Ajker Patrika

খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ

কালীগঞ্জ (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৫: ৩০
খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ

কালীগঞ্জে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে স্লুইসগেটের সামনে খালে বাঁধ দিয়ে মৎস্য ঘের করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে কালীগঞ্জ উপজেলার চাম্পাফুল ইউনিয়নের বারোদহ গ্রামে। ঘুষুড়ী গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ মোড়ল এবং ইউসুফপুর গ্রামের ইউপি সদস্য আবুল কালামের বিরুদ্ধে অভিযোগ এলাকাবাসীর। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১ জুলাই তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য গত ৯ আগস্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় এলাকায় চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।

গত রোববার আনুমানিক ১২টার দিকে সরেজমিনে বারোদহ গ্রামে গেলে গ্রামের আবুল হোসেন, জাকির হোসেন, মুজিবর, শাহজাহানসহ একাধিক ব্যক্তি সাংবাদিকদের জানান, বারোদহ স্লুইসগেটের খালটি এলাকার চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ মণ্ডল ও ইউপি সদস্য আবুল কালাম আজাদ, আওয়ামী লীগের নেতা পরান জেলে এবং চাম্পাফুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পাটনি সিদ্দিক দীর্ঘদিন গেটের মুখে সরকারি খালে বাঁধ দিয়ে ঘের করার ফলে তাঁরা খুব অসুবিধার মধ্যে আছেন। ভারী বর্ষণ হলে থালনা, বারোদহ, ইউসুফপুর, এলাকার প্রায় শত পরিবার পানিবন্দী হয়ে জীবন যাপন করতে হয়। বিষয়টি নিয়ে তাঁরা একাধিকবার জনপ্রতিনিধিদের জানালেও কোনো কাজ হয়নি। বিষয়টি সাংবাদিকদের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন তাঁরা।

এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য ঠাকুরদাস গায়েন অভিযোগ করে বলেন, সরকারের শত একর সম্পত্তি প্রভাবশালীরা দখলে নিয়ে বাঁধ দিয়ে স্লুইসগেট বন্ধ করে মাছ চাষ করলেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

এ ব্যাপারে চাম্পাফুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক গাইন বলেন, বিষয়টি তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৪ নম্বর পোল্ডারের এসও আব্দুল খালেককে ব্যবস্থা নিতে বললেও তিনি অর্থ-বাণিজ্য করে কোনো ব্যবস্থা নেননি। তাঁরা ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু এখনো কোনো সাড়া পাননি।

এ ব্যাপারে এসও আব্দুল খালেকের কাছে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, গেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের হলেও খালটি উপজেলা ভূমি অফিসের। যে কারণে খালে ব্যাপারে তাঁদের করার কিছু নেই।

এ বিষয়ে ঘটনার ব্যাপারে সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ মোড়লের কাছে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ‘স্লুইসগেটের সামনে আমরা ঘের করার অনেক আগে বাঁধ দেওয়া। তা ছাড়া ওখানে সরকারি সম্পত্তি ইজারা ছাড়াও ব্যক্তিগত জমিতে বাঁধ দেওয়া আছে।’

ইউপি সদস্য আবুল কালামের মোবাইল ফোনে কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার রবিউল ইসলামের অফিসে গিয়ে না পাওয়া গেলে তাঁর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি খুলনায় থাকায় ফোন ধরেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

লজ্জায় ধর্ষণের শিকার মায়ের আত্মহত্যা: ৮ বছরের মেয়েটি যাবে কোথায়

বলিদান ও শয়তান পূজার বুদ্ধি দিল চ্যাটজিপিটি

সঞ্জয়ের ১৪ হাজার কোটি টাকার সম্পদ নিয়ে পারিবারিক উত্তেজনা তুঙ্গে

বাংলাদেশ ব্যাংকে পোশাক নির্দেশনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি ৫৪ বিশিষ্ট নাগরিকের

কক্সবাজারে যাওয়ার পথে ২৩ মামলার আসামিকে কুপিয়ে হত্যা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত