আবির হাকিম, ঢাকা
জার্মানির নাগরিক স্টোয়া সলৎস একটি বহুজাতিক উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর্তা। সম্প্রতি সংস্থার কাজে এসেছেন বাংলাদেশে। বইয়ের প্রতি ভালোবাসা থেকে বুধবার চলে আসেন অমর একুশে বইমেলায়। অ্যাডর্ন পাবলিশার্সের স্টল থেকে বইও কেনেন এ ভিনদেশি। আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা হলে স্টোয়া বলেন, ‘বাংলাদেশে পা রেখেই বইমেলার কথা জানতে পারি। আজ তো চলেই এলাম। এত বড় আয়োজন দেখে ভালোই লাগছে; সত্যিই প্রশংসনীয়।’
স্টোয়ার মতো অনেক বিদেশি আসছেন বইমেলায়। মেলা ঘুরে পছন্দ করে কিনছেন বইও। এদিকে মেলায় বিদেশিদের আগমনকে বেশ ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন স্টলের কর্মীরা। ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেডের (ইউপিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহরুখ মহিউদ্দীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিদেশিরা আমাদের মেলায় আসছেন, এটা আমাদের জন্য গর্বের। তবে বিদেশিদের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা গেলে মেলায় তাঁদের আগমন আরও বাড়বে।’ তিনি বলেন, ‘বিদেশি পাঠকদের টানতে হলে প্রকাশকদের আরও বেশি মানসম্মত বিদেশি ভাষার বই নিয়ে আসতে হবে।’
ইউপিএলের স্টলে অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাকের পিএইচডি অভিসন্দর্ভ নিয়ে আহরার আহমেদ রচিত ‘পলিটিক্যাল পার্টিজ ইন ইন্ডিয়া’ বইটি কিনছিলেন ভারতীয় নাগরিক অতুন সাহা। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের এ সহযোগী অধ্যাপক জানান, প্রতিবছরই বাংলা একাডেমির বইমেলায় আসেন। কিন্তু করোনার কারণে গত দুই বছর আসতে পারেননি। অতুন বলেন, ‘বাংলা আমারও মাতৃভাষা। প্রাণের টানেই আমি এখানে ছুটে আসি।’ বাংলাদেশের বাইরের বই প্রকাশিত না হওয়ায় একটু হতাশাও প্রকাশ করেন তিনি। তাঁর মতে, কলকাতাসহ বিভিন্ন দেশে প্রকাশিত বাংলা বইকে এ মেলায় স্থান দিলে মেলা আরও বেশি কার্যকর হবে।
মেলায় ঘুরতে আসা বিদেশিদের আরেকজন বাংলাদেশের চীনা দূতাবাসে কর্মরত মিয়া ইয়ুন। তিনি বলেন, ‘তিন বছর এখানে থেকে মোটামুটি বাংলা শিখে গেছি। বাংলা কবিতা পড়তে ভালো লাগে আমার। কবিতার বই কিনতে এসেছি আজ।’ বিদেশি দর্শনার্থীদের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একুশে আজ আর শুধু বাঙালির নয়, সারা বিশ্বের। বাংলার প্রতি বিদেশিদের আগ্রহ রয়েছে। বইমেলাকে আন্তর্জাতিক মাত্রা দেওয়ার প্রক্রিয়াটি শুরু করা উচিত।’
এদিকে বুধবার নবম দিনের মেলায় নতুন বই এসেছে ১২২টি। মেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর: বঙ্গবন্ধু-চর্চা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক আবু মো. দেলোয়ার হোসেন। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন আসলাম সানী, মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক এবং মামুন সিদ্দিকী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ। মূল প্রবন্ধে বলা হয়, বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ একই সূত্রে গাঁথা। তাই এ তিন ক্ষেত্রে অধ্যয়ন ও চর্চা একযোগে, সমানতালে হতে পারে। তবে এ কাজ কোনো ব্যক্তির পক্ষে সম্ভব নয়, এ বিশাল দায়িত্ব প্রত্যেক বাঙালির।
জার্মানির নাগরিক স্টোয়া সলৎস একটি বহুজাতিক উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর্তা। সম্প্রতি সংস্থার কাজে এসেছেন বাংলাদেশে। বইয়ের প্রতি ভালোবাসা থেকে বুধবার চলে আসেন অমর একুশে বইমেলায়। অ্যাডর্ন পাবলিশার্সের স্টল থেকে বইও কেনেন এ ভিনদেশি। আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা হলে স্টোয়া বলেন, ‘বাংলাদেশে পা রেখেই বইমেলার কথা জানতে পারি। আজ তো চলেই এলাম। এত বড় আয়োজন দেখে ভালোই লাগছে; সত্যিই প্রশংসনীয়।’
স্টোয়ার মতো অনেক বিদেশি আসছেন বইমেলায়। মেলা ঘুরে পছন্দ করে কিনছেন বইও। এদিকে মেলায় বিদেশিদের আগমনকে বেশ ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন স্টলের কর্মীরা। ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেডের (ইউপিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহরুখ মহিউদ্দীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিদেশিরা আমাদের মেলায় আসছেন, এটা আমাদের জন্য গর্বের। তবে বিদেশিদের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা গেলে মেলায় তাঁদের আগমন আরও বাড়বে।’ তিনি বলেন, ‘বিদেশি পাঠকদের টানতে হলে প্রকাশকদের আরও বেশি মানসম্মত বিদেশি ভাষার বই নিয়ে আসতে হবে।’
ইউপিএলের স্টলে অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাকের পিএইচডি অভিসন্দর্ভ নিয়ে আহরার আহমেদ রচিত ‘পলিটিক্যাল পার্টিজ ইন ইন্ডিয়া’ বইটি কিনছিলেন ভারতীয় নাগরিক অতুন সাহা। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের এ সহযোগী অধ্যাপক জানান, প্রতিবছরই বাংলা একাডেমির বইমেলায় আসেন। কিন্তু করোনার কারণে গত দুই বছর আসতে পারেননি। অতুন বলেন, ‘বাংলা আমারও মাতৃভাষা। প্রাণের টানেই আমি এখানে ছুটে আসি।’ বাংলাদেশের বাইরের বই প্রকাশিত না হওয়ায় একটু হতাশাও প্রকাশ করেন তিনি। তাঁর মতে, কলকাতাসহ বিভিন্ন দেশে প্রকাশিত বাংলা বইকে এ মেলায় স্থান দিলে মেলা আরও বেশি কার্যকর হবে।
মেলায় ঘুরতে আসা বিদেশিদের আরেকজন বাংলাদেশের চীনা দূতাবাসে কর্মরত মিয়া ইয়ুন। তিনি বলেন, ‘তিন বছর এখানে থেকে মোটামুটি বাংলা শিখে গেছি। বাংলা কবিতা পড়তে ভালো লাগে আমার। কবিতার বই কিনতে এসেছি আজ।’ বিদেশি দর্শনার্থীদের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একুশে আজ আর শুধু বাঙালির নয়, সারা বিশ্বের। বাংলার প্রতি বিদেশিদের আগ্রহ রয়েছে। বইমেলাকে আন্তর্জাতিক মাত্রা দেওয়ার প্রক্রিয়াটি শুরু করা উচিত।’
এদিকে বুধবার নবম দিনের মেলায় নতুন বই এসেছে ১২২টি। মেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর: বঙ্গবন্ধু-চর্চা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক আবু মো. দেলোয়ার হোসেন। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন আসলাম সানী, মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক এবং মামুন সিদ্দিকী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ। মূল প্রবন্ধে বলা হয়, বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ একই সূত্রে গাঁথা। তাই এ তিন ক্ষেত্রে অধ্যয়ন ও চর্চা একযোগে, সমানতালে হতে পারে। তবে এ কাজ কোনো ব্যক্তির পক্ষে সম্ভব নয়, এ বিশাল দায়িত্ব প্রত্যেক বাঙালির।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪