হুমায়ুন মাসুদ, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় মালিক-পক্ষের অবহেলার বিষয়টি ইতিমধ্যে নানাভাবে উঠে এসেছে। তাঁরা হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডের মতো রাসায়নিক থাকার বিষয়টি গোপন করার কারণেই এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এখন প্রশ্ন উঠেছে, এ ঘটনার জন্য শুধু কি মালিকপক্ষই দায়ী, তদারকি সংস্থা-গুলোর কি কোনো দায়িত্ব ছিল না?
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ডিপো তদারকির দায়িত্বে যেসব সংস্থা ছিল, তাদেরও অবহেলা ছিল। তারা ঠিকমতো তদারক করেনি বলেই প্রতিষ্ঠানটিতে অগ্নিনির্বাপণ থেকে শুরু করে ডিপোর সেফটি সিকিউরিটি ব্যবস্থা ছিল নড়বড়ে। যে কারণে ছোট আগুন থেকেই বড় ধরনের এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তাঁদের দাবি, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস ঠিকমতো তদারক না করার কারণেই মালিকপক্ষ অগ্নিনিরাপত্তার ব্যবস্থাসহ ডিপোর সেফটি সিকিউরিটি ব্যবস্থা ঠিক না রেখেই ব্যবসা চালিয়ে যেতে পেরেছে। তাই এই ঘটনায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ কোনোভাবে দায় এড়াতে পারে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের মালিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেশ কিছু শর্ত প্রতিপালনের বিপরীতেই কোনো প্রতিষ্ঠানকে বেসরকারি আইসিডির (কনটেইনার ডিপো) অনুমোদন দেওয়া হয়। যেসব শর্তে অনুমোদন দেওয়া হয়, সেগুলো ভঙ্গ করলে লাইসেন্স বাতিল করার এখতিয়ার কাস্টমসের আছে। অগ্নিনিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ না করেই এত দিন ডিপোর কার্যক্রম পরিচালনা করার পরও বিএম কনটেইনার ডিপোর লাইসেন্স স্থগিত করা হয়নি। অথচ চাইলেই কাস্টমস সেটি করতে পারত।
গত শনিবার রাত ৯টার দিকে বিএম কনটেইনার ডিপোর একটি কনটেইনারে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করার পর সেখানে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে এখন পর্যন্ত সরকারি হিসাবে ৪৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৪৬ জন।
ডিপোর মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অবহেলার অভিযোগ উঠেছে। তাঁরা কোনো ধরনের অগ্নিনিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ না করেই এত দিন ডিপো পরিচালনা করে আসছেন। ডিপোতে কোনো ফায়ার হাইড্রেন্ট, স্মোক, হিট ও মাল্টি ডিটেকটর স্থাপন করা হয়নি। অথচ বেসরকারি আইসিডি/সিএফএস বা অফডক স্থাপন ও পরিচালনা-সংক্রান্ত নীতিমালা-২০২১ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটিকে অগ্নিনির্বাপণ ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের অনুমোদিত শর্ত নমুনা অনুযায়ী অগ্নিনির্বাপণের প্রয়োজনীয় সুবিধা নিশ্চিত করার কথা ছিল। শুধু তা-ই নয়, নীতিমালা অনুযায়ী অবকাঠামো স্থাপনের শর্তে বলা হয়েছে, আমদানি-রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার ও খালি কনটেইনার হ্যান্ডলিং ও সংরক্ষণের জন্য পৃথকভাবে ইয়ার্ড, শেড ও পরীক্ষণ শেড নির্মাণ করতে হবে। অগ্নিকাণ্ডের পর ওই ডিপোতে গিয়ে একাধিক শেড দেখা যায়নি। এসব তদারকির কথা ছিল চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষের। তারা তদারক করেনি বলেই এসব শর্ত পূরণ করা ছাড়াই বিএম কনটেইনার ডিপো কর্তৃপক্ষ ব্যবসা পরিচালনা করতে পেরেছে।
এ সম্পর্কে জানতে কাস্টমস কমিশনার (চট্টগ্রাম) ফখরুল আলমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
পরে এ বিষয়ে জানতে এক সহকারী কমিশনারকে ফোন করা হলে তিনি নাম প্রকাশ না করার শর্তে কথা বলতে রাজি হন। তিনি বলেন, আইসিডি প্রতিষ্ঠার অনুমতিপত্রের কোনো শর্ত ভঙ্গ করলে ওই কনটেইনার ডিপোর লাইসেন্স স্থগিত করার এখতিয়ার কাস্টমসের আছে। কিন্তু চলমান একটি ডিপোতে অনেক প্রতিষ্ঠানের আমদানি-রপ্তানির পণ্যবোঝাই কনটেইনার থাকে। তাই স্থগিত করলে তারা অসুবিধায় পড়বে। এ কারণে চাইলেও অনেক সময় ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হয় না।
নীতিমালায় কাস্টমস থেকে প্রতি বছর অফডক অডিট করার কথা বলা হয়েছে। প্রতিবছর অডিট করা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। এটি আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ভালো বলতে পারবে।’
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় মালিক-পক্ষের অবহেলার বিষয়টি ইতিমধ্যে নানাভাবে উঠে এসেছে। তাঁরা হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডের মতো রাসায়নিক থাকার বিষয়টি গোপন করার কারণেই এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এখন প্রশ্ন উঠেছে, এ ঘটনার জন্য শুধু কি মালিকপক্ষই দায়ী, তদারকি সংস্থা-গুলোর কি কোনো দায়িত্ব ছিল না?
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ডিপো তদারকির দায়িত্বে যেসব সংস্থা ছিল, তাদেরও অবহেলা ছিল। তারা ঠিকমতো তদারক করেনি বলেই প্রতিষ্ঠানটিতে অগ্নিনির্বাপণ থেকে শুরু করে ডিপোর সেফটি সিকিউরিটি ব্যবস্থা ছিল নড়বড়ে। যে কারণে ছোট আগুন থেকেই বড় ধরনের এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তাঁদের দাবি, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস ঠিকমতো তদারক না করার কারণেই মালিকপক্ষ অগ্নিনিরাপত্তার ব্যবস্থাসহ ডিপোর সেফটি সিকিউরিটি ব্যবস্থা ঠিক না রেখেই ব্যবসা চালিয়ে যেতে পেরেছে। তাই এই ঘটনায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ কোনোভাবে দায় এড়াতে পারে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের মালিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেশ কিছু শর্ত প্রতিপালনের বিপরীতেই কোনো প্রতিষ্ঠানকে বেসরকারি আইসিডির (কনটেইনার ডিপো) অনুমোদন দেওয়া হয়। যেসব শর্তে অনুমোদন দেওয়া হয়, সেগুলো ভঙ্গ করলে লাইসেন্স বাতিল করার এখতিয়ার কাস্টমসের আছে। অগ্নিনিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ না করেই এত দিন ডিপোর কার্যক্রম পরিচালনা করার পরও বিএম কনটেইনার ডিপোর লাইসেন্স স্থগিত করা হয়নি। অথচ চাইলেই কাস্টমস সেটি করতে পারত।
গত শনিবার রাত ৯টার দিকে বিএম কনটেইনার ডিপোর একটি কনটেইনারে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করার পর সেখানে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে এখন পর্যন্ত সরকারি হিসাবে ৪৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৪৬ জন।
ডিপোর মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অবহেলার অভিযোগ উঠেছে। তাঁরা কোনো ধরনের অগ্নিনিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ না করেই এত দিন ডিপো পরিচালনা করে আসছেন। ডিপোতে কোনো ফায়ার হাইড্রেন্ট, স্মোক, হিট ও মাল্টি ডিটেকটর স্থাপন করা হয়নি। অথচ বেসরকারি আইসিডি/সিএফএস বা অফডক স্থাপন ও পরিচালনা-সংক্রান্ত নীতিমালা-২০২১ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটিকে অগ্নিনির্বাপণ ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের অনুমোদিত শর্ত নমুনা অনুযায়ী অগ্নিনির্বাপণের প্রয়োজনীয় সুবিধা নিশ্চিত করার কথা ছিল। শুধু তা-ই নয়, নীতিমালা অনুযায়ী অবকাঠামো স্থাপনের শর্তে বলা হয়েছে, আমদানি-রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার ও খালি কনটেইনার হ্যান্ডলিং ও সংরক্ষণের জন্য পৃথকভাবে ইয়ার্ড, শেড ও পরীক্ষণ শেড নির্মাণ করতে হবে। অগ্নিকাণ্ডের পর ওই ডিপোতে গিয়ে একাধিক শেড দেখা যায়নি। এসব তদারকির কথা ছিল চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষের। তারা তদারক করেনি বলেই এসব শর্ত পূরণ করা ছাড়াই বিএম কনটেইনার ডিপো কর্তৃপক্ষ ব্যবসা পরিচালনা করতে পেরেছে।
এ সম্পর্কে জানতে কাস্টমস কমিশনার (চট্টগ্রাম) ফখরুল আলমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
পরে এ বিষয়ে জানতে এক সহকারী কমিশনারকে ফোন করা হলে তিনি নাম প্রকাশ না করার শর্তে কথা বলতে রাজি হন। তিনি বলেন, আইসিডি প্রতিষ্ঠার অনুমতিপত্রের কোনো শর্ত ভঙ্গ করলে ওই কনটেইনার ডিপোর লাইসেন্স স্থগিত করার এখতিয়ার কাস্টমসের আছে। কিন্তু চলমান একটি ডিপোতে অনেক প্রতিষ্ঠানের আমদানি-রপ্তানির পণ্যবোঝাই কনটেইনার থাকে। তাই স্থগিত করলে তারা অসুবিধায় পড়বে। এ কারণে চাইলেও অনেক সময় ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হয় না।
নীতিমালায় কাস্টমস থেকে প্রতি বছর অফডক অডিট করার কথা বলা হয়েছে। প্রতিবছর অডিট করা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। এটি আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ভালো বলতে পারবে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪