ফরিদ খান মিন্টু, শরণখোলা (বাগেরহাট)
বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার সাউথখালীতে লোকালয় পেরিয়ে বলেশ্বর নদের তীরে বাঁধে দাঁড়িয়ে দুই দিকে তাকালে মনে হবে যেন ফসলের মাঠ। এই আবাদে কিছু শাকসবজি ও ফলমূল পেলেও সর্বনাশ হচ্ছে তীর রক্ষা বাঁধের। শুধু ফসলের চাষ নয়, এই বেড়িবাঁধের বিভিন্ন স্থানে স্থাপনা তুলে বানানো হয়েছে দোকানপাট ও ঘরবাড়ি।
গত শুক্রবার বলেশ্বর নদের বেড়িবাঁধের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সাউথখালী ইউনিয়নের গাবতলা, উত্তর সাউথখালী, দক্ষিণ সাউথখালী, তাফালবাড়ী, রায়েন্দা ইউনিয়নের চালরায়েন্দা, রাজেশ্বর, ফেরিঘাট এলাকা, খোন্তাকাটা ইউনিয়নের পূর্ব খোন্তাকাটা ও কুমারখালী এলাকার
বাঁধ রক্ষায় বসানো সিসি ব্লকে মাটি ভরাট করে তাতে লাগানো হয়েছে কলা, পেঁপেগাছ। চাষ করা হয়েছে লাউ, কুমড়া, শিমসহ বিভিন্ন প্রজাতির শাকসবজি। গরু-ছাগল যাতে ফসল নষ্ট করতে না পারে সে জন্য ব্লকের ফাঁকে খুঁটি পুঁতে তৈরি করা হয়েছে বেড়া। ঝড়ের কবল থেকে ঘরবাড়ি ও দোকানপাট রক্ষায়ও ব্লকের ফাঁকে পোঁতা হয়েছে মোটা খুঁটি। ঘর ও বেড়ার খুঁটি আর গাছের শিকড় ব্লক ভেদ করে ফুটো করছে ব্লকের নিচে পাতা জিও ব্যাগ। বৃষ্টির পানি ঢুকে নিচ থেকে বালুমাটি সরে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে ব্লক দেবে গেছে। বাঁধের উপরিভাগে সৃষ্টি হয়েছে ফাটল ও বড় বড় গর্তের।
বাঁধটি রক্ষায় ব্লকের ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা, বাগান ও খেতখামার অপসারণের দাবি জানিয়েছেন সচেতন বাসিন্দারা। ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় সিডরের আঘাতে শরণখোলার সাউথখালীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বেড়িবাঁধটির অধিকাংশ এলাকা বিলীন হয়ে যায়। ২০১৬ সালে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পুরো শরণখোলা এবং মোরেলগঞ্জের কিছু অংশ নিয়ে শুরু হয় ৬২ কিলোমিটার বাঁধ উঁচু ও টেকসই করে নির্মাণের কাজ। উপকূলীয় বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্পের (সিইআইপি-১) মাধ্যমে ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বাঁধটি নির্মাণে সময় লেগে যায় প্রায় ৭ বছর। গত বছরের ডিসেম্বরে বাঁধটি পাউবোর কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সাউথখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) দক্ষিণ সাউথখালী ওয়ার্ডের সদস্য জাকির হোসেন হাওলাদার বলেন, ‘বেড়িবাঁধ এখন কৃষি খেতে পরিণত হয়েছে। ব্লকের ওপরে খেতখামার করা বন্ধ না হলে বাঁধের সর্বনাশ হয়ে যাবে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাঁধে সবজি চাষের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকজন বলেন, তাঁরা ব্লকের ওপরে মাটি তুলে শাকসবজির চাষ করছেন। এতে বাঁধের কোনো ক্ষতি হচ্ছে না। তবে কর্তৃপক্ষ বললে তাঁরা সব সরিয়ে নেবেন।
সাউথখালী ইউপির চেয়ারম্যান মো. ইমরান হোসেন রাজিব বলেন, সিডরে সাউথখালী ইউনিয়নেই প্রায় এক হাজার মানুষ মারা গেছে। টেকসই বেড়িবাঁধ না থাকায় এত মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু মানুষ তা ভুলে গেছে। তা না হলে বাঁধে তারা একটা টোকাও দিতে পারত না। এভাবে যাতে আর বাঁধের ক্ষতি না করা হয় সে বিষয়ে স্থানীয়দের সতর্ক করা হবে।
পাউবো, বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান মোহাম্মদ আল-বিরুনী বলেন, ‘আমি কিছুদিন হলো যোগদান করেছি। সবকিছু এখন পর্যন্ত দেখা হয়নি। তবে, ব্লকের ওপর কোনো স্থাপনা নির্মাণ, গাছ লাগানো বা শাকসবজি চাষ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এতে বাঁধের মারাত্মক ক্ষতি হয়। খোঁজখবর নিয়ে অবৈধ স্থাপনা অপসারণে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার সাউথখালীতে লোকালয় পেরিয়ে বলেশ্বর নদের তীরে বাঁধে দাঁড়িয়ে দুই দিকে তাকালে মনে হবে যেন ফসলের মাঠ। এই আবাদে কিছু শাকসবজি ও ফলমূল পেলেও সর্বনাশ হচ্ছে তীর রক্ষা বাঁধের। শুধু ফসলের চাষ নয়, এই বেড়িবাঁধের বিভিন্ন স্থানে স্থাপনা তুলে বানানো হয়েছে দোকানপাট ও ঘরবাড়ি।
গত শুক্রবার বলেশ্বর নদের বেড়িবাঁধের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সাউথখালী ইউনিয়নের গাবতলা, উত্তর সাউথখালী, দক্ষিণ সাউথখালী, তাফালবাড়ী, রায়েন্দা ইউনিয়নের চালরায়েন্দা, রাজেশ্বর, ফেরিঘাট এলাকা, খোন্তাকাটা ইউনিয়নের পূর্ব খোন্তাকাটা ও কুমারখালী এলাকার
বাঁধ রক্ষায় বসানো সিসি ব্লকে মাটি ভরাট করে তাতে লাগানো হয়েছে কলা, পেঁপেগাছ। চাষ করা হয়েছে লাউ, কুমড়া, শিমসহ বিভিন্ন প্রজাতির শাকসবজি। গরু-ছাগল যাতে ফসল নষ্ট করতে না পারে সে জন্য ব্লকের ফাঁকে খুঁটি পুঁতে তৈরি করা হয়েছে বেড়া। ঝড়ের কবল থেকে ঘরবাড়ি ও দোকানপাট রক্ষায়ও ব্লকের ফাঁকে পোঁতা হয়েছে মোটা খুঁটি। ঘর ও বেড়ার খুঁটি আর গাছের শিকড় ব্লক ভেদ করে ফুটো করছে ব্লকের নিচে পাতা জিও ব্যাগ। বৃষ্টির পানি ঢুকে নিচ থেকে বালুমাটি সরে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে ব্লক দেবে গেছে। বাঁধের উপরিভাগে সৃষ্টি হয়েছে ফাটল ও বড় বড় গর্তের।
বাঁধটি রক্ষায় ব্লকের ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা, বাগান ও খেতখামার অপসারণের দাবি জানিয়েছেন সচেতন বাসিন্দারা। ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় সিডরের আঘাতে শরণখোলার সাউথখালীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বেড়িবাঁধটির অধিকাংশ এলাকা বিলীন হয়ে যায়। ২০১৬ সালে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পুরো শরণখোলা এবং মোরেলগঞ্জের কিছু অংশ নিয়ে শুরু হয় ৬২ কিলোমিটার বাঁধ উঁচু ও টেকসই করে নির্মাণের কাজ। উপকূলীয় বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্পের (সিইআইপি-১) মাধ্যমে ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বাঁধটি নির্মাণে সময় লেগে যায় প্রায় ৭ বছর। গত বছরের ডিসেম্বরে বাঁধটি পাউবোর কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সাউথখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) দক্ষিণ সাউথখালী ওয়ার্ডের সদস্য জাকির হোসেন হাওলাদার বলেন, ‘বেড়িবাঁধ এখন কৃষি খেতে পরিণত হয়েছে। ব্লকের ওপরে খেতখামার করা বন্ধ না হলে বাঁধের সর্বনাশ হয়ে যাবে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাঁধে সবজি চাষের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকজন বলেন, তাঁরা ব্লকের ওপরে মাটি তুলে শাকসবজির চাষ করছেন। এতে বাঁধের কোনো ক্ষতি হচ্ছে না। তবে কর্তৃপক্ষ বললে তাঁরা সব সরিয়ে নেবেন।
সাউথখালী ইউপির চেয়ারম্যান মো. ইমরান হোসেন রাজিব বলেন, সিডরে সাউথখালী ইউনিয়নেই প্রায় এক হাজার মানুষ মারা গেছে। টেকসই বেড়িবাঁধ না থাকায় এত মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু মানুষ তা ভুলে গেছে। তা না হলে বাঁধে তারা একটা টোকাও দিতে পারত না। এভাবে যাতে আর বাঁধের ক্ষতি না করা হয় সে বিষয়ে স্থানীয়দের সতর্ক করা হবে।
পাউবো, বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান মোহাম্মদ আল-বিরুনী বলেন, ‘আমি কিছুদিন হলো যোগদান করেছি। সবকিছু এখন পর্যন্ত দেখা হয়নি। তবে, ব্লকের ওপর কোনো স্থাপনা নির্মাণ, গাছ লাগানো বা শাকসবজি চাষ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এতে বাঁধের মারাত্মক ক্ষতি হয়। খোঁজখবর নিয়ে অবৈধ স্থাপনা অপসারণে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫