Ajker Patrika

ছুটিতে পর্যটকের ভিড় তারুয়া সমুদ্রসৈকতে

ভোলা প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৫: ৪৮
ছুটিতে পর্যটকের ভিড় তারুয়া সমুদ্রসৈকতে

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার কুকরি-মুকরি ও তারুয়া সমুদ্রসৈকতে ভিড় জমিয়েছেন পর্যটকেরা। গতকাল সোমবার মহান শহীদ দিবসের ছুটিতে পর্যটকেরা এসেছেন এখানে। এর নোনাপানিতে ধুয়ে ফেলতে চান কর্মব্যস্ত জীবনের সব ক্লান্তি। সঙ্গে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের মনোরম দৃশ্য খুঁজতে চান প্রশান্তি।

‘পর্যটনের জন্য প্রচারাভিযান’ ভোলা সংগঠন থেকেও ৭০-৭৫ জনের একটি বহর আসে কুকরি-মুকরি ঘুরতে। লালমোহন উপজেলা থেকে ঘুরতে আসা হাসান হাওলাদার ও খাদিজা শোভা দম্পতি বলেন, ‘করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয়নি। একধরনের অবরুদ্ধ জীবনে অনেকটা হাঁপিয়ে উঠেছিলাম। তাই মানসিক প্রশান্তি পেতে বাচ্চাসহ কুকরি-মুকরিতে এসেছি। এসে সত্যিই মুগ্ধ হলাম।’

কুকরি-মুকরির মনোরম দৃশ্য দেখতে ভোলা থেকে পরিবারের ৫ সদস্যকে নিয়ে এসেছেন মাকসুদ উল্লা। তিনি বলেন, ‘কর্মজীবনের ব্যস্ততায় দম ফেলার ফুরসত পাই না। তাই ক্লান্ত মনটা সতেজ করতে এসেছি। শুনেছি এখানে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখা যায়। সে দৃশ্য উপভোগ করতেই পরিবার নিয়ে এখানে এলাম, দেখলাম। একই জায়গা থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখা সত্যিই অকল্পনীয়।’

লিমা রহমান বলেন, ‘ভোলা-চরফ্যাশন মহাসড়কের উন্নয়নকাজের কারণে অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। ভোলা থেকে ৩ ঘণ্টার পথ ৫ ঘণ্টায় এসে পৌঁছালাম। তবে এমন মনোরম পরিবেশে আসতে পেরে দুঃখ দূর হয়েছে।’

দর্শনার্থী সৈয়দ মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে থাকা, খাওয়া ও যাতায়াতের ব্যবস্থা সহজ হলে পর্যটক আরও বাড়বে। আশা করি কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে নজর দেবে।’

চর কুকরি-মুকরি বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন বলেন, ‘দেখার মতো ম্যানগ্রোভ বন, গোলপাতা, কেওড়াবাগান রয়েছে। পর্যটকদের জন্য উন্নত মানের রেস্টহাউসও রয়েছে। প্রতিদিন গড়ে শতাধিক পর্যটক আসেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত