জসিম উদ্দিন, নীলফামারী
দিনটি ছিল ১৯৬৯ সালের ২৩ অক্টোবর, শুক্রবার। আইয়ুববিরোধী আন্দোলনের প্রচারে অংশ নিতে ঢাকা থেকে মাইক্রোবাসে করে নীলফামারী আসেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মাঝপথে নীলফামারী-সৈয়দপুর সড়কের পাশে চৌচালা খড়ের নতুন একটি মসজিদে তিনি জুমার নামাজ পড়েন। নামাজ শেষে মুসল্লিদের উদ্দেশে শেখ মুজিব বলেন, ‘আমি শেখ মুজিবুর রহমান’। মুসল্লিরা হতবাক হয়ে গেলেন। পরে বঙ্গবন্ধু মুসল্লি উমর শেখের হাতে ৫০০ টাকা দিয়ে বলেন, ‘আমার জন্য দোয়া করবেন, আমার দল ক্ষমতায় এলে পাকা মসজিদ বানিয়ে দেব।’ পরে মুসল্লিরা মসজিদটির নামকরণ করেন ‘শেখ জামে মসজিদ’।
সেদিনের জুমার নামাজের মুসল্লি সদর উপজেলার চড়াইখোলা ইউনিয়নের পশ্চিম কুচিয়া মোড়ের বাসিন্দা ষাটোর্ধ্ব নুর উদ্দিন বলেন, আইয়ুববিরোধী আন্দোলনের প্রচারে অংশ নিতে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নীলফামারী সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এসেছিলেন। জুমার নামাজের সময় গাড়ি থেকে নেমে বঙ্গবন্ধু চৌচালা কুঁড়েঘরের নতুন এই মসজিদে নামাজ আদায় করেন। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে এক কাতারে নামাজ আদায় করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করেছি। নামাজ শেষে তিনি সবার সঙ্গে হাত মেলান ও মোলাকাত করে মসজিদের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।’
নুর উদ্দিন আরও বলেন, ওই দিন বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ছিলেন এম মনসুর আলী, তাজউদ্দীন আহমদ, এ এইচ এম কামারুজ্জামান, সৈয়দপুরের ডা. জিকরুল হক, মো. আলিম উদ্দিন, জেলা শহরের আফসার আলী, ডোমার উপজেলার আব্দুর রব, জলঢাকা উপজেলার আমিন বিএসসি ও আজাহারুল হক।
শেখ জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি আব্দুস সাত্তার ভুট্টু বলেন, ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রপতি হলে মসজিদ কমিটির লোকজন যোগাযোগ করেন। সে সময় বঙ্গবন্ধু মসজিদ সংস্কারের জন্য ২৫ হাজার টাকা দেন। সেই টাকা দিয়ে প্রথম ধাপে ইট-সিমেন্ট দিয়ে ২৪ হাত দৈর্ঘ্য ও ১৬ হাত প্রস্থের একটি পাকা টিনশেড মসজিদ ঘর নির্মাণ করা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুদানে এখন মডেল মসজিদে পরিণত হয়েছে। প্রতিবছর ১৫ আগস্ট মসজিদে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সব শহীদ সদস্যের জন্য দোয়া করা হয়।
নীলফামারী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মমতাজুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২০১৪ সালে জেলা পরিষদের অর্থায়নে ৭১ লাখ টাকা ব্যয়ে শেখ জামে মসজিদটি মডেল মসজিদ করা হয়। বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া শেখ জামে মসজিদ এখন দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্মপ্রাণ মানুষের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। যেহেতু জেলা সড়কের পাশেই বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত এ মসজিদের অবস্থান, তাই ওই সড়কে চলাচলকারী দেশি-বিদেশি মানুষের কাছে এটি একটি দর্শনীয় স্থান হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
নীলফামারীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম বলেন, পর্যটন করপোরেশনের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত স্থানগুলো সংরক্ষণের তালিকায় রয়েছে শেখ জামে মসজিদ। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজকে নিয়ে মসজিদ পরিদর্শন করে একটি প্রস্তাবনা পাঠিয়েছে। তাই শিগগিরই বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত এ মসজিদের নির্মাণকাজ শুরু হবে।
দিনটি ছিল ১৯৬৯ সালের ২৩ অক্টোবর, শুক্রবার। আইয়ুববিরোধী আন্দোলনের প্রচারে অংশ নিতে ঢাকা থেকে মাইক্রোবাসে করে নীলফামারী আসেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মাঝপথে নীলফামারী-সৈয়দপুর সড়কের পাশে চৌচালা খড়ের নতুন একটি মসজিদে তিনি জুমার নামাজ পড়েন। নামাজ শেষে মুসল্লিদের উদ্দেশে শেখ মুজিব বলেন, ‘আমি শেখ মুজিবুর রহমান’। মুসল্লিরা হতবাক হয়ে গেলেন। পরে বঙ্গবন্ধু মুসল্লি উমর শেখের হাতে ৫০০ টাকা দিয়ে বলেন, ‘আমার জন্য দোয়া করবেন, আমার দল ক্ষমতায় এলে পাকা মসজিদ বানিয়ে দেব।’ পরে মুসল্লিরা মসজিদটির নামকরণ করেন ‘শেখ জামে মসজিদ’।
সেদিনের জুমার নামাজের মুসল্লি সদর উপজেলার চড়াইখোলা ইউনিয়নের পশ্চিম কুচিয়া মোড়ের বাসিন্দা ষাটোর্ধ্ব নুর উদ্দিন বলেন, আইয়ুববিরোধী আন্দোলনের প্রচারে অংশ নিতে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নীলফামারী সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এসেছিলেন। জুমার নামাজের সময় গাড়ি থেকে নেমে বঙ্গবন্ধু চৌচালা কুঁড়েঘরের নতুন এই মসজিদে নামাজ আদায় করেন। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে এক কাতারে নামাজ আদায় করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করেছি। নামাজ শেষে তিনি সবার সঙ্গে হাত মেলান ও মোলাকাত করে মসজিদের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।’
নুর উদ্দিন আরও বলেন, ওই দিন বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ছিলেন এম মনসুর আলী, তাজউদ্দীন আহমদ, এ এইচ এম কামারুজ্জামান, সৈয়দপুরের ডা. জিকরুল হক, মো. আলিম উদ্দিন, জেলা শহরের আফসার আলী, ডোমার উপজেলার আব্দুর রব, জলঢাকা উপজেলার আমিন বিএসসি ও আজাহারুল হক।
শেখ জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি আব্দুস সাত্তার ভুট্টু বলেন, ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রপতি হলে মসজিদ কমিটির লোকজন যোগাযোগ করেন। সে সময় বঙ্গবন্ধু মসজিদ সংস্কারের জন্য ২৫ হাজার টাকা দেন। সেই টাকা দিয়ে প্রথম ধাপে ইট-সিমেন্ট দিয়ে ২৪ হাত দৈর্ঘ্য ও ১৬ হাত প্রস্থের একটি পাকা টিনশেড মসজিদ ঘর নির্মাণ করা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুদানে এখন মডেল মসজিদে পরিণত হয়েছে। প্রতিবছর ১৫ আগস্ট মসজিদে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সব শহীদ সদস্যের জন্য দোয়া করা হয়।
নীলফামারী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মমতাজুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২০১৪ সালে জেলা পরিষদের অর্থায়নে ৭১ লাখ টাকা ব্যয়ে শেখ জামে মসজিদটি মডেল মসজিদ করা হয়। বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া শেখ জামে মসজিদ এখন দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্মপ্রাণ মানুষের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। যেহেতু জেলা সড়কের পাশেই বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত এ মসজিদের অবস্থান, তাই ওই সড়কে চলাচলকারী দেশি-বিদেশি মানুষের কাছে এটি একটি দর্শনীয় স্থান হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
নীলফামারীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম বলেন, পর্যটন করপোরেশনের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত স্থানগুলো সংরক্ষণের তালিকায় রয়েছে শেখ জামে মসজিদ। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজকে নিয়ে মসজিদ পরিদর্শন করে একটি প্রস্তাবনা পাঠিয়েছে। তাই শিগগিরই বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত এ মসজিদের নির্মাণকাজ শুরু হবে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪