Ajker Patrika

স্বপ্ন দেখাচ্ছে ভেনামি চিংড়ি

শেখ আবু হাসান, খুলনা
আপডেট : ১১ আগস্ট ২০২২, ১২: ১১
স্বপ্ন দেখাচ্ছে ভেনামি চিংড়ি

সংকটের মুখে থাকা চিংড়িশিল্পকে আন্তর্জাতিক বাজারে টিকিয়ে রাখতে বাগদার বিকল্প হিসেবে স্বপ্ন দেখাচ্ছে ভেনামি চিংড়ির পাইলট প্রকল্প। মৎস্য অধিদপ্তরের অনুমোদন নিয়ে খুলনার পাইকগাছার লোনা পানি গবেষণা কেন্দ্রের পাঁচটি পুকুরে পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করা হচ্ছে ভেনামি চিংড়ির। এ প্রকল্প ধারাবাহিকভাবে সাফল্য অর্জন করছে। এতে মৎস্য অধিদপ্তরের পাশাপাশি দেশের চিংড়িশিল্পের সঙ্গে জড়িতদের মাঝে উচ্ছ্বাস দেখা গেছে।

গত সপ্তাহে সরেজমিন দেখা যায়, দ্বিতীয়বারেও ভেনামি চিংড়ির পরীক্ষামূলক চাষে সফলতা পেয়েছে যশোরের এম ইউ সি ফুডস লিমিটেড। পাইকগাছায় বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের লোনা পানি কেন্দ্রের ভেনামি চিংড়ি আহরণের পর কর্তৃপক্ষ বলেছে, ৮৮ দিনের মাথায় প্রতিটি চিংড়ির ওজন হয়েছে ২৭ থেকে ৩০ গ্রাম। যা গত বছরের তুলনায় বেশি বলে জানায় তারা। ভেনামি চিংড়ি আহরণের সময় উপস্থিত থেকে এটি পর্যবেক্ষণের পর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী বলেন, পরীক্ষামূলক উৎপাদনের সফলতা পেলে এ-সংক্রান্ত উপকমিটির প্রতিবেদনের পরই বাংলাদেশে ভেনামি চিংড়ির বাণিজ্যিক চাষের অনুমোদনের বিষয়টি আমলে নেওয়া হবে।

ভেনামি চিংড়ি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের মালিক শ্যামল কুমার দাশ জানান, গত ৯ মে পাইকগাছার লোনা পানি কেন্দ্রে পাঁচটি পুকুরে থাইল্যান্ড থেকে উড়োজাহাজে করে ১২ লাখ ভেনামির পোনা এনে অবমুক্ত করা হয়েছিল। তার মধ্যে একটি পুকুর থেকে প্রথম দফায় গত শুক্রবার ৪ হাজার ৪৪৫ কেজি চিংড়ি আহরণ করা হয়েছে। ভেনামি চিংড়ি চাষের তুলনামূলক চিত্র উল্লেখ করে প্রকল্পের পরামর্শক প্রফুল্ল কুমার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত বছর পরীক্ষামূলক উৎপাদনের প্রথম পর্যায়ে এক একর জমির পুকুরে ভেনামি চিংড়ি পাওয়া যায় ৪ হাজার ১০১ কেজি। যার সময়সীমা ছিল ১০৮ দিন। এর এক বছর পর পরীক্ষামূলক চাষে একই পুকুরে মাত্র ৮৮ দিনে ভেনামি পাওয়া গেছে ৪ হাজার ৪৪৫ কেজি।

সে হিসেবে গত বছরের তুলনায় এবার ২১ দিন কম সময়ে উৎপাদন বেড়েছে ৩৪৪ কেজি। ভেনামি চিংড়ি চাষের এমন সফলতায় সেখানে উপস্থিত বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আমিন উল্লাহ বলেন, ‘এখন ভেনামি চিংড়ির বাণিজ্যিক উৎপাদনের দ্রুত অনুমোদন দিয়ে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা চাঙা করা উচিত। কেননা, শুধু পরীক্ষামূলক চাষেই সীমাবদ্ধ থাকতে থাকতে বিশ্ববাজারে আমাদের টিকে থাকা সম্ভব হবে না।’

বাংলাদেশ চিংড়ি চাষি সমিতির সাধারণ সম্পাদক রফিকুজ্জামান বলেন, চাষি পর্যায়ে বাণিজ্যিক উৎপাদনের অনুমোদন দেওয়া হলে বাগদার পাশাপাশি চাষিরা ভেনামি চাষ করে অধিক লাভবান হতে পারবেন। এ জন্য ভেনামি চিংড়ির বাণিজ্যিক চাষের অনুমতি দেওয়া এখন সময়ের দাবি।

বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এস হুমায়ুন কবির জানান, মোট উৎপাদিত চিংড়ির সিংহভাগই আসে খুলনা অঞ্চল থেকে। কিন্তু বর্তমানে খুলনা উপকূলীয় এলাকার রাজনৈতিক, সামাজিক ও বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কারণে চিংড়ি উৎপাদন আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গণপিটুনিতে নিহত জামায়াত কর্মী নেজাম ও তাঁর বাহিনী গুলি ছোড়ে, মিলেছে বিদেশি পিস্তল: পুলিশ

বসুন্ধরায় ছিনতাইকারী সন্দেহে ২ বিদেশি নাগরিককে মারধর

বিএনপির দুই পেশাজীবী সংগঠনের কমিটি বিলুপ্ত

ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ: ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা, নিষিদ্ধের দাবি শিক্ষার্থীদের

ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে পন্টিংয়ের আরেকটি রেকর্ড ভাঙলেন কোহলি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত