শিপুল ইসলাম, তারাগঞ্জ
প্রথম রোজার দিন গতকাল রোববার তারাগঞ্জে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত প্যাডেল মেরে ২৫০ টাকা রোজগার করেন যাত্রীবাহী ভ্যানের চালক খয়বার হোসেন। সেই টাকায় চাল, সবজি আর মসলা কিনে বেঁধে নেন গামছায়। বাড়ি ফেরার পথে অগ্রণী ব্যাংকের মোড়ে ইফতারে তৃষ্ণা মেটানোর জন্য নামেন তরমুজ কিনতে। বিক্রেতা প্রতি কেজির দাম হাঁকেন ৫০ টাকা। সেই তরমুজ কিনতে না পেরে পাশের দোকান থেকে দুটি টেস্টি স্যালাইন কেনেন। সেখানেও দেখা যায় কোনো কারণ ছাড়াই পাঁচ টাকার স্যালাইন ছয় টাকা করে নেন বিক্রেতা।
খয়বার আক্ষেপ করে জানান, আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের হিসাব মিলছে না। এমনিতে সবকিছুর দাম চড়া, তার ওপর রোজায় ফের প্রতিটি জিনিসের দর বৃদ্ধি পেয়েছে। একটি লেবু ১০ টাকা, তরমুজ ৫০ টাকা কেজি, তাও এক কেজিতে পাওয়া যায় না। নিম্ন আয়ের মানুষের রোজা রেখে তৃষ্ণা মেটাতেও কষ্ট হচ্ছে।
শুধু খয়বার নয়, তাঁর মতো উপজেলার নিম্ন ও মধ্য আয়ের সব পরিবার ঊর্ধ্বমুখী বাজারে আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সামঞ্জস্য করতে না পেরে দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
তারাগঞ্জ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি চাল মোটা ৩৫ থেকে ৩৮, স্বর্ণা ৪০ থেকে ৪৪ ও মিনিকেট ৬২ থেকে ৬৪ ও খোলা আটা ৩২ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া খোলা সয়াবিন তেল ১৬০ টাকা লিটার ও ডিম ৩৪ টাকা হালি কিনতে হচ্ছে। প্রতি কেজি মসুর ডাল ১১০ থেকে ১২০, চিনি ৮০, ছোলা বুট ৯৫ থেকে ১০০, হলুদ ২০০, রসুন ৪০, পেঁয়াজ ৩৫, কাচা মরিচ ৬০, আদা ১০০, শজনে ১৪০, বেগুন ৩০ ও করলা ৬৫ টাকা দরে নিতে হচ্ছে।
মেনানগর গ্রামের হোটেলশ্রমিক সোলেমা বেগমের দৈনিক আয় ১৫০ টাকা। এ আয়ে চার সদস্যের সংসার চালান। আগে কোনোরকমে সংসার চালালেও এখন আর কুলিয়ে উঠতে পারছেন না।
সোলেমা বলেন, ‘১৫০ টাকায় এখন সংসার চলে না। ভাত হইলে, তরকাই হয় না। রোজাত আরও খরচ বাড়ছে। আগোত একটা লেবু দুই টাকা দিয়া কিননো, এল্যা তাক ১০ টাকা। খুব কষ্টে আছি।’
ইকরচালী বাজারে কথা হয় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাদেকুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি হতাশার সুরে বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশ রমজান উপলক্ষে যেখানে পণ্যের মূল্য ছাড় দিতে ব্যস্ত, সেখানে কোনো কারণ ছাড়াই আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরা দাম বৃদ্ধির প্রতিযোগিতায় নেমেছে। দেশের উন্নয়ন হচ্ছে, মাথাপিছু আয় ঠিকই বাড়ছে, তবে তা গুটিকয়েক মানুষের। যাঁদের কাছে দেশ জিম্মি। একজন দিনমজুর দুই বছর আগে মজুরি ৪০০ টাকা পেত, এখন তাই পায়। ঊর্ধ্বমুখী বাজার দরে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন তাঁরা। সংসারের ব্যয় মেটাতে পারছে না।’
ঊর্ধ্বমুখী বাজার দর নিয়ে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাসেল মিয়া বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমরা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছি। কিছু ব্যবসায়ীর ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানাও করা হয়েছে। পুরো রমজান মাস বাজারগুলো মনিটরিং করা হবে। অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রির সুযোগ নেই। কেউ তা করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
প্রথম রোজার দিন গতকাল রোববার তারাগঞ্জে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত প্যাডেল মেরে ২৫০ টাকা রোজগার করেন যাত্রীবাহী ভ্যানের চালক খয়বার হোসেন। সেই টাকায় চাল, সবজি আর মসলা কিনে বেঁধে নেন গামছায়। বাড়ি ফেরার পথে অগ্রণী ব্যাংকের মোড়ে ইফতারে তৃষ্ণা মেটানোর জন্য নামেন তরমুজ কিনতে। বিক্রেতা প্রতি কেজির দাম হাঁকেন ৫০ টাকা। সেই তরমুজ কিনতে না পেরে পাশের দোকান থেকে দুটি টেস্টি স্যালাইন কেনেন। সেখানেও দেখা যায় কোনো কারণ ছাড়াই পাঁচ টাকার স্যালাইন ছয় টাকা করে নেন বিক্রেতা।
খয়বার আক্ষেপ করে জানান, আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের হিসাব মিলছে না। এমনিতে সবকিছুর দাম চড়া, তার ওপর রোজায় ফের প্রতিটি জিনিসের দর বৃদ্ধি পেয়েছে। একটি লেবু ১০ টাকা, তরমুজ ৫০ টাকা কেজি, তাও এক কেজিতে পাওয়া যায় না। নিম্ন আয়ের মানুষের রোজা রেখে তৃষ্ণা মেটাতেও কষ্ট হচ্ছে।
শুধু খয়বার নয়, তাঁর মতো উপজেলার নিম্ন ও মধ্য আয়ের সব পরিবার ঊর্ধ্বমুখী বাজারে আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সামঞ্জস্য করতে না পেরে দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
তারাগঞ্জ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি চাল মোটা ৩৫ থেকে ৩৮, স্বর্ণা ৪০ থেকে ৪৪ ও মিনিকেট ৬২ থেকে ৬৪ ও খোলা আটা ৩২ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া খোলা সয়াবিন তেল ১৬০ টাকা লিটার ও ডিম ৩৪ টাকা হালি কিনতে হচ্ছে। প্রতি কেজি মসুর ডাল ১১০ থেকে ১২০, চিনি ৮০, ছোলা বুট ৯৫ থেকে ১০০, হলুদ ২০০, রসুন ৪০, পেঁয়াজ ৩৫, কাচা মরিচ ৬০, আদা ১০০, শজনে ১৪০, বেগুন ৩০ ও করলা ৬৫ টাকা দরে নিতে হচ্ছে।
মেনানগর গ্রামের হোটেলশ্রমিক সোলেমা বেগমের দৈনিক আয় ১৫০ টাকা। এ আয়ে চার সদস্যের সংসার চালান। আগে কোনোরকমে সংসার চালালেও এখন আর কুলিয়ে উঠতে পারছেন না।
সোলেমা বলেন, ‘১৫০ টাকায় এখন সংসার চলে না। ভাত হইলে, তরকাই হয় না। রোজাত আরও খরচ বাড়ছে। আগোত একটা লেবু দুই টাকা দিয়া কিননো, এল্যা তাক ১০ টাকা। খুব কষ্টে আছি।’
ইকরচালী বাজারে কথা হয় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাদেকুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি হতাশার সুরে বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশ রমজান উপলক্ষে যেখানে পণ্যের মূল্য ছাড় দিতে ব্যস্ত, সেখানে কোনো কারণ ছাড়াই আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরা দাম বৃদ্ধির প্রতিযোগিতায় নেমেছে। দেশের উন্নয়ন হচ্ছে, মাথাপিছু আয় ঠিকই বাড়ছে, তবে তা গুটিকয়েক মানুষের। যাঁদের কাছে দেশ জিম্মি। একজন দিনমজুর দুই বছর আগে মজুরি ৪০০ টাকা পেত, এখন তাই পায়। ঊর্ধ্বমুখী বাজার দরে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন তাঁরা। সংসারের ব্যয় মেটাতে পারছে না।’
ঊর্ধ্বমুখী বাজার দর নিয়ে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাসেল মিয়া বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমরা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছি। কিছু ব্যবসায়ীর ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানাও করা হয়েছে। পুরো রমজান মাস বাজারগুলো মনিটরিং করা হবে। অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রির সুযোগ নেই। কেউ তা করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৯ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪