সম্পাদকীয়
অবিশ্বস্ত সামরিক বাহিনীর ওপর নির্ভরশীলতা ও সখ্য একটি দেশকে কোথায় নিয়ে যেতে পারে, তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ মিয়ানমার। একসময়ের অবিসংবাদিত নেতা অং সান সু চির এখন যে হাল, তা প্রমাণ করে গণতন্ত্রের সঙ্গে স্বৈরতন্ত্রের মাখামাখি একটি দেশের মানুষকে কীভাবে নিঃস্ব করে দেয়। খবর বেরিয়েছে, অং সান সু চির বিরুদ্ধে যে বিচার চলছে তাতে সব মিলিয়ে এক শ বছরের জেলও হতে পারে এই নেত্রীর। এমনকি মামুলি ওয়াকিটকি ব্যবহার ও আমদানি মামলায় তাঁর সাজা হয়েছে । মামলা চলছে করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলা নিয়েও। সহজেই বোঝা যাচ্ছে, সামরিক বাহিনী সু চিকে আর রাজনীতির মাঠে দেখতে চায় না।
প্রায় পনেরো বছর বন্দিজীবন কাটিয়ে সারা বিশ্বের রাজনীতিবিদদের মধ্যে গণতন্ত্রের প্রতি একনিষ্ঠ হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছিলেন সু চি। তাঁকে একসময় মানবাধিকারের বাতিঘর বলেও আখ্যায়িত করা হয়েছে। এ কথা বলা অন্যায় হবে না, সু চি দশকের পর দশক ধরে মিয়ানমারের ক্ষমতায় থাকা জেনারেলদের চ্যালেঞ্জ করেছেন। ফলে এই জেনারেলরা বাইরের জগৎ থেকে সু চিকে নির্বাসিত করেছিল।
মাত্র দুই বছর বয়সে মিয়ানমারের স্বাধীনতার নায়ক বাবাকে হারিয়েছিলেন তিনি। বেড়ে ওঠার সময়টাতেই বাবার রাজনৈতিক আদর্শ ধারণ করে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। অর্জন করেছেন নোবেল পুরস্কার। ২০১৫ সালের নভেম্বরে ২৫ বছরের মধ্যে প্রথমবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অংশ নিয়ে তাঁর দল এনএলডি (ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি) বড় ধরনের জয় পায়। যদিও মিয়ানমারের সংসদে সেনাবাহিনীর একটা প্রভাব সব সময়ই থেকে যায়; তারপরও বলা যায় একটু বিবেচক হলেই সু চি সেনানির্ভরতা থেকে দেশকে বের করে আনতে পারতেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের ব্যাপার, ২০১৭ সালে রাখাইন রাজ্যে পুলিশ স্টেশনে প্রাণঘাতী হামলার পর মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন শুরু করে। যার ফলে লাখ লাখ রোহিঙ্গা প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয় এবং সারা বিশ্ব অবাক হয়ে লক্ষ করে, যাকে গণতন্ত্রের একজন অকুতোভয় সৈনিক হিসেবে দেখা হয়েছিল, সেই সু চি রোহিঙ্গাদের ওপর চলা বর্বরতা তথা ধর্ষণ, হত্যা এবং সম্ভাব্য গণহত্যা রুখতে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেননি।
শুধু তা-ই নয়, তিনি ক্ষমতাধর সামরিক বাহিনীর কোনো নিন্দা করেননি। তবে সু চির গণতান্ত্রিক ভাবমূর্তির কফিনে সর্বশেষ পেরেকটি ঠোকা হয়ে যায় ২০১৯ সালে হেগে আন্তর্জাতিক বিচারাদালতে অনুষ্ঠিত শুনানিতে। সেখানে তিনি যখন সামরিক পদক্ষেপের বিষয়ে সাফাই গান, তখনই সবাই বুঝতে পারে এই সু চি পুরোপুরি সমরতন্ত্র তথা সামরিক বাহিনীর করতলগত হয়ে গেছেন এবং এরপর ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখল ও সু চিকে গ্রেপ্তার এ কথাই বুঝিয়ে দেয় যে মিয়ানমার সামরিকতন্ত্রের বাইরে বেরিয়ে আসতে পারেনি।
ফলে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের মতো মৌলিক বিষয়ে অঙ্গীকার থেকে বিচ্যুত হওয়ার দায় টানতে হচ্ছে সু চিকেই।
অবিশ্বস্ত সামরিক বাহিনীর ওপর নির্ভরশীলতা ও সখ্য একটি দেশকে কোথায় নিয়ে যেতে পারে, তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ মিয়ানমার। একসময়ের অবিসংবাদিত নেতা অং সান সু চির এখন যে হাল, তা প্রমাণ করে গণতন্ত্রের সঙ্গে স্বৈরতন্ত্রের মাখামাখি একটি দেশের মানুষকে কীভাবে নিঃস্ব করে দেয়। খবর বেরিয়েছে, অং সান সু চির বিরুদ্ধে যে বিচার চলছে তাতে সব মিলিয়ে এক শ বছরের জেলও হতে পারে এই নেত্রীর। এমনকি মামুলি ওয়াকিটকি ব্যবহার ও আমদানি মামলায় তাঁর সাজা হয়েছে । মামলা চলছে করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলা নিয়েও। সহজেই বোঝা যাচ্ছে, সামরিক বাহিনী সু চিকে আর রাজনীতির মাঠে দেখতে চায় না।
প্রায় পনেরো বছর বন্দিজীবন কাটিয়ে সারা বিশ্বের রাজনীতিবিদদের মধ্যে গণতন্ত্রের প্রতি একনিষ্ঠ হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছিলেন সু চি। তাঁকে একসময় মানবাধিকারের বাতিঘর বলেও আখ্যায়িত করা হয়েছে। এ কথা বলা অন্যায় হবে না, সু চি দশকের পর দশক ধরে মিয়ানমারের ক্ষমতায় থাকা জেনারেলদের চ্যালেঞ্জ করেছেন। ফলে এই জেনারেলরা বাইরের জগৎ থেকে সু চিকে নির্বাসিত করেছিল।
মাত্র দুই বছর বয়সে মিয়ানমারের স্বাধীনতার নায়ক বাবাকে হারিয়েছিলেন তিনি। বেড়ে ওঠার সময়টাতেই বাবার রাজনৈতিক আদর্শ ধারণ করে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। অর্জন করেছেন নোবেল পুরস্কার। ২০১৫ সালের নভেম্বরে ২৫ বছরের মধ্যে প্রথমবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অংশ নিয়ে তাঁর দল এনএলডি (ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি) বড় ধরনের জয় পায়। যদিও মিয়ানমারের সংসদে সেনাবাহিনীর একটা প্রভাব সব সময়ই থেকে যায়; তারপরও বলা যায় একটু বিবেচক হলেই সু চি সেনানির্ভরতা থেকে দেশকে বের করে আনতে পারতেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের ব্যাপার, ২০১৭ সালে রাখাইন রাজ্যে পুলিশ স্টেশনে প্রাণঘাতী হামলার পর মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন শুরু করে। যার ফলে লাখ লাখ রোহিঙ্গা প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয় এবং সারা বিশ্ব অবাক হয়ে লক্ষ করে, যাকে গণতন্ত্রের একজন অকুতোভয় সৈনিক হিসেবে দেখা হয়েছিল, সেই সু চি রোহিঙ্গাদের ওপর চলা বর্বরতা তথা ধর্ষণ, হত্যা এবং সম্ভাব্য গণহত্যা রুখতে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেননি।
শুধু তা-ই নয়, তিনি ক্ষমতাধর সামরিক বাহিনীর কোনো নিন্দা করেননি। তবে সু চির গণতান্ত্রিক ভাবমূর্তির কফিনে সর্বশেষ পেরেকটি ঠোকা হয়ে যায় ২০১৯ সালে হেগে আন্তর্জাতিক বিচারাদালতে অনুষ্ঠিত শুনানিতে। সেখানে তিনি যখন সামরিক পদক্ষেপের বিষয়ে সাফাই গান, তখনই সবাই বুঝতে পারে এই সু চি পুরোপুরি সমরতন্ত্র তথা সামরিক বাহিনীর করতলগত হয়ে গেছেন এবং এরপর ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখল ও সু চিকে গ্রেপ্তার এ কথাই বুঝিয়ে দেয় যে মিয়ানমার সামরিকতন্ত্রের বাইরে বেরিয়ে আসতে পারেনি।
ফলে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের মতো মৌলিক বিষয়ে অঙ্গীকার থেকে বিচ্যুত হওয়ার দায় টানতে হচ্ছে সু চিকেই।
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫