নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক পলোগ্রাউন্ড মাঠে আজ বুধবার মহাসমাবেশ করবে বিএনপি। মহাসমাবেশে লক্ষাধিক মানুষের সমাগমের লক্ষ্যে কাজ করেছে দলটি। কয়েক মাস ধরে এমন প্রস্তুতি নেন নেতা-কর্মীরা। বেলা ২টায় এই সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
বিএনপির এই মহাসমাবেশকে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ স্বাগত জানালেও হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে। নগর আওয়ামী লীগ গত সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, বিএনপি সমাবেশের নামে জনগণের জানমালের ক্ষতিসাধনে কিছু করলে তা প্রতিহত করা হবে। উভয় দলের এমন অবস্থানে চট্টগ্রামে রাজনীতির মাঠ উত্তপ্ত থাকায় পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (জনসংযোগ) পংকজ দত্ত আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁরা (বিএনপি) সমাবেশ যাতে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করতে পারেন, সে জন্য পুলিশ সমস্ত প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। এর মধ্যে যদি কোনো বিশৃঙ্খলা কিংবা অরাজক পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করা হয়, তাহলে আমরা আমাদের কায়দায় ব্যবস্থা নেব।’
বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই সমাবেশ ঘিরে চট্টগ্রাম বিভাগের ১০ জেলা ও থানায় থানায় প্রস্তুতি সভা সম্পন্ন করেছে দলটি। কিছু সভায় কেন্দ্রীয় নেতারাও অংশ নেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের কয়েকজন চট্টগ্রামে অবস্থান করে কদিন ধরে সমাবেশের সার্বিক প্রস্তুতি তদারক করে যাচ্ছেন।
সরকারের পদত্যাগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন, সারা দেশে দলের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা-মামলা, নির্যাতন, গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে এই মহাসমাবেশ করবে বিএনপি। সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ ছাড়া দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বিভাগের অধীন ১০ জেলার নেতারা বক্তব্য দেবেন।
২০১২ সালের ৯ জানুয়ারি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে রোড মার্চ করেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এ সময় পলোগ্রাউন্ড মাঠে আয়োজিত সমাবেশে কয়েক লাখ মানুষের সমাগম ঘটেছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে ওই রোড মার্চ করা হয়।
ওই সমাবেশের সাড়ে ১০ বছর পর আজ চট্টগ্রামে একই স্থানে বিভাগীয় গণসমাবেশের প্রস্তুতি নেয় বিএনপি। ইতিমধ্যে সমাবেশ পালনের জন্য পুলিশের অনুমতি পেয়েছে দলটি।
এদিকে গত সোমবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে নগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এক সংবাদ সম্মেলন হয়। সেখানে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘ইদানীং বিএনপি সারা দেশে যেসব সভা-সমাবেশ করছে, তাতে উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে। এ কারণে আমাদের মধ্যে আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।’
আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের (বিএনপি) সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে। আমরা স্বাগত জানাই। তবে যদি সমাবেশের আড়ালে অন্য কিছু বা নাশকতা করা হয়, তবে আমাদের নেতা-কর্মীরা প্রস্তুত থাকবেন। দাঁতভাঙা জবাব দেবেন। নেতা-কর্মীদের সতর্ক অবস্থানে থাকতে বলেছি। সরকারি দল হিসেবে
জনগণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব আমাদের।’
ওই সংবাদ সম্মেলনের পরের দিন গতকাল মঙ্গলবার বিএনপির পক্ষ থেকে মহাসমাবেশ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। নগরের কাজীর দেউড়িতে দলীয় কার্যালয়ে নাসিমন ভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা কোনো ধরনের ফাঁদে পা দেব না। অনেকে চেষ্টা করবেন এদিক-সেদিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য। আমাদের শক্তি ক্ষয় করার জন্য অনেক কিছু করবেন। অনেক কিছু বলবেন, অনেক গুজব ছড়াবেন। এতে কর্ণপাত করবেন না, ধৈর্য ধরবেন। পূর্ণমাত্রার ধৈর্য ধরতে হবে। আমরা আমাদের লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাব।’
ওই সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবুল হাসেম বক্কর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অনেকে অনেক কিছু বলে থাকতে পারেন; কিন্তু কে কী বলছেন, আমরা সেদিকে কান দিচ্ছি না।’
চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক পলোগ্রাউন্ড মাঠে আজ বুধবার মহাসমাবেশ করবে বিএনপি। মহাসমাবেশে লক্ষাধিক মানুষের সমাগমের লক্ষ্যে কাজ করেছে দলটি। কয়েক মাস ধরে এমন প্রস্তুতি নেন নেতা-কর্মীরা। বেলা ২টায় এই সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
বিএনপির এই মহাসমাবেশকে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ স্বাগত জানালেও হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে। নগর আওয়ামী লীগ গত সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, বিএনপি সমাবেশের নামে জনগণের জানমালের ক্ষতিসাধনে কিছু করলে তা প্রতিহত করা হবে। উভয় দলের এমন অবস্থানে চট্টগ্রামে রাজনীতির মাঠ উত্তপ্ত থাকায় পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (জনসংযোগ) পংকজ দত্ত আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁরা (বিএনপি) সমাবেশ যাতে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করতে পারেন, সে জন্য পুলিশ সমস্ত প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। এর মধ্যে যদি কোনো বিশৃঙ্খলা কিংবা অরাজক পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করা হয়, তাহলে আমরা আমাদের কায়দায় ব্যবস্থা নেব।’
বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই সমাবেশ ঘিরে চট্টগ্রাম বিভাগের ১০ জেলা ও থানায় থানায় প্রস্তুতি সভা সম্পন্ন করেছে দলটি। কিছু সভায় কেন্দ্রীয় নেতারাও অংশ নেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের কয়েকজন চট্টগ্রামে অবস্থান করে কদিন ধরে সমাবেশের সার্বিক প্রস্তুতি তদারক করে যাচ্ছেন।
সরকারের পদত্যাগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন, সারা দেশে দলের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা-মামলা, নির্যাতন, গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে এই মহাসমাবেশ করবে বিএনপি। সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ ছাড়া দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বিভাগের অধীন ১০ জেলার নেতারা বক্তব্য দেবেন।
২০১২ সালের ৯ জানুয়ারি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে রোড মার্চ করেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এ সময় পলোগ্রাউন্ড মাঠে আয়োজিত সমাবেশে কয়েক লাখ মানুষের সমাগম ঘটেছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে ওই রোড মার্চ করা হয়।
ওই সমাবেশের সাড়ে ১০ বছর পর আজ চট্টগ্রামে একই স্থানে বিভাগীয় গণসমাবেশের প্রস্তুতি নেয় বিএনপি। ইতিমধ্যে সমাবেশ পালনের জন্য পুলিশের অনুমতি পেয়েছে দলটি।
এদিকে গত সোমবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে নগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এক সংবাদ সম্মেলন হয়। সেখানে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘ইদানীং বিএনপি সারা দেশে যেসব সভা-সমাবেশ করছে, তাতে উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে। এ কারণে আমাদের মধ্যে আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।’
আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের (বিএনপি) সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে। আমরা স্বাগত জানাই। তবে যদি সমাবেশের আড়ালে অন্য কিছু বা নাশকতা করা হয়, তবে আমাদের নেতা-কর্মীরা প্রস্তুত থাকবেন। দাঁতভাঙা জবাব দেবেন। নেতা-কর্মীদের সতর্ক অবস্থানে থাকতে বলেছি। সরকারি দল হিসেবে
জনগণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব আমাদের।’
ওই সংবাদ সম্মেলনের পরের দিন গতকাল মঙ্গলবার বিএনপির পক্ষ থেকে মহাসমাবেশ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। নগরের কাজীর দেউড়িতে দলীয় কার্যালয়ে নাসিমন ভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা কোনো ধরনের ফাঁদে পা দেব না। অনেকে চেষ্টা করবেন এদিক-সেদিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য। আমাদের শক্তি ক্ষয় করার জন্য অনেক কিছু করবেন। অনেক কিছু বলবেন, অনেক গুজব ছড়াবেন। এতে কর্ণপাত করবেন না, ধৈর্য ধরবেন। পূর্ণমাত্রার ধৈর্য ধরতে হবে। আমরা আমাদের লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাব।’
ওই সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবুল হাসেম বক্কর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অনেকে অনেক কিছু বলে থাকতে পারেন; কিন্তু কে কী বলছেন, আমরা সেদিকে কান দিচ্ছি না।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪