Ajker Patrika

প্রতিশ্রুতি নয়, পদক্ষেপের আশায়

আজকের পত্রিকা ডেস্ক
আপডেট : ১৮ অক্টোবর ২০২১, ২০: ৫৪
প্রতিশ্রুতি নয়, পদক্ষেপের আশায়

বর্তমান বিশ্বের জন্য অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ জলবায়ু পরিবর্তন। কারণ এর প্রভাবে প্রতিনিয়ত বাড়ছে দাবদাহ, ঝড়, বন্যার মতো নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যা কয়েক দশক ধরে প্রভাবিত করছে বিশ্বকে, বিশেষ করে সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে। তাই প্যারিস জলবায়ু সম্মেলনের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কপ-২৬ জলবায়ু সম্মেলনকে ঘিরে আশায় উন্মুখ হয়েছে বিশ্ববাসী। সবার আশা, বরাবরের মতো শুধু প্রতিশ্রুতিতে সীমাবদ্ধ না থেকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় এবার কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার পথে হাঁটবেন বিশ্বনেতারা।

এবারের কপ সম্মেলনে কী নিয়ে আলোচনা হতে পারে, কী ধরনের সিদ্ধান্ত আসতে পারে বা সম্মেলনটির সাফল্য বা ব্যর্থতা মানুষের দৈনন্দিন জীবনে কেমন প্রভাব ফেলতে পারে, তার বিভিন্ন দিক উঠে এসেছে বিবিসির এক বিশ্লেষণে।

কপ-২৬ কী এবং কেন

মানবসৃষ্ট কারণে নির্গত হওয়া বিপুল পরিমাণ জীবাশ্ম জ্বালানি বৈশ্বিক উষ্ণতা ক্রমাগত বাড়িয়ে তুলেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পর্কিত চরমভাবাপন্ন আবহাওয়ার কারণে দিন দিন তীব্রতর হচ্ছে দাবদাহ, বন্য, দাবানলের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়। তাই বিশ্বের ২০০ দেশের কাছে ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ কমানোর ব্যাপারে তাদের পরিকল্পনা কী তা জানতে চাওয়া হবে এবারের কপ সম্মেলনে।

কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে?

কপ-২৬ সম্মেলন শুরুর আগেই কার্বন নিঃসরণ কমানোর বিষয়ে নিজেদের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করবে বেশির ভাগ দেশ। ফলে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিশ্ব কোন পথে রয়েছে, সে বিষয়ে মোটামুটি একটি ধারণা মিলবে আগেভাগেই। তবে দুই সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠেয় এই সম্মেলনে নতুন অনেক ঘোষণাও আসতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে, যার বেশির ভাগই হতে পারে কৌশলগত। এর মধ্যে অন্যতম—বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহার বাড়ানো, পর্যায়ক্রমে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ থেকে সরে আসা, গাছ কাটা কমানো এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে আরও বেশি মানুষকে রক্ষা করা।

তর্কে-বিতর্কে ‘ন্যায়বিচার’

এ সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনগত ক্ষতিপূরণের অর্থ নিয়ে ধনী ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশ্বের ধনী দেশগুলোর তুলনায় উন্নয়নশীল দেশগুলোর মাথাপিছু কার্বন নিঃসরণের হার হওয়া সত্ত্বেও এসব দেশকেই জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে বেশি ভুগতে হচ্ছে। কার্বন নিঃসরণ কমাতে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে বিপুল অর্থও দরকার উন্নয়নশীল দেশগুলোর। তাই মনে করা হচ্ছে, কপ সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত উন্নয়নশীল দেশগুলোর ক্ষতিপূরণ নিয়েও লড়াই হবে।

কপ-২৬ সফল কি না জানব কীভাবে?

আয়োজক দেশ হিসেবে যুক্তরাজ্যের চাওয়া থাকবে ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণের হার শূন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্য পূরণের সমর্থনে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে নিঃসরণ অর্ধেকে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দৃঢ় বার্তা দেবে দেশগুলো। এ ছাড়া কয়লার ব্যবহার ও পেট্রলচালিত গাড়ি বন্ধ এবং পরিবেশ সুরক্ষায় সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতিও চাইবে দেশটি।

জলবায়ু পরিবর্তন বা ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সহায়ক হয় আগামী পাঁচ বছরে এমন একটি বড় আর্থিক প্যাকেজ চাইবে উন্নয়নশীল দেশগুলো। এর মধ্যে যেকোনো একটি প্রতিশ্রুতি পূরণ করা সম্ভব না হলে কপ-২৬ সম্মেলনের সফলতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।

যদিও অনেক বিজ্ঞানীর শঙ্কা, বিশ্বনেতারা খুব দেরি করে ফেলেছেন এবং কপ-২৬ সম্মেলনের আলোচনা থেকে যে সিদ্ধান্তই আসুক না কেন, তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখার লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পাচারের অর্থে দুবাইয়ে মেয়ের ৪৫ কোটি টাকার ফ্ল্যাট—অভিযোগ নিয়ে যা বললেন গভর্নর

সুধা সদন এখন কিশোর গ্যাং ও মাদকসেবীর আখড়া

যুক্তরাজ্যে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের শতকোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ

‘মে ডে’ কল দিয়ে নীরব হয়ে যান আহমেদাবাদে বিধ্বস্ত ফ্লাইটের পাইলট

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এখন বৈঠকে রাজি নন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত