তাজরুল ইসলাম, পীরগাছা
পীরগাছায় বাড়িতে সংরক্ষণ করে রাখা আলুতে বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়েছেন কয়েক শ চাষি। আলুর উৎপাদন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ধারণক্ষমতার হিমাগার না থাকায় তাঁরা বাড়িতে এগুলো মজুত করে রেখেছিলেন। এখন দাম না পেয়ে তাঁদের দিন কাটছে হতাশায়।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, পীরগাছায় এবার ৯ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আলু চাষ করা হয়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উৎপাদন হয়েছে ৩ লাখ ৪ হাজার ৪২৪ মেট্রিক টন।
উৎপাদিত আলুর মধ্যে উপজেলার সাতটি হিমাগারে সংরক্ষণ করা গেছে ৬২ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন। এর মধ্যে কামরুন্নাহার কোল্ডস্টোরেজে ১১ হাজার, হোমল্যান্ড কোল্ডস্টোরেজে ১০ হাজার ২০০, অপু মুনশি কোল্ডস্টোরেজে ১২ হাজার ২০০, সুপ্রিম সিড কোল্ডস্টোরেজে ১২ হাজার, কোহিনুর কোল্ডস্টোরেজে ৪ হাজার, শাহ আমানত কোল্ডস্টোরেজে সাড়ে ১০ হাজার ও করিম উদ্দিন ভরসা কোল্ডস্টোরেজে আড়াই হাজার মেট্রিক টন আলু সংরক্ষণ করা আছে।
এ ছাড়া কিছু আলু জেলার বাইরের হিমাগারে রাখা হয়েছে। কিছু বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ৫ হাজার মেট্রিক টন আলু বিদেশে রপ্তানি করা গেছে। সিংহভাগ আলু রয়ে গেছে কৃষকদের বাড়িতে। এখন বাজারে দাম কম থাকায় বাড়িতে রাখা আলু পচে বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে করে চরম লোকসানে পড়েছেন কৃষকেরা।
উপজেলার গুঞ্জর খাঁ গ্রামের আলুচাষি বোরহান কবির বলেন, ‘কোল্ডস্টোরেজের ভাড়া বেশি। কিছু আলু স্টোরে রেখে বাকিগুলো বাড়িতে রাখা হয়েছিল। পরিকল্পনা ছিল দাম বৃদ্ধি পেলে বিক্রি করা হবে। এখন এ আলু গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দাম না থাকায় বিক্রি করা যাচ্ছে না। বাড়িতে থেকে দিন দিন পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। লাভের ধন এখন পোকায় খাচ্ছে।’
অনন্তরাম গ্রামের কৃষক সাজ্জাদ হোসেন জানান, পীরগাছার হিমাগারগুলোতে জায়গা নেই। বাইরে নিতে গেলে খরচ বেশি পড়ে। তাই বাড়িতে আলু রেখে এখন মহাবিপদে পড়েছেন। মৌসুমের শুরুতেই যে দাম ছিল এখন তার চেয়ে অনেক কম। এ ছাড়া আলুতে পচন ধরায় লোকসান বেশি হচ্ছে।
আলু সংরক্ষণের বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ বলেন, মাচা পদ্ধতিতে বাড়িতে কিছুদিনের জন্য আলু রাখা গেলেও দীর্ঘদিন রাখা ঠিক নয়। অতিরিক্ত গরম ও বৃষ্টির কারণে আলুতে পচন ধরে। মৌসুমের শুরুতে আলু বিক্রি বা হিমাগারে সংরক্ষণ করা উত্তম।
যোগাযোগ করা হলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাইফুল আলম বলেন, সঠিক নিয়মে আলু রাখলে দুই থেকে তিন মাস পর্যন্ত রাখা যায়। ভরা মৌসুমে সবাই কমবেশি আলু বিক্রি করে দিয়েছেন। কৃষকদের বাড়িতে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ আলু থাকতে পারে। তবে প্রতিদিনেই তা বিক্রি করা হচ্ছে।’
পীরগাছায় বাড়িতে সংরক্ষণ করে রাখা আলুতে বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়েছেন কয়েক শ চাষি। আলুর উৎপাদন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ধারণক্ষমতার হিমাগার না থাকায় তাঁরা বাড়িতে এগুলো মজুত করে রেখেছিলেন। এখন দাম না পেয়ে তাঁদের দিন কাটছে হতাশায়।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, পীরগাছায় এবার ৯ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আলু চাষ করা হয়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উৎপাদন হয়েছে ৩ লাখ ৪ হাজার ৪২৪ মেট্রিক টন।
উৎপাদিত আলুর মধ্যে উপজেলার সাতটি হিমাগারে সংরক্ষণ করা গেছে ৬২ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন। এর মধ্যে কামরুন্নাহার কোল্ডস্টোরেজে ১১ হাজার, হোমল্যান্ড কোল্ডস্টোরেজে ১০ হাজার ২০০, অপু মুনশি কোল্ডস্টোরেজে ১২ হাজার ২০০, সুপ্রিম সিড কোল্ডস্টোরেজে ১২ হাজার, কোহিনুর কোল্ডস্টোরেজে ৪ হাজার, শাহ আমানত কোল্ডস্টোরেজে সাড়ে ১০ হাজার ও করিম উদ্দিন ভরসা কোল্ডস্টোরেজে আড়াই হাজার মেট্রিক টন আলু সংরক্ষণ করা আছে।
এ ছাড়া কিছু আলু জেলার বাইরের হিমাগারে রাখা হয়েছে। কিছু বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ৫ হাজার মেট্রিক টন আলু বিদেশে রপ্তানি করা গেছে। সিংহভাগ আলু রয়ে গেছে কৃষকদের বাড়িতে। এখন বাজারে দাম কম থাকায় বাড়িতে রাখা আলু পচে বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে করে চরম লোকসানে পড়েছেন কৃষকেরা।
উপজেলার গুঞ্জর খাঁ গ্রামের আলুচাষি বোরহান কবির বলেন, ‘কোল্ডস্টোরেজের ভাড়া বেশি। কিছু আলু স্টোরে রেখে বাকিগুলো বাড়িতে রাখা হয়েছিল। পরিকল্পনা ছিল দাম বৃদ্ধি পেলে বিক্রি করা হবে। এখন এ আলু গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দাম না থাকায় বিক্রি করা যাচ্ছে না। বাড়িতে থেকে দিন দিন পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। লাভের ধন এখন পোকায় খাচ্ছে।’
অনন্তরাম গ্রামের কৃষক সাজ্জাদ হোসেন জানান, পীরগাছার হিমাগারগুলোতে জায়গা নেই। বাইরে নিতে গেলে খরচ বেশি পড়ে। তাই বাড়িতে আলু রেখে এখন মহাবিপদে পড়েছেন। মৌসুমের শুরুতেই যে দাম ছিল এখন তার চেয়ে অনেক কম। এ ছাড়া আলুতে পচন ধরায় লোকসান বেশি হচ্ছে।
আলু সংরক্ষণের বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ বলেন, মাচা পদ্ধতিতে বাড়িতে কিছুদিনের জন্য আলু রাখা গেলেও দীর্ঘদিন রাখা ঠিক নয়। অতিরিক্ত গরম ও বৃষ্টির কারণে আলুতে পচন ধরে। মৌসুমের শুরুতে আলু বিক্রি বা হিমাগারে সংরক্ষণ করা উত্তম।
যোগাযোগ করা হলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাইফুল আলম বলেন, সঠিক নিয়মে আলু রাখলে দুই থেকে তিন মাস পর্যন্ত রাখা যায়। ভরা মৌসুমে সবাই কমবেশি আলু বিক্রি করে দিয়েছেন। কৃষকদের বাড়িতে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ আলু থাকতে পারে। তবে প্রতিদিনেই তা বিক্রি করা হচ্ছে।’
সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘দেশে বিদেশে’ বইয়ের হরফুন মৌলা বা সকল কাজের কাজী আবদুর রহমানের বলা একটি বাক্য—‘ইনহাস্ত ওয়াতানাম’—‘এই আমার জন্মভূমি’। সে কথা বলার সময় আফগানি আবদুর রহমানের চোখেমুখে যে অম্লান দ্যুতি ছড়িয়ে পড়েছিল, সে কথা দিব্যি অনুভব করে নেওয়া যায়...
২০ ঘণ্টা আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৮ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪