সনি আজাদ, চারঘাট (রাজশাহী)
দেড় দশক আগে কত সমাদরেই না তাকে ঘরে তোলা হয়েছিল। কিন্তু নিজের ঘর ঠিক না হওয়ায় তাকে তখন সাময়িকভাবে ঠাঁই দেওয়া হয়েছিল বারান্দায়। সেও হয়তো ভেবেছিল, সবকিছু গোছগাছ করা হয়ে গেলে শিগগির হয়তো সে বুঝে পাবে আপন ঠিকানা। কিন্তু সেই দিন আর আসেনি। চরম অবহেলায় সেই বারান্দাতেই তার জীবন পার হয়ে গেল!
বলা হচ্ছে, রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বারান্দায় দেড় দশকের বেশি সময় ধরে পড়ে থাকা শক্তিশালী অটোক্লেভ মেশিনটির কথা। চিকিৎসা সরঞ্জাম নির্বীজন অর্থাৎ জীবাণুমুক্ত করার এই মেশটির দাম ছিল তখন প্রায় ২৬ লাখ টাকা। ২০০৫ সালের শেষ দিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া হয়েছিল মেশিনটি। কিন্তু নানা কারণে এত দিনেও কাজে লাগানো যায়নি এটি। বারান্দায় পড়ে থাকা যন্ত্রটির কার্যকারিতা এখন আর নেই বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকেরা।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তারা বলছেন, এই যন্ত্র স্থাপনের জন্য যে ধরনের অবকাঠামো প্রয়োজন, তা এখানে নেই। তা ছাড়া এটা পরিচালনার মতো দক্ষ জনবলও নেই। এই যন্ত্রের বিক্রয়োত্তর সেবার মেয়াদও ফুরিয়ে গেছে বেশ আগেই। যন্ত্রটি সরিয়ে ফেলার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগ ও মন্ত্রণালয়ে বেশ কয়েকবার চিঠি পাঠানো হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, জরুরি বিভাগের পশ্চিম পাশে বহির্বিভাগের পূর্ব গেটের সামনে পড়ে আছে অটোক্লেভ মেশনটি। অযত্নে অবহেলায় মেশিনের পেছনের অংশে মরিচা ধরেছে, মাকড়সা বাসা বেঁধেছে। বছরের পর বছর এখানেই পড়ে আছে মেশিনটি।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালের শেষের দিকে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে ট্রাকে করে অটোক্লেভ মেশিনটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। তারা ট্রাক থেকে মেশিনটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের সামনে নামিয়ে রেখে চলে যায়। পরে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একাধিকবার জানালেও মেশিনটি স্থাপনে কর্তৃপক্ষের কেউ আসেনি। বছর খানেক পর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের লোকজন মেশিনটি ধরাধরি করে মূল ভবনের ভেতরের বারান্দায় রাখে। এরপর ১৫ বছর ধরে বারান্দাতেই আছে অটোক্লেভ মেশিনটি। একদিনের জন্যও সেটা ব্যবহার করা সম্ভব হয়নি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. শহীদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চিকিৎসা সরঞ্জাম ব্যবহারের আগে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে জীবাণুমুক্ত করা প্রয়োজন। অটোক্লেভ এমন একটি ডিভাইস যা চিকিৎসা সরঞ্জাম জীবাণুমুক্ত করে। মেশিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে এটি ব্যবহারের জন্য যে ব্যবস্থাপনা দরকার সেটি আমাদের হাসপাতালে নেই। এজন্য অটোক্লেভ মেশিনটি অকেজো হয়ে পড়ে আছে।’
চারঘাট স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আশিকুর রহমান বলেন, ‘আমি দায়িত্ব গ্রহণেরও অনেক আগে থেকে অটোক্লেভ মেশিনটি ওখানে রাখা আছে। যেহেতু মেশিনটি ব্যবহার হয় না, তাই তা ফেরত পাঠানোর জন্য চেষ্টা করছি।’
দেড় দশক আগে কত সমাদরেই না তাকে ঘরে তোলা হয়েছিল। কিন্তু নিজের ঘর ঠিক না হওয়ায় তাকে তখন সাময়িকভাবে ঠাঁই দেওয়া হয়েছিল বারান্দায়। সেও হয়তো ভেবেছিল, সবকিছু গোছগাছ করা হয়ে গেলে শিগগির হয়তো সে বুঝে পাবে আপন ঠিকানা। কিন্তু সেই দিন আর আসেনি। চরম অবহেলায় সেই বারান্দাতেই তার জীবন পার হয়ে গেল!
বলা হচ্ছে, রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বারান্দায় দেড় দশকের বেশি সময় ধরে পড়ে থাকা শক্তিশালী অটোক্লেভ মেশিনটির কথা। চিকিৎসা সরঞ্জাম নির্বীজন অর্থাৎ জীবাণুমুক্ত করার এই মেশটির দাম ছিল তখন প্রায় ২৬ লাখ টাকা। ২০০৫ সালের শেষ দিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া হয়েছিল মেশিনটি। কিন্তু নানা কারণে এত দিনেও কাজে লাগানো যায়নি এটি। বারান্দায় পড়ে থাকা যন্ত্রটির কার্যকারিতা এখন আর নেই বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকেরা।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তারা বলছেন, এই যন্ত্র স্থাপনের জন্য যে ধরনের অবকাঠামো প্রয়োজন, তা এখানে নেই। তা ছাড়া এটা পরিচালনার মতো দক্ষ জনবলও নেই। এই যন্ত্রের বিক্রয়োত্তর সেবার মেয়াদও ফুরিয়ে গেছে বেশ আগেই। যন্ত্রটি সরিয়ে ফেলার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগ ও মন্ত্রণালয়ে বেশ কয়েকবার চিঠি পাঠানো হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, জরুরি বিভাগের পশ্চিম পাশে বহির্বিভাগের পূর্ব গেটের সামনে পড়ে আছে অটোক্লেভ মেশনটি। অযত্নে অবহেলায় মেশিনের পেছনের অংশে মরিচা ধরেছে, মাকড়সা বাসা বেঁধেছে। বছরের পর বছর এখানেই পড়ে আছে মেশিনটি।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালের শেষের দিকে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে ট্রাকে করে অটোক্লেভ মেশিনটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। তারা ট্রাক থেকে মেশিনটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের সামনে নামিয়ে রেখে চলে যায়। পরে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একাধিকবার জানালেও মেশিনটি স্থাপনে কর্তৃপক্ষের কেউ আসেনি। বছর খানেক পর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের লোকজন মেশিনটি ধরাধরি করে মূল ভবনের ভেতরের বারান্দায় রাখে। এরপর ১৫ বছর ধরে বারান্দাতেই আছে অটোক্লেভ মেশিনটি। একদিনের জন্যও সেটা ব্যবহার করা সম্ভব হয়নি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. শহীদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চিকিৎসা সরঞ্জাম ব্যবহারের আগে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে জীবাণুমুক্ত করা প্রয়োজন। অটোক্লেভ এমন একটি ডিভাইস যা চিকিৎসা সরঞ্জাম জীবাণুমুক্ত করে। মেশিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে এটি ব্যবহারের জন্য যে ব্যবস্থাপনা দরকার সেটি আমাদের হাসপাতালে নেই। এজন্য অটোক্লেভ মেশিনটি অকেজো হয়ে পড়ে আছে।’
চারঘাট স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আশিকুর রহমান বলেন, ‘আমি দায়িত্ব গ্রহণেরও অনেক আগে থেকে অটোক্লেভ মেশিনটি ওখানে রাখা আছে। যেহেতু মেশিনটি ব্যবহার হয় না, তাই তা ফেরত পাঠানোর জন্য চেষ্টা করছি।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
২ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫