নিজস্ব প্রতিবেদক
স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন স্বামী মাসুম মোল্যা (৩৫)। কদিন আগে কারাগার থেকে আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে দেখা হলে তিনি ভালো হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে জামিনের ব্যবস্থা করতে আকুতি জানিয়েছিলেন।
স্বামীর কথায় মন গলে তসলিমার। পরে এক দিন তিনি কারাগারে স্বামীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান। সেখানে আলোচনার মধ্য দিয়ে দুজনের বিরোধ মিটে যায়। সে অনুযায়ী গত সোমবার আদালত থেকে জামিন করিয়ে স্বামীকে নিতে কারাগারের সামনে অপেক্ষা করছিলেন স্ত্রী তসলিমা খাতুন। সেখানেই ঘটে বিপত্তি।
মাসুম মোল্যার জন্য তসলিমার পাশেই অপেক্ষা করছিলেন রোজিনা নামের খুলনার ফুলতলার এক নারী। তসলিমাকে রোজিনা জানান, তিনি মাসুম মোল্যার দ্বিতীয় স্ত্রী। মাসুম কারাগার থেকে মুক্তি পেলে স্বামীকে নিয়ে তিনি ফুলতলায় নিজের বাড়ি চলে যাবেন।
এ নিয়ে কারাগারের ফটকে (জেল গেট) মাসুমের দুই ‘স্ত্রীর’ মধ্যে সৃষ্টি হয় উত্তেজনা। প্রথম স্ত্রী কোনোভাবেই রোজিনাকে স্বামীর দ্বিতীয় স্ত্রী মেনে নিতে পারছেন না।
একপর্যায়ে জেলগেটে আসেন মাসুমের ছোট ভাই রাজা মোল্যা। তিনি উভয়কে নিবৃত্ত করে বলেন, ‘ভাই মুক্তি পেলে তোমাদের কারও সঙ্গেই সে যাবে না। আমার ভাইকে আমি বাড়ি নিয়ে যাব। পরে দেখা যাবে কী হয়।’
তবে তসলিমা এবং রোজিনা দুজনই নাছোড় বান্দা। কেউ বাড়ি ফিরে যেতে নারাজ। অবশেষে তাঁদের অপেক্ষার পালা শেষ হয় সন্ধ্যা ৬টায়। মাসুম মোল্যা কারাগার থেকে বের হওয়া মাত্রই তাঁর হাত ধরে দুই নারী টানাটানি শুরু করে দেন। পরে উপস্থিত লোকজন তাঁদের নিবৃত্ত করে জানান, মাসুম মোল্যাই সিদ্ধান্ত নেবেন, তিনি কোথায় যাবেন। যেখানে যেতে চাইবেন, তিনি সেখানেই যাবেন।
এ সময় উভয় নারী বলে ওঠেন, ‘তুমিই বলো, তুমি কোথায় যাবে!’ উত্তরে মাসুম বলেন, ‘আমার জামিন কে করিয়েছে?’ তখন উভয় স্ত্রী দাবি করেন, তাঁরা আলাদা আলাদাভাবে টাকা খরচ করে তাঁকে মুক্ত করেছেন। এমনকি রোজিনা চিৎকার করে বলেন, ‘তুমি জানো না, আমার গয়না বেচে চার হাজার টাকা দিয়ে তোমাকে মুক্ত করেছি।’
পাল্টা উত্তরে কোলে থাকা সন্তানের মাথা ছুঁয়ে কসম দিয়ে তসলিমা বলেন, ‘আমি তোমার কথা মতো জেলখানায় খাবার কিনে দিয়ে গেছি। এ ছাড়া আমি তোমার নারী নির্যাতনের মামলার বাদী। তুমি উকিলের কাছে জেনে দেখ, আমার সম্মতি না থাকলে তুমি কোনোভাবেই জামিন পেতে না।’ পরে উভয় নারীর কাছে যাবেন এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে মাসুম মোল্যা নিজের ভাইয়ের হাত ধরে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন।
যশোর শহরের শংকরপুরের বাসিন্দা তসলিমা খাতুন বলেন, ‘২০১৮ সালে কেশবপুরের কলাগাছি গ্রামের মাসুম মোল্যার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। সে থেকে আমি শ্বশুর বাড়িতেই থাকি। আমাদের তিন বছর বয়সী একটি সন্তান আছে। স্বামী মাসুম মোল্যা নওয়াপাড়ায় ঘাট শ্রমিকের কাজ করতেন।’
তসলিমা খাতুন বলেন, ‘চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে মাসুমের চলাফেরা, কথাবার্তায় পরিবর্তন দেখা যায়। এমনকি তিনি বাড়িতে আমাদের টাকাও দেওয়া বন্ধ করে দেন। কিছু বললে, মারধর করতেন। পরে পারিবারিকভাবে মীমাংসায় ব্যর্থ হয়ে মাসুমের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করি। ওই মামলায় চলতি মে মাসের শুরুতে মাসুম গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যান।’
স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন স্বামী মাসুম মোল্যা (৩৫)। কদিন আগে কারাগার থেকে আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে দেখা হলে তিনি ভালো হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে জামিনের ব্যবস্থা করতে আকুতি জানিয়েছিলেন।
স্বামীর কথায় মন গলে তসলিমার। পরে এক দিন তিনি কারাগারে স্বামীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান। সেখানে আলোচনার মধ্য দিয়ে দুজনের বিরোধ মিটে যায়। সে অনুযায়ী গত সোমবার আদালত থেকে জামিন করিয়ে স্বামীকে নিতে কারাগারের সামনে অপেক্ষা করছিলেন স্ত্রী তসলিমা খাতুন। সেখানেই ঘটে বিপত্তি।
মাসুম মোল্যার জন্য তসলিমার পাশেই অপেক্ষা করছিলেন রোজিনা নামের খুলনার ফুলতলার এক নারী। তসলিমাকে রোজিনা জানান, তিনি মাসুম মোল্যার দ্বিতীয় স্ত্রী। মাসুম কারাগার থেকে মুক্তি পেলে স্বামীকে নিয়ে তিনি ফুলতলায় নিজের বাড়ি চলে যাবেন।
এ নিয়ে কারাগারের ফটকে (জেল গেট) মাসুমের দুই ‘স্ত্রীর’ মধ্যে সৃষ্টি হয় উত্তেজনা। প্রথম স্ত্রী কোনোভাবেই রোজিনাকে স্বামীর দ্বিতীয় স্ত্রী মেনে নিতে পারছেন না।
একপর্যায়ে জেলগেটে আসেন মাসুমের ছোট ভাই রাজা মোল্যা। তিনি উভয়কে নিবৃত্ত করে বলেন, ‘ভাই মুক্তি পেলে তোমাদের কারও সঙ্গেই সে যাবে না। আমার ভাইকে আমি বাড়ি নিয়ে যাব। পরে দেখা যাবে কী হয়।’
তবে তসলিমা এবং রোজিনা দুজনই নাছোড় বান্দা। কেউ বাড়ি ফিরে যেতে নারাজ। অবশেষে তাঁদের অপেক্ষার পালা শেষ হয় সন্ধ্যা ৬টায়। মাসুম মোল্যা কারাগার থেকে বের হওয়া মাত্রই তাঁর হাত ধরে দুই নারী টানাটানি শুরু করে দেন। পরে উপস্থিত লোকজন তাঁদের নিবৃত্ত করে জানান, মাসুম মোল্যাই সিদ্ধান্ত নেবেন, তিনি কোথায় যাবেন। যেখানে যেতে চাইবেন, তিনি সেখানেই যাবেন।
এ সময় উভয় নারী বলে ওঠেন, ‘তুমিই বলো, তুমি কোথায় যাবে!’ উত্তরে মাসুম বলেন, ‘আমার জামিন কে করিয়েছে?’ তখন উভয় স্ত্রী দাবি করেন, তাঁরা আলাদা আলাদাভাবে টাকা খরচ করে তাঁকে মুক্ত করেছেন। এমনকি রোজিনা চিৎকার করে বলেন, ‘তুমি জানো না, আমার গয়না বেচে চার হাজার টাকা দিয়ে তোমাকে মুক্ত করেছি।’
পাল্টা উত্তরে কোলে থাকা সন্তানের মাথা ছুঁয়ে কসম দিয়ে তসলিমা বলেন, ‘আমি তোমার কথা মতো জেলখানায় খাবার কিনে দিয়ে গেছি। এ ছাড়া আমি তোমার নারী নির্যাতনের মামলার বাদী। তুমি উকিলের কাছে জেনে দেখ, আমার সম্মতি না থাকলে তুমি কোনোভাবেই জামিন পেতে না।’ পরে উভয় নারীর কাছে যাবেন এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে মাসুম মোল্যা নিজের ভাইয়ের হাত ধরে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন।
যশোর শহরের শংকরপুরের বাসিন্দা তসলিমা খাতুন বলেন, ‘২০১৮ সালে কেশবপুরের কলাগাছি গ্রামের মাসুম মোল্যার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। সে থেকে আমি শ্বশুর বাড়িতেই থাকি। আমাদের তিন বছর বয়সী একটি সন্তান আছে। স্বামী মাসুম মোল্যা নওয়াপাড়ায় ঘাট শ্রমিকের কাজ করতেন।’
তসলিমা খাতুন বলেন, ‘চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে মাসুমের চলাফেরা, কথাবার্তায় পরিবর্তন দেখা যায়। এমনকি তিনি বাড়িতে আমাদের টাকাও দেওয়া বন্ধ করে দেন। কিছু বললে, মারধর করতেন। পরে পারিবারিকভাবে মীমাংসায় ব্যর্থ হয়ে মাসুমের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করি। ওই মামলায় চলতি মে মাসের শুরুতে মাসুম গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যান।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৭ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪