খান রফিক, নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন কমিটিতে শিক্ষকদের সমভাবে সুযোগ না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। লাখ লাখ টাকার এই আর্থিক কমিটিগুলোতে কোনো কোনো শিক্ষক বিশেষ সুযোগ পাচ্ছেন। এসব শিক্ষক নিজেদের বিভাগে না গিয়ে অধ্যক্ষের কার্যালয়েই পড়ে থাকেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ভাগবণ্টনে অতিমাত্রায় সুবিধাভোগী অধ্যাপক শাহ আলম হাওলাদারকে শিক্ষকেরা কলেজের ‘কন্ট্রাক্টর’ হিসেবে আখ্যায়িত করছেন। এ নিয়ে প্রায় ২০০ শিক্ষকের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তবে কলেজ কর্তৃপক্ষ এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
অনার্স প্রথম বর্ষের পরীক্ষা ১৭ অক্টোবর শুরু হচ্ছে। ওই পরীক্ষায় বিএম কলেজকেন্দ্রে অংশ নেবেন ১২টি কলেজের ৬ হাজার ৩৭৮ শিক্ষার্থী। এই পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মো. শাহ আলম হাওলাদারকে। জানা গেছে, কেন্দ্র ফি বাবদ প্রতি পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ৪৫০ টাকা নেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী ৬ হাজার ৩৭৮ পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে উত্তোলন করা হয়েছে ২৮ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। এই বিশাল অঙ্কের টাকার ৬৬ ভাগ পরীক্ষা কমিটি বণ্টন করবে। পরীক্ষা পরিচালনা খরচ, কক্ষ পরিদর্শক, ব্যবস্থাপনা খরচসহ নানা খাতে ব্যয় হয় একাংশ। অবশিষ্ট অর্থ পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়কসহ দায়িত্বশীলেরা বণ্টন করে নেন।
মাত্র এক বছর আগে অধ্যাপক মো. শাহ আলম হাওলাদার ২০১৯-২০ অর্থবছরের অনার্স প্রথম বর্ষের ভর্তি (পরীক্ষাবিহীন) কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন। ওই বছর ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১০ হাজারের বেশি। প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে আবেদন ফি বাবদ নেওয়া হয় ৩০০ টাকা। সে অনুযায়ী প্রথম বর্ষের ভর্তির আবেদন ফি উত্তোলন করা হয়েছিল প্রায় ৩০ লাখ টাকা। এর ২ ভাগ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে দিয়ে বাকি ১ ভাগ প্রতিবছর ভর্তি কমিটি বণ্টন করে।
অধ্যাপক শাহ আলম বিগত পাঁচটি স্নাতক (পাস) পরীক্ষার আহ্বায়কের দায়িত্বেও ছিলেন। পাশাপাশি অশ্বিনীকুমার ছাত্রাবাসের সুপার, বেশ কয়েকটি জাতীয় দিবসের আহ্বায়ক এবং উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের দায়িত্বে রয়েছেন শাহ আলম ও তাঁর অনুসারীরা। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রাধান্য পাচ্ছে ইসলামের ইতিহাস বিভাগ। গেল অনার্স দ্বিতীয় বর্ষ পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়কও করা হয়েছিল ইসলামের ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক আবু সাদেক মো. শাহ আলমকে।
কলেজের একাধিক শিক্ষক অভিযোগ করেছেন, তথ্যপুস্তিকা ২০২২ অনুযায়ী ২৫ জন অধ্যাপক আছেন। সুষম বণ্টন হলে এক বছর পর অধ্যাপক শাহ আলম হাওলাদার এমন একটি আর্থিক কমিটিতে স্থান কীভাবে পেলেন? তিনিসহ কয়েকজন শিক্ষক নিজ বিভাগে না গিয়ে, ক্লাস না করিয়ে অধ্যক্ষের কক্ষেই বসে থাকেন। শাহ আলম হাওলাদারের মাত্রাতিরিক্ত আর্থিক সুবিধা ভোগের কারণে শিক্ষকেরা তাঁকে কলেজের ‘কন্ট্রাক্টর’ বলে ডাকেন। শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক আল আমিন সরোয়ারও ইসলামের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক।
জানতে চাইলে কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় অনার্স পরীক্ষায় ৬ হাজার ৩৭৮ জন অংশ নেবেন। কেন্দ্র ফি কত, তা অধ্যক্ষ বলতে পারেন। আর্থিক কমিটিগুলোতে তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া প্রসঙ্গে বলেন, এসব প্রশ্নের জবাব অধ্যক্ষ দেবেন। যেসব শিক্ষক এমন অভিযোগ করেন, তাঁরা কি অধ্যক্ষকে দেখেন না, তাঁর কাছে কেন যান না!
শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক আল আমিন সরোয়ার বলেন, সব কমিটি সমবণ্টন হয়। নীতিমালা অনুযায়ী এক বছর পর যে কেউ দায়িত্ব পেতে পারেন। অধ্যাপক শাহ আলম হাওলাদার কেবল অনার্স ভর্তি এবং পরীক্ষা কমিটি নয়, পাঁচটি স্নাতক পরীক্ষা কমিটিতেও কাজ করেছেন। যাঁরা অভিযোগ করছেন, তাঁরা কাজ করতেই চান না। অবশ্য কলেজ প্রশাসনের শীর্ষ এক কর্মকর্তা বলেন, ২০০ শিক্ষকের অনেকেই বঞ্চিত হওয়ায় অসন্তোষ বাড়ছে।
এ বিষয়ে কলেজের উপাধ্যক্ষ ড. এ এস কাইয়ুম উদ্দীন আহমেদের কাছে মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে বিএম কলেজের অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া বলেন, কমিটিতে কোনো কোনো শিক্ষককে বাড়তি সুযোগ দেওয়া হয়, এমন অভিযোগ সঠিক নয়। অনেকে কমিটিতে দায়িত্ব পালনই করতে চান না। তিনি বলেন, যত কমিটি করা হয় তাতে রোটেশনে সব শিক্ষক সুযোগ পান। ইসলামের ইতিহাস নয়, সব বিভাগকেই মূল্যায়ন করা হচ্ছে।
বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন কমিটিতে শিক্ষকদের সমভাবে সুযোগ না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। লাখ লাখ টাকার এই আর্থিক কমিটিগুলোতে কোনো কোনো শিক্ষক বিশেষ সুযোগ পাচ্ছেন। এসব শিক্ষক নিজেদের বিভাগে না গিয়ে অধ্যক্ষের কার্যালয়েই পড়ে থাকেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ভাগবণ্টনে অতিমাত্রায় সুবিধাভোগী অধ্যাপক শাহ আলম হাওলাদারকে শিক্ষকেরা কলেজের ‘কন্ট্রাক্টর’ হিসেবে আখ্যায়িত করছেন। এ নিয়ে প্রায় ২০০ শিক্ষকের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তবে কলেজ কর্তৃপক্ষ এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
অনার্স প্রথম বর্ষের পরীক্ষা ১৭ অক্টোবর শুরু হচ্ছে। ওই পরীক্ষায় বিএম কলেজকেন্দ্রে অংশ নেবেন ১২টি কলেজের ৬ হাজার ৩৭৮ শিক্ষার্থী। এই পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মো. শাহ আলম হাওলাদারকে। জানা গেছে, কেন্দ্র ফি বাবদ প্রতি পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ৪৫০ টাকা নেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী ৬ হাজার ৩৭৮ পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে উত্তোলন করা হয়েছে ২৮ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। এই বিশাল অঙ্কের টাকার ৬৬ ভাগ পরীক্ষা কমিটি বণ্টন করবে। পরীক্ষা পরিচালনা খরচ, কক্ষ পরিদর্শক, ব্যবস্থাপনা খরচসহ নানা খাতে ব্যয় হয় একাংশ। অবশিষ্ট অর্থ পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়কসহ দায়িত্বশীলেরা বণ্টন করে নেন।
মাত্র এক বছর আগে অধ্যাপক মো. শাহ আলম হাওলাদার ২০১৯-২০ অর্থবছরের অনার্স প্রথম বর্ষের ভর্তি (পরীক্ষাবিহীন) কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন। ওই বছর ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১০ হাজারের বেশি। প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে আবেদন ফি বাবদ নেওয়া হয় ৩০০ টাকা। সে অনুযায়ী প্রথম বর্ষের ভর্তির আবেদন ফি উত্তোলন করা হয়েছিল প্রায় ৩০ লাখ টাকা। এর ২ ভাগ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে দিয়ে বাকি ১ ভাগ প্রতিবছর ভর্তি কমিটি বণ্টন করে।
অধ্যাপক শাহ আলম বিগত পাঁচটি স্নাতক (পাস) পরীক্ষার আহ্বায়কের দায়িত্বেও ছিলেন। পাশাপাশি অশ্বিনীকুমার ছাত্রাবাসের সুপার, বেশ কয়েকটি জাতীয় দিবসের আহ্বায়ক এবং উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের দায়িত্বে রয়েছেন শাহ আলম ও তাঁর অনুসারীরা। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রাধান্য পাচ্ছে ইসলামের ইতিহাস বিভাগ। গেল অনার্স দ্বিতীয় বর্ষ পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়কও করা হয়েছিল ইসলামের ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক আবু সাদেক মো. শাহ আলমকে।
কলেজের একাধিক শিক্ষক অভিযোগ করেছেন, তথ্যপুস্তিকা ২০২২ অনুযায়ী ২৫ জন অধ্যাপক আছেন। সুষম বণ্টন হলে এক বছর পর অধ্যাপক শাহ আলম হাওলাদার এমন একটি আর্থিক কমিটিতে স্থান কীভাবে পেলেন? তিনিসহ কয়েকজন শিক্ষক নিজ বিভাগে না গিয়ে, ক্লাস না করিয়ে অধ্যক্ষের কক্ষেই বসে থাকেন। শাহ আলম হাওলাদারের মাত্রাতিরিক্ত আর্থিক সুবিধা ভোগের কারণে শিক্ষকেরা তাঁকে কলেজের ‘কন্ট্রাক্টর’ বলে ডাকেন। শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক আল আমিন সরোয়ারও ইসলামের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক।
জানতে চাইলে কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় অনার্স পরীক্ষায় ৬ হাজার ৩৭৮ জন অংশ নেবেন। কেন্দ্র ফি কত, তা অধ্যক্ষ বলতে পারেন। আর্থিক কমিটিগুলোতে তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া প্রসঙ্গে বলেন, এসব প্রশ্নের জবাব অধ্যক্ষ দেবেন। যেসব শিক্ষক এমন অভিযোগ করেন, তাঁরা কি অধ্যক্ষকে দেখেন না, তাঁর কাছে কেন যান না!
শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক আল আমিন সরোয়ার বলেন, সব কমিটি সমবণ্টন হয়। নীতিমালা অনুযায়ী এক বছর পর যে কেউ দায়িত্ব পেতে পারেন। অধ্যাপক শাহ আলম হাওলাদার কেবল অনার্স ভর্তি এবং পরীক্ষা কমিটি নয়, পাঁচটি স্নাতক পরীক্ষা কমিটিতেও কাজ করেছেন। যাঁরা অভিযোগ করছেন, তাঁরা কাজ করতেই চান না। অবশ্য কলেজ প্রশাসনের শীর্ষ এক কর্মকর্তা বলেন, ২০০ শিক্ষকের অনেকেই বঞ্চিত হওয়ায় অসন্তোষ বাড়ছে।
এ বিষয়ে কলেজের উপাধ্যক্ষ ড. এ এস কাইয়ুম উদ্দীন আহমেদের কাছে মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে বিএম কলেজের অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া বলেন, কমিটিতে কোনো কোনো শিক্ষককে বাড়তি সুযোগ দেওয়া হয়, এমন অভিযোগ সঠিক নয়। অনেকে কমিটিতে দায়িত্ব পালনই করতে চান না। তিনি বলেন, যত কমিটি করা হয় তাতে রোটেশনে সব শিক্ষক সুযোগ পান। ইসলামের ইতিহাস নয়, সব বিভাগকেই মূল্যায়ন করা হচ্ছে।
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
২০ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫