মোনায়েম সরকার

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষে অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতাও শেষ হয়েছে। এখন নতুন মন্ত্রিসভার দায়িত্ব পালন শুরুর অপেক্ষা। দলীয় প্রধান শেখ হাসিনাকে সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচিত করেছে জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দল আওয়ামী লীগ। এর ফলে টানা চতুর্থবারের মতো সংসদ নেতা নির্বাচিত হলেন তিনি।
বুধবার নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠানের পর আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে সংসদ উপনেতাও নির্বাচন করা হয়। একাদশ সংসদের উপনেতা মতিয়া চৌধুরীকেই দ্বাদশ সংসদের উপনেতা নির্বাচন করেন আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সদস্যরা।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, বর্তমান স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীকে নতুন সংসদেও স্পিকারের দায়িত্ব দেওয়ার প্রস্তাব করবে আওয়ামী লীগ। আগের মতো শামসুল হক টুকুই ডেপুটি স্পিকার হিসেবে থাকবেন। আর একাদশ সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী দ্বাদশেও একই দায়িত্ব সামলাবেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। পঞ্চমবারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিলেন শেখ হাসিনা। মন্ত্রী হিসেবে ২৫ জন ও প্রতিমন্ত্রী হিসেবে ১১ জন শপথ নিয়েছেন। পুরোনোদের মধ্যে ৩০ জন মন্ত্রী বাদ পড়েছেন। এবারই প্রথম মন্ত্রী হয়েছেন সাতজন। সাতজন প্রতিমন্ত্রীও নতুন। আগে মন্ত্রী ছিলেন এমন পাঁচজন এবার মন্ত্রিসভায় ফিরেছেন। পদোন্নতি পেয়েছেন তিনজন। নতুন-পুরোনো মিলিয়ে নতুন বছরে নতুন মন্ত্রিসভা নিয়ে মানুষের মধ্যে আশাবাদ তৈরি হয়েছে। বিগত মন্ত্রিসভার বিতর্ক, ব্যর্থতা, অদক্ষতা, অনুপস্থিতি, অতিকথনের দোষমুক্ত হয়ে নতুন মন্ত্রিসভা নতুন উদ্যমে সামনে যেসব চ্যালেঞ্জ আছে, সেগুলো মোকাবিলায় সক্ষম হবে—এই আশা আমরা করতেই পারি।
কেউ কেউ বলে থাকেন, কে মন্ত্রী হলো বা কে বাদ পড়ল, সেটা বড় কথা নয়। কারণ সবকিছু আসলে পরিচালিত হয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশ ও পরামর্শে। তাঁর ইচ্ছার বাইরে কিছু হয় না বলেই প্রচার ও বিশ্বাস। আমি ব্যক্তিগতভাবে শেখ হাসিনার সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, শেখ হাসিনা অবশ্যই বিচক্ষণ ও দূরদর্শী। কিন্তু তিনি অন্যদের ভালো পরামর্শ শোনেন না, সেটা মোটেও ঠিক নয়। সমস্যা বরং অন্যখানে, আমাদের অনেকের মধ্যেই তোয়াজ-তোষামদের প্রবণতা প্রবল। শেখ হাসিনা কোনো বিষয় নিয়ে যেভাবে ভাবেন, কোনো নির্দিষ্ট সমস্যা সমাধানে তাঁর যে পদ্ধতি, সেটা সব সময় শতভাগ সঠিক না-ও হতে পারে। কিন্তু এ কথা যদি তাঁকে বলা না হয়, তাহলে তিনি পুনর্বিবেচনা করবেন কীভাবে? আমি মনে করি, মন্ত্রিসভার বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে খোলামেলা আলোচনার ব্যবস্থা অবারিত হওয়া উচিত।
এবার মন্ত্রিসভায় সৎ, রাজনৈতিকভাবে পরিপক্ব, নানা বিষয়ে অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সমন্বয় ঘটেছে। এই মন্ত্রিসভা শেখ হাসিনার স্বপ্নযাত্রার যোগ্য সহযোগী হয়ে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে পারবে বলে অনেকেই বিশ্বাস করছেন। আমাদের দেশের রাজনীতি যে সুস্থ ধারায় অগ্রসর হচ্ছে না, সেটা সবারই জানা। দেশের একটি বড় জনসমর্থনপুষ্ট রাজনৈতিক দল বিএনপি নির্বাচন বর্জনের যে রাজনীতি করছে, তা থেকে বেরিয়ে না এলে সংকট সমাধান সহজে হবে না।
এক বছর ধরে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে বিএনপির সিনিয়র-জুনিয়র নেতারা বলে আসছেন, ‘বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে না, হতে দেওয়া হবে না’—অথচ ৭ জানুয়ারি যথারীতি নির্বাচন হয়ে গেল। নির্বাচন ঠেকানো দূরের কথা, সরকারকে বড় ধরনের কোনো চাপে ফেলতে পারেনি বিএনপি ও তার মিত্ররা। ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই দ্বাদশ নির্বাচন সমাপ্ত করেছে। আওয়ামী লীগের কৌশলের কাছে চরমভাবে হেরেছে বিএনপি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে অটল থেকে ভুল করেছে দলটি। দেশে আর কখনো নির্দলীয় সরকার ফিরে আসবে না। আবার নাশকতায় জড়িয়ে হোঁচট খেয়েছে বিএনপির আন্দোলনও। তবে দলটির নেতারা তা মানতে নারাজ। তাঁদের দাবি, ‘একতরফা ভোট’ বর্জনে বিএনপির ডাক সফল হয়েছে। সরকার পতনের আন্দোলনে বিএনপি সঠিক পথেই আছে। পাঁচ বছরের আগে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের সম্ভাবনা যারা দেখে, তারা শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কৌশল সম্পর্কে অজ্ঞ বলেই মনে হয়। শেখ হাসিনার ‘ডিজাইন’ ছাড়া বাংলাদেশে এখন কিছুই হয় না।
সরকার পতনের আন্দোলন সফল হলো না, আবার নির্বাচনও ঠেকাতে পারল না বিএনপি। তাহলে দলটি কী পেল? দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে না গিয়ে বিএনপির কিছু লাভ হয়নি; হতাশায় ডুবেছেন দলটির তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। আগামী পাঁচ বছর এর জের টানতে হবে দলটিকে। বিভ্রান্ত ও হতাশাগ্রস্ত হয়ে দল ও রাজনীতি ছাড়তে পারেন কেউ কেউ। রাজনীতির মাঠে নিজেদের পোক্ত অবস্থানে ধরে রাখতে না পারলে ভোটারদের স্মৃতি থেকেও দলটি হারিয়ে যেতে পারে; নতুন প্রজন্ম থেকেও দলটির দূরে সরে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ, এরা ১৭ বছর ধরেই বিএনপিকে ক্ষমতায় দেখেনি।
সে জন্য কেউ কেউ এমনও বলছেন, বিএনপির এবারের নির্বাচনী কৌশল অনেকটা খেলার আগেই হার স্বীকারের মতো। বিএনপির আন্দোলন ছিল ভুল লক্ষ্যের। তাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত ছিল নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করা, সরকারের পতন নয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার যে সমাধান নয়, তা এই ভোটেই প্রমাণিত হয়েছে।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর থেকেই নেতৃত্বের সংকট নিয়ে নানা আলোচনা রয়েছে দলের ভেতরে ও বাইরে। এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে প্রশ্ন তুলেছে আন্তর্জাতিক বিশ্বও। দলের কূটনৈতিক বৈঠকে তারা বিএনপির সিনিয়র নেতাদের কাছে বহুবার জানতে চেয়েছে, বিএনপি ক্ষমতায় এলে কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? নির্বাচনের আগেও একাধিক বৈঠকে কূটনৈতিক নেতারা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বলে শোনা যায়।
গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, পুলিশ কনস্টেবল হত্যা, পিস্তল ছিনতাই, পুলিশের কাজে বাধা, ককটেল বিস্ফোরণ, নাশকতা, ভাঙচুর, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি, গাড়ি পোড়ানো, ইটপাটকেল নিক্ষেপ, হত্যাচেষ্টাসহ নানা অভিযোগ ওঠে বিএনপির বিরুদ্ধে। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের পক্ষ থেকে অনেকগুলো মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় গ্রেপ্তারের পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ অসংখ্য নেতা-কর্মী এখনো কারাগারে।
এমন পরিস্থিতিতেও লন্ডনে বসে সরকার পতনের লক্ষ্যে একের পর এক কঠোর কর্মসূচির নির্দেশনা দিয়ে যান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। অথচ এসব কর্মসূচি পালন না করে গ্রেপ্তার এড়াতে দলের প্রথম সারির অনেক নেতা আত্মগোপনে চলে যান। এ সময় প্রথম সারির নেতারা জেলে থাকলে দ্বিতীয় সারির নেতারা দলের সার্বিক কর্মকাণ্ডে নেতৃত্ব দেবেন—এমন দলীয় সিদ্ধান্ত থাকলেও মাঠের কর্মসূচিতে কোনো উল্লেখযোগ্য নেতাকে দেখা যায়নি। সরকার পতনের আন্দোলনে কর্মসূচি প্রণয়ন নিয়ে তারেক রহমানের ভুল সিদ্ধান্তের খেসারত দিতে হয়েছে দলের নেতা-কর্মীদের। টানা নিষ্ফল হরতাল-অবরোধ ডেকে বিএনপি কেবল সাধারণ মানুষকে দুর্দশার মধ্যে ফেলেনি; একটানা কঠোর কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে সারা দেশের নেতা-কর্মীরা হাঁপিয়ে উঠেছেন; হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি ডেকে ঢাকা মহানগরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা মাঠে না থাকলেও ঢাকার বাইরের নেতারা আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। মামলা ও গ্রেপ্তারের আতঙ্ক পাশ কাটিয়ে আন্দোলন করতে গিয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে তাঁরা দুঃসহ জীবন কাটাচ্ছেন। তৃণমূল থেকে বারবার কর্মসূচি পরিবর্তনের দাবি উঠলেও তারেক রহমান এতে কর্ণপাত করেননি। এমনকি দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিনিয়র নেতারাও কর্মসূচি পরিবর্তনের ব্যাপারে বহুবার নিজেদের মত দিয়েছেন; কিন্তু তারেক রহমান তা আমলে নেননি। ফলে বর্তমান অবস্থায় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিয়মিত জেলা পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি আন্দোলন সমন্বয়ের চেষ্টা করেও খুব একটা সাড়া পাচ্ছেন না বলে শোনা যাচ্ছে।
বিএনপির হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে বিপুল ভোটে জয় পেয়েছেন ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর (বীর উত্তম) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান। বিএনপির নির্বাচনে না যাওয়ার কৌশল যে সঠিক ছিল না, এই নির্বাচনী ফলাফলে তা প্রমাণিত হয়েছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল কারও কারও কাছে প্রত্যাশিত মনে হলেও আমি মনে করি, কিছু হেভিওয়েট প্রার্থীর পরাজয়ের বিষয়টি আলাদা গুরুত্ব দিয়ে আলোচনার দাবি রাখে। পরাজিতদের মধ্যে দুই-তিনবারের সংসদ সদস্য, কেউ কেউ সাবেক ও বর্তমান মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, দলের কেন্দ্রীয় নেতা, আবার কেউ রাজনৈতিক দলের প্রধান। তাঁদের পরাজয়ের প্রধান কারণ জনবিচ্ছিন্নতা। নিজেকে মনে করতেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী। দলের তৃণমূল এমনকি জেলা-উপজেলার নেতা-কর্মীদেরও তোয়াক্কা করতেন না তাঁরা। দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেননি। নির্বাচনী এলাকায় জোটের শরিক দলের নেতা-কর্মীদের থেকেও ছিলেন বিচ্ছিন্ন। শরিকেরাও সংগঠনকে শক্ত কাঠামোয় দাঁড় করায়নি। সব সময় নজর ছিল কেন্দ্রের দিকে। দলীয় হাইকমান্ডের সন্তুষ্টির দিকে। ভেবেছিলেন, দলীয় প্রতীক পেলেই তাঁরা বিজয়ী হবেন। কিন্তু এবার ব্যতিক্রমী কৌশলের অনন্য নির্বাচনে হেরেছেন তাঁরা। কেউ তিন যুগের, কেউ দেড়-দুই যুগের সাম্রাজ্য হারিয়েছেন। এ ধরনের দেড় ডজনেরও বেশি হেভিওয়েট রাজনীতিকের বিস্ময়কর পরাজয় ও সাম্রাজ্য হারানোর নেপথ্যের কারণ চিহ্নিত করা ভবিষ্যৎ রাজনীতির জন্যই প্রয়োজন।
লেখক: রাজনীতিবিদ, লেখক; চেয়ারম্যান, বিএফডিআর

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষে অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতাও শেষ হয়েছে। এখন নতুন মন্ত্রিসভার দায়িত্ব পালন শুরুর অপেক্ষা। দলীয় প্রধান শেখ হাসিনাকে সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচিত করেছে জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দল আওয়ামী লীগ। এর ফলে টানা চতুর্থবারের মতো সংসদ নেতা নির্বাচিত হলেন তিনি।
বুধবার নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠানের পর আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে সংসদ উপনেতাও নির্বাচন করা হয়। একাদশ সংসদের উপনেতা মতিয়া চৌধুরীকেই দ্বাদশ সংসদের উপনেতা নির্বাচন করেন আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সদস্যরা।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, বর্তমান স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীকে নতুন সংসদেও স্পিকারের দায়িত্ব দেওয়ার প্রস্তাব করবে আওয়ামী লীগ। আগের মতো শামসুল হক টুকুই ডেপুটি স্পিকার হিসেবে থাকবেন। আর একাদশ সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী দ্বাদশেও একই দায়িত্ব সামলাবেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। পঞ্চমবারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিলেন শেখ হাসিনা। মন্ত্রী হিসেবে ২৫ জন ও প্রতিমন্ত্রী হিসেবে ১১ জন শপথ নিয়েছেন। পুরোনোদের মধ্যে ৩০ জন মন্ত্রী বাদ পড়েছেন। এবারই প্রথম মন্ত্রী হয়েছেন সাতজন। সাতজন প্রতিমন্ত্রীও নতুন। আগে মন্ত্রী ছিলেন এমন পাঁচজন এবার মন্ত্রিসভায় ফিরেছেন। পদোন্নতি পেয়েছেন তিনজন। নতুন-পুরোনো মিলিয়ে নতুন বছরে নতুন মন্ত্রিসভা নিয়ে মানুষের মধ্যে আশাবাদ তৈরি হয়েছে। বিগত মন্ত্রিসভার বিতর্ক, ব্যর্থতা, অদক্ষতা, অনুপস্থিতি, অতিকথনের দোষমুক্ত হয়ে নতুন মন্ত্রিসভা নতুন উদ্যমে সামনে যেসব চ্যালেঞ্জ আছে, সেগুলো মোকাবিলায় সক্ষম হবে—এই আশা আমরা করতেই পারি।
কেউ কেউ বলে থাকেন, কে মন্ত্রী হলো বা কে বাদ পড়ল, সেটা বড় কথা নয়। কারণ সবকিছু আসলে পরিচালিত হয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশ ও পরামর্শে। তাঁর ইচ্ছার বাইরে কিছু হয় না বলেই প্রচার ও বিশ্বাস। আমি ব্যক্তিগতভাবে শেখ হাসিনার সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, শেখ হাসিনা অবশ্যই বিচক্ষণ ও দূরদর্শী। কিন্তু তিনি অন্যদের ভালো পরামর্শ শোনেন না, সেটা মোটেও ঠিক নয়। সমস্যা বরং অন্যখানে, আমাদের অনেকের মধ্যেই তোয়াজ-তোষামদের প্রবণতা প্রবল। শেখ হাসিনা কোনো বিষয় নিয়ে যেভাবে ভাবেন, কোনো নির্দিষ্ট সমস্যা সমাধানে তাঁর যে পদ্ধতি, সেটা সব সময় শতভাগ সঠিক না-ও হতে পারে। কিন্তু এ কথা যদি তাঁকে বলা না হয়, তাহলে তিনি পুনর্বিবেচনা করবেন কীভাবে? আমি মনে করি, মন্ত্রিসভার বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে খোলামেলা আলোচনার ব্যবস্থা অবারিত হওয়া উচিত।
এবার মন্ত্রিসভায় সৎ, রাজনৈতিকভাবে পরিপক্ব, নানা বিষয়ে অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সমন্বয় ঘটেছে। এই মন্ত্রিসভা শেখ হাসিনার স্বপ্নযাত্রার যোগ্য সহযোগী হয়ে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে পারবে বলে অনেকেই বিশ্বাস করছেন। আমাদের দেশের রাজনীতি যে সুস্থ ধারায় অগ্রসর হচ্ছে না, সেটা সবারই জানা। দেশের একটি বড় জনসমর্থনপুষ্ট রাজনৈতিক দল বিএনপি নির্বাচন বর্জনের যে রাজনীতি করছে, তা থেকে বেরিয়ে না এলে সংকট সমাধান সহজে হবে না।
এক বছর ধরে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে বিএনপির সিনিয়র-জুনিয়র নেতারা বলে আসছেন, ‘বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে না, হতে দেওয়া হবে না’—অথচ ৭ জানুয়ারি যথারীতি নির্বাচন হয়ে গেল। নির্বাচন ঠেকানো দূরের কথা, সরকারকে বড় ধরনের কোনো চাপে ফেলতে পারেনি বিএনপি ও তার মিত্ররা। ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই দ্বাদশ নির্বাচন সমাপ্ত করেছে। আওয়ামী লীগের কৌশলের কাছে চরমভাবে হেরেছে বিএনপি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে অটল থেকে ভুল করেছে দলটি। দেশে আর কখনো নির্দলীয় সরকার ফিরে আসবে না। আবার নাশকতায় জড়িয়ে হোঁচট খেয়েছে বিএনপির আন্দোলনও। তবে দলটির নেতারা তা মানতে নারাজ। তাঁদের দাবি, ‘একতরফা ভোট’ বর্জনে বিএনপির ডাক সফল হয়েছে। সরকার পতনের আন্দোলনে বিএনপি সঠিক পথেই আছে। পাঁচ বছরের আগে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের সম্ভাবনা যারা দেখে, তারা শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কৌশল সম্পর্কে অজ্ঞ বলেই মনে হয়। শেখ হাসিনার ‘ডিজাইন’ ছাড়া বাংলাদেশে এখন কিছুই হয় না।
সরকার পতনের আন্দোলন সফল হলো না, আবার নির্বাচনও ঠেকাতে পারল না বিএনপি। তাহলে দলটি কী পেল? দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে না গিয়ে বিএনপির কিছু লাভ হয়নি; হতাশায় ডুবেছেন দলটির তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। আগামী পাঁচ বছর এর জের টানতে হবে দলটিকে। বিভ্রান্ত ও হতাশাগ্রস্ত হয়ে দল ও রাজনীতি ছাড়তে পারেন কেউ কেউ। রাজনীতির মাঠে নিজেদের পোক্ত অবস্থানে ধরে রাখতে না পারলে ভোটারদের স্মৃতি থেকেও দলটি হারিয়ে যেতে পারে; নতুন প্রজন্ম থেকেও দলটির দূরে সরে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ, এরা ১৭ বছর ধরেই বিএনপিকে ক্ষমতায় দেখেনি।
সে জন্য কেউ কেউ এমনও বলছেন, বিএনপির এবারের নির্বাচনী কৌশল অনেকটা খেলার আগেই হার স্বীকারের মতো। বিএনপির আন্দোলন ছিল ভুল লক্ষ্যের। তাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত ছিল নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করা, সরকারের পতন নয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার যে সমাধান নয়, তা এই ভোটেই প্রমাণিত হয়েছে।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর থেকেই নেতৃত্বের সংকট নিয়ে নানা আলোচনা রয়েছে দলের ভেতরে ও বাইরে। এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে প্রশ্ন তুলেছে আন্তর্জাতিক বিশ্বও। দলের কূটনৈতিক বৈঠকে তারা বিএনপির সিনিয়র নেতাদের কাছে বহুবার জানতে চেয়েছে, বিএনপি ক্ষমতায় এলে কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? নির্বাচনের আগেও একাধিক বৈঠকে কূটনৈতিক নেতারা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বলে শোনা যায়।
গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, পুলিশ কনস্টেবল হত্যা, পিস্তল ছিনতাই, পুলিশের কাজে বাধা, ককটেল বিস্ফোরণ, নাশকতা, ভাঙচুর, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি, গাড়ি পোড়ানো, ইটপাটকেল নিক্ষেপ, হত্যাচেষ্টাসহ নানা অভিযোগ ওঠে বিএনপির বিরুদ্ধে। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের পক্ষ থেকে অনেকগুলো মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় গ্রেপ্তারের পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ অসংখ্য নেতা-কর্মী এখনো কারাগারে।
এমন পরিস্থিতিতেও লন্ডনে বসে সরকার পতনের লক্ষ্যে একের পর এক কঠোর কর্মসূচির নির্দেশনা দিয়ে যান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। অথচ এসব কর্মসূচি পালন না করে গ্রেপ্তার এড়াতে দলের প্রথম সারির অনেক নেতা আত্মগোপনে চলে যান। এ সময় প্রথম সারির নেতারা জেলে থাকলে দ্বিতীয় সারির নেতারা দলের সার্বিক কর্মকাণ্ডে নেতৃত্ব দেবেন—এমন দলীয় সিদ্ধান্ত থাকলেও মাঠের কর্মসূচিতে কোনো উল্লেখযোগ্য নেতাকে দেখা যায়নি। সরকার পতনের আন্দোলনে কর্মসূচি প্রণয়ন নিয়ে তারেক রহমানের ভুল সিদ্ধান্তের খেসারত দিতে হয়েছে দলের নেতা-কর্মীদের। টানা নিষ্ফল হরতাল-অবরোধ ডেকে বিএনপি কেবল সাধারণ মানুষকে দুর্দশার মধ্যে ফেলেনি; একটানা কঠোর কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে সারা দেশের নেতা-কর্মীরা হাঁপিয়ে উঠেছেন; হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি ডেকে ঢাকা মহানগরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা মাঠে না থাকলেও ঢাকার বাইরের নেতারা আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। মামলা ও গ্রেপ্তারের আতঙ্ক পাশ কাটিয়ে আন্দোলন করতে গিয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে তাঁরা দুঃসহ জীবন কাটাচ্ছেন। তৃণমূল থেকে বারবার কর্মসূচি পরিবর্তনের দাবি উঠলেও তারেক রহমান এতে কর্ণপাত করেননি। এমনকি দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিনিয়র নেতারাও কর্মসূচি পরিবর্তনের ব্যাপারে বহুবার নিজেদের মত দিয়েছেন; কিন্তু তারেক রহমান তা আমলে নেননি। ফলে বর্তমান অবস্থায় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিয়মিত জেলা পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি আন্দোলন সমন্বয়ের চেষ্টা করেও খুব একটা সাড়া পাচ্ছেন না বলে শোনা যাচ্ছে।
বিএনপির হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে বিপুল ভোটে জয় পেয়েছেন ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর (বীর উত্তম) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান। বিএনপির নির্বাচনে না যাওয়ার কৌশল যে সঠিক ছিল না, এই নির্বাচনী ফলাফলে তা প্রমাণিত হয়েছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল কারও কারও কাছে প্রত্যাশিত মনে হলেও আমি মনে করি, কিছু হেভিওয়েট প্রার্থীর পরাজয়ের বিষয়টি আলাদা গুরুত্ব দিয়ে আলোচনার দাবি রাখে। পরাজিতদের মধ্যে দুই-তিনবারের সংসদ সদস্য, কেউ কেউ সাবেক ও বর্তমান মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, দলের কেন্দ্রীয় নেতা, আবার কেউ রাজনৈতিক দলের প্রধান। তাঁদের পরাজয়ের প্রধান কারণ জনবিচ্ছিন্নতা। নিজেকে মনে করতেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী। দলের তৃণমূল এমনকি জেলা-উপজেলার নেতা-কর্মীদেরও তোয়াক্কা করতেন না তাঁরা। দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেননি। নির্বাচনী এলাকায় জোটের শরিক দলের নেতা-কর্মীদের থেকেও ছিলেন বিচ্ছিন্ন। শরিকেরাও সংগঠনকে শক্ত কাঠামোয় দাঁড় করায়নি। সব সময় নজর ছিল কেন্দ্রের দিকে। দলীয় হাইকমান্ডের সন্তুষ্টির দিকে। ভেবেছিলেন, দলীয় প্রতীক পেলেই তাঁরা বিজয়ী হবেন। কিন্তু এবার ব্যতিক্রমী কৌশলের অনন্য নির্বাচনে হেরেছেন তাঁরা। কেউ তিন যুগের, কেউ দেড়-দুই যুগের সাম্রাজ্য হারিয়েছেন। এ ধরনের দেড় ডজনেরও বেশি হেভিওয়েট রাজনীতিকের বিস্ময়কর পরাজয় ও সাম্রাজ্য হারানোর নেপথ্যের কারণ চিহ্নিত করা ভবিষ্যৎ রাজনীতির জন্যই প্রয়োজন।
লেখক: রাজনীতিবিদ, লেখক; চেয়ারম্যান, বিএফডিআর

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
২৩ দিন আগে
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫বাসস, ঢাকা

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষে অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতাও শেষ হয়েছে। এখন নতুন মন্ত্রিসভার দায়িত্ব পালন শুরুর অপেক্ষা। দলীয় প্রধান শেখ হাসিনাকে সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচিত করেছে জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দল আওয়ামী লীগ। এর ফলে টানা চতুর্থবারের মতো সংসদ নেতা নির্বাচিত হলেন তিনি।
১২ জানুয়ারি ২০২৪
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষে অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতাও শেষ হয়েছে। এখন নতুন মন্ত্রিসভার দায়িত্ব পালন শুরুর অপেক্ষা। দলীয় প্রধান শেখ হাসিনাকে সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচিত করেছে জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দল আওয়ামী লীগ। এর ফলে টানা চতুর্থবারের মতো সংসদ নেতা নির্বাচিত হলেন তিনি।
১২ জানুয়ারি ২০২৪
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
২৩ দিন আগে
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষে অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতাও শেষ হয়েছে। এখন নতুন মন্ত্রিসভার দায়িত্ব পালন শুরুর অপেক্ষা। দলীয় প্রধান শেখ হাসিনাকে সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচিত করেছে জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দল আওয়ামী লীগ। এর ফলে টানা চতুর্থবারের মতো সংসদ নেতা নির্বাচিত হলেন তিনি।
১২ জানুয়ারি ২০২৪
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
২৩ দিন আগে
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষে অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতাও শেষ হয়েছে। এখন নতুন মন্ত্রিসভার দায়িত্ব পালন শুরুর অপেক্ষা। দলীয় প্রধান শেখ হাসিনাকে সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচিত করেছে জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দল আওয়ামী লীগ। এর ফলে টানা চতুর্থবারের মতো সংসদ নেতা নির্বাচিত হলেন তিনি।
১২ জানুয়ারি ২০২৪
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
২৩ দিন আগে
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫