বান্দরবান ও আলীকদম প্রতিনিধি
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ইউনিয়ন বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার ৪ নম্বর ইউনিয়ন কুরুকপাতা। এই ইউনিয়ন পরিষদের নেই নিজস্ব কার্যালয়। ৩০ কিলোমিটার দূরে উপজেলা সদরে ভাড়া করা একটি কক্ষে চলে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম। দেশের সবচেয়ে ডায়রিয়াপ্রবণ এলাকাও এই করুকপাতা। তবুও নেই বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা।
সাড়ে ১২ হাজার মানুষ বাস করা ৭০০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের করুকপাতা ইউনিয়ন অবহেলিত এক জনপদের নাম। জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ম্রো (মুরং) সম্প্রদায়ের। এ ছাড়া এই ইউনিয়নে রয়েছে ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা ও মারমা জনগোষ্ঠীর বাস। শতাধিক বাঙালি (মুসলিম) পরিবারও স্থায়ীভাবে বসবাস করেন।
কুরুকপাতা ইউনিয়ন পরিষদ, ইউপি চেয়ারম্যান ও এলাকাবাসী সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বান্দরবান জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের সুবিধার্থে আলীকদম উপজেলার আলীকদম ইউনিয়নের অংশ থেকে ২০১৪ সালের ২৪ জুলাই কুরুকপাতা ইউনিয়ন গঠন করা হয়। ২০১৬ সালে প্রথম ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সে নির্বাচনে ক্রাতপুং ম্রো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর দ্বিতীয় নির্বাচনেও ক্রাতপুং চেয়ারম্যান হন।
কুরুকপাতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, ৯ জন সাধারণ ও ৩ জন সংরক্ষিত (মহিলা) সদস্যের মধ্যে একজন ত্রিপুরা ছাড়া বাকি সবাই ম্রো জনগোষ্ঠীর। তবে ইউনিয়নে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রয়েছে।
ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ক্রাতপুং ম্রো বলেন, কুরুকপাতা ইউনিয়নের আয়তন ৭০০ দশমিক ২০ বর্গকিলোমিটার। আয়তন হিসেবে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ইউনিয়ন। দেশের সর্ববৃহৎ রাঙামাটির সাজেক ইউনিয়নের পরই এর অবস্থান।
২০১৪ সালে ইউনিয়ন গঠন ও ২০১৬ সালে প্রথম নির্বাচন হয়। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদের স্থায়ী কার্যালয় নেই। তাঁর ইউনিয়নে ইন্টারনেট বা ওয়াইফাইয়ের ব্যবস্থাও নেই। অথচ জন্মনিবন্ধন, মৃত্যুসনদসহ অন্যান্য কার্যক্রম ডিজিটাল করা হয়েছে। নিজ ইউনিয়ন পরিষদের ভবন না থাকায় উপজেলা সদরে ভাড়া করা কক্ষেই ইউপির দাপ্তরিক কাজ সারতে হয়। একটি স্থায়ী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় (পরিষদ ভবন) অত্যন্ত দরকার। এ ছাড়া স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্র, উচ্চবিদালয়, বিশুদ্ধ পানির জন্য টিউবওয়েল বা রিংওয়েলের ব্যবস্থাও জরুরি দরকার।
চেয়ারম্যান ক্রাতপুং ম্রো বলেন, বর্তমানে তাঁর ইউনিয়নের জনসংখ্যা ১২ হাজার ৫০০। সবচেয়ে বেশি ম্রো জনগণ। তাঁদের সংখ্যা সাত হাজারের বেশি। পর্যায়ক্রমে ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা ও মারমা। শতাধিক মুসলিম পরিবারও (বাঙালি) রয়েছে। তবে ব্যবসা-বাণিজ্যের কারণে আরও ৩০টি বাঙালি পরিবার বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করেন।
কাগজে-কলমে কুরুকপাতা ইউনিয়নের শিক্ষার হার ২৫ শতাংশ বলা হলেও বাস্তবে এর সংখ্যা আরও কম। সরকারি সাতটি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ মোট ১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, তাঁর ইউনিয়নে কোনো উচ্চবিদ্যালয় নেই। কলেজ তো স্বপ্নের ব্যাপার! এখানে বিশুদ্ধ পানীয়জলের সংকট প্রকট। একটিও টিউবওয়েল বা রিংওয়েল নেই। সব মানুষই নদী, খাল ও ছড়ার পানি পানসহ নিত্যব্যবহার্য কাজ করেন।
বিশুদ্ধ পানির অভাবেই প্রতিবছর ডায়রিয়ায় কুরুকপাতায় অনেক মানুষ মারা যায়। চিকিৎসা নিয়ে কিছু মানুষ সুস্থ হয়। ডায়রিয়ায় দেশের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা কুরুকপাতা। অথচ নেই কোনো স্বাস্থ্যকেন্দ্র, নেই পরিবারকল্যাণ কেন্দ্র। বাজারে মুদি দোকানে থাকা কিছু ওষুধই সাড়ে ১২ হাজার মানুষের ভরসা। গুরুতর অসুস্থ হলে ৩০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে হয়। তবে সেনাবাহিনী ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জরুরি মুহূর্তে মেডিকেল টিম পাঠিয়ে চিকিৎসা দেয়।
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ইউনিয়ন বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার ৪ নম্বর ইউনিয়ন কুরুকপাতা। এই ইউনিয়ন পরিষদের নেই নিজস্ব কার্যালয়। ৩০ কিলোমিটার দূরে উপজেলা সদরে ভাড়া করা একটি কক্ষে চলে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম। দেশের সবচেয়ে ডায়রিয়াপ্রবণ এলাকাও এই করুকপাতা। তবুও নেই বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা।
সাড়ে ১২ হাজার মানুষ বাস করা ৭০০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের করুকপাতা ইউনিয়ন অবহেলিত এক জনপদের নাম। জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ম্রো (মুরং) সম্প্রদায়ের। এ ছাড়া এই ইউনিয়নে রয়েছে ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা ও মারমা জনগোষ্ঠীর বাস। শতাধিক বাঙালি (মুসলিম) পরিবারও স্থায়ীভাবে বসবাস করেন।
কুরুকপাতা ইউনিয়ন পরিষদ, ইউপি চেয়ারম্যান ও এলাকাবাসী সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বান্দরবান জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের সুবিধার্থে আলীকদম উপজেলার আলীকদম ইউনিয়নের অংশ থেকে ২০১৪ সালের ২৪ জুলাই কুরুকপাতা ইউনিয়ন গঠন করা হয়। ২০১৬ সালে প্রথম ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সে নির্বাচনে ক্রাতপুং ম্রো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর দ্বিতীয় নির্বাচনেও ক্রাতপুং চেয়ারম্যান হন।
কুরুকপাতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, ৯ জন সাধারণ ও ৩ জন সংরক্ষিত (মহিলা) সদস্যের মধ্যে একজন ত্রিপুরা ছাড়া বাকি সবাই ম্রো জনগোষ্ঠীর। তবে ইউনিয়নে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রয়েছে।
ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ক্রাতপুং ম্রো বলেন, কুরুকপাতা ইউনিয়নের আয়তন ৭০০ দশমিক ২০ বর্গকিলোমিটার। আয়তন হিসেবে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ইউনিয়ন। দেশের সর্ববৃহৎ রাঙামাটির সাজেক ইউনিয়নের পরই এর অবস্থান।
২০১৪ সালে ইউনিয়ন গঠন ও ২০১৬ সালে প্রথম নির্বাচন হয়। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদের স্থায়ী কার্যালয় নেই। তাঁর ইউনিয়নে ইন্টারনেট বা ওয়াইফাইয়ের ব্যবস্থাও নেই। অথচ জন্মনিবন্ধন, মৃত্যুসনদসহ অন্যান্য কার্যক্রম ডিজিটাল করা হয়েছে। নিজ ইউনিয়ন পরিষদের ভবন না থাকায় উপজেলা সদরে ভাড়া করা কক্ষেই ইউপির দাপ্তরিক কাজ সারতে হয়। একটি স্থায়ী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় (পরিষদ ভবন) অত্যন্ত দরকার। এ ছাড়া স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্র, উচ্চবিদালয়, বিশুদ্ধ পানির জন্য টিউবওয়েল বা রিংওয়েলের ব্যবস্থাও জরুরি দরকার।
চেয়ারম্যান ক্রাতপুং ম্রো বলেন, বর্তমানে তাঁর ইউনিয়নের জনসংখ্যা ১২ হাজার ৫০০। সবচেয়ে বেশি ম্রো জনগণ। তাঁদের সংখ্যা সাত হাজারের বেশি। পর্যায়ক্রমে ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা ও মারমা। শতাধিক মুসলিম পরিবারও (বাঙালি) রয়েছে। তবে ব্যবসা-বাণিজ্যের কারণে আরও ৩০টি বাঙালি পরিবার বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করেন।
কাগজে-কলমে কুরুকপাতা ইউনিয়নের শিক্ষার হার ২৫ শতাংশ বলা হলেও বাস্তবে এর সংখ্যা আরও কম। সরকারি সাতটি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ মোট ১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, তাঁর ইউনিয়নে কোনো উচ্চবিদ্যালয় নেই। কলেজ তো স্বপ্নের ব্যাপার! এখানে বিশুদ্ধ পানীয়জলের সংকট প্রকট। একটিও টিউবওয়েল বা রিংওয়েল নেই। সব মানুষই নদী, খাল ও ছড়ার পানি পানসহ নিত্যব্যবহার্য কাজ করেন।
বিশুদ্ধ পানির অভাবেই প্রতিবছর ডায়রিয়ায় কুরুকপাতায় অনেক মানুষ মারা যায়। চিকিৎসা নিয়ে কিছু মানুষ সুস্থ হয়। ডায়রিয়ায় দেশের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা কুরুকপাতা। অথচ নেই কোনো স্বাস্থ্যকেন্দ্র, নেই পরিবারকল্যাণ কেন্দ্র। বাজারে মুদি দোকানে থাকা কিছু ওষুধই সাড়ে ১২ হাজার মানুষের ভরসা। গুরুতর অসুস্থ হলে ৩০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে হয়। তবে সেনাবাহিনী ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জরুরি মুহূর্তে মেডিকেল টিম পাঠিয়ে চিকিৎসা দেয়।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪