রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। গত চার-পাঁচ দিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছে ২৫ জন রোগী। এখনো ছয়জন রোগী সেখানে ভর্তি রয়েছে। এদিকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মীম আক্তার (২২) নামের এক তরুণীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় তাঁর পরিবার। গত সোমবার দুপুরে তিনি মারা যান।
তবে কী কারণে তরুণী মারা গেছেন, সেটা জানতে মরদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বাহারুল আলম।
মীম আক্তার উপজেলার কেরোয়া গ্রামের মালের বাড়ির খোকা মিয়ার মেয়ে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মাহমুদ হাসান সিদ্দিকীসহ মেডিকেল টিম গিয়ে তরুণীর মরদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছেন। পরে তিনি বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে আক্রান্ত রোগীদের খোঁজ নেন এবং পরামর্শ দেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মোহাম্মদ কবির আহমেদ বলেন, ‘প্রায় এক সপ্তাহ ধরে কেরোয়া ইউনিয়নে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। ইতিমধ্যে হাসপাতালে ২৫ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এখনো ছয়জন রোগী ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন। সাধারণ ডায়রিয়ার চাইতে এটির মাত্রা অনেক। রোগীকে পাঁচ-ছয় ঘণ্টার মধ্যেই ঝুঁকিতে ফেলে দেয়। তাই রোগীদের বাড়িতে না থেকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসতে আমাদের চেষ্টা রয়েছে। ইউনিয়নটিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাওয়ার স্যালাইন ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট সরবরাহ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকেই স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি এগুলো দিচ্ছেন। ডায়রিয়া-সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রচার ও পরামর্শমূলক বিষয়গুলো তাঁরা গ্রামে গ্রামে প্রচার শুরু করেছেন।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লোকজন ডায়রিয়া নয়, কলেরায় আক্রান্ত হচ্ছে। পুরোনো কলেরা রোগের মতোই এর ধরন। এ কারণেই দ্রুত জীবাণু ছড়িয়ে পড়ছে। আক্রান্ত ব্যক্তি অল্পতেই গুরুতর অসুস্থ হচ্ছে। পাঁচ-ছয় ঘণ্টার মধ্যেই আক্রান্ত ব্যক্তি মৃত্যুঝুঁকির মুখে পড়ছে। কয়েকজন চিকিৎসক এটিকে কলেরা হিসেবে অভিহিত করলেও নাম প্রকাশ করতে অনীহা দেখিয়েছেন।
রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বাহারুল আলম বলেন, ‘প্রতিবন্ধী কিশোরী মারা যাওয়ার আগে পেট খারাপ অসুখে ভুগছিল। পাতলা পায়খানার কারণে সে মারা গেছে বলে তার বাবা-মা আমাদের জানান। তবে নিশ্চিত কী কারণে সে মারা গেছে, সেটা জানতে মরদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণে আমাদের মেডিকেল টিম ও স্বাস্থ্যকর্মীরা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন।’
চাঁদপুরের মতলব আইসিডিডিআরবি হাসপাতালের চিকিৎসক চন্দ্র শিখর রায় বলেন, ‘প্রায় প্রতিদিনই রায়পুর উপজেলাসহ লক্ষ্মীপুর জেলা থেকে ডায়রিয়ায় পানিশূন্য অবস্থায় ৪০-৫০ জনের মতো রোগী আসছে। আমরা আমাদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আক্রান্তের পাঁচ-ছয় ঘণ্টার মধ্যেই রোগী পানিশূন্য হয়ে মৃত্যুঝুঁকিতে পড়ে। তাই আক্রান্তদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে স্যালাইন লাগিয়ে এরপর আমাদের এখানে আসার অনুরোধ জানাচ্ছি।’
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। গত চার-পাঁচ দিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছে ২৫ জন রোগী। এখনো ছয়জন রোগী সেখানে ভর্তি রয়েছে। এদিকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মীম আক্তার (২২) নামের এক তরুণীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় তাঁর পরিবার। গত সোমবার দুপুরে তিনি মারা যান।
তবে কী কারণে তরুণী মারা গেছেন, সেটা জানতে মরদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বাহারুল আলম।
মীম আক্তার উপজেলার কেরোয়া গ্রামের মালের বাড়ির খোকা মিয়ার মেয়ে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মাহমুদ হাসান সিদ্দিকীসহ মেডিকেল টিম গিয়ে তরুণীর মরদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছেন। পরে তিনি বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে আক্রান্ত রোগীদের খোঁজ নেন এবং পরামর্শ দেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মোহাম্মদ কবির আহমেদ বলেন, ‘প্রায় এক সপ্তাহ ধরে কেরোয়া ইউনিয়নে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। ইতিমধ্যে হাসপাতালে ২৫ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এখনো ছয়জন রোগী ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন। সাধারণ ডায়রিয়ার চাইতে এটির মাত্রা অনেক। রোগীকে পাঁচ-ছয় ঘণ্টার মধ্যেই ঝুঁকিতে ফেলে দেয়। তাই রোগীদের বাড়িতে না থেকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসতে আমাদের চেষ্টা রয়েছে। ইউনিয়নটিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাওয়ার স্যালাইন ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট সরবরাহ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকেই স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি এগুলো দিচ্ছেন। ডায়রিয়া-সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রচার ও পরামর্শমূলক বিষয়গুলো তাঁরা গ্রামে গ্রামে প্রচার শুরু করেছেন।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লোকজন ডায়রিয়া নয়, কলেরায় আক্রান্ত হচ্ছে। পুরোনো কলেরা রোগের মতোই এর ধরন। এ কারণেই দ্রুত জীবাণু ছড়িয়ে পড়ছে। আক্রান্ত ব্যক্তি অল্পতেই গুরুতর অসুস্থ হচ্ছে। পাঁচ-ছয় ঘণ্টার মধ্যেই আক্রান্ত ব্যক্তি মৃত্যুঝুঁকির মুখে পড়ছে। কয়েকজন চিকিৎসক এটিকে কলেরা হিসেবে অভিহিত করলেও নাম প্রকাশ করতে অনীহা দেখিয়েছেন।
রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বাহারুল আলম বলেন, ‘প্রতিবন্ধী কিশোরী মারা যাওয়ার আগে পেট খারাপ অসুখে ভুগছিল। পাতলা পায়খানার কারণে সে মারা গেছে বলে তার বাবা-মা আমাদের জানান। তবে নিশ্চিত কী কারণে সে মারা গেছে, সেটা জানতে মরদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণে আমাদের মেডিকেল টিম ও স্বাস্থ্যকর্মীরা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন।’
চাঁদপুরের মতলব আইসিডিডিআরবি হাসপাতালের চিকিৎসক চন্দ্র শিখর রায় বলেন, ‘প্রায় প্রতিদিনই রায়পুর উপজেলাসহ লক্ষ্মীপুর জেলা থেকে ডায়রিয়ায় পানিশূন্য অবস্থায় ৪০-৫০ জনের মতো রোগী আসছে। আমরা আমাদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আক্রান্তের পাঁচ-ছয় ঘণ্টার মধ্যেই রোগী পানিশূন্য হয়ে মৃত্যুঝুঁকিতে পড়ে। তাই আক্রান্তদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে স্যালাইন লাগিয়ে এরপর আমাদের এখানে আসার অনুরোধ জানাচ্ছি।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৭ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪