জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধি
মুড়ির গ্রাম হিসেবে পরিচিত নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন হিন্দুপাড়া। এক সময় প্রত্যন্ত এই গ্রামটির শতাধিক পরিবার হাতে তৈরি মুড়ি বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করত। হাতে বানানো মুড়ি জলঢাকার ঐতিহ্য হলেও বর্তমানে কেবল ১২-১৫টি পরিবার এই পেশায় রয়েছে। রমজানে বাড়তি চাহিদার কথা মাথায় রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন হাতে ভাজা মুড়ি প্রস্তুতকারীরা। হাতে ভাজা মুড়ি স্বাস্থ্যসম্মত ও খেতে সুস্বাদু। অপরদিকে, মেশিনে তৈরি মুড়ির দাম তুলনামূলক কম ও আকারে বড়। এতে হাতে ভাজা মুড়ির বেচাকেনা দিন দিন কমছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
হাতে ভাজা মুড়ি সম্পর্কে জানতে চাইলে মিহির কুমার সাহা (৫৩) নামে একজন জানান, আগে সপ্তাহে ৮-১০ মণ মুড়ি বিক্রি করতেন। সংসার ভালোই চলত। কিছু সঞ্চয়ও করতে পারতেন। এখন মেশিনে তৈরি মুড়ি আসায় হাতে ভাজা মুড়ির চাহিদা অনেকটাই কমেছে। এখন সপ্তাহে ৫-৬ মণের বেশি বিক্রি করা যায় না। সারা সপ্তাহে যে আয় হয় তা দিয়ে সংসার চালানো কষ্টকর।
পারিবারিক পেশা হিসেবে ছেলেবেলা থেকেই মুড়ি তৈরি করছেন নরেন সাহা (৬২)। বর্তমানে ছেলে ও ছেলের বউ তাঁকে এই কাজে সহায়তা করেন। আলাপকালে নরেন সাহা জানান, মেশিনে তৈরি মুড়িতে ইউরিয়া থাকে বলে সেগুলো দেখতে ভালো হয়। হাতে ভাজা মুড়িতে শুধু লবণ ও পানি ব্যবহার করা হয়। মেশিনে তৈরি প্যাকেটজাত মুড়ির দাম তুলনামূলক কম। ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় অনেকেই অন্য পেশায় ঝুঁকছেন বলে জানান তিনি।
নরেন সাহা আরও বলেন, ‘এলাকার বেশির ভাগ মানুষ এক সময় মুড়ি ভাজতেন। বর্তমানে ধান, কাঠ, বালি, মাটির হাঁড়ির দাম বেড়েছে। কিন্তু মুড়ির দাম সেভাবে বাড়েনি। তাই বাধ্য হয়েই অনেকে অন্য পেশা বেঁচে নিচ্ছেন।’
নরেন সাহার ছেলে সুবল সাহা (৩২) জানান, ৪০ কেজি ধান কিনতে হয় ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ২৫০ টাকায়। চাল সিদ্ধ করতে, শুকাতে, প্রস্তুত করতে খরচ হয় আরও ২০০ টাকা। ৪০ কেজি মোটা চাল থেকে প্রায় ২৪ কেজি মুড়ি তৈরি করা হয়। সব মিলিয়ে এক কেজি মুড়ি তৈরি করতে খরচ হয় ৭২-৭৫ টাকা। বাজারে প্রতি কেজি ১০০ টাকা দরে খুচরা বিক্রি হয়। পাইকারি বিক্রি হয় ৯০ টাকা কেজি দরে।
জলঢাকা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সম্প্রসারণে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। হাতে বানানো মুড়ি জলঢাকার ঐতিহ্য। এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে যা করা দরকার তা করা হবে।’
মুড়ির গ্রাম হিসেবে পরিচিত নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন হিন্দুপাড়া। এক সময় প্রত্যন্ত এই গ্রামটির শতাধিক পরিবার হাতে তৈরি মুড়ি বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করত। হাতে বানানো মুড়ি জলঢাকার ঐতিহ্য হলেও বর্তমানে কেবল ১২-১৫টি পরিবার এই পেশায় রয়েছে। রমজানে বাড়তি চাহিদার কথা মাথায় রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন হাতে ভাজা মুড়ি প্রস্তুতকারীরা। হাতে ভাজা মুড়ি স্বাস্থ্যসম্মত ও খেতে সুস্বাদু। অপরদিকে, মেশিনে তৈরি মুড়ির দাম তুলনামূলক কম ও আকারে বড়। এতে হাতে ভাজা মুড়ির বেচাকেনা দিন দিন কমছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
হাতে ভাজা মুড়ি সম্পর্কে জানতে চাইলে মিহির কুমার সাহা (৫৩) নামে একজন জানান, আগে সপ্তাহে ৮-১০ মণ মুড়ি বিক্রি করতেন। সংসার ভালোই চলত। কিছু সঞ্চয়ও করতে পারতেন। এখন মেশিনে তৈরি মুড়ি আসায় হাতে ভাজা মুড়ির চাহিদা অনেকটাই কমেছে। এখন সপ্তাহে ৫-৬ মণের বেশি বিক্রি করা যায় না। সারা সপ্তাহে যে আয় হয় তা দিয়ে সংসার চালানো কষ্টকর।
পারিবারিক পেশা হিসেবে ছেলেবেলা থেকেই মুড়ি তৈরি করছেন নরেন সাহা (৬২)। বর্তমানে ছেলে ও ছেলের বউ তাঁকে এই কাজে সহায়তা করেন। আলাপকালে নরেন সাহা জানান, মেশিনে তৈরি মুড়িতে ইউরিয়া থাকে বলে সেগুলো দেখতে ভালো হয়। হাতে ভাজা মুড়িতে শুধু লবণ ও পানি ব্যবহার করা হয়। মেশিনে তৈরি প্যাকেটজাত মুড়ির দাম তুলনামূলক কম। ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় অনেকেই অন্য পেশায় ঝুঁকছেন বলে জানান তিনি।
নরেন সাহা আরও বলেন, ‘এলাকার বেশির ভাগ মানুষ এক সময় মুড়ি ভাজতেন। বর্তমানে ধান, কাঠ, বালি, মাটির হাঁড়ির দাম বেড়েছে। কিন্তু মুড়ির দাম সেভাবে বাড়েনি। তাই বাধ্য হয়েই অনেকে অন্য পেশা বেঁচে নিচ্ছেন।’
নরেন সাহার ছেলে সুবল সাহা (৩২) জানান, ৪০ কেজি ধান কিনতে হয় ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ২৫০ টাকায়। চাল সিদ্ধ করতে, শুকাতে, প্রস্তুত করতে খরচ হয় আরও ২০০ টাকা। ৪০ কেজি মোটা চাল থেকে প্রায় ২৪ কেজি মুড়ি তৈরি করা হয়। সব মিলিয়ে এক কেজি মুড়ি তৈরি করতে খরচ হয় ৭২-৭৫ টাকা। বাজারে প্রতি কেজি ১০০ টাকা দরে খুচরা বিক্রি হয়। পাইকারি বিক্রি হয় ৯০ টাকা কেজি দরে।
জলঢাকা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সম্প্রসারণে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। হাতে বানানো মুড়ি জলঢাকার ঐতিহ্য। এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে যা করা দরকার তা করা হবে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪