Ajker Patrika

দুই বছরেও শেষ হয়নি ভবন নির্মাণকাজ, পাঠদান ব্যাহত

সখীপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২১, ১৭: ৪১
দুই বছরেও শেষ হয়নি ভবন নির্মাণকাজ, পাঠদান ব্যাহত

সখীপুর উপজেলার কালিয়াপাড়া ডাকাতিয়া মাজেদা মজিদ উচ্চবিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন নির্মাণকাজ প্রায় দুই বছরেও শেষ হয়নি। ফলে শ্রেণিকক্ষ সংকটে বিদ্যালয়টির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান কার্যক্রম। নতুন বছরের শুরুতে আরও ভোগান্তির আশঙ্কা করছেন শিক্ষকেরা।

এ ব্যাপারে ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতসহ নানাভাবে যোগাযোগ করলেও কোনো সুফল পাওয়া যায়নি। তবে ঠিকাদার বলছেন, ভবনটির সিংহভাগ কাজ শেষ হয়েছে, ব্যক্তিগত অর্থ সংকটে কিছুদিন ধরে কাজ বন্ধ। তবে খুব শিগগিরই বাকি কাজ সম্পন্ন করা হবে।

বিদ্যালয়ে পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। স্কুলের টিনশেড ঘর ভেঙেই একাডেমিক ভবন নির্মাণের জায়গা দেওয়া হয়েছিল। ঠিকাদার দীর্ঘদিন ধরে কাজ ফেলে রেখেছেন। মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেও তাঁকে পাচ্ছে না ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। তাই নতুন শিক্ষাবর্ষে শ্রেণি কক্ষ সংকট আরও তীব্র হবে।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর উপজেলার কালিয়াপাড়া ডাকাতিয়া মাজেদা মজিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রথম ও দ্বিতীয়তলা ঊর্ধ্বমুখী ভবন নির্মাণকাজের দরপত্র আহ্বান করে। মেসার্স মা ট্রেডার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান কাজটি পায়।

ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ৯ মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার জন্য ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি কার্যাদেশ দেওয়া হয়। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি হারুন-অর রশীদ ও আজাদ নামের দুজনের কাছে বিক্রি করে দেন।

ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইয়াছিন আলী বলেন, ভবনের অফিস কক্ষ, শ্রেণি কক্ষ, জানালা, বাথরুম, বিদ্যুৎ লাইন, চেয়ার-টেবিল, বেঞ্চ, ফ্যানসহ যাবতীয় আসবাবপত্রের কাজ কিছুই করা হয়নি। ২০২২ সালের শুরুতে নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হলে শ্রেণিকক্ষ সংকটে শিক্ষার্থীদের ক্লাস করাতে পারব না।

সখীপুর উপজেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম বলেন, ‘ওই কাজটি ধীর গতিতে হচ্ছে। কাজটি দ্রুত শেষ করার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বারবার তাগিদ দিচ্ছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও অবগত করা হয়েছে।’

গতকাল দুপুরে ওই ভবনের নির্মাণকাজ কিনে নেওয়া হারুন-অর রশীদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ওই ভবনের কাজটি আমার ব্যবসায়ী অংশীদার আজাদ হোসেনের দায়িত্বে রয়েছে। তিনি সম্প্রতি আর্থিক সংকটে রয়েছেন। ভবনটির সব কাজই শেষ হয়েছে। শুধু জানালার ওপরে কয়েকটি লোভার, গ্লাস ও বৈদ্যুতিক ফ্যানের কিছু কাজ বাকি রয়েছে। দ্রুত সব কাজ সম্পন্ন করে ভবনটি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেয়াদের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় চালুর পরিকল্পনা সরকারের

নারীর সঙ্গে এনসিপি নেতা তুষারের কথোপকথন ফাঁস নিয়ে যা বললেন সহযোদ্ধা ইমি

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংস করা সম্ভব নয়, স্বীকার করল ইসরায়েল

ঐকমত্য কমিশনের মঙ্গলবারের সংলাপ ‘বয়কট’ করল জামায়াত

চোখের সামনে খামেনির অন্তরঙ্গ মহল ফাঁকা করে দিচ্ছে ইসরায়েল

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত