গাজী আব্দুল কুদ্দুস, ডুমুরিয়া
ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদের নতুন ভবনটি এখন চকচকে ও ঝকঝকে। এটি নজর কাড়ছে সবার। এর ভেতরে চালু হওয়া কর্মকর্তাদের কাজেও গতি বেড়েছে।
নান্দনিক নকশায় অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত পাঁচতলাবিশিষ্ট উপজেলা কমপ্লেক্স এর সম্প্রসারিত প্রশাসনিক ভবনটি নির্মাণে সরকারের ব্যয় হয়েছে সাত কোটি ৬০ লাখ ৮৩ হাজার ৯১৯ টাকা।
উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডকে গতিশীল করতে একই ছাদের নিচে জনসাধারণের সব ধরনের সেবা নিশ্চিত করতে সরকারি উদ্যোগে এ ভবন নির্মাণ করা হয়। জানা গেছে, উপজেলা পরিষদের পুরাতন জরাজীর্ণ ভবনে বসে কাজ করতে কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সেবা গ্রহণকারীদের নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হতো।
বেশির ভাগ কক্ষে ছাদে ফাটল হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার সৃষ্টি হয়। অনেক কক্ষে বৃষ্টির পানিও পড়ত। এসব সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তারই আলোকে স্থানীয় সংসদ সদস্য সাবেক মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ্রের আন্তরিক প্রচেষ্টায় উপজেলা পরিষদ ভবনটি আজ আধুনিক রূপ পেয়েছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের অর্থায়নে ২০১৭ সালের ২০ নভেম্বর এশা-এমবিপিএল মহিউদ্দিন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ভবন নির্মাণকাজ শুরু হয়। ভবনটির ভিত্তিপ্রস্থর কাজের উদ্বোধন করেন সাবেক মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র। কাজটি বাস্তবায়ন করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী (এলজিইডি)। ভবনটি গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর ডুমুরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বুঝে নেন।
এইচ প্যাটার্নের দুই বে বিশিষ্ট পাঁচ তলা ভবনের প্রতিটি বে’তে পাঁচটি কক্ষ, দুইটিতে এটাস্ট বাথরুম ও একটি কমন বাথরুম আছে। অর্থাৎ প্রতি তলাতে রয়েছে ১০টি কক্ষসহ পর্যাপ্ত টয়লেট। যার পঞ্চম তলায় কৃষি সম্প্রসারণ, যুব উন্নয়ন ও সমবায় অফিস, চতুর্থ তলায় উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়, একটি ট্রেনিং/মিটিং রুম, তৃতীয় তলায় উপজেলা নির্বাহী অফিস ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কার্যালয়, দ্বিতীয় তলায় ভাইস চেয়ারম্যান দ্বয়ের অফিস ও ইউএনও’র অফিস রয়েছে।
ভবনের প্রতিটি কক্ষ অত্যন্ত খোলামেলা এবং পরিবেশবান্ধব। এ ছাড়া গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য রয়েছে সু-ব্যবস্থা। এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকৌশলী মো. রবিউল ইসলাম বলেন, উপজেলা পরিষদের নতুন এ ভবনটি অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন হয়েছে। এ ভবনে পরিষদের সব প্রধান দপ্তরগুলো স্থানান্তর করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ ভবন নির্মাণের ফলে জনসাধারণ বিশেষভাবে উপকৃত হবে। বিভিন্ন দপ্তরে দপ্তরে তাদের আর দৌড়ানো লাগবে না। এখন থেকে এক ভবনেই সকল সেবা পাবেন। ডুমুরিয়া দুর্যোগ প্রবণ এলাকা। যে কারণে ভবনটির নিচে ফাঁকা রাখা হয়েছে। দুর্যোগকালীন ডুমুরিয়াবাসী এখানে আশ্রয় নিতে পারবেন। তা ছাড়া কৃষিপণ্য বা গবাদিপশুও এখানে আশ্রয়ে রাখা যাবে। সে আলোকেই ভবনটি তৈরি করা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মোছাদ্দেক হোসেন বলেন, পুরাতন ভবনে আমাদের কাজ করতে অনেক কষ্ট হতো। নতুন এ ভবনে এসে কাজেরও গতি বেড়েছে। একই স্থানে বসে জনগণকে সকল সেবা দেওয়া সহজ হচ্ছে। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গাজী আব্দুল হালিম বলেন, ভবনের দ্বিতীয় তলায় এটাস্ট বাথরুমসহ একটি মানসম্মত অফিস পেয়ে আমি খুবই খুশি। দৃষ্টিনন্দন এ ভবনটি সাধারণ মানুষের নজর কাড়ছে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবদুল ওয়াদুদ বলেন, নতুন এই ভবনে একই ছাদের নিচে জনগণ অনেক সেবা নিতে পারবে। যেহেতু ভবনটি সাইক্লোন শেল্টার কাম অফিস, সেহেতু দুর্যোগ ও ঘূর্ণিঝড়ের সময় স্থানীয় জনগণ এখানে আশ্রয় নিতে পারবে।
ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদের নতুন ভবনটি এখন চকচকে ও ঝকঝকে। এটি নজর কাড়ছে সবার। এর ভেতরে চালু হওয়া কর্মকর্তাদের কাজেও গতি বেড়েছে।
নান্দনিক নকশায় অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত পাঁচতলাবিশিষ্ট উপজেলা কমপ্লেক্স এর সম্প্রসারিত প্রশাসনিক ভবনটি নির্মাণে সরকারের ব্যয় হয়েছে সাত কোটি ৬০ লাখ ৮৩ হাজার ৯১৯ টাকা।
উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডকে গতিশীল করতে একই ছাদের নিচে জনসাধারণের সব ধরনের সেবা নিশ্চিত করতে সরকারি উদ্যোগে এ ভবন নির্মাণ করা হয়। জানা গেছে, উপজেলা পরিষদের পুরাতন জরাজীর্ণ ভবনে বসে কাজ করতে কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সেবা গ্রহণকারীদের নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হতো।
বেশির ভাগ কক্ষে ছাদে ফাটল হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার সৃষ্টি হয়। অনেক কক্ষে বৃষ্টির পানিও পড়ত। এসব সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তারই আলোকে স্থানীয় সংসদ সদস্য সাবেক মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ্রের আন্তরিক প্রচেষ্টায় উপজেলা পরিষদ ভবনটি আজ আধুনিক রূপ পেয়েছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের অর্থায়নে ২০১৭ সালের ২০ নভেম্বর এশা-এমবিপিএল মহিউদ্দিন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ভবন নির্মাণকাজ শুরু হয়। ভবনটির ভিত্তিপ্রস্থর কাজের উদ্বোধন করেন সাবেক মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র। কাজটি বাস্তবায়ন করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী (এলজিইডি)। ভবনটি গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর ডুমুরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বুঝে নেন।
এইচ প্যাটার্নের দুই বে বিশিষ্ট পাঁচ তলা ভবনের প্রতিটি বে’তে পাঁচটি কক্ষ, দুইটিতে এটাস্ট বাথরুম ও একটি কমন বাথরুম আছে। অর্থাৎ প্রতি তলাতে রয়েছে ১০টি কক্ষসহ পর্যাপ্ত টয়লেট। যার পঞ্চম তলায় কৃষি সম্প্রসারণ, যুব উন্নয়ন ও সমবায় অফিস, চতুর্থ তলায় উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়, একটি ট্রেনিং/মিটিং রুম, তৃতীয় তলায় উপজেলা নির্বাহী অফিস ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কার্যালয়, দ্বিতীয় তলায় ভাইস চেয়ারম্যান দ্বয়ের অফিস ও ইউএনও’র অফিস রয়েছে।
ভবনের প্রতিটি কক্ষ অত্যন্ত খোলামেলা এবং পরিবেশবান্ধব। এ ছাড়া গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য রয়েছে সু-ব্যবস্থা। এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকৌশলী মো. রবিউল ইসলাম বলেন, উপজেলা পরিষদের নতুন এ ভবনটি অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন হয়েছে। এ ভবনে পরিষদের সব প্রধান দপ্তরগুলো স্থানান্তর করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ ভবন নির্মাণের ফলে জনসাধারণ বিশেষভাবে উপকৃত হবে। বিভিন্ন দপ্তরে দপ্তরে তাদের আর দৌড়ানো লাগবে না। এখন থেকে এক ভবনেই সকল সেবা পাবেন। ডুমুরিয়া দুর্যোগ প্রবণ এলাকা। যে কারণে ভবনটির নিচে ফাঁকা রাখা হয়েছে। দুর্যোগকালীন ডুমুরিয়াবাসী এখানে আশ্রয় নিতে পারবেন। তা ছাড়া কৃষিপণ্য বা গবাদিপশুও এখানে আশ্রয়ে রাখা যাবে। সে আলোকেই ভবনটি তৈরি করা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মোছাদ্দেক হোসেন বলেন, পুরাতন ভবনে আমাদের কাজ করতে অনেক কষ্ট হতো। নতুন এ ভবনে এসে কাজেরও গতি বেড়েছে। একই স্থানে বসে জনগণকে সকল সেবা দেওয়া সহজ হচ্ছে। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গাজী আব্দুল হালিম বলেন, ভবনের দ্বিতীয় তলায় এটাস্ট বাথরুমসহ একটি মানসম্মত অফিস পেয়ে আমি খুবই খুশি। দৃষ্টিনন্দন এ ভবনটি সাধারণ মানুষের নজর কাড়ছে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবদুল ওয়াদুদ বলেন, নতুন এই ভবনে একই ছাদের নিচে জনগণ অনেক সেবা নিতে পারবে। যেহেতু ভবনটি সাইক্লোন শেল্টার কাম অফিস, সেহেতু দুর্যোগ ও ঘূর্ণিঝড়ের সময় স্থানীয় জনগণ এখানে আশ্রয় নিতে পারবে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৭ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪