামেলা নেই। কিছু কিছু পাইকার ধান মাড়াইয়ের পর বাড়ি থেকে কিনে নিয়ে যান। সার্বিকভাবে বর্তমানে সরকারি মূল্যের চেয়ে বাজারে বিক্রি করলে ভালো দাম মিলছে। গুদামে ধান দিলেও টাকা তুলতে সময় লাগে। এ জন্য সংসারের কাজ ছেড়ে অফিসে ঘোরার সময় নেই তাঁদের।
বড়বিল ইউনিয়নের মালিপের বাজার এলাকার কৃষক রুবেল বলেন, ‘ধান মাড়াইয়ের পর বাড়িত থাকি বিক্রি করি ৯২০ টাকা মণ (৪০ কেজি) দরে। পাইকার আসি নিয়া যায়। আর ওই এক মণ ধান খাদ্যগুদামের জন্যে শুকি, ফ্যান করি দিবার গেইলে দুই-তিন কেজি কম হয়। ২৭ টাকা কেজি দরে ৩৭ কেজি ধানের দাম হয় ৯৯৯ টাকা। কিন্তু গুদামে ধান নিজে ভাড়া দিয়া নিয়া যাওয়া লাগে। হিসাব করলে, গুদামে ধান দিবার গেইলে ঝামেলা বেশি, সময় লাগে বেশি। এ জন্যে গুদামে ধান না দিয়া বাড়িত পাইকার ডাকে বিক্রি করি দিচুং।’
একই ঝামেলার কথা জানিয়ে কোলকোন্দ ইউনিয়নের মন্টু মিয়া বলেন, ‘খাদ্যগুদামোত ধান দিবার গেইলে এক টন ধান গাড়ি থাকি নামার জন্যে খাদ্যগুদামের লেবাররাই ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা নেয়। ফির গাড়ি ভাড়া যায় ৪০০ টাকা। তার ওপর আরও ঝামেলা অনেক। যদি কোনো দিন ধান ৫০০ টাকা মণ উঠে তখন ভাবি দেখিম, খাদ্যগুদামোত ধান দেওয়া যায় কি না।’
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা উপ-খাদ্য পরিদর্শক কাওছার জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা তো খাদ্যগুদামে ধান দিতে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে কৃষকদের মাইকিংয়ের মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছি। এখনো সময় আছে, দেবে হয়তো।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫