বিভুরঞ্জন সরকার

আমাদের দেশে সরকার এবং বিরোধী দলের রাজনীতি বৈরিতার, সহযোগিতার নয়। স্বাধীনতার পর নতুন দেশে নতুন রাজনীতির একটি ধারা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছিল মণি সিংহের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) এবং অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদের নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)। বঙ্গবন্ধু সরকারের ভালো কাজের সমর্থন বা প্রশংসা ও খারাপ কাজের বিরোধিতা বা সংগ্রামের নীতি নিয়েছিল দল দুটি। কিন্তু এই ঐক্য ও সংগ্রামের নীতি বা কৌশল রাজনৈতিক মহলে এমনকি জনসাধারণের মধ্যেও খুব প্রশংসিত হয়নি। উল্টো সিপিবি ও ন্যাপকে আওয়ামী লীগের বি-টিম, সি-টিম হিসেবে টিটকারী সহ্য করতে হয়েছিল। আওয়ামী লীগও যে সিপিবি-ন্যাপের প্রস্তাব বা বক্তব্য খুব বিবেচনায় নিয়েছে, তা-ও নয়। আওয়ামী লীগ আসলে আওয়ামী লীগের মতোই চলেছে। ব্যক্তিগতভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সিপিবি-ন্যাপের সঙ্গে সদ্ভাব রক্ষা করে চলতেন। আবার তাদের সব বক্তব্যের সঙ্গেই একমত পোষণ করতেন, তা নয়। তবে এটা ঠিক, বঙ্গবন্ধুর সময় পর্যন্ত দেশের রাজনীতি চরম বৈরিতাপূর্ণ ছিল না। একধরনের সমঝোতার মনোভাব ও পরিবেশ বজায় ছিল। বঙ্গবন্ধু ব্যক্তিগতভাবে তাঁর রাজনৈতিক বিশ্বাসের বিরোধীপক্ষের সঙ্গেও কখনো অসৌজন্যমূলক আচরণ করেননি, প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে কোনো বক্তব্যও দেননি।
কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে নৃশংসভাবে হত্যার মাধ্যমে রাজনীতির ধারা বদলে দেওয়া হয়। তারপর ধারাবাহিকভাবেই রাজনীতিতে অসহিষ্ণুতার ধারা প্রবল হয়ে উঠেছে। এখন দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল আর একে অপরের সহযোগী তো নয়ই, প্রতিদ্বন্দ্বীও নয়; একেবারে শত্রুতার সম্পর্ক। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নত করার কোনো দাওয়াই সম্ভবত জানা নেই। পরস্পরের বিরোধিতার অনিরাময়যোগ্য ব্যাধি কোন ওষুধে কীভাবে সারানো যাবে, তা কেউ বলতে পারবে না।
আওয়ামী লীগ যাতে উৎফুল্ল হয়, খুশি হয়, বিএনপি তাতে বেজার হয়, নাখোশ হয়। সম্প্রতি কিছুটা আকস্মিকভাবেই যেন এই দুই দল মুখোমুখি অবস্থানে চলে এসেছে। পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নেমেছে দুই দলই। মাঠে শেষ পর্যন্ত কোন দলের আধিপত্য বজায় থাকবে, কোন দলের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হবে, তা দেখার জন্য উৎসুক অপেক্ষা এখন অনেকেরই। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এখন কেন? নির্বাচনের তো এখনো বছর দেড়েক বাকি। এত আগে থেকে নেমে মাঠ গরম রাখার সাংগঠনিক শক্তি বিএনপি ও তার সহযোগীদের আছে তো?
কেউ কেউ অবশ্য মনে করছেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিন ঘোষণার পর বিএনপিও তাড়া অনুভব করছে সরকারকে একটু বেশি জোরে নাড়া দিতে। পদ্মা সেতু সরকারের সাফল্যের একটি উজ্জ্বল স্বাক্ষর হয়ে সবার সামনে আসছে। দেশে-বিদেশে নানা বিরোধিতা-ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে সরকার এই সেতু নির্মাণের কাজ শেষ করায় এ নিয়ে অহংকার বা গর্ব করার, এর সব কৃতিত্ব দাবি করার সংগত অধিকার অর্জন করেছে সরকার। বিদেশি সংবাদমাধ্যমেও পদ্মা সেতু তৈরি করায় শেখ হাসিনার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করা হচ্ছে। শেখ হাসিনার সরকারের সাফল্য বিএনপির গায়ে স্বাভাবিকভাবেই জ্বালা ধরাচ্ছে। আওয়ামী লীগের ভালো বিএনপি সহ্য করতে পারে না। আবার বিএনপির সাফল্যও নিশ্চয়ই আওয়ামী লীগের শিরঃপীড়ার কারণ হয়।
একটি ঘটনার কথা মনে পড়ছে। এটা গত শতকের নব্বইয়ের দশকের কথা। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি নির্বাচনে জয়লাভ করে ক্ষমতায় বসেছে। মির্জা গোলাম হাফিজ তখন আইন ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী। একদিন সচিবালয়ে মির্জা হাফিজের সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হয়েছিল। কথা প্রসঙ্গে তিনি আমাকে বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ যে সংসদে ইনডেমনিটি প্রত্যাহারের জন্য বিল জমা দিয়েছে, তা তিনি ড্রয়ারের নিচে লুকিয়ে রেখেছেন। বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে ইনডেমনিটি বাতিল হবে না। কারণ, এটা বাতিল হলে লাভ আওয়ামী লীগের, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারের সুযোগ পাওয়া যাবে। কিন্তু আওয়ামী লীগের যেটায় লাভ, সেটা বিএনপি করবে কেন?
পদ্মা সেতু চালু হলে শুধু আওয়ামী লীগের নয়, দেশের মানুষেরও লাভ। কিন্তু তাতে শেখ হাসিনার ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে নিঃসন্দেহে। শেখ হাসিনা প্রশংসিত হলে বিএনপি তা স্বাভাবিকভাবে নিতে পারে না। তাই পদ্মা সেতু উদ্বোধনের তারিখ ঘোষণার পর পরই রাজনীতির মাঠ গরমের চেষ্টা করছে দেশের দ্বিতীয় প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি। আর বিএনপির এ চেষ্টা প্রতিরোধ করতে গিয়ে আরও মাঠ উত্তপ্ত করছে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ। উভয় দলই তাদের প্রধান নেত্রীকে হত্যার হুমকির অভিযোগ তুলে মাঠে নেমেছে। এ নিয়ে বাগ্যুদ্ধ চলছে। উভয় দলের ছাত্রসংগঠনের মধ্যে এ নিয়ে সংঘর্ষ, মামলা, পাল্টা মামলার ঘটনাও ঘটেছে।
স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণের কার্যক্রম শুরুর পর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ‘জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু বানাচ্ছে, ওখানে চড়া যাবে না। চড়লে ভেঙে পড়বে।’ খালেদা জিয়ার এমন মন্তব্যের জবাব দিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৮ মে দলীয় এক আলোচনা সভায় বলেছেন, ‘পদ্মা সেতু থেকে খালেদা জিয়াকে টুস করে ফেলে দেওয়া উচিত।’
এরপর ২২ মে বিএনপির অঙ্গসংগঠন ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। সেই সমাবেশে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে বেশ কিছু কড়া বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘অনেকেই মনে করছেন আমরা তপ্ত রোদে উত্তপ্ত! আমরা উত্তপ্ত নই, শেখ হাসিনা আমাদের হৃদয়ে আঘাত করেছেন; আমাদের আদর্শিক মাকে নিয়ে কটূক্তি করেছেন। তাই আমরা উত্তপ্ত।’
ছাত্রলীগের অভিযোগ, ওই সমাবেশে ছাত্রদলের নেতারা ‘পঁচাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার’ এমন স্লোগান দেন। জুয়েলের এই বক্তব্য ও স্লোগানের পর মাঠে নামে ছাত্রলীগ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় প্রতিবাদের ঝড়। এই স্লোগান ও বক্তব্যের জন্য ক্ষমা না চাইলে ঢাবি ক্যাম্পাসে ছাত্রদল ও সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদককে প্রতিহতের ঘোষণা দেয় ছাত্রলীগ। এরপর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ঢাবি ক্যাম্পাস।
অবশ্য ঘটনা এখন আর ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। ‘সরকার হটানো’র হুংকার দিয়ে মাঠে নেমেছে বিএনপি। বসে নেই আওয়ামী লীগও। নেতা-মন্ত্রীদের কণ্ঠে অসহিষ্ণুতার সুর। প্রতিদিনই বইছে পাল্টাপাল্টি বক্তৃতার ঝড়।
ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিলে কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে, আর আমরা বসে তামাক খাব?’
না, আওয়ামী লীগকে ‘তামাক’ খাওয়ার পরামর্শ কেউ নিশ্চয়ই দেবেন না। কারণ, সবারই এটা জানা যে ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। ক্ষতিকর কোনো কাজ কাউকে করতে বলা অপরাধ। কিন্তু ‘বসে তামাক না খেয়ে’ আওয়ামী লীগ তার ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগকে যা করার পরামর্শ দিচ্ছে, তা তামাক খাওয়া বা ধূমপানের চেয়ে কম ক্ষতিকর নয় কোনো বিবেচনাতেই।
ছাত্রদলের কর্মীদের ওপর সম্প্রতি ছাত্রলীগের চড়াও হওয়ার বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, ‘শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিলে ছাত্রলীগ কি চুপ করে বসে থাকবে? নেত্রীকে অপমান করা হচ্ছে। এই অপমান কি আমরা সইতে পারি? এসব কটূক্তির প্রতিবাদ ছাত্রলীগ করেছে।’
এ তো একেবারে খুনের বদলে খুনের মতো ব্যাপার। শেখ হাসিনা দেশের প্রধানমন্ত্রী। পছন্দ না হলেও এটা বিএনপির লোকজনকে মানতেই হবে। আবার শেখ হাসিনা বা সরকারের বিরোধিতা করা যাবে না–এমন কোনো আইন দেশে নেই। দেশে গণতন্ত্র আছে–এই দাবি করলে সরকারের বিরোধিতা করতে দিতেই হবে। তবে হ্যাঁ, সরকারের বিরোধিতা মানে সরকারপ্রধানের প্রতি অশালীন উক্তি করা নয়, নয় তাঁকে হত্যার হুমকি দেওয়া। কোনো সভ্য সমাজেই কাউকে প্রাণনাশের প্রকাশ্য হুমকি দেওয়ার গণতন্ত্র আছে বলে মনে হয় না।
বিএনপি এবং ছাত্রদলসহ এই দলের সমর্থকেরা যদি ‘পঁচাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার’ স্লোগান দিয়ে থাকেন, তাহলে সরকারের নিষ্ক্রিয় থাকার সুযোগ থাকে না। পঁচাত্তরে হাতিয়ার গর্জে ওঠার পরিণতি কী হয়েছিল, তা আমরা জানি। পঁচাত্তরে রাতের অন্ধকারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হাতিয়ার দিয়ে হত্যা করেই রাষ্ট্রক্ষমতার পরিবর্তন ঘটানো হয়েছিল। হত্যার মাধ্যমে ক্ষমতা পরিবর্তনের এই বর্বর ধারা কোনো সুস্থ ও বিবেকবান মানুষেরই সমর্থন পেতে পারে না। বিএনপি শেখ হাসিনার সরকারের পরিবর্তন চাইতে পারে, কিন্তু সেটা যদি ‘হাতিয়ারের’ মাধ্যমে করতে চাওয়া হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই দাঁড়াতে হবে। সরকারের বিরোধিতা করতে হবে রাজনৈতিকভাবেই। অস্ত্রের ভাষায় কথা বলা অবশ্যই পরিহার করতে হবে।
এ ক্ষেত্রে বিএনপিও বলতে পারে, আমাদের নেত্রীকে যে পদ্মা সেতু থেকে ‘টুস’ করে পানিতে ফেলে দিতে বললেন প্রধানমন্ত্রী নিজেই, সেটা কী হত্যার হুমকি নয়? যদি এটা কথার কথাও হয়, তাহলে বিষয়টি খালেদা জিয়ার সমর্থকদের গায়ে লাগারই কথা। ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক যদি অশালীন কটূক্তি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে করে থাকেন, তাহলে এভাবে প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে উঠতে হবে ছাত্রলীগের মতো ঐতিহ্যবাহী বলে দাবিদার একটি সংগঠনকে?
ছাত্রদলকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে আন্দোলন শুরু করবে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। তার জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, ‘আমরাও দেখব কত ধানে কত চাল। সবকিছুরই শেষ আছে। বাড়াবাড়ি ভালো নয়। মির্জা ফখরুলকে বলে দিচ্ছি, আগুন নিয়ে খেলবেন না। আগুন নিয়ে খেললে পরিণতি ভালো হবে না।’
অন্যদিকে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমাদের ধমকাচ্ছেন, ভয়ানক পরিণতি হবে।’ তিনি চুয়াত্তর-পঁচাত্তর সালের কথা তুলে ধরে বলেছেন, ‘ভয়ানক পরিণতি হয়তো আপনারা অতীতে দেখেছেন।’
নেতারা উত্তেজনা ছড়িয়ে দিলেও সাধারণ মানুষ অকারণে দেশের মধ্যে অশান্তি চায় না। মানুষ শান্তি চায়। অধিকার চায়। বাঁচতে চায়।

আমাদের দেশে সরকার এবং বিরোধী দলের রাজনীতি বৈরিতার, সহযোগিতার নয়। স্বাধীনতার পর নতুন দেশে নতুন রাজনীতির একটি ধারা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছিল মণি সিংহের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) এবং অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদের নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)। বঙ্গবন্ধু সরকারের ভালো কাজের সমর্থন বা প্রশংসা ও খারাপ কাজের বিরোধিতা বা সংগ্রামের নীতি নিয়েছিল দল দুটি। কিন্তু এই ঐক্য ও সংগ্রামের নীতি বা কৌশল রাজনৈতিক মহলে এমনকি জনসাধারণের মধ্যেও খুব প্রশংসিত হয়নি। উল্টো সিপিবি ও ন্যাপকে আওয়ামী লীগের বি-টিম, সি-টিম হিসেবে টিটকারী সহ্য করতে হয়েছিল। আওয়ামী লীগও যে সিপিবি-ন্যাপের প্রস্তাব বা বক্তব্য খুব বিবেচনায় নিয়েছে, তা-ও নয়। আওয়ামী লীগ আসলে আওয়ামী লীগের মতোই চলেছে। ব্যক্তিগতভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সিপিবি-ন্যাপের সঙ্গে সদ্ভাব রক্ষা করে চলতেন। আবার তাদের সব বক্তব্যের সঙ্গেই একমত পোষণ করতেন, তা নয়। তবে এটা ঠিক, বঙ্গবন্ধুর সময় পর্যন্ত দেশের রাজনীতি চরম বৈরিতাপূর্ণ ছিল না। একধরনের সমঝোতার মনোভাব ও পরিবেশ বজায় ছিল। বঙ্গবন্ধু ব্যক্তিগতভাবে তাঁর রাজনৈতিক বিশ্বাসের বিরোধীপক্ষের সঙ্গেও কখনো অসৌজন্যমূলক আচরণ করেননি, প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে কোনো বক্তব্যও দেননি।
কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে নৃশংসভাবে হত্যার মাধ্যমে রাজনীতির ধারা বদলে দেওয়া হয়। তারপর ধারাবাহিকভাবেই রাজনীতিতে অসহিষ্ণুতার ধারা প্রবল হয়ে উঠেছে। এখন দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল আর একে অপরের সহযোগী তো নয়ই, প্রতিদ্বন্দ্বীও নয়; একেবারে শত্রুতার সম্পর্ক। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নত করার কোনো দাওয়াই সম্ভবত জানা নেই। পরস্পরের বিরোধিতার অনিরাময়যোগ্য ব্যাধি কোন ওষুধে কীভাবে সারানো যাবে, তা কেউ বলতে পারবে না।
আওয়ামী লীগ যাতে উৎফুল্ল হয়, খুশি হয়, বিএনপি তাতে বেজার হয়, নাখোশ হয়। সম্প্রতি কিছুটা আকস্মিকভাবেই যেন এই দুই দল মুখোমুখি অবস্থানে চলে এসেছে। পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নেমেছে দুই দলই। মাঠে শেষ পর্যন্ত কোন দলের আধিপত্য বজায় থাকবে, কোন দলের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হবে, তা দেখার জন্য উৎসুক অপেক্ষা এখন অনেকেরই। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এখন কেন? নির্বাচনের তো এখনো বছর দেড়েক বাকি। এত আগে থেকে নেমে মাঠ গরম রাখার সাংগঠনিক শক্তি বিএনপি ও তার সহযোগীদের আছে তো?
কেউ কেউ অবশ্য মনে করছেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিন ঘোষণার পর বিএনপিও তাড়া অনুভব করছে সরকারকে একটু বেশি জোরে নাড়া দিতে। পদ্মা সেতু সরকারের সাফল্যের একটি উজ্জ্বল স্বাক্ষর হয়ে সবার সামনে আসছে। দেশে-বিদেশে নানা বিরোধিতা-ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে সরকার এই সেতু নির্মাণের কাজ শেষ করায় এ নিয়ে অহংকার বা গর্ব করার, এর সব কৃতিত্ব দাবি করার সংগত অধিকার অর্জন করেছে সরকার। বিদেশি সংবাদমাধ্যমেও পদ্মা সেতু তৈরি করায় শেখ হাসিনার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করা হচ্ছে। শেখ হাসিনার সরকারের সাফল্য বিএনপির গায়ে স্বাভাবিকভাবেই জ্বালা ধরাচ্ছে। আওয়ামী লীগের ভালো বিএনপি সহ্য করতে পারে না। আবার বিএনপির সাফল্যও নিশ্চয়ই আওয়ামী লীগের শিরঃপীড়ার কারণ হয়।
একটি ঘটনার কথা মনে পড়ছে। এটা গত শতকের নব্বইয়ের দশকের কথা। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি নির্বাচনে জয়লাভ করে ক্ষমতায় বসেছে। মির্জা গোলাম হাফিজ তখন আইন ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী। একদিন সচিবালয়ে মির্জা হাফিজের সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হয়েছিল। কথা প্রসঙ্গে তিনি আমাকে বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ যে সংসদে ইনডেমনিটি প্রত্যাহারের জন্য বিল জমা দিয়েছে, তা তিনি ড্রয়ারের নিচে লুকিয়ে রেখেছেন। বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে ইনডেমনিটি বাতিল হবে না। কারণ, এটা বাতিল হলে লাভ আওয়ামী লীগের, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারের সুযোগ পাওয়া যাবে। কিন্তু আওয়ামী লীগের যেটায় লাভ, সেটা বিএনপি করবে কেন?
পদ্মা সেতু চালু হলে শুধু আওয়ামী লীগের নয়, দেশের মানুষেরও লাভ। কিন্তু তাতে শেখ হাসিনার ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে নিঃসন্দেহে। শেখ হাসিনা প্রশংসিত হলে বিএনপি তা স্বাভাবিকভাবে নিতে পারে না। তাই পদ্মা সেতু উদ্বোধনের তারিখ ঘোষণার পর পরই রাজনীতির মাঠ গরমের চেষ্টা করছে দেশের দ্বিতীয় প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি। আর বিএনপির এ চেষ্টা প্রতিরোধ করতে গিয়ে আরও মাঠ উত্তপ্ত করছে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ। উভয় দলই তাদের প্রধান নেত্রীকে হত্যার হুমকির অভিযোগ তুলে মাঠে নেমেছে। এ নিয়ে বাগ্যুদ্ধ চলছে। উভয় দলের ছাত্রসংগঠনের মধ্যে এ নিয়ে সংঘর্ষ, মামলা, পাল্টা মামলার ঘটনাও ঘটেছে।
স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণের কার্যক্রম শুরুর পর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ‘জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু বানাচ্ছে, ওখানে চড়া যাবে না। চড়লে ভেঙে পড়বে।’ খালেদা জিয়ার এমন মন্তব্যের জবাব দিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৮ মে দলীয় এক আলোচনা সভায় বলেছেন, ‘পদ্মা সেতু থেকে খালেদা জিয়াকে টুস করে ফেলে দেওয়া উচিত।’
এরপর ২২ মে বিএনপির অঙ্গসংগঠন ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। সেই সমাবেশে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে বেশ কিছু কড়া বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘অনেকেই মনে করছেন আমরা তপ্ত রোদে উত্তপ্ত! আমরা উত্তপ্ত নই, শেখ হাসিনা আমাদের হৃদয়ে আঘাত করেছেন; আমাদের আদর্শিক মাকে নিয়ে কটূক্তি করেছেন। তাই আমরা উত্তপ্ত।’
ছাত্রলীগের অভিযোগ, ওই সমাবেশে ছাত্রদলের নেতারা ‘পঁচাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার’ এমন স্লোগান দেন। জুয়েলের এই বক্তব্য ও স্লোগানের পর মাঠে নামে ছাত্রলীগ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় প্রতিবাদের ঝড়। এই স্লোগান ও বক্তব্যের জন্য ক্ষমা না চাইলে ঢাবি ক্যাম্পাসে ছাত্রদল ও সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদককে প্রতিহতের ঘোষণা দেয় ছাত্রলীগ। এরপর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ঢাবি ক্যাম্পাস।
অবশ্য ঘটনা এখন আর ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। ‘সরকার হটানো’র হুংকার দিয়ে মাঠে নেমেছে বিএনপি। বসে নেই আওয়ামী লীগও। নেতা-মন্ত্রীদের কণ্ঠে অসহিষ্ণুতার সুর। প্রতিদিনই বইছে পাল্টাপাল্টি বক্তৃতার ঝড়।
ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিলে কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে, আর আমরা বসে তামাক খাব?’
না, আওয়ামী লীগকে ‘তামাক’ খাওয়ার পরামর্শ কেউ নিশ্চয়ই দেবেন না। কারণ, সবারই এটা জানা যে ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। ক্ষতিকর কোনো কাজ কাউকে করতে বলা অপরাধ। কিন্তু ‘বসে তামাক না খেয়ে’ আওয়ামী লীগ তার ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগকে যা করার পরামর্শ দিচ্ছে, তা তামাক খাওয়া বা ধূমপানের চেয়ে কম ক্ষতিকর নয় কোনো বিবেচনাতেই।
ছাত্রদলের কর্মীদের ওপর সম্প্রতি ছাত্রলীগের চড়াও হওয়ার বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, ‘শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিলে ছাত্রলীগ কি চুপ করে বসে থাকবে? নেত্রীকে অপমান করা হচ্ছে। এই অপমান কি আমরা সইতে পারি? এসব কটূক্তির প্রতিবাদ ছাত্রলীগ করেছে।’
এ তো একেবারে খুনের বদলে খুনের মতো ব্যাপার। শেখ হাসিনা দেশের প্রধানমন্ত্রী। পছন্দ না হলেও এটা বিএনপির লোকজনকে মানতেই হবে। আবার শেখ হাসিনা বা সরকারের বিরোধিতা করা যাবে না–এমন কোনো আইন দেশে নেই। দেশে গণতন্ত্র আছে–এই দাবি করলে সরকারের বিরোধিতা করতে দিতেই হবে। তবে হ্যাঁ, সরকারের বিরোধিতা মানে সরকারপ্রধানের প্রতি অশালীন উক্তি করা নয়, নয় তাঁকে হত্যার হুমকি দেওয়া। কোনো সভ্য সমাজেই কাউকে প্রাণনাশের প্রকাশ্য হুমকি দেওয়ার গণতন্ত্র আছে বলে মনে হয় না।
বিএনপি এবং ছাত্রদলসহ এই দলের সমর্থকেরা যদি ‘পঁচাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার’ স্লোগান দিয়ে থাকেন, তাহলে সরকারের নিষ্ক্রিয় থাকার সুযোগ থাকে না। পঁচাত্তরে হাতিয়ার গর্জে ওঠার পরিণতি কী হয়েছিল, তা আমরা জানি। পঁচাত্তরে রাতের অন্ধকারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হাতিয়ার দিয়ে হত্যা করেই রাষ্ট্রক্ষমতার পরিবর্তন ঘটানো হয়েছিল। হত্যার মাধ্যমে ক্ষমতা পরিবর্তনের এই বর্বর ধারা কোনো সুস্থ ও বিবেকবান মানুষেরই সমর্থন পেতে পারে না। বিএনপি শেখ হাসিনার সরকারের পরিবর্তন চাইতে পারে, কিন্তু সেটা যদি ‘হাতিয়ারের’ মাধ্যমে করতে চাওয়া হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই দাঁড়াতে হবে। সরকারের বিরোধিতা করতে হবে রাজনৈতিকভাবেই। অস্ত্রের ভাষায় কথা বলা অবশ্যই পরিহার করতে হবে।
এ ক্ষেত্রে বিএনপিও বলতে পারে, আমাদের নেত্রীকে যে পদ্মা সেতু থেকে ‘টুস’ করে পানিতে ফেলে দিতে বললেন প্রধানমন্ত্রী নিজেই, সেটা কী হত্যার হুমকি নয়? যদি এটা কথার কথাও হয়, তাহলে বিষয়টি খালেদা জিয়ার সমর্থকদের গায়ে লাগারই কথা। ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক যদি অশালীন কটূক্তি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে করে থাকেন, তাহলে এভাবে প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে উঠতে হবে ছাত্রলীগের মতো ঐতিহ্যবাহী বলে দাবিদার একটি সংগঠনকে?
ছাত্রদলকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে আন্দোলন শুরু করবে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। তার জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, ‘আমরাও দেখব কত ধানে কত চাল। সবকিছুরই শেষ আছে। বাড়াবাড়ি ভালো নয়। মির্জা ফখরুলকে বলে দিচ্ছি, আগুন নিয়ে খেলবেন না। আগুন নিয়ে খেললে পরিণতি ভালো হবে না।’
অন্যদিকে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমাদের ধমকাচ্ছেন, ভয়ানক পরিণতি হবে।’ তিনি চুয়াত্তর-পঁচাত্তর সালের কথা তুলে ধরে বলেছেন, ‘ভয়ানক পরিণতি হয়তো আপনারা অতীতে দেখেছেন।’
নেতারা উত্তেজনা ছড়িয়ে দিলেও সাধারণ মানুষ অকারণে দেশের মধ্যে অশান্তি চায় না। মানুষ শান্তি চায়। অধিকার চায়। বাঁচতে চায়।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
২১ দিন আগে
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫বাসস, ঢাকা

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

আমাদের দেশে সরকার এবং বিরোধী দলের রাজনীতি বৈরিতার, সহযোগিতার নয়। স্বাধীনতার পর নতুন দেশে নতুন রাজনীতির একটি ধারা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছিল মণি সিংহের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) এবং অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদের নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)। বঙ্গবন্ধু সরকারের ভালো কাজের সমর্থ
০৫ জুন ২০২২
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

আমাদের দেশে সরকার এবং বিরোধী দলের রাজনীতি বৈরিতার, সহযোগিতার নয়। স্বাধীনতার পর নতুন দেশে নতুন রাজনীতির একটি ধারা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছিল মণি সিংহের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) এবং অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদের নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)। বঙ্গবন্ধু সরকারের ভালো কাজের সমর্থ
০৫ জুন ২০২২
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
২১ দিন আগে
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

আমাদের দেশে সরকার এবং বিরোধী দলের রাজনীতি বৈরিতার, সহযোগিতার নয়। স্বাধীনতার পর নতুন দেশে নতুন রাজনীতির একটি ধারা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছিল মণি সিংহের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) এবং অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদের নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)। বঙ্গবন্ধু সরকারের ভালো কাজের সমর্থ
০৫ জুন ২০২২
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
২১ দিন আগে
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

আমাদের দেশে সরকার এবং বিরোধী দলের রাজনীতি বৈরিতার, সহযোগিতার নয়। স্বাধীনতার পর নতুন দেশে নতুন রাজনীতির একটি ধারা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছিল মণি সিংহের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) এবং অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদের নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)। বঙ্গবন্ধু সরকারের ভালো কাজের সমর্থ
০৫ জুন ২০২২
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
২১ দিন আগে
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫