Ajker Patrika

২০ আ.লীগ নেতা বহিষ্কার

হাতীবান্ধা (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২১, ১১: ২৮
Thumbnail image

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ২০ নেতা-কর্মীকে বহিষ্কার করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ। গতকাল শুক্রবার বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাতীবান্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহদপ্তর সম্পাদক মিলন সরকার।

বহিষ্কৃত নেতারা হলেন হাতীবান্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও নওদাবাস ইউপি চেয়ারম্যান অশ্বিনী কুমার বসুনিয়া, উপদেষ্টা ও ভেলাগুড়ি ইউপির বিদ্রোহী প্রার্থী মহির উদ্দিন, উপদেষ্টা ও সিংগীমারী ইউপির বিদ্রোহী প্রার্থী আলাউদ্দিন মিয়া, উপদেষ্টা ও ডাউয়াবাড়ি ইউপির বিদ্রোহী প্রার্থী রেজ্জাকুল ইসলাম কায়েদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বিদ্রোহী প্রার্থী আঞ্জুমান আরা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জাহেদুল ইসলাম সজীব, ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বিদ্রোহী প্রার্থী দেলোয়ার রহমান, ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও বিদ্রোহী প্রার্থী ইবনে ওহাব আল মাহমুদ, গোতামারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও বিদ্রোহী প্রার্থী মোনাব্বেরুল হক, ফকিরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বিদ্রোহী প্রার্থী আজিজার রহমান, ফকিরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিদ্রোহী প্রার্থী জাহিদ হোসেন, সিংগীমারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ও বিদ্রোহী প্রার্থী শাহ মমিনুল ইসলাম, বড়খাতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ও বিদ্রোহী প্রার্থী মেহেদি হাসান, বড়খাতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ও বিদ্রোহী প্রার্থী সজল হোসেন, বড়খাতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ও বিদ্রোহী প্রার্থী মেহেদি হাসান, ফকিরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ও বিদ্রোহী প্রার্থী ফজলার রহমান খোকন, ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ও বিদ্রোহী প্রার্থী ইলিয়াস তালুকদার, সানিয়াজান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ও বিদ্রোহী প্রার্থী এনায়েত উল্লাহ, বড়খাতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ও বিদ্রোহী প্রার্থী সজল হোসেন, ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক আনছার আলী, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সদস্য ও গড্ডিমারী ইউপির বিদ্রোহী প্রার্থী শামসুল হুদা, নওদাবাস ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বিদ্রোহী প্রার্থী রতন চক্রবর্তী।

বহিষ্কৃত হাতীবান্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও ভেলাগুড়ি ইউপিতে বিদ্রোহী প্রার্থী (বর্তমান চেয়ারম্যান) মহির উদ্দিন বলেন, ‘বহিষ্কারের বিষয়ে কিছুই জানি না। আর এ বিষয়ে কিছু বলার নেই।’

বহিষ্কৃত নেতা আলাউদ্দিন মিয়া বলেন, ‘বহিষ্কারের বিষয়টি শুনেছি। তবে আমি আওয়ামী লীগের একজন প্রবীণ নেতা। ১৯৬৭ সাল থেকে আমি আওয়ামী লীগ করি। এরশাদ হটাও আন্দোলন করতে গিয়ে আমি ১৯৮৭ সালে জেলে যাই। ৯ মাস জেল খেটে বের হই।’

হাতীবান্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লিয়াকত হোসেন বাচ্চু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যাঁদের বহিষ্কার করা হয়েছে, তাঁদের আগেই সাবধান করা হয়েছিল। লিখিত চিঠিও দেওয়া হয়। কিন্তু তাঁরা দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করেন। তাই তাঁদের বহিষ্কার করা হয়েছে। যাঁরা দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কাজ করবেন, তাঁদের বহিষ্কার করা হবে।’

হাতীবান্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহদপ্তর সম্পাদক মিলন সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ২০ নেতা-কর্মীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে তাঁরা কাজ করছিলেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত