ক্রীড়া ডেস্ক
উইম্বলডনে সাদা পোশাক পরে খেলার প্রথা বহু পুরোনো। ১৮৭৭ সালে টুর্নামেন্ট শুরুর পর ভিক্টোরিয়া যুগে এটা বিশ্বাস করা হতো যে সাদা হচ্ছে খেলোয়াড়দের জন্য আদর্শ রং। আর রঙিন পোশাকের চেয়ে সাদা পোশাকে ঘামের দাগ কম বোঝা যায়। ১৯৬৩ ও ১৯৯৫ সালে দুবার নিয়ম নতুন করে সংশোধন করা হয়। পরে ২০১৪ সালে আবার পোশাক নিয়ে ১০টি নির্দেশনা জারি করা হয়। তবে এসব নিয়ম দর্শকদের জন্য নয়, শুধু খেলোয়াড়দের জন্য প্রযোজ্য।
সাদা জামা পরার কঠোর প্রথা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সম্প্রতি সাবেক অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন মনিকা পুজ নারীদের ঋতুকালীন সময়ে এই জামা পরার মানসিক যন্ত্রণার কথা লিখলে অনেকেই তাতে সায় দিয়েছিলেন। তিনি বলেছেন, ‘এটা এমন কিছু যা নারী অ্যাথলেটদের ওপর প্রভাব ফেলে। আরও বলতে হয় উইম্বলডনে সবকিছু সাদা পরা মানসিক চাপের কথা এবং সেই দুই সপ্তাহে রক্তস্রাব না হওয়ার প্রার্থনার কথা।’
ব্রিটিশ টেনিস তারকা হিদার ওয়াটসন বিবিসিকে বলেন, ‘সব কিছু সাদা হওয়ার কারণে এটা নিয়ে উইম্বলডনের সময় আলোচনা হয়। আমার মনে হয়, খেলোয়াড়েরা এটা নিয়ে অনেক কথা বলে। হয়তো সংবাদমাধ্যমে বলে না, তবে নিজেদের মধ্যে নিশ্চিতভাবেই বলে।’
লম্বা সময় ধরে ইস্যুটি আড়ালে থাকলেও এখন ছবি বদলাতে শুরু করেছে। ক্রীড়া দুনিয়া মেয়েদের ঋতুকালীন সময়ের সমস্যা নিয়ে কথা বলতে শুরু করেছে। যেখানে আলোচনার কেন্দ্রে আছে উইম্বলডনের সাদা পোশাক ও রক্তস্রাব।
ওয়াটসনের অবশ্য সাদা পোশাক পরে খেলতে আপত্তি নেই। বরং ঐতিহ্যবাহী এই পোশাক পরে খেলতে ভালোই লাগে তাঁর। তবে ঋতুকালীন সময়ে খেলা নিয়ে দুশ্চিন্তা আছে তাঁর। ব্রিটেনের প্রথম টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে ঋতুকালীন সময়ের প্রভাব নিয়ে কথা বলেছেন ওয়াটসন। ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের প্রথম রাউন্ডে বিদায় নেওয়ার পর মূলত মুখ খোলেন তিনি। সেবার হোবার্টে শিরোপা জিতে মেলবোর্নে এসেছিলেন তিনি। তবে ম্যাচের আগের দিন রজঃস্রাব শুরু হয় তাঁর। ম্যাচের আগে নিজের শক্তি ও সাহস সবকিছুই যেন হারিয়ে বসেছিলেন তিনি। পরে প্রথম রাউন্ডে হেরে বিদায় নিতে হয় তাঁকে।
এরপর উইম্বলডনের মাঝামাঝি সময়ে যখন তাঁকে এ ধরনের পরিস্থিতিতে পড়তে হয় ওয়াটসনকে। সাদা পোশাকে এ সমস্যা মোকাবিলা করাটা খুবই বিরক্তিকর ঠেকেছিল তাঁর কাছে। সমাধানের খোঁজে উইম্বলডনের সময় পিল খাওয়ার কথাও ভেবে রাখেন তিনি।
খেলাধুলায় ঋতুকালীন সময়ের প্রভাব নিয়ে আলাপের পরিসর বড় হলেও সাদা পোশাকে উইম্বলডন খেলার অস্বস্তির আলোচনাটা শুধু নারী খেলোয়াড়দের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। অনেক খেলোয়াড়ের আবার পিল নেওয়ার ব্যাপারেও অনীহা ছিল। ২০২০ সালে করা এক জরিপে দেখা গেছে, ৬০ শতাংশ নরী খেলোয়াড় ঋতুকালীন অবস্থায় খেলতে গিয়ে বাজে পারফর্ম করেছেন অথবা খেই হারিয়ে ফেলেছেন। আর ৪০ শতাংশ খেলোয়াড় কোচের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলতে অস্বস্তি বোধ করেছেন।
ঋতুকালীন সময়ে খেলতে গিয়ে বিপাকে পড়ার সর্বশেষ উদাহরণ ফ্রেঞ্চ ওপেনে জেং কুইনওয়েন। দারুণ ছন্দে থাকা শীর্ষ বাছাই ইগা সিয়াতেককে সেদিন বেশ বিপাকে ফেলেন জেং। তবে পেট ব্যথায় একপর্যায়ে অসুস্থ হয়ে খেই হারিয়ে ফেলেন জেং। পরে এটাকে ‘ মেয়েলি সমস্যা’বলে মন্তব্য করেন তিনি।
২০১৫ সালে উইম্বলডন শুরুর আগে পেত্রা কেভিতোভাও এই সমস্যা নিয়ে কথা বলেন। যদিও সাদা পোশাকে খেলতে আপত্তি ছিল না তাঁর। শুধু উইম্বলডনেই নয়, টেস্ট ক্রিকেটসহ আরও অনেক খেলায় নারীদের এমন বিড়ম্বনার মুখে পড়তে হয়। এখন সময় বদলেছে। উইম্বলডন কর্তৃপক্ষও অবশ্য নারীদের স্বার্থের বিষয় ভাবার কথা বলছে। এ সমস্যার সমাধানে সামনের দিনে যুগান্তকারী কোনো পরিবর্তনের আশা হয়তো করাই যায়।
উইম্বলডনে সাদা পোশাক পরে খেলার প্রথা বহু পুরোনো। ১৮৭৭ সালে টুর্নামেন্ট শুরুর পর ভিক্টোরিয়া যুগে এটা বিশ্বাস করা হতো যে সাদা হচ্ছে খেলোয়াড়দের জন্য আদর্শ রং। আর রঙিন পোশাকের চেয়ে সাদা পোশাকে ঘামের দাগ কম বোঝা যায়। ১৯৬৩ ও ১৯৯৫ সালে দুবার নিয়ম নতুন করে সংশোধন করা হয়। পরে ২০১৪ সালে আবার পোশাক নিয়ে ১০টি নির্দেশনা জারি করা হয়। তবে এসব নিয়ম দর্শকদের জন্য নয়, শুধু খেলোয়াড়দের জন্য প্রযোজ্য।
সাদা জামা পরার কঠোর প্রথা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সম্প্রতি সাবেক অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন মনিকা পুজ নারীদের ঋতুকালীন সময়ে এই জামা পরার মানসিক যন্ত্রণার কথা লিখলে অনেকেই তাতে সায় দিয়েছিলেন। তিনি বলেছেন, ‘এটা এমন কিছু যা নারী অ্যাথলেটদের ওপর প্রভাব ফেলে। আরও বলতে হয় উইম্বলডনে সবকিছু সাদা পরা মানসিক চাপের কথা এবং সেই দুই সপ্তাহে রক্তস্রাব না হওয়ার প্রার্থনার কথা।’
ব্রিটিশ টেনিস তারকা হিদার ওয়াটসন বিবিসিকে বলেন, ‘সব কিছু সাদা হওয়ার কারণে এটা নিয়ে উইম্বলডনের সময় আলোচনা হয়। আমার মনে হয়, খেলোয়াড়েরা এটা নিয়ে অনেক কথা বলে। হয়তো সংবাদমাধ্যমে বলে না, তবে নিজেদের মধ্যে নিশ্চিতভাবেই বলে।’
লম্বা সময় ধরে ইস্যুটি আড়ালে থাকলেও এখন ছবি বদলাতে শুরু করেছে। ক্রীড়া দুনিয়া মেয়েদের ঋতুকালীন সময়ের সমস্যা নিয়ে কথা বলতে শুরু করেছে। যেখানে আলোচনার কেন্দ্রে আছে উইম্বলডনের সাদা পোশাক ও রক্তস্রাব।
ওয়াটসনের অবশ্য সাদা পোশাক পরে খেলতে আপত্তি নেই। বরং ঐতিহ্যবাহী এই পোশাক পরে খেলতে ভালোই লাগে তাঁর। তবে ঋতুকালীন সময়ে খেলা নিয়ে দুশ্চিন্তা আছে তাঁর। ব্রিটেনের প্রথম টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে ঋতুকালীন সময়ের প্রভাব নিয়ে কথা বলেছেন ওয়াটসন। ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের প্রথম রাউন্ডে বিদায় নেওয়ার পর মূলত মুখ খোলেন তিনি। সেবার হোবার্টে শিরোপা জিতে মেলবোর্নে এসেছিলেন তিনি। তবে ম্যাচের আগের দিন রজঃস্রাব শুরু হয় তাঁর। ম্যাচের আগে নিজের শক্তি ও সাহস সবকিছুই যেন হারিয়ে বসেছিলেন তিনি। পরে প্রথম রাউন্ডে হেরে বিদায় নিতে হয় তাঁকে।
এরপর উইম্বলডনের মাঝামাঝি সময়ে যখন তাঁকে এ ধরনের পরিস্থিতিতে পড়তে হয় ওয়াটসনকে। সাদা পোশাকে এ সমস্যা মোকাবিলা করাটা খুবই বিরক্তিকর ঠেকেছিল তাঁর কাছে। সমাধানের খোঁজে উইম্বলডনের সময় পিল খাওয়ার কথাও ভেবে রাখেন তিনি।
খেলাধুলায় ঋতুকালীন সময়ের প্রভাব নিয়ে আলাপের পরিসর বড় হলেও সাদা পোশাকে উইম্বলডন খেলার অস্বস্তির আলোচনাটা শুধু নারী খেলোয়াড়দের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। অনেক খেলোয়াড়ের আবার পিল নেওয়ার ব্যাপারেও অনীহা ছিল। ২০২০ সালে করা এক জরিপে দেখা গেছে, ৬০ শতাংশ নরী খেলোয়াড় ঋতুকালীন অবস্থায় খেলতে গিয়ে বাজে পারফর্ম করেছেন অথবা খেই হারিয়ে ফেলেছেন। আর ৪০ শতাংশ খেলোয়াড় কোচের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলতে অস্বস্তি বোধ করেছেন।
ঋতুকালীন সময়ে খেলতে গিয়ে বিপাকে পড়ার সর্বশেষ উদাহরণ ফ্রেঞ্চ ওপেনে জেং কুইনওয়েন। দারুণ ছন্দে থাকা শীর্ষ বাছাই ইগা সিয়াতেককে সেদিন বেশ বিপাকে ফেলেন জেং। তবে পেট ব্যথায় একপর্যায়ে অসুস্থ হয়ে খেই হারিয়ে ফেলেন জেং। পরে এটাকে ‘ মেয়েলি সমস্যা’বলে মন্তব্য করেন তিনি।
২০১৫ সালে উইম্বলডন শুরুর আগে পেত্রা কেভিতোভাও এই সমস্যা নিয়ে কথা বলেন। যদিও সাদা পোশাকে খেলতে আপত্তি ছিল না তাঁর। শুধু উইম্বলডনেই নয়, টেস্ট ক্রিকেটসহ আরও অনেক খেলায় নারীদের এমন বিড়ম্বনার মুখে পড়তে হয়। এখন সময় বদলেছে। উইম্বলডন কর্তৃপক্ষও অবশ্য নারীদের স্বার্থের বিষয় ভাবার কথা বলছে। এ সমস্যার সমাধানে সামনের দিনে যুগান্তকারী কোনো পরিবর্তনের আশা হয়তো করাই যায়।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪