Ajker Patrika

শিশু ওয়ার্ডে রোগী ৫ গুণ মেঝে-বারান্দায়ও চাপ

ফেনী প্রতিনিধি
Thumbnail image

ফেনীতে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত শিশু রোগীর সংখ্যা। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ফেনী সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে প্রতিদিন ১২০ থেকে ১২৫ শিশু রোগী ভর্তি থাকে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আসিফ ইকবাল। তিনি জানান, ২৬ শয্যার বিপরীতে এ ওয়ার্ডে ধারণক্ষমতার পাঁচগুণ রোগী ভর্তি করা হয়েছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শিশু ওয়ার্ডের শয্যা সংখ্যা ২৬টি হলেও প্রতিদিন গড়ে ৪০ থেকে ৫০ নতুন রোগী ভর্তি হচ্ছে। সব মিলিয়ে ওয়ার্ডে গড়ে ১২০ জনের বেশি ভর্তি রোগীকে চিকিৎসাসেবা দিতে হচ্ছে। ধারণক্ষমতার বেশি হওয়ায় চিকিৎসকেরা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন।

গত রোববার সদর হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, শিশু ওয়ার্ডের মেঝে ও বারান্দা ছাড়িয়ে ওয়ার্ডের বাইরের মেঝেতে বিছানা পেতে শিশুদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। একই চিত্র ডায়রিয়া ওয়ার্ডে। গত শনিবার এ ওয়ার্ডে ৩৪ জন ভর্তি রোগীর মধ্যে ২৫ জনই ছিল শিশু।

শিশু ওয়ার্ডের বাইরে বারান্দা ছাড়াও তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয় ও আবাসিক চিকিৎসকের কক্ষের সামনের মেঝেতে বিছানা পেতে রোগীরা অবস্থান করছেন। তাদের বেশির ভাগের নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি কাশিসহ নানা উপসর্গ রয়েছে।

জ্বর-সর্দি আক্রান্ত দুই বছরের মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে আসেন ছাগলনাইয়ার গৃহিণী শরীফা বেগম। হাসপাতালে ভর্তির সময়ই তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয় ওয়ার্ডে জায়গা নেই। নিরুপায় হয়ে ওয়ার্ডের বাইরে বিছানা পেতে মেয়ের চিকিৎসা করাচ্ছেন।

মিলন নামে এক রোগীর স্বজন জানান, গত দুই দিন হয়েছে বাচ্চাকে ভর্তি করিয়েছেন। রোগীর চাপে সুস্থতার পরিবর্তে আরও অসুস্থ হওয়ার অবস্থা হয়েছে। ওয়ার্ডের সেবিকা কক্ষের সামনে ভিড় লেগেই থাকে। রোগীর তুলনায় পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও সেবিকা না থাকায় কর্তৃপক্ষও হিমশিম খাচ্ছে।

হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে দায়িত্বরত জ্যেষ্ঠ নার্স শ্যামলী রানী বলেন, এ ওয়ার্ডে ২৬টি শয্যা রয়েছে। ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ রোগী হলেও স্বাভাবিকভাবে সেবা দেওয়া যায়। তবে পাঁচগুণ বেশি রোগীর জন্য সেবা নিশ্চিত করা তাঁদের জন্যও অনেক কষ্টকর। তারপরও তাঁরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আসিফ বলেন, জেলার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল হওয়ায় ছয় উপজেলার রোগীরা এখানে চিকিৎসা নেয়। একসঙ্গে এত রোগীকে ওয়ার্ডে জায়গা দেওয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়।

শিশু বিশেষজ্ঞ সৈয়দ শাহরিয়ার মাহমুদ বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে শিশুদের জ্বর, সর্দি, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগ দেখা দিচ্ছে। দিনে ও রাতে তাপমাত্রার অধিক তারতম্যের কারণে শিশুরা এসব রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এ সময় শিশুদের বাড়তি যত্ন নিতে হবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঋণের ১৩০০ কোটির এক টাকাও দেননি হলিডে ইনের মালিক

নারীদের খেলায় আর নাক গলাবে না, দেশ ও বিশ্ববাসীর কাছে ক্ষমা চাইল ভাঙচুরকারীরা

ইতালি নেওয়ার কথা বলে লিবিয়ায় ফরিদপুরের ২ জনকে গুলি করে হত্যা

গণ–সমাবেশে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিলেন বিএনপি নেতা

হেফাজতে যুবদল নেতার মৃত্যু, সেনা ক্যাম্প কমান্ডারকে প্রত্যাহার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত