Ajker Patrika

এক সেতুর কার্যাদেশ পৃথক দুই সংস্থার

পীরগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ০২ মার্চ ২০২২, ১৬: ১২
এক সেতুর কার্যাদেশ পৃথক দুই সংস্থার

পীরগঞ্জে একই স্থানে সেতু নির্মাণ নিয়ে সরকারের দুই সংস্থা এবং তাদের নিয়োজিত দুই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। মিঠিপুর ইউনিয়নের হাসানপুর জুম্মাপাড়ায় সেতুটি হচ্ছে। এ নিয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয় এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে।

পিআইও কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এখান থেকে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে হাসানপুর জুম্মাপাড়ার ডোমজানা খালের ওপরে কলি ফকিরের ঘাটে প্রায় ৫৭ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি সেতু নির্মাণে দরপত্র আহ্বান করে। কিন্তু সংযোগ সড়ক না থাকায় বরাদ্দ অর্থ ফেরত যায়। পরে পিআইও কার্যালয় সংযোগ রাস্তাটি নির্মাণ করলে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর পুনরায় ২০২১-২২ অর্থবছরে সেতুটি নির্মাণে দরপত্র আহ্বান করে।

অধিদপ্তর থেকে ‘গ্রামীণ রাস্তায় ১৫ মিটার দৈর্ঘ্য পর্যন্ত সেতু/কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের’ আওতায় প্রায় ৬৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। দরপত্রে ৯ ফেব্রুয়ারি মো. নওরোজ হোসেনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি পায়। প্রকল্প পরিচালক আতিকুল ইসলাম ২০ ফেব্রুয়ারি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতু নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। এরপর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দিয়ে নির্মাণকাজ শুরু করে।

অপরদিকে বিএডিসি একই জায়গায় সেতু নির্মাণে ৬২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়। দরপত্রের মাধ্যমে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স পিয়াস কন্সট্রাকশনকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানটি গত রোববার রাতে ঘটনাস্থলে মাটি খননের যন্ত্র নিয়ে যায়। তখন সরকারি দুই সংস্থার মধ্যকার দ্বন্দ্ব সামনে চলে আসে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বিরোধ কাটিয়ে যথাসময়ে সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন। খাল পাড়ের আলম উদ্দিন, আবুল হাশেম ও মাকছুদা খাতুন জানান, তাঁরা দ্রুত সেতু চান। সঙ্গে পাকা রাস্তা। সেতু হলে সহজে ধানসহ অন্যান্য ফসল আনা-নেওয়া করতে পারবেন।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেকুল ইসলাম সাদা বলেন, ‘পিআইও অফিস পাইলিং করে ব্রিজ করবে। পাইলিং টেকসই হয়। সেটিই করা হোক।’

এ বিষয়ে পিআইও মিজানুর রহমান বলেন, ‘২০১৬ সালে মিঠিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা ও স্থানীয় জনতার সঙ্গে পরামর্শক্রমে উল্লেখিত স্থানে সেতু নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। গত রোববার রাত ৩টার দিকে ওই স্থানে বিএডিসির ঠিকাদার এক্সকাভেটর আনে বলে খবর পেয়ে আমি সোমবার ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে বিএডিসির পক্ষ থেকে উপসহকারী প্রকৌশলীও যান। এখানে তো আমরাই ব্রিজ করব।’

জানতে চাইলে বিএডিসির উপসহকারী প্রকৌশলী রুবেল মিয়া বলেন, ‘ওই স্থানে ব্রিজ নির্মাণে আমাদের আহ্বানে টেন্ডারের মাধ্যমে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স পিয়াস কন্সট্রাকশন কাজ পায়। সেই কাজ করার জন্য ওরা এক্সকাভেটর নিয়ে গেছে।’

সেতু নির্মাণের কাজ কোন প্রতিষ্ঠান করবে তা জানতে চাইলে রুবেল বলেন, ‘স্থানীয়ভাবে বিষয়টি নিষ্পত্তি না হলে আমরা সংসদ সদস্যের কাছে গিয়ে সমঝোতা করে নেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত