রানা আব্বাস, পুনে থেকে
বিশ্বকাপযাত্রার শেষ ম্যাচেও বাংলাদেশের হার। পুনেতে কাল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ ম্যাচে সংবাদ সম্মেলনে এলেন বাংলাদেশ দলের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তাঁর সংবাদ সম্মেলনের প্রায় পুরোটাই এখানে—
প্রশ্ন: ব্যাটিং অর্ডারের অস্থিতিশীলতা কতটা ভুগিয়েছে বিশ্বকাপে?
নাজমুল হোসেন শান্ত: ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে কোনো ব্যাটারের অভিযোগ ছিল না। যেভাবে এসেছিলাম, ওই জায়গায় যদি একই রকম থাকত, ভিন্ন কিছু হলেও হতে পারত। ওটা হলেই যে আমরা সাফল্য পেতাম, তা ঠিক নয় । আবার একই রকম থাকলে সাফল্য অনেক সময় বেশি থাকে। আসলে এখন এটা নিয়ে কথা বলার মানেই নেই।
প্রশ্ন: ৩০০+ করেও কখনো মনে হয়নি অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশ ম্যাচে আছে। কোথায় সমস্যা ছিল?
শান্ত: আমরা জেতার জন্যই শুরু করেছিলাম। যেভাবে শুরু করেছিলাম, এখান থেকে জেতা উচিত ছিল। ব্যাটিংয়ে দুটি রান আউট আর বোলিংয়ে মাঝের ওভারগুলোয় ভালো করিনি।
প্রশ্ন: ওয়ানডেতে ভালো উইকেটে ৩৫০-৪০০ রান করার সামর্থ্য নেই, এই উপলব্ধি নিয়ে দেশে ফিরছেন?
শান্ত: দেখুন, এ রকম বোলিংয়ের বিপক্ষে আজ আমরা ৩০০ করেছি। একটু আগে যেটা বললাম, রান আউট দুটি যদি না হতো বা মাঝে যদি একটা বড় জুটি হতো, তাহলে আমরা ওখান থেকে সাড়ে তিন শই করতাম। আমার মনে হয়, ওই আত্মবিশ্বাসটা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে আছে যে এ রকম কোয়ালিটি বোলিংয়ের বিপক্ষে ৩০০ করেছি। এটাও সত্য যে আমরা যত ভালো উইকেটে খেলব...ওই অভ্যাসটা দরকার। জানি কীভাবে ২৬০ রান করতে হয়। কীভাবে ৩০০ আমরা করতে পারি, ওই অভ্যাসটা যদি তৈরি হয়, তাহলে ৩০০-৩৫০ নিয়মিত করতে পারব।
প্রশ্ন: পুনেতেই আবারও অধিনায়কত্ব আর বিশ্বকাপে ব্যক্তিগত উপলব্ধি কী?
শান্ত: পুনেতে অধিনায়কত্বের বিষয়টি নিয়ে বেশি কিছু বলার নেই। অনেক কিছু শিখতে পেরেছি, আমার প্রথম বিশ্বকাপ ছিল। বড় বড় দলের বিপক্ষে খেললাম এ রকম পরিবেশে খেলা। এই অভিজ্ঞতাটা কাজে দেবে ব্যাটিংয়ে। মাঝে ৫-৬ ম্যাচ একেবারেই ভালো হয়নি। কী কী ভুল ছিল বা অন্য বড় দলের ব্যাটাররা টপ অর্ডারে কীভাবে রান করছিল, অনেক কিছুর অভিজ্ঞতা হয়েছে। ওখান থেকে কীভাবে সামনে উন্নতি করতে পারি, মূল বিষয় হবে সেটাই। সামনে যদি সুযোগ আসে।
প্রশ্ন: ভবিষ্যতেও অধিনায়কত্ব করতে চান?
শান্ত: অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। ভবিষ্যতে অনেক কাজে দেবে। বেশ কদিন ধরে তো (অধিনায়কত্ব) করছি। ব্যক্তিগতভাবে আমি প্রস্তুত। যদি সুযোগ আসে, অবশ্যই ভালোভাবে করতে প্রস্তুত।
প্রশ্ন: বিসিবির প্রতি আপনার কী বার্তা থাকবে বিশ্বকাপে এই ব্যর্থতার পর?
শান্ত: সবাই দেখেছি, আমরা কী অবস্থায় আছি। যত খারাপ ব্যাটিং করেছি, এত খারাপ দল আমরা নই। প্রস্তুতি ঠিক ছিল, তবে ফল আসেনি। আশা করব, সামনে যখন আমরা সাদা বলের ক্রিকেট খেলব, ওয়ানডে হোক বা টি-টোয়েন্টি—প্রতিটিতে উইকেট যেন ভালো হয় এবং স্পোর্টিং উইকেট হয়। সে ক্ষেত্রে যেটা হবে, বোলাররাও আরও উন্নতি করতে পারবে যে ভালো উইকেটে কীভাবে ৩০০ রান ডিফেন্ড করব। ভালো উইকেট মানে এই না যে প্রতি ম্যাচে সাড়ে ৩৫০ রান হবে। ৩০০ রানও ডিফেন্ড করা সম্ভব। তাহলে ব্যাটিং, বোলিং—দুটোরই উন্নতি হবে। ক্রিকেট বোর্ড এটা হয়তো খেয়াল করেছে। আমাদের ওই রকম উইকেট সরবরাহ করবে বলে আশা করছি।
প্রশ্ন: ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা কি বেশিই হলো বিশ্বকাপে?
শান্ত: না করলেই ভালো। কিছু কিছু দলের বিপক্ষে অনেক সময় করতে হয়, ওই দলের শক্তি অনুযায়ী। তবে যত কম করা যায় তত ভালো। এই বিশ্বকাপে অনেক বেশি করা হয়েছে। এটার পেছনেও ভালো কিছু করেই করা হয়েছে, সত্যি বলতে। প্রতিপক্ষ দলের শক্তি অনুযায়ী করা হয়েছে। তবে যত কম করা যায়, না করলে সবচেয়ে ভালো হয়।
বিশ্বকাপযাত্রার শেষ ম্যাচেও বাংলাদেশের হার। পুনেতে কাল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ ম্যাচে সংবাদ সম্মেলনে এলেন বাংলাদেশ দলের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তাঁর সংবাদ সম্মেলনের প্রায় পুরোটাই এখানে—
প্রশ্ন: ব্যাটিং অর্ডারের অস্থিতিশীলতা কতটা ভুগিয়েছে বিশ্বকাপে?
নাজমুল হোসেন শান্ত: ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে কোনো ব্যাটারের অভিযোগ ছিল না। যেভাবে এসেছিলাম, ওই জায়গায় যদি একই রকম থাকত, ভিন্ন কিছু হলেও হতে পারত। ওটা হলেই যে আমরা সাফল্য পেতাম, তা ঠিক নয় । আবার একই রকম থাকলে সাফল্য অনেক সময় বেশি থাকে। আসলে এখন এটা নিয়ে কথা বলার মানেই নেই।
প্রশ্ন: ৩০০+ করেও কখনো মনে হয়নি অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশ ম্যাচে আছে। কোথায় সমস্যা ছিল?
শান্ত: আমরা জেতার জন্যই শুরু করেছিলাম। যেভাবে শুরু করেছিলাম, এখান থেকে জেতা উচিত ছিল। ব্যাটিংয়ে দুটি রান আউট আর বোলিংয়ে মাঝের ওভারগুলোয় ভালো করিনি।
প্রশ্ন: ওয়ানডেতে ভালো উইকেটে ৩৫০-৪০০ রান করার সামর্থ্য নেই, এই উপলব্ধি নিয়ে দেশে ফিরছেন?
শান্ত: দেখুন, এ রকম বোলিংয়ের বিপক্ষে আজ আমরা ৩০০ করেছি। একটু আগে যেটা বললাম, রান আউট দুটি যদি না হতো বা মাঝে যদি একটা বড় জুটি হতো, তাহলে আমরা ওখান থেকে সাড়ে তিন শই করতাম। আমার মনে হয়, ওই আত্মবিশ্বাসটা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে আছে যে এ রকম কোয়ালিটি বোলিংয়ের বিপক্ষে ৩০০ করেছি। এটাও সত্য যে আমরা যত ভালো উইকেটে খেলব...ওই অভ্যাসটা দরকার। জানি কীভাবে ২৬০ রান করতে হয়। কীভাবে ৩০০ আমরা করতে পারি, ওই অভ্যাসটা যদি তৈরি হয়, তাহলে ৩০০-৩৫০ নিয়মিত করতে পারব।
প্রশ্ন: পুনেতেই আবারও অধিনায়কত্ব আর বিশ্বকাপে ব্যক্তিগত উপলব্ধি কী?
শান্ত: পুনেতে অধিনায়কত্বের বিষয়টি নিয়ে বেশি কিছু বলার নেই। অনেক কিছু শিখতে পেরেছি, আমার প্রথম বিশ্বকাপ ছিল। বড় বড় দলের বিপক্ষে খেললাম এ রকম পরিবেশে খেলা। এই অভিজ্ঞতাটা কাজে দেবে ব্যাটিংয়ে। মাঝে ৫-৬ ম্যাচ একেবারেই ভালো হয়নি। কী কী ভুল ছিল বা অন্য বড় দলের ব্যাটাররা টপ অর্ডারে কীভাবে রান করছিল, অনেক কিছুর অভিজ্ঞতা হয়েছে। ওখান থেকে কীভাবে সামনে উন্নতি করতে পারি, মূল বিষয় হবে সেটাই। সামনে যদি সুযোগ আসে।
প্রশ্ন: ভবিষ্যতেও অধিনায়কত্ব করতে চান?
শান্ত: অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। ভবিষ্যতে অনেক কাজে দেবে। বেশ কদিন ধরে তো (অধিনায়কত্ব) করছি। ব্যক্তিগতভাবে আমি প্রস্তুত। যদি সুযোগ আসে, অবশ্যই ভালোভাবে করতে প্রস্তুত।
প্রশ্ন: বিসিবির প্রতি আপনার কী বার্তা থাকবে বিশ্বকাপে এই ব্যর্থতার পর?
শান্ত: সবাই দেখেছি, আমরা কী অবস্থায় আছি। যত খারাপ ব্যাটিং করেছি, এত খারাপ দল আমরা নই। প্রস্তুতি ঠিক ছিল, তবে ফল আসেনি। আশা করব, সামনে যখন আমরা সাদা বলের ক্রিকেট খেলব, ওয়ানডে হোক বা টি-টোয়েন্টি—প্রতিটিতে উইকেট যেন ভালো হয় এবং স্পোর্টিং উইকেট হয়। সে ক্ষেত্রে যেটা হবে, বোলাররাও আরও উন্নতি করতে পারবে যে ভালো উইকেটে কীভাবে ৩০০ রান ডিফেন্ড করব। ভালো উইকেট মানে এই না যে প্রতি ম্যাচে সাড়ে ৩৫০ রান হবে। ৩০০ রানও ডিফেন্ড করা সম্ভব। তাহলে ব্যাটিং, বোলিং—দুটোরই উন্নতি হবে। ক্রিকেট বোর্ড এটা হয়তো খেয়াল করেছে। আমাদের ওই রকম উইকেট সরবরাহ করবে বলে আশা করছি।
প্রশ্ন: ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা কি বেশিই হলো বিশ্বকাপে?
শান্ত: না করলেই ভালো। কিছু কিছু দলের বিপক্ষে অনেক সময় করতে হয়, ওই দলের শক্তি অনুযায়ী। তবে যত কম করা যায় তত ভালো। এই বিশ্বকাপে অনেক বেশি করা হয়েছে। এটার পেছনেও ভালো কিছু করেই করা হয়েছে, সত্যি বলতে। প্রতিপক্ষ দলের শক্তি অনুযায়ী করা হয়েছে। তবে যত কম করা যায়, না করলে সবচেয়ে ভালো হয়।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৪ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪