Ajker Patrika

৪৪তম বিসিএস: লিখিত পরীক্ষায় ভালো করতে চাইলে

আনোয়ারুল ইসলাম
আপডেট : ২০ আগস্ট ২০২২, ১০: ৫২
৪৪তম বিসিএস: লিখিত পরীক্ষায় ভালো করতে চাইলে

৪৪তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় কীভাবে কোন কলাকৌশল অবলম্বন করলে পরীক্ষার্থীরা বেশি বেশি নম্বর পাবেন, সে বিষয়ে পরামর্শ তুলে ধরা হলো– 

লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার তিনটি পর্যায়; যথা:

  • পরিকল্পনা অনুসারে লিখিত পরীক্ষার আগের দিন পর্যন্ত অধ্যয়ন করা জরুরি। 
  • যে অধ্যায় থেকে বারবার লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্ন আসে, সেই অধ্যায়গুলো ভালোভাবে নোট করে পড়া। 
    যে অধ্যায়গুলো থেকে প্রশ্ন কম আসে, সেই অধ্যায়গুলোয় চোখ বুলিয়ে নেওয়া এবং বিগত পরীক্ষায় আসা প্রশ্নগুলো ভালোভাবে পড়তে হবে। 
  • শুধু কৌশল ও পরিকল্পনা ঠিক না থাকার কারণে অনেকে অনেক পড়াশোনা করেও বারবার ব্যর্থ হন, তাই কৌশল ও পরিকল্পনা সঠিক থাকা জরুরি। 

কৌশল সম্পর্কে কিছু কথা
ভালো প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও লিখিত পরীক্ষায় ভালো নম্বর না পাওয়ার কারণ:
হাতের লেখার গতি কম থাকা-

  • ৫০ শতাংশ পরীক্ষার্থী হাতের লেখার গতি ভালো না থাকার কারণে অকৃতকার্য হন বা ভালো নম্বর পান না।
  • নম্বর বণ্টন না বুঝে উত্তর করা-
    প্রশ্নের নম্বর বণ্টন না বুঝে অতি উৎসাহের কারণে উত্তর দীর্ঘায়িত করা। এ জন্য অনেকেই সময়ের অভাবে অনেক জানা প্রশ্নের উত্তর করতে পারেন না, যা অনেক বেদনার।
  • সময় না বুঝে প্রশ্নের উত্তর করা-
     বাংলাদেশ বিষয়াবলিতে ৫ নম্বরের জন্য ৬ মিনিট সময় পাওয়া যায়। ১ নম্বরের জন্য প্রায় এক মিনিট সময় পাওয়া যায়। অনেক পরীক্ষার্থী প্রথমে ভালো করে উত্তর লেখার কারণে প্রয়োজনীয় সময়ের থেকে অধিক সময় ব্যয় করেন। ফলে সময়ের অভাবে সব প্রশ্নের উত্তর করা সম্ভব হয় না। 
  • পরীক্ষার প্রথম এক ঘণ্টার গুরুত্ব না বুঝে উত্তর করা-
     টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রথম পাওয়ার প্লেতে ভালো রান না এলে ম্যাচ যেমন কঠিন হয়। সে রকম পরীক্ষার প্রথম ঘণ্টায় অনেকে প্রশ্ন বেশি সময় ধরে লেখার কারণে বা প্রথম একটি বা দুটি প্রশ্নের উত্তর দীর্ঘ করে লেখার ফলে সহজ প্রশ্ন ছেড়ে আসেন। এ জন্য ভালো নম্বর না পাওয়ার কারণে অনেক পরীক্ষার্থী ব্যর্থ হন। 

কৌশল অবলম্বন করে ভালো নম্বর পাওয়ার অন্যতম উপায়

  •  দ্রুতগতিতে লেখা:
     হাতের লেখার গতি ভালো না হওয়ার কারণে অনেক শিক্ষার্থী ব্যর্থ হন। হাতের লেখার গতি দুর্দান্ত থাকলে ভালো নম্বর পাওয়ার দৌরাত্ম্যে এগিয়ে যাবেন। 
  • প্রশ্নের নম্বর ভালো করে লেখা: 
     লেখার সময় প্রশ্ন ভালো করে পড়তে হবে এবং নম্বর ভালো করে লিখতে হবে। নীল কালিতে লেখা ভালো। 
  • লেখার সময় বারবার যা স্মরণ করবেন
     উপযুক্ত তথ্য, উক্তি, রেফারেন্স প্রতিটি প্রশ্নের উত্তরে লিখেছেন কি না এবং প্রতিটি প্রশ্নের তথ্য-উপাত্ত নীল কালিতে লিখলে ভালো নম্বর পাওয়া যায়। মানচিত্র পেনসিলে অঙ্কন করা ভালো এবং উত্তরে রেফারেন্স দিলে অনেক ভালো নম্বর পাওয়া যায়।
  • প্রশ্নের মানবণ্টন অনুসারে যে প্রশ্নের যত মিনিট বরাদ্দ, তত মিনিট ব্যয় করাই ভালো। কারণ সময় গেলে সাধন হবে না। মনেপ্রাণে কীভাবে ভালো পরীক্ষা দেওয়া যায় তা ভাবতে হবে। যত বেশি আন্তরিক, যত বেশি মনোযোগী হবেন, তত ভালো নম্বর পাবেন। এ কারণে বলা হয় যতনে রতন মেলে। 

অনুলিখন: মোছা. জেলি খাতুন

লেখক: ৪০তম বিসিএসে ইংরেজি বিষয়ে মেধাতালিকায় দ্বিতীয় স্থান অধিকারী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের নতুন বেতনকাঠামো আসছে, পে কমিশন গঠন

ব্যাংকে চোখ বেঁধে গ্রাহককে হাতুড়িপেটা, পায়ের নখ তোলার চেষ্টা

‘সোজা কথা, যারে ভালো লাগবে তারে কোপামু’

শুল্ক ছাড়া যুক্তরাজ্যে তৈরি পোশাক রপ্তানির সুযোগ পেল ভারত

সর্বাত্মক যুদ্ধে জড়াতে পারে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া—শক্তিতে কে বেশি এগিয়ে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত