গনেশ দাস, বগুড়া
পকেটমারদের পট্টি হিসেবে পরিচিত বগুড়া শহরের উত্তর চেলোপাড়া। পুলিশের তালিকা অনুযায়ী মহল্লাটিতে ১২৯ জনের পেশা পকেট মারা। তাদের মধ্যে আবার কমপক্ষে ১০ নারী ও ১০ শিশু রয়েছে। পকেটমারের তালিকায় রয়েছেন ৬৫ বছরের বৃদ্ধও।
পুলিশ জানায়, বগুড়া শহর ছাড়াও আশপাশের জেলা এমনকি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে গিয়েও তারা পকেট মারার কাজ করে। গণগ্রেপ্তার, আটকের পর ডাকাতি প্রস্তুতি মামলা, চাকুসহ অস্ত্র আইনে মামলা দিয়েও তাদের তৎপরতা বন্ধ করা যাচ্ছে না। প্রতিনিয়ত পকেটমারের খপ্পরে পড়ে শহরে আসা লোকজন টাকা ও মোবাইল ফোন হারাচ্ছে। তবে অভিযোগ করতে অনীহা প্রকাশ করায় পকেটমাররা আটকের পরও পার পেয়ে যায়।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, তাদের তালিকা অনুয়ায়ী উত্তর চেলোপাড়ায় ১২৯ জন পকেটমার বাস করে। তাদের মধ্যে ৩০ জন শহর ছাড়াও রেলস্টেশন, বাস টার্মিনাল, বিভিন্ন হাট, মেলা এবং জনবহুল স্থানে পকেট মারার কাজ করে। প্রতিদিন জেলা শহরের বাইরে নওগাঁ, সান্তাহার, জয়পুরহাট, গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ, পলাশবাড়ি এবং সিরাজগঞ্জ জেলায় পকেট মারতে যায়। কয়েকজন সীমান্ত পার হয়ে ভারতে চলে যায় পকেট মারতে।
বগুড়া শহরের নারুলী পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘উত্তর চেলোপাড়ার চিহ্নিত পকেটমার পাথারু, মমতাজ ও শাহ আলম পাসপোর্ট-ভিসা নিয়ে ভারতে গিয়ে পকেট মারে। এমন তথ্য আমাদের কাছে রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বগুড়াতেও একাধিক মামলা রয়েছে।’
বগুড়া শহরতলির মাটিডালি এলাকার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘১৪ মার্চ ঢেউটিন কেনার জন্য ৪০ হাজার টাকা নিয়ে শহরে যাই। শহরের ঝাউতলা এলাকায় কিছু ওষুধ কেনার পর ঢেউটিনের দোকানে যাওয়ার সময় পকেটে হাত দিয়ে দেখি টাকা নেই। থানায় গিয়ে কী হবে? আরও ঝামেলা বাড়বে মনে করে বাড়ি ফিরে যাই।’ সদর উপজেলার গোকুল গ্রামের বাসিন্দা সুমন শহরের ফুটপাতে ফল বিক্রি করেন। ১৬ মার্চ দুপুরে শহরের সাতমাথা এলাকায় পকেট থেকে মোবাইল ফোন তুলে নেওয়ার সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে পকেটমার আইনুল হক। এ সময় জনগণ তাকে পিটুনি দিয়ে থানা-পুলিশে তুলে দেন। পুলিশ তাকে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থানায় নিয়ে গেলে ভুক্তভোগী সুমন লিখিত অভিযোগ দিতে রাজি হননি।
সদর থানা সূত্রে জানা যায়, পকেটমারের খপ্পরে পড়ে টাকা খোয়া গেলে খুব কমসংখ্যক মানুষ থানায় আসে। তবে মোবাইল ফোন খোয়া গেলে থানায় আসেন জিডি করতে। মোবাইল ফোন হারানোসংক্রান্ত প্রতি মাসে দেড় শতাধিক জিডি হয়ে থাকে থানায়, যার অধিকাংশ শহরে পকেটমারের খপ্পরে পড়ে হারানো। সেই হিসাবে প্রতিদিন চার-পাঁচটি মোবাইল ফোন হারানোর ঘটনা ঘটে শহরে।
বগুড়া সদর থানার ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, পকেটমারদের তৎপরতা রমজান মাসের শুরু থেকে কিছুটা বেড়েছে। পকেটমারদের বিরুদ্ধে পুলিশের পদক্ষেপ শুরু হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী গ্রেপ্তার ছাড়াও শহরের মার্কেট এবং জনবহুল পয়েন্টগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সাইহান ওলিউল্লাহ আরও বলেন, পকেটমারের খপ্পরে পড়ে ভুক্তভোগীরা থানায় অভিযোগ করতে চায় না। এ কারণে পকেটমার আটকের পর পুলিশকে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। যারা অভিযোগ করে, তাদের অনেকের টাকাও উদ্ধার করে দেওয়া হয়।
পকেটমারদের পট্টি হিসেবে পরিচিত বগুড়া শহরের উত্তর চেলোপাড়া। পুলিশের তালিকা অনুযায়ী মহল্লাটিতে ১২৯ জনের পেশা পকেট মারা। তাদের মধ্যে আবার কমপক্ষে ১০ নারী ও ১০ শিশু রয়েছে। পকেটমারের তালিকায় রয়েছেন ৬৫ বছরের বৃদ্ধও।
পুলিশ জানায়, বগুড়া শহর ছাড়াও আশপাশের জেলা এমনকি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে গিয়েও তারা পকেট মারার কাজ করে। গণগ্রেপ্তার, আটকের পর ডাকাতি প্রস্তুতি মামলা, চাকুসহ অস্ত্র আইনে মামলা দিয়েও তাদের তৎপরতা বন্ধ করা যাচ্ছে না। প্রতিনিয়ত পকেটমারের খপ্পরে পড়ে শহরে আসা লোকজন টাকা ও মোবাইল ফোন হারাচ্ছে। তবে অভিযোগ করতে অনীহা প্রকাশ করায় পকেটমাররা আটকের পরও পার পেয়ে যায়।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, তাদের তালিকা অনুয়ায়ী উত্তর চেলোপাড়ায় ১২৯ জন পকেটমার বাস করে। তাদের মধ্যে ৩০ জন শহর ছাড়াও রেলস্টেশন, বাস টার্মিনাল, বিভিন্ন হাট, মেলা এবং জনবহুল স্থানে পকেট মারার কাজ করে। প্রতিদিন জেলা শহরের বাইরে নওগাঁ, সান্তাহার, জয়পুরহাট, গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ, পলাশবাড়ি এবং সিরাজগঞ্জ জেলায় পকেট মারতে যায়। কয়েকজন সীমান্ত পার হয়ে ভারতে চলে যায় পকেট মারতে।
বগুড়া শহরের নারুলী পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘উত্তর চেলোপাড়ার চিহ্নিত পকেটমার পাথারু, মমতাজ ও শাহ আলম পাসপোর্ট-ভিসা নিয়ে ভারতে গিয়ে পকেট মারে। এমন তথ্য আমাদের কাছে রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বগুড়াতেও একাধিক মামলা রয়েছে।’
বগুড়া শহরতলির মাটিডালি এলাকার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘১৪ মার্চ ঢেউটিন কেনার জন্য ৪০ হাজার টাকা নিয়ে শহরে যাই। শহরের ঝাউতলা এলাকায় কিছু ওষুধ কেনার পর ঢেউটিনের দোকানে যাওয়ার সময় পকেটে হাত দিয়ে দেখি টাকা নেই। থানায় গিয়ে কী হবে? আরও ঝামেলা বাড়বে মনে করে বাড়ি ফিরে যাই।’ সদর উপজেলার গোকুল গ্রামের বাসিন্দা সুমন শহরের ফুটপাতে ফল বিক্রি করেন। ১৬ মার্চ দুপুরে শহরের সাতমাথা এলাকায় পকেট থেকে মোবাইল ফোন তুলে নেওয়ার সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে পকেটমার আইনুল হক। এ সময় জনগণ তাকে পিটুনি দিয়ে থানা-পুলিশে তুলে দেন। পুলিশ তাকে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থানায় নিয়ে গেলে ভুক্তভোগী সুমন লিখিত অভিযোগ দিতে রাজি হননি।
সদর থানা সূত্রে জানা যায়, পকেটমারের খপ্পরে পড়ে টাকা খোয়া গেলে খুব কমসংখ্যক মানুষ থানায় আসে। তবে মোবাইল ফোন খোয়া গেলে থানায় আসেন জিডি করতে। মোবাইল ফোন হারানোসংক্রান্ত প্রতি মাসে দেড় শতাধিক জিডি হয়ে থাকে থানায়, যার অধিকাংশ শহরে পকেটমারের খপ্পরে পড়ে হারানো। সেই হিসাবে প্রতিদিন চার-পাঁচটি মোবাইল ফোন হারানোর ঘটনা ঘটে শহরে।
বগুড়া সদর থানার ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, পকেটমারদের তৎপরতা রমজান মাসের শুরু থেকে কিছুটা বেড়েছে। পকেটমারদের বিরুদ্ধে পুলিশের পদক্ষেপ শুরু হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী গ্রেপ্তার ছাড়াও শহরের মার্কেট এবং জনবহুল পয়েন্টগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সাইহান ওলিউল্লাহ আরও বলেন, পকেটমারের খপ্পরে পড়ে ভুক্তভোগীরা থানায় অভিযোগ করতে চায় না। এ কারণে পকেটমার আটকের পর পুলিশকে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। যারা অভিযোগ করে, তাদের অনেকের টাকাও উদ্ধার করে দেওয়া হয়।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪