Ajker Patrika

চেক প্রত্যাখ্যানে সাজা ভুয়া চালানে জামিন

জয়পুরহাট প্রতিনিধি
আপডেট : ২৬ জানুয়ারি ২০২২, ১৫: ২৪
চেক প্রত্যাখ্যানে সাজা  ভুয়া চালানে জামিন

জয়পুরহাটে চেক প্রত্যাখ্যানের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামি ভুয়া চালান জমা দিয়ে জামিন নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত বছরের নভেম্বর মাসে তাঁদের এই জামিন করা হয়েছিল। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ব্যাংকের চালান জালিয়াতির এ ঘটনায় এক আসামির আইনজীবী থানায় মামলা করেছেন।

জয়পুরহাট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল বলেন, ‘চেক প্রত্যাখ্যানের দুটি মামলায় ব্যাংক চালান জালিয়াতি করে দুই আসামি জামিন নিয়েছেন। জালিয়াতির ঘটনায় আদালত ও আইনজীবীদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।’

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দুই ব্যবসায়ী আরমান হাবিব ও সোহেল রানার বিরুদ্ধে আদালতে পৃথকভাবে প্রায় ৬০ লাখ টাকার দুটি চেক প্রত্যাখ্যান মামলা করা হয়। আরমান হাবিবের বিরুদ্ধে করা মামলার বাদী শাহ মো. কামরুল হাসান এবং সোহেল রানার বিরুদ্ধে মামলার বাদী আমানুল্লাহ। আদালতে রায়ে এই দুই আসামিকে এক বছর করে কারাদণ্ডসহ চেকে উল্লেখিত সমপরিমাণ টাকা জরিমানা করেন। দুই আসামি গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিলেন।

গত বছরের ১১ নভেম্বর আইনজীবী রেজাউল করিম তাঁর মক্কেল আরমান হাবিবের জরিমানার ৩০ লাখের অর্ধেক টাকা জমার চালান রসিদ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে দাখিল করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাঁকে জামিন দেন।

অপর আসামি সোহেল রানার চেকে উল্লেখিত সমপরিমাণ জরিমানার ২৮ লাখ ১৬ হাজার টাকার অর্ধেক টাকা ৮৩ নম্বর চালান রসিদ দ্বিতীয় যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে দাখিল করেন। জামিন পাওয়ার পর ২৮ নভেম্বর সোহেল রানা কারাগার থেকে ছাড়া পান।

ওই দুটি পৃথক চেক প্রত্যাখ্যান মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবীরা ব্যাংক ও আদালতে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, ওই দুটি চালানে ব্যাংকে কোনো টাকা জমা হয়নি। এরপর ওই দুই আইনজীবী দুই আসামির জামিন বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট আদালত ওই দুই আসামির জামিন আদেশ বাতিল করে তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

ব্যাংকের চালান জালিয়াতির ঘটনায় সোহেল রানার আইনজীবী আনিছুর রহমান ১৯ জানুয়ারি জয়পুরহাট সদর থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় সোহেল রানার বড় ভাই আব্দুল করিম, বোনসহ অজ্ঞাত আরও তিন-চারজনকে আসামি করা হয়। আব্দুল করিমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রেজাউল করিম ও আনিছুর রহমানের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মুহুরি ও মক্কেলের স্বজনেরা ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার চালান এনে দিয়েছেন। তাঁদের প্রতি সরল বিশ্বাসে তাঁরা চালানে স্বাক্ষর করেছিলেন। চালানে ব্যাংকের সিল ও কর্মকর্তার স্বাক্ষর ছিল। চালান জালিয়াতির ঘটনার সঙ্গে তাঁরা কেউ জড়িত নন বলে দাবি করেছেন।

সোহেল রানার ভাবি নাছিমা বেগম বলেন, ‘আনিছুর রহমান ও আজিজার রহমান আমার দেবরকে জামিন করানোর জন্য চুক্তি করেন। আমরা চুক্তিকৃত টাকা দিয়েছি। আইনজীবী নিজের দায় এড়াতে আমার স্বামী ও ননদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।’

মুহুরি আজিজার রহমান বলেন, ‘যে আইনজীবীরা জামিন করিয়েছেন, তাঁরাই ব্যাংক চালান আদালতে জমা দিয়েছেন। মুহুরি হিসেবে আইনজীবীদের লেখালেখির সহযোগিতা করেছি।’

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আলমগীর জাহান বলেন, জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘জনতার জন্য হিজাব আইন, খামেনির উপদেষ্টার মেয়ের জন্য ডানাকাটা জামা’

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বন্ধ করবে: আমীর খসরু

সিটি করপোরেশন হচ্ছে সাভার

বিএনপির ক্লাবঘরে হামলা: জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি ভাঙচুর

নির্বাচনের আগে প্রশাসনে রদবদল তাঁর তত্ত্বাবধানেই, যোগ্যদেরকে ডিসি নিয়োগ— বিএনপিকে প্রধান উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...