চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি
চৌদ্দগ্রামে ছুরিকাঘাতে মো. হাফেজ নিহতের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত শুক্রবার তিনজনকে আসামি করে থানায় মামলাটি দায়ের করেন নিহতের ছেলে মো. মোস্তফা কামাল। ওই রাতেই অভিযুক্ত বড় ভাই আবদুল মালেক ও তাঁর স্ত্রী জবেদা বেগমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। দুজনই মামলার আসামি। গতকাল শনিবার তাঁদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
মামলার অপর আসামি হলেন অভিযুক্তের ছেলে ছেলে আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি পলাতক রয়েছেন। এসব তথ্য জানান থানার ওসি শুভ রঞ্জন চাকমা। তিনি জানান, আবদুল মালেক ও তাঁর স্ত্রী জবেদাকে গতকাল শনিবার ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ার জন্য আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামের মৃত আবদুল মজিদের ছেলে আবদুল মালেক ও হাফেজ আহমেদের মধ্যে দীর্ঘ বছর ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। বিষয়টি নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে একাধিকবার সালিস হয়। সভায় হাফেজ আহমেদ এক শতক জমি বেশি পাবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়। এটি বড় ভাই আবদুল মালেক মেনে নিতে পারেননি। এ নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে ঝগড়া চলতে থাকে।
গত শুক্রবার সকাল ৯টায় আবদুল মালেক বাড়ির পাশের মমতাজ মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে দিয়ে হাফেজ আহমেদকে চা দোকানে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে দুই ভাইয়ের মধ্যে ওই জমির হিসেব নিয়ে বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে দোকানে থাকা ছুরি নিয়ে সবার সামনে হাফেজ আহমেদকে ছুরিকাঘাত করেন আবদুল মালেক। এরপরই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। স্থানীয় বাসিন্দারা হাফেজ আহমেদকে উদ্ধার শেষে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন, ‘পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনার দিন রাতেই জেলার লালমাই থানার কলমিয়া গ্রাম থেকে অভিযুক্ত আবদুল মালেককে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পরে আবদুল মালেক তাঁর ছোট ভাই হাফেজকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। আর পুলিশ আবদুল মালেকের স্ত্রী জবেদা বেগমকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। ১৬৪ ধারা জবানবন্দির জন্য তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অপর পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
এ দিকে গতকাল ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিকেলে জানাজা শেষে হাফেজকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এলাকায় চাঞ্চল্য: বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে ছোট ভাইকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠার পর এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গ্রামের চা দোকান থেকে শুরু করে প্রতিবেশীদের মুখে ঘুরেফিরে একই আলোচনা। দুই ভাই-ই জীবনের শেষ বয়সে উপনীত, এই অবস্থায় এক ভাই নিহত এবং অপর ভাই স্ত্রীসহ গ্রেপ্তারের খবরে অনেকেই মর্মাহত। বিশেষ করে, জমির লোভ দুটি পরিবারকে মুহূর্তের মধ্যে তছনছ করে দেওয়া নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বেশি।
গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা ফজল হক বলেন, ‘আমরা সত্যি মর্মাহত।’
পাইকোটা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আলী হায়দার বলেন, ‘তাঁদের বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য আমিসহ এলাকাবাসী অনেক চেষ্টা করেছি। অভিযুক্ত ভাই উচ্ছৃঙ্খল। তিনি কারও কথা মানতেন না। আমরা কল্পনাও করতে পারছি না, মাত্র এক শতাংশ ভূমির জন্য কেউ একজন মানুষকে হত্যা করতে পারে। আমি তাঁর ফাঁসি দাবি করছি।’
বর্তমান ইউপি সদস্য আবাদ মোল্লা বলেন, ‘এইভাবে প্রকাশ্যে কাউকে ছুরিকাঘাত করা অভাবনীয়। আমি প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানাই, অভিযুক্তসহ ঘটনার সঙ্গে যাঁরা জড়িত সবাইকে শাস্তি দেওয়া হোক।’
চৌদ্দগ্রামে ছুরিকাঘাতে মো. হাফেজ নিহতের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত শুক্রবার তিনজনকে আসামি করে থানায় মামলাটি দায়ের করেন নিহতের ছেলে মো. মোস্তফা কামাল। ওই রাতেই অভিযুক্ত বড় ভাই আবদুল মালেক ও তাঁর স্ত্রী জবেদা বেগমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। দুজনই মামলার আসামি। গতকাল শনিবার তাঁদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
মামলার অপর আসামি হলেন অভিযুক্তের ছেলে ছেলে আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি পলাতক রয়েছেন। এসব তথ্য জানান থানার ওসি শুভ রঞ্জন চাকমা। তিনি জানান, আবদুল মালেক ও তাঁর স্ত্রী জবেদাকে গতকাল শনিবার ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ার জন্য আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামের মৃত আবদুল মজিদের ছেলে আবদুল মালেক ও হাফেজ আহমেদের মধ্যে দীর্ঘ বছর ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। বিষয়টি নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে একাধিকবার সালিস হয়। সভায় হাফেজ আহমেদ এক শতক জমি বেশি পাবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়। এটি বড় ভাই আবদুল মালেক মেনে নিতে পারেননি। এ নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে ঝগড়া চলতে থাকে।
গত শুক্রবার সকাল ৯টায় আবদুল মালেক বাড়ির পাশের মমতাজ মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে দিয়ে হাফেজ আহমেদকে চা দোকানে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে দুই ভাইয়ের মধ্যে ওই জমির হিসেব নিয়ে বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে দোকানে থাকা ছুরি নিয়ে সবার সামনে হাফেজ আহমেদকে ছুরিকাঘাত করেন আবদুল মালেক। এরপরই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। স্থানীয় বাসিন্দারা হাফেজ আহমেদকে উদ্ধার শেষে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন, ‘পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনার দিন রাতেই জেলার লালমাই থানার কলমিয়া গ্রাম থেকে অভিযুক্ত আবদুল মালেককে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পরে আবদুল মালেক তাঁর ছোট ভাই হাফেজকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। আর পুলিশ আবদুল মালেকের স্ত্রী জবেদা বেগমকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। ১৬৪ ধারা জবানবন্দির জন্য তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অপর পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
এ দিকে গতকাল ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিকেলে জানাজা শেষে হাফেজকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এলাকায় চাঞ্চল্য: বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে ছোট ভাইকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠার পর এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গ্রামের চা দোকান থেকে শুরু করে প্রতিবেশীদের মুখে ঘুরেফিরে একই আলোচনা। দুই ভাই-ই জীবনের শেষ বয়সে উপনীত, এই অবস্থায় এক ভাই নিহত এবং অপর ভাই স্ত্রীসহ গ্রেপ্তারের খবরে অনেকেই মর্মাহত। বিশেষ করে, জমির লোভ দুটি পরিবারকে মুহূর্তের মধ্যে তছনছ করে দেওয়া নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বেশি।
গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা ফজল হক বলেন, ‘আমরা সত্যি মর্মাহত।’
পাইকোটা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আলী হায়দার বলেন, ‘তাঁদের বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য আমিসহ এলাকাবাসী অনেক চেষ্টা করেছি। অভিযুক্ত ভাই উচ্ছৃঙ্খল। তিনি কারও কথা মানতেন না। আমরা কল্পনাও করতে পারছি না, মাত্র এক শতাংশ ভূমির জন্য কেউ একজন মানুষকে হত্যা করতে পারে। আমি তাঁর ফাঁসি দাবি করছি।’
বর্তমান ইউপি সদস্য আবাদ মোল্লা বলেন, ‘এইভাবে প্রকাশ্যে কাউকে ছুরিকাঘাত করা অভাবনীয়। আমি প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানাই, অভিযুক্তসহ ঘটনার সঙ্গে যাঁরা জড়িত সবাইকে শাস্তি দেওয়া হোক।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
২ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫