Ajker Patrika

পিচ উঠে সড়কে খানাখন্দ

গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২১, ১২: ৪৩
Thumbnail image

মেহেরপর-কুষ্টিয়া সড়ক দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় গাড়াডোব থেকে বামন্দী পর্যন্ত অধিকাংশ স্থান খানাখন্দে ভরে গেছে। এতে এ সড়কে চলাচলকারী লাখো মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

স্থানীয়দের দাবি জনগণের ভোগান্তি লাঘবে কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছে না সড়ক ও জনপদ বিভাগ।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, পোড়াপাড়া, গাংনী হাসপাতাল বাজার, মহিলা কলেজ মোড়, আখসেন্টারপাড়া, চেংগাড়া বাজার, জোড়পুকুর বাজার, তেরাইল-ওলিনগরসহ বিভিন্ন স্থানে অধিকাংশ স্থানে কার্পেটিং উঠে গেছে।

সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। ফলে সড়ক দিয়ে চলতে গিয়ে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। সড়কগুলো খানাখন্দে পরিণত হওয়ায় প্রতিনিয়ত বাস, ট্রাক, ইজিবাইক ও মোটরসাইকেল উল্টে ঘটছে দুর্ঘটনা। ভাঙাচোরা রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে যানবাহন বিকল হয়ে পড়ছে।

রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় এর প্রভাব পড়ছে এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্যে।

ট্রাক চালক লাভলু হোসেন বলেন, ‘মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের কুষ্টিয়া জেলার সড়ক চলাচলের কিছুটা উপযোগী হলেও মেহেরপুর অংশের রাস্তার এতটাই খারাপ যে তারা সবজি সহ অন্যান্য পণ্য পরিবহনে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রায় প্রতিনিয়ত ট্রাক সহ অন্যান্য যানবাহন বিকল হয়ে যায়।’

অটোচালক চালক মিলন হোসেন বলেন, ‘দীর্ঘ চার বছর সড়ক সংস্কার না হওয়ার কারণে বিশেষ করে গাড়াডোব থেকে বামন্দী পর্যন্ত চলাচল করতে ভোগান্তির শিকার হতে হয়।’

স্কুল শিক্ষার্থী বলেন, ‘ভাঙাচোরা রাস্তার পাশ দিয়ে স্কুলে যাওয়ার সময় গর্তে জমে থাকা পানি ছিটকে পড়ে জামা কাপড় নষ্ট হয়।’

ভ্যানচালক ইউসুফ আলী বলেন, ‘রাস্তার যে অবস্থা তাঁর জন্য বেশি মাল নেওয়া যায় না। এ ছাড়া ভ্যানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তারপরও পেটের দায়ে বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমেছি।’

মেহেরপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. নজরুল ইসলাম জানান, মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়ক প্রশস্ত করনের জন্য গতকাল বৃহস্পতিবার অথবা আগামী রোববারের মধ্যে টেন্ডার হবে। টেন্ডার হলে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে কাজ শুরু হবে।

এরপরও যেখানে বড়বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে সেখানে প্রাথমিক অবস্থায় ইট বালি দিয়ে চলাচলের উপযোগী করে রাখা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত